#নীলচে_তারার_আলো,পর্ব_২৩
#নবনী_নীলা
“তোমার এতো সমস্যা কেনো হচ্ছে সেটাই তো বুঝতে পারছি না। কথা বাড়িয়ে লাভ নেই যাও ঘুমাও।”, নির্বিকার ভঙ্গিতে বললেন রবীউল সাহেব।
” তার মানে এইসবে তোমার সায় আছে। আমার শুধু এইটাই জানবার ছিলো। তুমি ভুলে যেও না আমি কিন্তু তোমারই ছেলে। যা হবে তার জন্যে প্রস্তুত থেকো।”, বলেই শুভ্র বেড়িয়ে গেলো।
রবীউল সাহেব গা ছাড়া ভাব নিয়ে চেয়ার থেকে উঠে বিছানায় শুতে এলেন। সাহারা খাতুন আড় চোখে সবটা দেখছেন। রীতিমত গা জ্বালা করছে তার। এমন মানুষ সে তার জিবনে দেখেনি।
🦋 রবীউল সাহেব হিয়ার ঘরে এলেন।হিয়ার ঘরের বাইরে দাড়িয়ে দরজার নক করলেন। যাকে নিয়ে এতো কিছু তাকে তো সবটা জানাতে হবে। হিয়া পড়ার টেবিলে বসেছিল। দরজায় টোকা পড়তেই সে পিছনে ফিরে রবীউল সাহেবকে দেখে এগিয়ে এসে রবীউল সাহেবকে এনে ঘরে বসালো।
রবীউল সাহেব পড়ার টেবিলের দিকে তাকিয়ে বললো,” পড়ছিলি বুঝি? ডিস্টার্ব করলাম নাকি?”
” না, না কিসের ডিস্টার্ব। সারাক্ষণ পড়তে কি আর ভালো লাগে?”,
” আচ্ছা। কিছু কথা বলতাম তোকে। কিভাবে যে শুরু করি।”, রবীউল সাহেব ইতস্তত বোধ করলেন।
” এতো ভাবা লাগবে না। আমি না তোমার মেয়ে,তুমি বলো আমাকে।”
” আমার বোন মানে তোর ফুফু।”,এতটুকু বলেই তিনি থামলেন।
“হ্যা, কি হয়েছে ফুফুর?”, চিন্তিত হয়ে প্রশ্ন করলো হিয়া।
রবীউল সাহেব সবকিছু খুলে বললেন। হিয়া প্রথমে ঠিক বুঝলো না। রবীউল সাহেব সবটা বুঝিয়ে বলতেই হিয়া রীতিমত চমকালো। এতকিছু হয়ে গেলো অথচ সে কিছুই জানে না। হিয়া করুন দৃষ্টিতে রবীউল সাহেবের দিকে তাকালো। কি বলবে সে কিছুই বুঝতে পারছে না।
রবীউল সাহেব হিয়ার এমন অবস্থা দেখে বললেন,” এতো চিন্তা করতে হবে না। তোর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু হবে না। এই বিয়েতে তুই রাজি থাকলে তবেই হবে। আর রইলো ডিভোর্স। সেইটা তো একদিন হবার কথাই ছিলো।” বলেই তিনি থামলেন।
হিয়া গভির চিন্তায় পরে গেলো। কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,” এইসব আমার ভালো লাগছে না। এগুলো কি বন্ধ করা যায় না। এই বিয়েটা আমি করতে চাই না।”
” হুম্ তাহলে তো হয়েই গেলো। কিন্তু তোকে একটা কষ্ট করতে হবে। এই কথাটা নিজের মুখে রায়হানকে বলতে হবে। রায়হান বিয়ে থেকে সরে এলেই তোর ফুফু শান্ত হবে।”,
হিয়া সবটা শুনে ভাবনায় পরে গেলো। এই কঠিন কাজটা তাকেই কেনো করতে হবে? হিয়া ভয়ার্ত গলায় বললো,” আমাকেই বলতে হবে?”
