নিশি_রাতের_ডাক,পর্ব 5,6
সুমাইয়া_আক্তার
পর্ব 5
আমি ভয়ে ভয়ে পার্সেল টা খুলতে শুরু করি…. পার্সেল টা খুলতেই একটা রক্তমাখা পুতুল দেখলাম…আর সাথে একটা কাগজে লেখা,,, এই পুতুল টা তোর জন্য উপরহার হিসেবে দিলাম…তোর জন্য আর ও অনেক কিছু অপেক্ষা করছে….
আমি চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠি…. পুতুল টা ছুড়ে ফেলে দেই ফ্লোরের এক কোণে…
মা আমার চিৎকার শুনে রুমে চলে আসে…কি হয়েছে তোর??এভাবে চিৎকার করছিস কেন???
আমি মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করি…মা আমাকে শান্তনা দিতে থাকলেন…কিচ্ছু হয়নি তোর..
সামান্য পুতুল ই তো…এভাবে ভয় পেতে হয় নাকি??? দেখি কে দিয়েছে পুতুল টা???
এতো অনন্যা দিয়েছে…আর পুতুলের গায়ে কোন রক্ত নেই…এ কি করে হতে পারে???আমার দেখার ভুল??? না না এরকম হতে পারেনা…
আচ্ছা শোন তোর মন মানসিকতা ভালো নেই আমি জানি….তুই বিকেলে কোথাও গিয়ে ঘুরে আয়…ভালো লাগবে…
মা এই কথা বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো…আমি ভয়ে ভয়ে পুতুল টা হাতে নিলাম…আসলেই পুতুলের গায়ে কোন রক্ত নেই…আমি পুতুল টা বিছানার এক পাশে রেখে মায়ের কাছে গেলাম…
মাকে গিয়ে বললাম,,মা আমি আয়েশা দের বাড়ি যাবো…কিছুক্ষন পরই চলে আসবো….
আচ্ছা, সাবধানে যাস…আর তারাতারি চলে আসিস…দেড়ি করবি না…কবরস্থানের পাশ দিয়ে আসবি না…বড় রাস্তা দিয়ে আসবি…
আচ্ছা মা….
বড় মাঠ পেরিয়েই আয়েশা দের বাড়ি…দশ মিনিট পর আয়েশাদের বাড়ি এসে পৌছালাম….আয়েশার কিভাবে মৃত্যু হলো তা জানতে চাইলাম আয়েশার মায়ের কাছে…
খালা কান্না করতে করতে বললেন,,,মা রে আমার মেয়েটা যেদিন মারা যায় সেদিন অনেক হাসিখুশি ছিলো…বাড়িতে আসতে চাইছিলো..
আমি আমার মাইয়ার জন্য কত পদের রান্না করলাম….আমার মাইয়া ঠিক ই বাড়িতে আসলো কিন্তু লাশ হইয়া…আমার মাইয়া আত্নহত্যা করার মতো মাইয়া না…ক্যান যে আত্নহত্যা করছে আমি আইজো বুঝতে পারলাম না…
আমি খালা কে শান্তনা দেওয়ার ভাষা খুজে পেলাম না…আমার চোখের কোণে এক ফোটা পানি জমেছে….
খালাকে বিদায় দিয়ে চলে আসলাম বাহিরে….দেরি করতে চাইলাম না তাও দেরি হয়ে গেছে… সন্ধ্যা হয়ে গেছে…. এখন বড় রাস্তা দিয়ে বাড়ি যেতে গেলে রাত হয়ে যাবে…তাই ভাবলাম বড় মাঠ দিয়েই যাই…বড় মাঠের পাশেই একটা কবরস্থান আছে….
মা বারবার নিষেধ করেছিল যেন কবরস্থান দিয়ে না যাই…তারপর ও কবরস্থানের পাশ দিয়ে ভয়ে ভয়ে যাচ্ছিলাম…
কোনমতে কবরস্থান পার হয়ে বাড়ির দিকে এগোচ্ছিলাম….
কিন্তু একি আমি আবার ও কবরস্থানে কিভাবে আসলাম…আমি যতবার ই কবরস্থান ক্রস করছি ততবারই আবার সেই কবরস্থানেই এসে পড়ছি…
কবরস্থান থেকে আওয়াজ ভেসে আসছে…আমাদের খুন করা হয়েছে..আমরা আত্মহত্যা করিনি…
আওয়াজ অনেক জোরালো ছিলো…আমি ভয়ে চোখ মুখ চেপে দাঁড়িয়ে থাকি…ওখান থেকে পালাবার চেষ্টা করি…কিন্তু আমার পা কেউ আটকে রেখেছে…কোনভাবেই নড়তে পারছিনা আমি….
