নীলচে_তারার_আলো,পর্ব_৫
নবনী_নীলা
হিয়া চাইলেই তার শাশুড়ীকে জড়িয়ে ধরে টুক করে দু গালে দুটো চুমু দিয়ে বিভ্রান্ত করে দিতে পারে। কিন্তু যদি ইনিও ছেলের মতন বলে বসেন যে, এইসব করে তুমি আমাকে হাত করতে পারবে না।তাই আজ আর সে সেটা করলো না। মুচকি একটা হাসি দিয়ে সে বেড়িয়ে এলো। কিন্তু একদিন করবে, তারপর সাই মেরে দৌড় দিবে। শাশুড়িটার চেহারা দেখার মতন হবে। ইস ভাবতেই মজা লাগছে।
হিয়া ব্যাগ নিয়ে গাড়িতে এসে বসলো। গাড়ি করে কলেজে যাওয়া ব্যাপারটা একটু অসস্তিকর। ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যাওয়ার মধ্যেও একটা ভালো লাগা আছে।
আজ শুভ্রের ক্লাস সকাল সকাল। হাতে কিছু প্রেজেন্টেশনও রয়েছে। শুভ্র বেড়িয়ে এসে গাড়ীর দরজা খুলে ভিতরে তাকাতেই হিয়াকে দেখলো। গায়ের পোশাক দেখেই শুভ্রের বুঝতে বাকি রইলো না হিয়া কলেজে যাচ্ছে। আচ্ছা, বাবা তাহলে মেয়েটাকে কলেজে ভর্তি করিয়েছে।
শুভ্র হাতে থাকা প্রেজেন্টেশনের কাগজগুলো গাড়িতে রেখে দরজা লাগিয়ে দিয়ে ড্রাইভারকে বললো,” নয়টার আগে গাড়ী নিয়ে মেডিক্যালের সামনে থাকবে। নয়টায় আমার ক্লাস।”
ড্রাইভার জানালা দিয়ে মাথা বার করে বললো,
” আপনি যাইবেন না? গাড়িতে উঠেন।”
“নাহ্ আমি বাস নিয়ে নিবো। তোমাকে যা বলেছি সেটা করো।”, বলেই পকেটে হাত ভরে শুভ্র হাঁটা শুরু করলো।
পুরো সময় হিয়া একটাও কথা বললো না। লোকটা তাকে এতোই অপছন্দ করে যে বাসে করে ভার্সিটিতে যাবে তবুও হিয়ার সাথে এক গাড়িতে যাবে না। লোকটা বড্ড জেদী। এতো জেদ কিসের ওনার?
সারা রাস্তা হিয়া গাড়ীর জানালা দিয়ে পুরো শহরটা দেখতে দেখতে গেলো। এই শহরটা তার চেনা, খুব চেনা।
গাড়ী এসে থামলো হিয়ার কলেজের সামনে। হিয়া ব্যাগটা নিয়ে নামার আগে তার পাশে থাকা প্রেজেন্টেশনের ফাইলটার দিকে তাকালো। তারপর ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে গাড়ী থেকে নামলো।
ব্যাগের ফিতেটা ঠিক করতে করতে সামনে তাকিয়ে দেখলো প্রভা দাড়িয়ে আছে। হিয়া একটু অবাক হলো, আবার একটু ভয়ও লাগছে তার? আজকেও কি তাকে কথা শুনাবে? কলেজের প্রথম দিনটা মাটি করে দিচ্ছে এরা। হিয়া মলিন চেহারায় এগিয়ে এলো।
প্রভার মুখে আজ অস্থিরতা নেই। সে স্বাভাবিক ভাবেই দাড়িয়ে আছে ভাবটা এমন যেনো হিয়ার জন্যেই অপেক্ষা করছিল। সত্যিই তাই প্রভা হিয়ার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে।
প্রভা ভেবেছিল গাড়ি থেকে হয়তো শুভ্রও নামবে, দুজনের তো একসাথেই আসার কথা। কিন্তু কই শুভ্র তো নামছে না। তার মানে সে হিয়ার সাথে আসেনি।
হিয়া এগিয়ে আসতেই প্রভা হাসি মুখে তাকিয়ে বললো,” তোমাকে কিছু বলার ছিলো।”
হিয়ার বুকের ভিতরটা ধুক ধুক করছে। আবার কি বলতে চায়? উফফ অসস্তি লাগছে অনেক। হিয়া চোখ পিট পিট করে একবার প্রভার দিকে তাকালো। তার চেহারার বিবর্ণ হয়ে গেছে।
প্রভা নিচু স্বরে বললো,” আসলে সেদিনের ব্যাবহারের জন্য আমি সত্যি লজ্জিত। সবটা জেনেও যে কেনো এমন করলাম আমি জানি না। অ্যাম রিয়েলি সরি,তুমি প্লীজ কিছু মনে করো না।”
হিয়া চোখ তুলে অবাক হয়ে তাকালো। মেয়েটা তাকে সরি বলছে। ঘটনাটা কি হলো? হিয়ার বিস্ময়ের সীমা রইল না।
