নিশি_রাতের_ডাক,পর্ব_১৯,২০
সুমাইয়া_আক্তার
পর্ব_১৯
যখন জ্ঞান ফিরে তখন নিজেকে রুমে আবিষ্কার করি…. সবাই আমার মাথার পাশে মনমরা হয়ে বসে আছে…আর জয় রুমের মধ্যে অস্থির ভাবে পায়চারি করছে….
আমি চোখ কচলিয়ে বিছানায় উঠে বসি…জয় আমার উঠে বসা দেখে হন্তদন্ত হয়ে আমার কাছে এসে বসে….চিন্তিত দেখাচ্ছে জয় কে…আর জয়ের চিন্তার কারণ আমিই….কান্না অবস্থায় বলে,,,এই তুমি ওখানে কেন গেছো???তুমি তো ভয় পাও তাই আমিও যেতে নিষেধ করেছিলাম আমি…কেন গেছো??? সব কিছুতে বেশি বুঝো তাইনা???কথা বললে কথা শুনোনা কেন তুমি???
একনাগাড়ে কথাগুলো বলে যাচ্ছে জয়…আমি জয়কে থামিয়ে দিয়ে বললাম,,,,আমি ঠিক আছি…কিচ্ছু হয়নি আমার…একটু অজ্ঞান হয়ে গেছি আরকি…এই দেখো কিচ্ছু হয়নি আমার….
জয় আবারো ধমক দিয়ে বলল,,,চুপ একদম একটা কথাও বলবা না…চুপ করে শুয়ে রেস্ট নেও…বাহিরে বের হতে দেখলে তোমার সাথে কথা বন্ধ আর দেখতেও পাবেনা আমাকে…বুঝেছো????
এই কথা বলেই জয় রুম থেকে বের হয়ে যায়…আমি নিস্তব্ধ হয়ে বসে আছি…. মুখ দিয়ে কোন কথাও বের হচ্ছেনা…আমি রিদিতার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,,কাল রাতে কি হয়েছিল রে????
রিদিতা ভয়ে ভয়ে বলল,,,কাল কি হয়েছে আমিও জানি না রে…তুই অজ্ঞান হওয়ার পর তোকে নিয়ে আমরা এখানে চলে আসি…
তাহলে ওই পুলিশের কি হলো???তাকে কি মারে নি????
অনন্যা বলে উঠলো,,,, হুম ওকে একাই মেরেছে আমাদের আশিক স্যার…আশিক স্যার পুলিশ কে মেরেই বিদায় নিয়ে চলে গেছে…আর আসবে না…দেখাও হবে না আমাদের সাথে….
আমি মন খারাপ করে খাটের এক কোণে গুটিশুটি মেরে বসে আছি…
ওরা সবাই শুয়ে পড়েছে…হঠাৎ জয় এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে,,,সরি তোমাকে এভাবে বকেছি বলে…
আমি কান্নারত অবস্থায় জয়কে জড়িয়ে ধরি…জয় আমাকে ছাড়িয়ে নিতে নিতে বলে,,,এই যে মহারাণী এখানে যে আপনার বান্ধুবীরা আছে ভুলে গেছেন????
আমি জিহবায় কামড় খেয়ে জয় কে ছেড়ে দেই….এদিকে অনন্যা, রিদিতা, নাফিসা, সায়মা মুখ টিপে টিপে হাসছে…আমি ওদের দিকে চোখ রাঙাচ্ছিলাম…তাও ওরা হেসেই যাচ্ছে…জয় লজ্জা মুখ নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়….
অনন্যা হাসি থামিয়ে বলল,,,,তোর কি ভাগ্য বলতো… এরকম একজন কে পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার….আচ্ছা যখন জয় একেবারে চলে যাবে তখন কি করবি তুই????
আমি একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললাম,,,,বেচে থাকব কিনা জানিনা… তবে আমার জীবনের অর্ধেক অংশ জুড়ে জয় বসবাস করছে আমার মনে…
নাফিসা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,,,,হু বেচে থাকবি না বললেই হলো???মরা কি এতই সোজা??? জয় চলে গেলে ওর স্মৃতি আকড়ে ধরে বেচে থাকবি…আর দোয়া করবি যেন জয় ওপারে ভালো থাকে…..বুঝেছিস গাধি???
আমি মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,,,হুম বুঝেছি…তোদের মতো বান্ধুবী পাওয়াও কিন্তু ভাগ্যের….