আমি অনবরত সূরা পড়তে থাকি….তখনি দেখি আমার দিকে সেই তিনটি মেয়ের আত্না এগিয়ে আসছে…ওদের চোখ থেকে অনবরত রক্ত ঝরছে…. এত বিদঘুটে চেহারা আমি আগে কখনো দেখিনি….
ধীরে ধীরে ওরা আমার কাছে চলে আসছে…ওরা তিন জন ওদের কালো লোমশ হাত আমার দিকে এগিয়ে দিতেই…
কেউ বলে উঠলো,,,এই ফাহমিন কি করছিস তুই এখানে???
পিছনে ফিরতেই দেখি আমার বাবা… আমি দৌড়ে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরি…
বাবা আমার ঘর্মাক্ত মুখ দেখে বললেন,,,,তুই এখানে কেন???আর তোর মা তোকে কেন বের হতে দিয়েছে ঘর থেকে???
আমি বললাম,,,বাবা আমি আয়েশাদের বাড়ি গিয়েছিলাম…মায়ের কোন দোষ নেই… তুমি প্লিজ মাকে বকো না…
বাবা মুচকি হাসি দিয়ে বললেন,,,পাগলী মেয়ে আমার…আচ্ছা কিছু বলবনা তোর মাকে…
বাবার সাথে বাড়ি ফিরে এসে…কিছুক্ষন টিভি দেখলাম….তারপর খেয়ে আমার রুমে শুতে গেলাম…
পার্সেল করা পুতুল টা নিয়ে আমি জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়েছি…রাত 12টায় কারো হাসির শব্দে আমার ঘুম ভাঙ্গে…
পাশ ফিরতেই দেখি,,, সেই পুতুল টা হাসছে…পুতুল টার চোখ দুটো রক্তবর্ণে পরিণত হয়েছে…
আমি ভয়ে শিউরে উঠি…আমি বিছানার এক কোণে গিয়ে জড়সড় হয়ে বসে আছি….
সেই পুতুল টা এত বিশ্রীভাবে হাসছে…দেখেই আমার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে… আমি কাঁপতে কাঁপতে থাকি…পুতুল টা আমার দিকে দৌড়ে এসে আমার গলায় চেপে ধরলো….
আমি নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য পুতুলের হাত দুটো শক্ত করে চেপে ধরি..তারপর আস্তে আস্তে বারান্দার দিকে এগিয়ে যাই…তারপর নিজের শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে পুতুল টাকে পুকুরে ছুড়ে মারি…
আমি দৌড়ে আমার রুমে এসে বিছানার এক কোণে জড়সড় হয়ে শুয়ে কাঁদতে থাকি…..কাঁদতে কাঁদতে আমি ঘুমিয়ে পড়ি…
সকাল 8টায় মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে আমার….আড়মোড়া ভেঙ্গে বিছানা থেকে উঠতেই দেখি সেই পুতুল টা আমার পড়ার টেবিলে বসা…
পুতুল টা হাসতে হাসতে বলছে,,তুই মরবি..আগে তুই মরবি তারপর তোর মামা মরবে…
আমি ভাবতেই পারছিনা এই পুতুল টা এখানে এলো কি করে????আমি তো ফেলে দিয়েছিলাম পুতুল টা…. তাহলে কি করে এলো????
(চলবে)
#নিশি_রাতের_ডাক
#পর্ব 6
#সুমাইয়া_আক্তার
আমার মাথা কাজ করছেনা…. কি রহস্য আছে এখানে???
সকাল সকাল মুড টাই নষ্ট করে দিলো….আমি পুতুল টা কে নিয়ে আবার ও পুকুরে ফেলে দিলাম….
তারপর নাস্তা করতে গেলাম…নাস্তা সেরে বসে বসে টিভি দেখছিলাম…মা ডেকে বললেন,,এই ফাহমিন তোর জন্য আবার পার্সেল এসেছে… এতো পার্সেল পাঠায় কে তোকে???নাকি তোর বিএফ আছে রে???
আমি মুচকি হাসি দিয়ে বলি,,, কি যে বলো না মা….আমার কি প্রেম করার বয়স হয়েছে??