প্রভা আরো বললো,” আজকে তোমার প্রথম ক্লাস না, হিয়া? দাড়াও তোমাকে একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।” বলেই হাতের ঈশারায় কাকে জানি ডাকলেন। কলেজ ড্রেসে একটা মেয়ে ছুটে এলো। প্রভা মেয়েটিকে দেখিয়ে দিয়ে বললো,”ও আমার বোন, দিবা। প্রথমদিনে একটা ফ্রেন্ড খুজে দিলাম। এবার নিশ্চই আমাকে ক্ষমা করা যায়।”
হিয়া মুগ্ধ হয়ে প্রভার দিকে তাকিয়ে আছে। সত্যি কি অসাধারণ এই মেয়েটি। অনায়াসে নিজের থেকে ছোট্ট একটা মেয়ের কাছে ক্ষমা চাইছে। বনমানুষটার কপাল দেখি ভালো। হিয়ার আর কোনো ভয় নেই সস্থির একটা নিশ্বাস ফেলে, প্রভার দিকে তাকিয়ে হাসলো।
প্রভাও কিছুটা অবাক হলো। সেদিন এতো কিছু শুনেও মেয়েটি চুপ ছিলো আর আজও মেয়েটি কোনো রাগ প্রকাশ করেনি, অবলীলায় হাসছে। প্রভার ভেবেই খারাপ লাগছে এই মিষ্টি একটা মেয়ে আজ এমন কঠিন একটা বাস্তবতার স্বীকার। প্রভা নিজের বনের দিকে তাকিয়ে বললো,” তোর মাথার দুষ্টু আর উল্টা পাল্টা বুদ্ধি দিয়ে ওকে বিরক্ত করবি না, বুঝেছিস?”
দিবা বোনের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিলের হাসি হাসলো।তারপর এগিয়ে এসে হিয়ার হাত ধরে নিয়ে যেতে যেতে বলল,” চলো তো, আমার বোনের জ্ঞান শুনতে গেলে আজ আমাদের আর ক্লাস করা লাগবে না।”
হিয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ভালোই ছিলো বলা যায়। দিবার সঙ্গো তার বেশ পছন্দ হয়েছে। মেয়েটা অনেক কথা বলে কিন্তু হিয়ার শুনতে খারাপ লাগে না। একটা খালি সমস্যা এই কলেজে ছেলে মেয়ে একসাথে। কিছু ছেলে মেয়ের অদ্ভুত আচরণ চোখেও পড়ে তার।
কলেজ শেষ হবার ঘণ্টা বাজতেই সবাই বই খাতা গুছাতে লাগলো। ব্যাগটা কাধে নিতেই হিয়ার মনে পড়লো শুভ্রের কথা। লোকটা কি ফেরার সময়েও বাসে করে ফিরবে? ভাবতে ভাবতে রুম থেকে বের হলো সে। গাড়ির সামনে এসে থমকে দাড়ালো। এই মুহূর্তে সে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে গাড়ী করে ফিরবে না। এই শহরটা তার কাছে নতুন নয়। সে একাই একা যেতে পারবে। শুধু এই ড্রাইভার আংকেলটাকে ম্যানেজ করতে হবে।
হিয়া অনেক্ষন হলো ড্রাইভার আংকেলকে বোঝানোর চেস্টা করছে কিন্তু তিনি কিছুতেই মানছেন না। শেষে হিয়া রেগে বললো,” আপনি যদি আমার কথা না শুনেন তাহলে কিন্তু আমি এক্ষুণি গাড়ীর টায়ার ফুটো করে হাওয়া বের করে দিবো।”
” আপনারে না লইয়া গেলে। বড় সাহেব আমারে বকবে।”, ওনার সেই এক কথা।
” উফফ, বললাম তো আপনার বড়ো সাহেবকে আমি ম্যানেজ করে নিবো। আপনি এখন চলে যাবেন কিনা বলুন? না হলে সবগুলো টায়ার পাঞ্চার করে দিয়ে আমি হেঁটে হেঁটে বা ফিরবো। ভেবে দেখুন তখন আপনার বড় সাহেবকে কিভাবে সামাল দিবেন?”, হিয়ার এমন কথায় এবার লোকটা সত্যি ভয় পেলো।
অবশেষে লোকটাকে চলে যাওয়ার জন্যে সে রাজি করাতে পারলো। যদিও মুখটা শুকনো হয়েগেছিল লোকটার।
হিয়া কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছে। কিভাবে ফিরবে সে জানে না, হেটে হেটে ফিরবে? নাকি বাস নিবে? ভাবতে গিয়ে ডান দিকে তাকাতেই দেখলো দিবা এগিয়ে আসছে।
” তুমি গাড়ী করে গেলে না কেনো?”, কৌতূহল নিয়ে প্রশ্ন করলো দিবা। হিয়া কি বলবে ভেবে পেলো না। কারণ বলার জন্যে তার কাছে কোনো উত্তর নেই।
দিবা মুচকি হেসে বলল,” তোমার সাথে শুভ্র ভাইয়ার বিয়ে হয়েছে, তাই না?”