এরপর অনন্যা আমাকে ধমক দিয়ে বলল,,,এই যে ভূতের বউ আজ কি আর ঘুমাবেন না???সকালে ক্লাস আছে ভুলে গেলেন নাকি???তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েন না হয় আবার আপনার ভূত জামাই এসে হাজির হবে…
আমরা সবাই স্বজোরে হেসে উঠি….আচ্ছা ঘুমাচ্ছি…আর হ্যা আমি ভূতের বউ….এরকম ভূতের বউ হতে কয়জনে পারে বলতো????
তারপর সবাই শুয়ে শুয়ে গল্প করছিলাম…গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ি…. সকাল ছয়টায় ঘুম ভাঙ্গে আমার…ওমা আজ দেখি ওরা সবাই ঘুম…ব্যাপার কি???
আমি ওদের ডেকে তুললাম….এই তোরা এখনো নাক ডেকে ঘুমোচ্ছিস কেন??ওঠ তারাতারি…
ওদের ডেকে দিয়ে আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম…ফ্রেশ হয়ে এসে সবাই মিলে ক্যান্টিনে নাস্তা করতে গেলাম…আজ সকাল থেকেই জয়কে দেখছিনা…কোথায় গেলো ছেলেটা???
নাস্তা সেরে রুমে আসলাম…ক্লাসে যাওয়ার জন্য বই খাতা নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছিলাম…অনন্যা,রিদিতা, নাফিসা, সায়মা ক্লাসে চলে গেছে…আমি রুমে গুনগুন করে গান গাচ্ছিলাম…সব কিছু গুছিয়ে রুম থেকে বের হতে যাবো তখনি জয় এসে হাজির…রুমের দরজা আটকে দিয়ে… আমাকে দেয়ালে ঠেসে ধরে… তারপর আমাকে কপালে চুমু দিয়ে বলে,,,সরি আর এভাবে বকবো না…মাফ করে দেও…এই যে কান ধরলাম আর করব না এমন…
আমি হাসতে হাসতে জয়ের গাল টেনে দিয়ে বললাম,,,এই পাগল আমি রাগ করিনি… তুমি আমাকে এভাবে শাসন করো আমার খুব ভালো লাগে…ওর মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বললাম,,,আমি ক্লাসে যাচ্ছি… পরে কথা হবে…
আজকে আবার ও প্রথমে স্নিগ্ধা ম্যামের ক্লাস…উফ অসহ্য… স্নিগ্ধা ম্যাম কে দেখলেই আমার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে আসে..কোনমতে ক্লাস শেষ করলাম…
ম্যাম বের হয়ে যাওয়ার পর বাহিরে হৈ চৈ এর আওয়াজ পাওয়া যায়…কি হয়েছে কি জানি??? তাই আমরা সবাই বুদ্ধি করে ছাদে চলে যাই…ছাদ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,,গতকালের সেই পুলিশ টার লাশ পুকুরের পানিতে ভেসে উঠেছে… ইশ কি বিচ্ছিরি ভাবে মেরেছে!!!উনার ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে…মাথা একপাশে ভেসে আছে… চেহারা টা পুরো আগুনে ঝলসে দেওয়া হয়েছে…
উফ এত জঘন্য লাগছে…. আমি ছাদ থেকে নেমে এসে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যাই…আমার চোখের সামনে ভাসছে সেই লাশ টা…আমি বমি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাই…আমার অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা…. নিজেকে অনেক কষ্টের সামলাই….তারপর ফ্রেশ হয়ে রুমে চলে আসি…আজ আর ক্লাস হয় নি… আমার মামাও এসেছে হোস্টেলে…
মামাকে খুব চিন্তিত লাগছে…ভয়ে মামার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে…আমি মামার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম… মামা আমাকে দেখে চমকে উঠে…আমি মামা কে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে মামা??এতো ভয় পাচ্ছো কেন???
মামা কিঞ্চিৎ হেসে বলল,,,কই কি হবে?? কিছু নাতো???তারপর আমার আর মামার সামনে দেয়ালে লেখা ভেসে উঠেছে….এই তো সবে শুরু….তুই ও মরবি…তোকে আর ও কস্ট দিয়ে মারব…অপেক্ষায় থাক তুই…তোর শাস্তি তুই পাবি…
মামা আরো ভয় পেয়ে যায়…দ্রুত পায়ে হোস্টেল থেকে বেরিয়ে যায়…আমি বুঝতে পেরেছি কে লিখেছে লেখা টা…তারপর জয় আমার সামনে আসে…জয় আমাকে দেখে বলল,,,,দেখেছো??তোমার মামা একদম বেলুনের মতো চুপসে গেছে…ওকে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি হবেনা…পালিয়ে যাবে কোথায়??? ঠিক খুজে বের করব….