মা মেয়ে দুজনেই স্বজোরে হেসে উঠি…
তারপর পার্সেল নিয়ে আসলাম…দেখে মনে হচ্ছে কেউ খাবার পাঠিয়েছে…কিন্তু কে পাঠাবে???
ডেলিভারি বয়কে জিজ্ঞেস করলাম,, কে পাঠিয়েছে পার্সেলটি???
যা বলল তা শুনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না…
বলল,,,,,সামান্তা পাঠিয়েছে….
আমার অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা…ধীরে ধীরে পার্সেল টা খুললাম…..খুলে দেখলাম বিরিয়ানীর প্যাকেট…
বিরিয়ানীর প্যাকেটের উপর একটা কাগজে লেখা,,,ফাহমিন আপু বিরিয়ানী খেয়ে কেমন লাগলো জানাবে কিন্তু….
বিরিয়ানীর প্যাকেট হাতে নিয়ে থ মেরে বসে আছি আমি….আস্তে আস্তে বিরিয়ানীর প্যাকেট খুললাম….
বিরিয়ানীর প্যাকেট খুলতেই আবার ও চিৎকার দিয়ে উঠি আমি…বিরিয়ানীর সাথে দুটো চোখ, কান, নাক মিশানো আছে…
মা চিৎকার শুনেই দৌড়ে আসেন রুমে…আমি অনর্গল বলতে থাকি,, মা বিরিয়ানী তে চোখ,কান, নাক আছে…আর বিরিয়ানি টা পাঠিয়েছে সামান্তা যে কয়েকদিন আগে আমাদের হোস্টেল এ আত্নহত্যা করেছে….
মা ভ্রু কুঁচকে বিরিয়ানীর প্যাকেট হাতে নিয়ে দেখেন বিরিয়ানী ঠিক আছে…আর পার্সেল টা পাঠিয়েছে আমার বড় মামা….
মা আমাকে ধমক দিয়ে বলেন,,, তোর কি চোখ ও ইদানিং নষ্ট হয়ে গেছে???চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে তোকে বুঝতে পারছি আমি….
রাগ দেখিয়ে চলে গেলেন মা…আমি ভাবতে থাকি কি হচ্ছে এসব???কেন করছে???আমি তো তাদের ক্ষতি করিনি…
মনে হচ্ছে আমার পিঠে একটা ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেলো…. আমি পিছনে তাকাতেই দেখি সেই পুতুল টা আমার পিছনে দাঁড়িয়ে খুব বিশ্রী ভাবে হাসছে…আর বলছে,,, কি এবার সবাই তোকে পাগল বলছে তো???
আমি ধাক্কা দিয়ে পুতুল টাকে মাটিতে ফেলে দেই….আর পারছিনা আমি….কিভাবে মুক্তি পাবো আমি???
রাতের বেলা খাওয়ার ইচ্ছা ছিল না…মা জোর করে খাইয়ে দিয়েছে….খাওয়া শেষ করে ভাবলাম অনেকদিন ছবি আকি না…একটা ছবি আকতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব….
একটা মেয়ের মুখোচ্ছবি আঁকছিলাম… আঁকতে আঁকতে নেশায় ডুবে গিয়েছিলাম আমি….
আকা শেষে দেখলাম আমি এমন একটা ছবি এঁকেছি যা আমি জীবনেও আকি নি…. ছবি টা ছিলো এরকম যে কোন একটা ছেলে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করছে…
আমি এরকম ছবি কখনো আকিনি আর আকার কথাও না…কারণ আমি এতো জটিল ছবি আঁকতে পারিনা…টুকটাক মানুষের মুখোচ্ছবি আঁকতে পারি….
আমি ছবি টার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি…আর ভাবতে থাকি আমি কিভাবে আঁকলাম ছবিটা???আমি ছবির উপরেই মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি….
হঠাৎ কারো কান্নার আওয়াজে আমার ঘুম ভাঙ্গে…কে কান্না করছে এতো রাতে???বাহিরে বের হয়ে কাওকে পেলাম না…
তাই আবার রুমে চলে আসি…এবার বিছানায় শুয়ে পড়লাম…কিন্তু ঘুম আসছেনা…কান্নার আওয়াজ টা বেড়েই চলেছে….
এবার উঠে ছাদে চলে গেলাম…ছাদে গিয়ে দেখি একটা সাদা শাড়ি পড়া মেয়ে ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে…আর অনবরত কান্না করে যাচ্ছে….
আমি মেয়েটার পিঠে হাত দিয়ে ডাক দিতেই মেয়েটা আমার হাত হেচকা টানে ছাদ থেকে ফেলে দিলো….