” হ্যা, তোকেই বলতে হবে। আর ডিভোর্সের কি করবো?”,বলেই হিয়ার দিকে তাকালো।
হিয়া রীতিমত চিন্তার গভির সাগরে পরে গেলো। এ কোন দ্বিধায় পরলো সে। হিয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,” আমি জানি না।”
হিয়ার মধ্যে কেনো অনুভূতি কাজ করছে না কেনো জানি। যা হবার হবে। বেশি ভাবতেও পারছে না। ভাবতে গেলেই কেমন অদ্ভূত খারাপ লাগা কাজ করছে। হারিয়ে ফেলার ভয় তার নেই, কিন্তু তাও কেনো এমন লাগছে। হিয়া চুপ করে রইলো। রবীউল সাহেব আর কিছু বললেন না। হিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন।
হিয়া নিশ্চুপে বসে রইলো। ডিভোর্স হলে কি হবে? শুভ্র আবার বিয়ে করবে? এমনিতেও সে শুভ্রের বউ ছিলো কবে? যা হবার হবে। সে আর ভাববে না। ভেবেও যে সে কিছু করতে পারবে তা তো না।
✨ সকালে ঘুম থেকে উঠে রাবেয়া ফুফুকে নিজের ঘরে দেখে বেশ চমকালো। উনি এই সকালে তার ঘরে কি করছেন। ম্যারিকে রায়হানের কাছ থেকে নিয়ে নিজের কাছে রেখেছে। ম্যারিকে খাটের পাশেই বিছানা করে ঘুমাতে দিয়েছিল হিয়া কিন্তু ম্যারি উঠে হিয়ার মাথার কাছে নাচানাচি করছে। হিয়া চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসলো।
কিছুক্ষণ পর পুরো ব্যাপারটা হিয়ার কাছে পরিষ্কার হলো। ফুফু কিছু শাড়ি সঙ্গে করে এনেছেন। হিয়াকে শাড়িগুলো থেকে একটা পড়তে হবে। কি যন্ত্রণা!রাবেয়া ফুফুর মতন এমন গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ এমন ছেলে মানুষী কেনো করছে তার সঠিক কারণ হিয়া বুঝতে পারছে না।
হিয়া মলিন চোখে শাড়ী পড়তে না জানার অক্ষমতা জানিয়ে ভেবেছিল বেচেঁ যাবে। কিন্তু না ফুফু নিজেই হিয়াকে শাড়ি পরিয়ে দিল। নিজের মুখে কিছু বলতেও পারছে না হিয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠে এমনভাবে তাকে শাড়ি পড়তে হবে কোনোদিন চিন্তাও করেনি সে।
ফুফু ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই হিয়া যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো। এই বিয়ে ভাঙতেই হবে। এই এলিয়েনটাকে সে কই পাবে। হিয়া ঘর থাকে বেড়িয়ে এলো শাড়ী পড়ে। এলিয়েনটাকে কোথায় যে পাবে? রায়হানকে না পেয়ে হিয়া নিজের রুমে ফিরে যাচ্ছিল। শুভ্রের রুম পেরিয়ে যেতেই হিয়ার একটা ইচ্ছা জাগলো মনে। হিয়া দেওয়াল ঘেঁসে দাড়িয়ে আস্তে করে দরজার পাশ থেকে ঘাড় কাত করে শুভ্রের রূমে উকি দিলো। সে জানে শুভ্র তাকে দেখলেই রেগে উঠবে কিন্তু সকাল সকাল শুভ্রকে রাগিয়ে দিতে খুব ইচ্ছে হলো তার।
শুভ্র টেবিলের থেকে সবেমাত্র নিজের চশমাটা নিয়ে চোখে পড়েছে এর মাঝেই হিয়ার কাত করে থাকা মাথাটা তার চোখে পড়লো। হিয়ার দৃষ্টি বারান্দার দিকে, শুভ্র উঠে এসে একদম হিয়ার সামনে এসে দাড়াতেই হিয়া ভয় পেয়ে ছিটকে সরে দাঁড়ালো। শুভ্র হিয়াকে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। সাত সকালে এমন শাড়ী পরে ঘুর ঘুর করছে কেনো এই মেয়ে। শুভ্র হিয়ার পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোখ বুলিয়ে বললো,” এই ভাবে বউ সেজে সকাল সকাল আমার ঘরে উকি মারছ কেনো? বউ হতে ইচ্ছে করছে?”
হিয়া চোখ কপালে তুলে ঘন ঘন না সূচক মাথা নেড়ে বললো,” ভুল ভাল কথা বলবেন না। আমি তো ম্যারিকে খুঁজছিলাম।”
শুভ্র ভ্রু কুঁচকে তাকালো তারপর বললো,” শাড়ী পড়েছো কেনো?”
হিয়া উপহাস মুলুক হেসে বললো,” কিছু না এমনি। ফুফু বলেছে পড়তে।” এতটুকু বলতেই শুভ্র কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
হিয়ার ভয় লাগলো সে আমতা আমতা করে বলল,” আমি যাই আমার খুব খিদে পেয়েছে। ম্যারিকে দেখলে আমার রুমে যেতে বলবেন।” বলেই কেটে পড়তে নিলো।
শুভ্র রাগী গলায় বললো,” তোমার খরগোশ কি তোমার সাথে থেকে থেকে কথা বলাও শিখে গেছে?”
