নিশি_রাতের_ডাক,পর্ব 15,16
সুমাইয়া_আক্তার
পর্ব 15
“ছেড়ে দেন প্লিজ আমাকে…আমি আপনাদের ব্যপারে কাওকে কিচ্ছু বলব না..”কারো চিৎকার এ আমার হুশ ফিরে…আস্তে আস্তে চোখ খুলি আমি…ঝাপসা দেখতে পাচ্ছি কেউ একজন একটা মেয়ের গায়ে বিভিন্ন ভাবে স্পর্শ করছে…
আর মেয়েটা চিৎকার করেই যাচ্ছে..চোখ কচলাতে কচলাতে দেখি রিটন স্যার আর রহিম স্যার ফারিনের সাথে!!!! আমাকে বেধে রাখা হয়েছে….
হোস্টেলে খবর ছড়িয়ে দিয়েছে আমি আর ফারিন পালিয়ে গেছি…আসল খবর হলো আমাদের আটকে রাখা হয়েছে….
তারপরের দিন ফারিন কে আমার সামনেই মেরে ফেলেছে ওরা….আর সেই মৃত্যু কে আত্মহত্যায় পরিণত করলো….
আমাকে টানা দুইদিন শারীরিক আর যৌন নির্যাতন করা হয়….সেদিন রাতের বেলা রহিম স্যার আর রিটন স্যার কমন রুমে আসেন…আমাকে স্পর্শ করার আগেই আমি আমার শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে রিটন স্যার কে ধাক্কা দিয়ে বাহিরে চলে আসি…আমি দৌড়ে হোস্টেল এর বাহিরে চলে যাই…
রহিম স্যার আর রিটন স্যার আমার পিছু পিছু চলে আসে…আমি হোস্টেল এর পিছনের দিকের বাগান টায় লুকিয়ে পড়ি…লুকিয়ে বাচতে পারিনি আমি…আমাকে খুজে বের করেই ফেলল…আমার গলায় ওরনা পেঁচিয়ে ধরে রহিম স্যার….অনেক চেষ্টা করেও বাঁচতে পারিনি আমি…এরপর আমাকে ওখানেই ফেলে রেখে চলে যায়…
আমি একটা শ্বাস ফেলে বললাম,,,এখন তোমরা কি চাও???
ওরা সবাই বলে উঠলো,,,আমরা প্রতিশোধ নিবো…ওদের মেরে তারপর আমরা সবাই চলে যাবো এখান থেকে…..
আচ্ছা ঠিক আছে,,,তবে আমি এখানে থাকলে তো কিছুই করতে পারবো না…হোস্টেলে যেতে হবে…কিন্তু আরো দুইদিন পর…
ওরা সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেলো…আমি আর নবনী এখনো বারান্দায় বসে আছি..নবনী আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে…আমি নবনী কে ডেকে বিছানায় শুয়ে দিলাম…তারপর বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম… রাত 1টা বাজতে চলেছে…হঠাৎ কারো স্পর্শ অনুভব করলাম….আমার বুঝতে বাকি রইলো না কে এসেছে???
আমি মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,,,জয় তুমি যাওনি এখনো????
জয় আমার ডান হাত স্পর্শ করে বলল,,,,আমার পরী টা কে রেখে কোথায় যাবো???এখন তোমাকে ছাড়া কিছু ভালো লাগেনা…ইচ্ছা করে সারাদিন তোমার সাথেই থাকি…
আমি বললাম,,,হু তো থাকো না!!!আমি কি থাকতে নিষেধ করেছি????আমার ও তোমাকে ছাড়া ভালো লাগে না…প্রতিমুহূর্তেই তোমার স্পর্শ পেতে ইচ্ছে করে…
আচ্ছা তাহলে এখন থাকে তুমি যেখানে যাবে সেখানেই যাবো,,এমনকি বাথরুমেও যাবো চলবে????
যাহ, দুষ্টু…. আচ্ছা রাত হয়েছে অনেক…ঘুম আসছে খুব…আমি ঘুমাতে গেলাম….
আমি এসে শুয়ে পড়লাম…আর জয় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে…মূহুর্তেই আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসে…. গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যাই আমি….
ভোর পাঁচটায় আজানের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে আমার…অনেক দিন নামাজ পড়া হয় না…তাই অযু করে নামাজ পড়ে নিলাম…নিজেকে অনেক হালকা লাগছে…
নামাজ শেষে নিচে গেলাম মায়ের কাছে… মা এখনো ঘুমুচ্ছে…আর ডাকলাম না মা কে…চা খেতে ইচ্ছে করছিল খুব…রান্না ঘরে গিয়ে এক কাপ চা বানালাম…আজ কেন যেন সব কিছুই ভালো লাগছে…চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বাগানে গেলাম…কুয়াশা ঘিরে রেখেছে চারপাশ…হালকা বাতাসে শীত শীত করছে খুব…ইশ শাল টা আনতে ভুলে গেছি…শাল আনতে যাবো সেই সময় জয় এসেই আমার গায়ে শাল জড়িয়ে দিয়ে বলল,,,নিজের যত্ন নিতে এভাবে ভুলে যাও কেন??আমি চলে গেলে কে খেয়াল রাখবে তোমার???
আমার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ছে…আসলেই তো জয় চলে গেলে এতো খেয়াল কে রাখবে আমার???একদিন না একদিন ওকে চলে যেতেই হবে… ওকে আটকাবার সাধ্য যে আমার নেই??
আমার ভাবনায় ছেদ করে জয় বলল,,,এই যে চা কি আপনি একাই খাবেন??নাকি আমার জন্য ও এক কাপ চা আনবেন???