যখন জ্ঞান ফিরে তখন আমি হাসপাতালের বেডে শোয়া….আমার এক পা ব্যান্ডেজ করা…আমি পা নাড়াতে পারছিনা….
মা আর বাবা আমার মাথার কাছে মন মরা হয়ে বসে আছে….আমার জ্ঞান ফিরতেই মা আর বাবা এতো খুশি হয়েছে মনে হচ্ছে তারা আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে….
দ্রুত ডাক্তার ডেকে আনলো…ডাক্তার আমাকে দেখে মুচকি হাসি দিয়ে বলল,,,,তোমার ভাগ্য ভালো যে তোমার পা ভেঙ্গে যায়নি…আবার আগের মতো হাটতে পারবে… আমরা তো ভেবেছিলাম তুমি কোমায় চলে গেলো…আল্লাহ এর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া তোমার জ্ঞান ফিরেছে….
আমি এক মাস কোমায় ছিলাম….আমার মাথায় আঘাত লাগায় আমি জ্ঞানহীন ছিলাম….
তাহলে এই এক মাস আমি এভাবেই বিছানায় পড়ে ছিলাম???আমাকে দেখতে অনন্যা, রিদিতা, সায়মা, নাফিসা আর বড় মামা এসেছে হাসপাতালে…
আমি মা কে বললাম,,, মা তোমরা একটু বাহিরে যাবে???আমি অনন্যাদের সাথে কথা বলব..
আচ্ছা ঠিক আছে কিন্তু বেশি কথা বলবিনা…তাহলে তো ব্রেইনে ইফেক্ট পড়তে পারে… মা,বাবা আর বড় মামা বেরিয়ে গেলেন….
আমি ওদের আমার সাথে এতোদিন যা ঘটেছে সব বললাম….এবার অনন্যা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,,,আসলে কি বলব আমি নিজেও বুঝতে পারছিনা….তোর কথা শুনে বিশ্বাস করতেই হচ্ছে যে আসলেই তুই সত্যি বলছিস…..এখন কি করবি ভাবছিস???
আমি হালকা নড়ে বসলাম…..আমি কি করব কিছুই বুঝতে পারছিনা…একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে আমার সাথে…মাকে বলতেও ভয় পাচ্ছি আমি….
তবে এর একটা বিহিত তো করতেই হবে….মামার সাথে কথা বলব আমি….আচ্ছা তোরা এক কাজ কর…তুই মামাকে বল আমার কাছে আসতে….
মামা এসে আমার পাশে বসলেন…আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,,,,কি করে হলো এসব??? তোর শত্রু কে বলতো???
আমি মামা কে বললাম,,,,শত্রু তো তোমার আমার না…তুমি কি করেছো ওদের সাথে??? কেনইবা ওরা তোমাকে আর আমাকে মারতে চায়???
মামা কিছুটা ভয়ে বললেন,,,কি বলছিস এসব???কারো সাথেই কিছু করিনি আমি….আমার শত্রু আসবে কোথা থেকে???
আমি মামার মধ্যে রহস্যের জট দেখতে পারছি… মামাকে আবার ও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললাম,,,তুমি সত্যি করে বলো মামা..কি করেছো তুমি ওদের সাথে???
মামা এবার চটে গিয়ে বললেন,,, দেখ ফাহমিন এবার কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে…..এই কথা বলেই মামা হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে গেলেন…
আমি কিছু একটা আন্দাজ করতে গিয়েও করছিনা…কারণ সে তো আমার মামা…. কিভাবে এত খারাপ চিন্তা করতে পারি আমি তাকে নিয়ে????
মামা বেরিয়ে যেতেই,,,, সেদিন রাতের সেই মেয়েটি পিছন দিক থেকে ফিরেই বলছে… আমি তোমার ক্ষতি করতে চাইনি..আমি তোমাকে সত্যি কথা বলতে এসেছিলাম….কিন্তু তোমাকে কিছু বলার আগেই অন্য কেউ তোমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়….আমি তোমাকে বাঁচাই… কিন্তু তোমার মাথায় আঘাত টা আর পায়ের আঘাত টা অন্য কেউ করেছিল….আমি আবার আসবো…সব সত্যি জানতে পারবে তুমি….
এই কথা বলেই সে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়….
কে সে???কি সত্যি বলতে এসেছিলো সে???আবার ও রহস্যের জট জটিল হয়ে গেলো…
(চলবে)