দিবার এমন প্রশ্নে হিয়া ভীষনভাবে চমকালো। কারণ বিয়ের কথাটা গোপন থাকার কথা ছিলো।
হিয়া এখনো চুপ করে আছে। হিয়াকে চুপ থাকতে দেখে দিবা বললো,” আরে তুমি ভয় পাচ্ছো কেনো? আমি কাউকে বলবো না। তোমাকে একটা কথা বলি শুভ্র ভাইয়ার সাথে তোমার বিয়েতে যদি কেউ সবচেয়ে বেশি খুশি হয় সেটা হয়েছি আমি । অবাক হচ্ছো তাই না। আমি কিন্তু জানি আমার বোন শুভ্র ভাইয়াকে ভালোবাসে। কিন্তু সত্যি কথা কি জানো শুভ্র ভাইয়া আপুকে ভালোবাসে না।”
প্রথমে অবাক হলেও শেষের কথা শুনে হিয়ার ভ্রু কুঁচকে গেল। শেষের কথাটা বিশ্বাসযোগ্য হলো না তার কাছে। ” তোমার এমন মনে হলো কেনো?”, প্রশ্ন করলো হিয়া।
দিবার মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো, সে বাকা হাসি দিয়ে বললো,” আমি ছোটো হতে পারি তবে কে কাকে ভালোবাসে অতটুকু বোঝার জ্ঞান আমার হয়েছে। সমস্যাটা কোথায় জানো? আমার বোনের। সে জ্ঞান তার হয় নি। সে ভালোবাসার অন্ধ চশমা পড়ে ঘুরছে আর নিজেকে প্রতি নিয়ত বোঝাচ্ছে যে শুভ্র ভাইয়া তাকে ভালোবাসে। আমি চাই আমার বোনের সে ভুল ধারণাটা ভাঙ্গুক।”
হিয়া কেমন একটা গোলক ধাঁধায় পড়ে গেলো। এই দিবা সবকিছু জটলা পাকিয়ে দিয়েছে। হিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে ভাবলো কিন্তু তার মাথায় কিছুই ঢুকলো না। ধুর ওই বনমানুষ যাকে ইচ্ছা তাকে ভালোবাসুক এতে তার কি? সে কেনো এত ভাবছি। হুস হুস! বলেই জোরে মাথা দুবার ঝাকি দিলো হিয়া। মাথাটা আরেকটু হলেই ব্লাস্ট হয়ে যেতো তার। হিয়া চোখ খুলে দিবাকে বললো,” এগুলো আমাকে বললে কেনো? আমি এগুলো জেনে কি করবো?”
” হুম্,বুঝেছি তোমার অনেক ট্রেনিং প্রয়োজন। চিন্তা কোরো না আমি আছি, এক্সপার্ট বুঝেছো?”, বলেই খিলখিল করে হেসে উঠলো দিবা।
হিয়া বোকা বনে রইলো। দিবার একটা কথা যদি তার মাথায় ঢুকতো। মনে হচ্ছে মাথার উপর দিয়ে যেনো বড়সড় একটা সাইক্লোন বয়ে গেলো তার। হিয়া মাথায় হাত চালাতে চালাতে বললো,” ধুর এইসব বাদ দেও। আমি বাস কোথায় পাবো বলতো?”