হিয়া চলে যেতে গিয়েও থামলো তারপর আড় চোখে একবার তাকিয়ে বললো,” ঈশারা করে দিবেন তাহলেই হবে, ও বুঝে যাবে।”
শুভ্র কিছুক্ষণ কঠিন দৃষ্টিতে হিয়ার চলে যাওয়ার দিকে তাকালো।তারপর সজোরে ঘরের দরজা লাগিয়ে দিল। সিড়ি দিয়ে নেমে যেতেই সেই শব্দে হিয়া চোখ বড় বড় করে পিছনে তাকালো। এই লোকের রাগের চাপে কোনদিন দড়জাটা ভেঙে পড়ে।
হিয়া রান্না ঘরে মোহনার সাথে কথা বলছিলো। রায়হান একটা গাজর খেতে খেতে এগিয়ে আসলো। তারপর মোহনার দিকে তাকিয়ে বললো,” আপু আমার বেবিকে দেখেছো?”
মোহনা ভ্রু কুঁচকে তাকালো। বদমাইস ছেলে বলে কি? হিয়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,” বেবি? আপনার বাচ্চা আছে?”
রায়হান হিয়ার দিকে খেয়াল করতেই হিয়ার পরনে শাড়ি দেখে বিমোহিত হয়ে গেলো। মোহনা সজোরে পিঠে একটা থাপ্পর দিয়ে বললো,” আমি তোর বড় না? আমাকে তুই কী জিজ্ঞেস করিস?”
রায়হান পিঠের সে জায়গা ডলতে ডলতে বললো,” আরে, আমি ম্যারির কথা জিজ্ঞেস করেছি।”
হিয়া খিল খিল করে হেসে উঠে বললো,” ও আমার ঘরে আছে।”
রায়হান হিয়ার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বললো,” তোমাকে কিন্তু শাড়িতে সুন্দর লাগে। আই মিন বাচ্চা লাগে না।”
হিয়া রায়হানের এমন মন্তব্যে মোহনার সামনে বেশ অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। মোহনা আস্তে করে হিয়ার কানের কাছে এসে বললো,” তোমার বরের মনে হয় অনেক হিংসে হচ্ছে।”
হিয়া ভ্র কুচকে মোহনার দিকে তাকালো তারপর ফিসফিসিয়ে বললো,” কে বর? কার কথা বলছো?”
মোহনা ফ্রিজের দিকে ঈশারা করতেই হিয়া আড় চোখে তাকিয়ে দেখলো। শুভ্র কঠিন দৃষ্টিতে রায়হানের দিকে তাকিয়ে আছে। হিয়া মোহনার কানে কানে বললো,” আমি তো ভুলেই গেছিলাম উনি আমার বর।” বলেই হিয়া হেসে ফেললো। রায়হান মোহনা আর হিয়ার এমন ফিসফিস করে কথা বলার মাঝে বললো,” আচ্ছা আমি ম্যারির কাছে গেলাম। তোমাদের ফিসফিসিয়ে কথা ততক্ষনে শেষ করো।”
এর মাঝে শুভ্র রেগে নিজের ঘরে চলে গেল। নিজের বাড়িটা এখন অসহ্যকর লাগছে।
শুভ্র চলে যেতেই মোহনা বলল,” তুমি রায়হানকে বলবে কখন?”
মোহনার প্রশ্নে হিয়া চিন্তিত গলায় বললো,” বুঝতে পারছি না। কিভাবে বলবো?”
” এইসব শেষ করো যত তাড়াতাড়ি পারো। ভাল্লাগছে না আর।”, বিরক্তি প্রকাশ করে বললো মোহনা।
হিয়া হ্যা সূচক মাথা নাড়ল। আজকেই এই বিয়ের কথা শেষ করতে হবে।
সন্ধায় হিয়া ছাদে এসে দাঁড়িয়েছে। রায়হানকে কি বলবে সেটাই মাথায় গুছিয়ে নিচ্ছে। কি অপ্রীতিকর একটা অবস্থা! রায়হান ম্যারিকে কোলে করে ছাদে উঠলো। আকাশটা আজ তারায় ভরা। রায়হান এগিয়ে এসে হিয়ার পাশে দাঁড়ালো তারপর বললো,” কি ব্যাপার? শুনলাম স্ট্রবেরি আমার খোঁজ করছে?”