আমি আর কথা না বলেই রুমে চলে আসি…ড্রেস চেঞ্জ করতে করতে ভাবছি,,,শেষে কি মামার ও এভাবে মৃত্যু হবে???এর বিভৎস মৃত্যু কিভাবে দেখব আমি???শত হলেও সে আমার মামা…রক্তের সম্পর্ক…
আমার ধ্যান ভেঙে দিয়ে রিদিতা বলল,,,এই কি ভাবছিস???জানিস ওই পুলিশের লাশের গায়ে একটা কাগজে লেখা,,,তোর পাপের শাস্তি দিয়ে গেলাম….বাকি যারা আছিস সবাই মরবি… কেউ বাঁঁচবি না…
আজ সারাদিন সেই লাশের কথাই মাথায় ঘুরছে…ভালোমতো খেতেও পারিনি…খেতে বসলেই সেই লাশের ছবি চোখের সামনে ভাসছে…সন্ধ্যায় জয়,আয়েশা,সামান্থা, রুশা,তানিয়া, ফারিন এসে হাজির…
আয়েশা বলছে,,,আজ রাতে আমেনা খালার মৃত্যু হবে…আর আমেনা খালাকে আনার দায়িত্ব ফাহমিনের…তুই এই কাজ টা করে দে…বাকিটা আমরা দেখে নিব….
(চলবে)
#নিশি_রাতের_ডাক
#পর্ব_২০
#সুমাইয়া_আক্তার
আমি আয়েশার কথা শুনে বললাম,,আমেনা খালা কে কোথায় নিয়ে আসবো আমি???
আয়েশা বলল,,,আমাকে যেই জঙ্গল এর কাছে খুন করা হয়েছিল সেখানে নিয়ে আসবি…বাকিটা আমি দেখে নিব…এরপর আমি বিদায় নিব এই দুনিয়া থেকে…
কেমন যেন খারাপ লাগছে ওদের জন্য….একে একে সবাই চলে যাচ্ছে……জয় ও তো চলে যাবে আমাকে ছেড়ে….এই কথা ভাবতেই আমার বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে ওঠে….এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে চোখ থেকে…..
আয়েশা আমাকে ডেকে বলল,,,ফাহমিন তুই আমেনা খালা কে এখন ডেকে নিয়ে আসবি…আর বলবি তার মেয়ে অসুস্থ….কে যেন খবর পাঠিয়েছে…তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে হাসপাতালে….
আচ্ছা যাচ্ছি আমি….আমি গিয়ে আমেনা খালা কে বললাম,,,খালা তোমার মেয়ে খুব অসুস্থ… ওকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে…একজন লোক এসে খবর দিয়ে গেছে তাড়াতাড়ি চলো….
খালা আমার কথা শুনে ঘাবড়ে যান…আমার সাথে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে যান…আমি জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাই…ওখানে আয়েশা, জয়, ফারিন, রুশা, আর তানিয়াও ছিল….
আয়েশা খালা কে দেখে বলল,,,কি খালা কেমন আছো???আমাকে মনে আছে তোমার??কি করে পারলে তোমার মেয়ের বয়সী একটা মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করতে???
খালা ভয়ে কাঁপছে… আমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,এ মা তুমি আমাকে কই নিয়ে আসছো???আয়েশা তো মইরা গেছে…বাচলো কেমনে????
আয়েশা খালার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল,,হু আমাকে খুন করা হয়েছিল…আর খুন করেছে তোমার সাহেব মানে যার হাতে সামান্য কয়টা টাকার লোভে আমাকে তুলে দিয়েছিলে….আজ তোমার শেষ দিন….তোমাকে খুন করে প্রতিশোধ নিব আমি….
খালা কান্না জড়িত কন্ঠে বলল,,,মা আমারে মাফ কইরা দেও…আমি এই কাজ আর ভুলেও করব না…মাফ কইরা দেও….
আয়েশা এবার রক্তচক্ষু নিয়ে বলল,,,,বেচে থাকলে তো এই কাজ করবে…আজ আর পালিয়ে যাবে কোথায়???আজ তোমার মরতেই হবে….