” সোজা হাঁটতে থাকো হাঁটতে হাঁটতে সামনে একটা বাস স্টপ দেখবে ঐখান থেকেই একটা বাসে উঠে পড়লে হবে। আমার বাসা উল্টো দিকে না হলে আমি তোমাকে দিয়ে আসতাম।”,
দিবার কথামতন সামনের বাস স্টপে এসে হিয়া দারিয়ে পড়লো। জীবনে ফার্স্ট টাইম সে একা একা বাসে উঠবে। প্রচুর মানুষ দাড়িয়ে আছে বাসের জন্যে।
কিছুক্ষনের মধ্যেই একটা বাস এসে থামতেই লোকজন একদম হুমড়ি খেয়ে পড়ল। হিয়া পা বাড়িয়ে এগিয়ে গেলো কিন্তু সাহস পেলো না। এতো রিস্ক নিয়ে বাসে উঠতে হয় তার জানা ছিল না। বাসে উঠার প্রথম সিড়িটাও এতো উচু একবার হাত ছুটলেই শেষ। প্রথম বাসটা সে মিস করলো।
বাস স্টপে আর মাত্র পাঁচ ছয় জন রয়ে গেছে। এর মধ্যে কালো হুডি মাথায় একটা ছেলে বেঞ্চে বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে। বাকি সবাই আগের বাসে উঠার চেষ্টা করলেও এই ছেলেটি করেনি।
হিয়া পরবর্তী বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।কিছুক্ষণ পরেই আরেকটি বাস এসে থামলো। তবে বেশিক্ষণ দাড়ালো না মুহূর্তেই বাসটা ছেড়ে দিলো। হিয়া অনেক সাহস নিয়ে এগিয়ে গেছিলো উঠবে বলে এবারো পারলো না।
বাস স্ট্যান্ড বলতে গেলে খালি। শুধু হিয়া আর হুডি পড়া ছেলেটা ছাড়া আর কেউ নেই। হিয়ার রীতিমতন কান্না পাচ্ছে। পরের বাসটাও হয়তো তাকে ফেলে চলে যাবে। কি করবে এবার সে। মানুষজন কমে যাওয়ায় তার ভয় বাড়ছে।
অনেক্ষন হলো হিয়া দাড়িয়ে আছে আর কোনো বাস আসার নাম নেই। হটাৎ দূর থেকে একটা বাসকে আসতে দেখা গেলো। হিয়া ব্যাগের ফিতা দুটি শক্ত করে ধরলো। এই বাসে তাকে উঠতেই হবে।
বাসটা এগিয়ে আসতেই হুডি পড়া ছেলেটা এসে হিয়ার পাশে দাঁড়ালো। হিয়া একবার ছেলেটার দিকে তাকালো কেমন এলিয়েনের মতন লাগছে দেখতে। হুডির টুপিটা একদম মুখের সামনে এনে রেখেছে, চেহারাও দেখা যাচ্ছে না।
বাসটা সামনে এসে দাড়াতেই ছেলেটা হেটে গিয়ে বাসে উঠে দাড়ালো। হিয়া উঠতে যাবে হটাৎ কিছুর সাথে উষ্ঠা খেয়ে পড়ে গেলো। পায়ে ব্যাথা পেয়েছে বটে কিন্তু হিয়া উঠে দাড়ালো। ব্যাথা নিয়েও সে বাসে উঠার চেষ্টা করতেই সামনে থেকে হুডি পড়া ছেলেটা হাত বাড়িয়ে দিলো। অচেনা এই ছেলের হাত ধরতে সে মুহুর্তে হিয়া একটুও সংকোচ করলো না। ছেলেটা হিয়াকে টেনে বাসে তুলতেই বাসের দরজাটা লাগিয়ে দিল।
হিয়া বাসের দরজায় পিঠ ঠেকিয়ে জোরে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে। পায়ে ভীষন যন্ত্রণা করছে তার কিন্তু সে বাসটা ধরতে পেরেছে ভেবেই কান্না পেলো তার বাচ্চাদের মতন একটু কেদেও ফেললো সে। তারপর সামনে তাকাতেই দেখলো হুডি পড়া ছেলেটা দরজার দুপাশে হাত রেখে দাড়িয়ে আছে। হিয়া চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইল ছেলেটার দিকে ছেলেটা এক হাত দিয়ে মাথার হুডিটা পিছনে ফেলে কপালে পড়ে থাকা চুলগুলো হাত দিয়ে পিছনে সরিয়ে এক দৃষ্টিতে হিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
ছেলেটার সামনে এভাবে কেঁদেছে বলে হিয়ার লজ্জা লাগছে। হিয়া চোখ নামিয়ে এদিক সেদিক তাকাতে লাগলো। ছেলেটা নীচের ঠোঁট ভিজিয়ে জিজ্ঞেস করল,” কি নাম তোমার?”
হিয়া হকচকিয়ে তাকালো। ছেলেটা নাম জিজ্ঞেস করছে কেনো? কী মতলব এর? হিয়া সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,” না…নাম জানতে চাইছেন কেনো?”
” থ্যাংক ইউ তো তুমি বললে না এট লিস্ট নিজের নামটা তো বলো। থ্যাংক ইউ না হয় আমি পরেই নিয়ে নিবো।”, বলেই ছেলেটা হালকা রহস্যময় হাসি হাসলো।
[ চলবে ]