হিয়া অন্যমনস্ক ছিলো, রায়হানের কণ্ঠে পাশে তাকাতেই দেখলো রায়হান রেলিংয়ে হাতের ভার দিয়ে দাড়িয়ে আছে। হিয়া ইতস্তত করে বললো,” আমার আপনাকে কিছু বলার ছিলো।”
রায়হান ম্যারিকে ছাদের ছেড়ে দিয়ে বললো,” হুম্, তোমার কথা শুনতেই তো আমি এসেছি।”বলেই পলকহীন দৃষ্টিতে হিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
হিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,” আসলে এই বিয়েটা! মানে….. আপনাকে আমি বিয়ে করতে চাই না।”
রায়হান নির্বিকার দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
” কারণটা কি জানতে পারি?”
হিয়া একবার রায়হানের দিয়ে তাকালো। তারপর এদিক সেদিক তাকিয়ে বললো,” আমি না সবটা হারিয়েছি। বাবা, মা আমার ছোট ভাইটা সব হারিয়েছি। আমার জীবনে অনেক শুন্যতা ছিলো। কিন্তু এই বাড়িতে আসার পর সেই শুন্যতা ধীরে ধীরে যেনো হারিয়ে গেছে। আর বিয়ে নামক এই সম্পর্কটাতে আমি একবার জড়িয়েছি দ্বিতীয়বার আর জড়াতে চাই না। আর নতুন কাউকেও নিজের জীবনে চাই না।”
” আর যে তোমার জীবনে জড়াতে চায় তার কি হবে?”, সহজ গলায় প্রশ্ন করলো রায়হান।
” মানে?”, ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো হিয়া।
রায়হান সিরিয়াস হয়ে বললো,” আমি কিন্তু তোমাকে ভালোবাসি।”
হিয়া বিস্ময় নিয়ে তাকালো। রায়হানের এমন ভাবহীন ভাবে ভালোবাসার অভিব্যাক্তি হিয়াকে বিস্ময়ের চরম পর্যায়ে নিয়ে গেলো। কিছুক্ষণ নিরবতা থাকলেও রায়হান নিরবতা ভেঙে বললো,” তুমি আমায় ভালোবসো?”
হিয়া অবাক হয়ে তাকালো। রায়হান হটাৎ এমন প্রস্ন করছে কেনো? হিয়া গম্ভীর গলায় বললো,” নাহ্।”
” শুভ্রকে ভালোবাসো?”, আবারো কঠিন গলায় বলল রায়হান।
হিয়া দৃষ্টি সামনে রেখে অস্পষ্ট গলায় বললো,” জানি না।”
রায়হান ব্যাথিত সুরে হাসলো তারপর বললো,” হুম। আমার আর শুভ্রের মধ্যে পার্থক্য শুধু একটা শব্দের। এই একটা শব্দের জন্যে আমি আজ হেরে গেলাম।”
হিয়া চুপ করে আছে। এই মুহূর্তে কি বলবে সে সেটা জানে না। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে জানলে হয়তো সে আসতো না।
রায়হান নির্বিকার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বললো,” আমি তাহলে একটাও সুযোগ পাচ্ছি না।” বলেই দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
হিয়া শাড়ির আঁচল মুষ্টিবদ্ধ করে বললো,” আপনি আমাকে যেই কথাটা বলেছেন সেটা আর কাউকে, বলবেন না। আপনার কাছে অনুরোধ রইল।”
রায়হান রহস্যময় হাসি হাসলো তারপর বললো,” তোমাকে যে আমি ভালোবাসি এই কথাটা কেউ জানবে না। শুধু আমি আর আমার এই আকাশ জানবে।” তারপর আকাশের নীল তারাটা দেখিয়ে বললো,” তবে আজ থেকে আকাশের ওই নীল তারাটা আমার।”
হিয়া হকচকিয়ে তাকালো। নীল তারার কথা রায়হান কিভাবে জানে। রায়হানের তো এই গল্পটা জানার কথা না। হিয়া বিস্ময় নিয়ে বললো,” আপনি কিভাবে….?” বাকিটা বলার আগেই রায়হান রহস্যময় হাসি দিয়ে চলে গেলো। হিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
রায়হান সেদিন হিয়ার ঘরে হিয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে গিয়ে হিয়ার ছোট্ট ডায়রিটা পড়েছে। সেখানে হিয়া লিখেছিলো। ছোটো বেলায় যখন সে কাঁদতো তখন তার বাবা আকাশের নীল তারাটা দেখিয়ে তার কান্না থামাতো। সেই ছোটবেলা থেকে ওই নীল তারাটাকে নিজের বলে দাবি করে হিয়া। ময়মনসিংহে নিজের ঘরটা তাইতো এতো নীল তারা দিয়ে সাজিয়েছে সে। রাতের অন্ধকারে এই তারাগুলোই তার কান্না থামাতো।
[ #চলবে ]