এই কথা বলেই আয়েশা খালার দুইহাত একটানে টেনে খুলে ফেলল…. আর চোখ দুটোও আঙুল দিয়ে তুলে ফেলল…. ইশ কি হৃদয়বিদারক মৃত্যু…..আমেনা খালা ছটফট করতে করতেই সেখানে মারা যায়….আর আয়েশা তার প্রতিশোধ নিয়ে চলে গেলো আমাদের ছেড়ে….
আমি রুমে এসে শুয়ে আছি…..অনন্যা এসে বলল,,,কি হয়েছে বলতো??? সব ঠিক ঠাক আছে তো???
আমি মাথা নেড়ে বললাম,,,হু আমেনা খালা মরে গেছে…আর আয়েশাও চলে গেছে….এখন বাকি থাকলো রহিম স্যার, দারোয়ান আঙ্কেল আর আমার মামা….মরতে হবে ওদের ও…সময় হয়ে এসেছে….
এই কথা শুনে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াই…. সামান্থা,জয়,রুশা, ফারিন, তানিয়া এসেছে…ওদের মুখে হাসি… আমি ওদের হাসি দেখে বললাম,,,এবার খুশি তো তোমরা???
তখন জয় বলে উঠলো,,,উহু এখনো খুশি হইনি খুশি হবো সেদিন যেদিন রিটন আহাম্মেদ কে মারব….ওকে না মারা পর্যন্ত আমাদের কারোই শান্তি আসবে না…..
ভোর ছয়টায় আমেনা খালা হোস্টেল এর ক্যান্টিনে কাজ করে কিন্তু আজ খালা নেই….সবাই খালা কে খোঁজাখুঁজি করছে…অনেক খুজেও যখন কেউ খালা কে পেলো না…তখন খালার বাড়িতে পাঠানো হয়…খালা সেখানেও যায়নি….খালার গায়েব হওয়ার খবর শুনে মামা ছুটে এসেছে… মামা সহ পুলিশ অফিসার রাশেদ খান খালা কে খোঁজাখুঁজি শুরু করে….শেষ পর্যন্ত সেই জঙ্গলে খালার লাশ পাওয়া যায়….খালার টেনে খুলে ফেলা হাতের মুঠোয় একটা কাগজ পাওয়া যায়…কাগজে লেখা এই দুই হাত দিয়েই তো পাপের টাকা নিয়েছিলি…. তোর হাত উপড়ে ফেললাম…আর এই দুই চোখ দিয়েই তো আমাকে এই পথে এনেছিলি তাই চোখ দুটো ও খুবলে নিয়ে নিলাম….
মামা আর পুলিশ অফিসার রাশেদ খান প্রচন্ড ঘাবড়ে গেছে….লাশ পোস্টমর্টেম এর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়…কিন্তু রিপোর্টে কোনো তথ্যই বের হয়ে আসেনি…
কে মারছে?? কেন মারছে??এই প্রশ্নের উত্তর আমরা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ জানে না….আমরা সব জানা স্বত্তেও নিরব দর্শকের মতো সব দেখে যাচ্ছি….
বিকেলের দিকে মামা আমাকে টিচার্স রুমে ডেকে পাঠায়….আমি গেলাম মামার কাছে….দেখলাম মামা মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে আছে…আমি মামা কে ডাক দিতেই বললেন,,,হু এসেছিস???আচ্ছা তুই কি এই খুনের ব্যাপারে কিছু জানিস???
না মামা কি বলছো তুমি??আমি কি করে জানব???
মামা কি ভেবে যেন আমাকে বলল,,,আচ্ছা তুই যা…রুম থেকে বের হওয়ার দরকার নাই….আমিও মামার কথা শুনে রুমে চলে আসি….শুনেছি মামা হোস্টেল এ পাহারায় রেখেছে… দুজন কনস্টেবল রাতের বেলা হোস্টেল এর মেইন গেইটে পাহারা দেয়….
এখন তো চিন্তা বেড়ে গেলো…কিভাবে আমরা রাতে বের হবো???জয় একটা উপায় বের করেছে… যখন কনস্টেবল দের চা দেওয়া হয় তখন ওদের চায়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হবে তাহলে আর আমাদের বের হতে অসুবিধে হবে না….
আজ রাত থেকে এই মিশন শুরু….রুশা,ফারিন,তানিয়া, সামান্থা, জয় বসে ডিসকাস করছে কিভাবে কি করবে???
আজ রাতে রহিম স্যার কে মেরে ফেলার প্ল্যান করা হয়েছে…
(চলবে)