হু তুমি এখানে বসো আমি আনছি…আমি আরো এক কাপ চা বানাতে গেলাম…চা বানিয়ে নিয়ে বাগানে গেলাম… জয় বাগানের সব ফুল গাছ গুলো হাত দিয়ে স্পর্শ করছিল….
এই নেও তোমার চা….খেয়ে বলো কেমন হলো???
হু,,,আমার পরী টা আমার জন্য চা বানিয়েছে ভালো না হয়ে আর উপায় আছে???
কিরে ফাহমিন,,, তুই এত সকালে বাগানে কি করছিস???আর চা দুই কাপ কেন??কাহিনী বল তো???
কি আর,কাহিনী হবে বলো???চা খেতে ইচ্ছে করছে খাবোনা???ইচ্ছা হলো দুই কাপ চা খেতে তাই চা বানিয়ে খেলাম…
আচ্ছা চা খাওয়া হলে চলে আয়…আজ তোর মামা আসছে…একটু সতর্ক থাকিস…চলে আয় জলদি…
আমি চলে গেলাম মায়ের পিছু পিছু…. তাহলে কি আজ মামা নবনী কে নিতে আসছে???কিভাবে আটকাবো আমি???আমি একটা মেয়ে হয়ে পারব না অন্য মেয়ের ক্ষতি করতে….
রুমে গিয়ে দেখলাম নবনী এখনো ঘুমিয়ে আছে…. আমি নবনী কে ডেকে তুললাম…এই শোনো না…আজ মামা আসছে তোমাকে নিতে….কি করে আটকাবো বলো???মামা তো আমার কথা শুনবে না….
নবনী আমার কথা শুনে হুড়মুড়িয়ে উঠে বিছানায় বসে রইলো….আমার হাত ধরেই বলল,,,,আমাকে বাচাও তুমি…আমি যাবোনা তোমার মামার সাথে….উনি আমাকে ও ওদের মতো মেরে ফেলবে… আমাকে বাচাও প্লিজ…
আমি নবনী কে শান্ত করে বললাম,,,তুমি চিন্তা করো না আমি দেখছি কি করা যায়????আমাকে ভাবতে দেও….
আচ্ছা জয় কি করা যায় বলোতো???
কি ভাবছিস ফাহমিন??কাকে আটকাবি????
আমি পিছন ফিরেই দেখি,,মামা চলে এসেছে…. আমার হাত পা কাঁপছে….কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে…. আমি কাপা কাপা গলায় বললাম,,,না মামা কিছু না…নবনী বলছিল,,, আমার জন্য নাকি মন খারাপ করছে….তাই ভাবছিলো আর কয়দিন পর যাবে…..
(চলবে)
#নিশি_রাতের_ডাক
#পর্ব ১৬
#সুমাইয়া_আক্তার
আচ্ছা সব ই বুঝলাম…তাহলে নবনী কি চাও??আরো কয়েকদিন থাকবে???
নবনী মাথা নিচু করে হ্যা সূচক জবাব দিলো…নবনী ভয়ে চুপসে গেছে…ভয়ে হাত দুটো কচলাচ্ছিলো…
মামা বলল,,,,আচ্ছা তাহলে আর দুইদিন থাকো…দুইদিন পর এসে নিয়ে যাবো আমি…তখন আবার অজুহাত দেখাইয়ো না…এই কথা বলেই মামা রুম থেকে বের হয়ে গেলো…
মামার কথা শুনে আমি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম…. নবনী ও অনেক টা খুশি হয়েছে…নবনী ছুটে এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,,,তুমি অনেক সুইট…আর আমার গাল টেনে দিয়ে চলে গেলো ফ্রেশ হতে…
আমি মুচকি হেসে দিয়ে রুম গোছাতে শুরু করি…. আগামীকাল হোস্টেল যাওয়ার কথা…ভাবছি আজকেই যাবো…কারণ আজ মামা এসেছে..মামা ছাড়া আর কেউ নাই যে আমাকে হোস্টেলে দিয়ে আসবে…তাই মামা কে ছাড়া আর কাওকে বলতেও পারবনা হোস্টেল এ দিয়ে আসার কথা… মামা কে বলতে হবে যেন আমাকে হোস্টেল এ দিয়ে আসে…কিন্তু কথা হচ্ছে নবনী কি আমাকে ছেড়ে থাকবে??আর আমি না গেলেও মামার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ বের করতে পারবো না…
নবনীর সাথে কথা বলে দেখি কি করা যায়???নবনী বাথরুম থেকে বের হতেই বললাম,,,আচ্ছা আমার তো হোস্টেল যাওয়ার দরকার…চেয়েছিলাম আগামীকাল যাবো…কিন্তু আজ যেতে চাইছি…আর আমি না গেলেও মামার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ বের করতে পারবো না…কি করব বুঝতে পারছি না???
নবনী বলল,,,আচ্ছা তুমি চিন্তা করো না….আমি এখানে থাকতে পারবো…তুমি যাও…আর সাবধানে থেকো….
আচ্ছা তাহলে মামা কে বলছি,,,যেন আজ দিয়ে আসে আমাকে… আর কাপড় গোছাতে হবে…যাই গুছিয়ে নেই…আবার মামা চলে যাবে…তুমি নিচে যাবে না তোমার জন্য নাস্তা নিয়ে আসবো???
না থাক আমি যাচ্ছি নিচে…নবনী চলে গেলো…আমি কাপড় গুছিয়ে নিচ্ছিলাম হোস্টেলে যাবার জন্য…কাপড় গুছিয়ে নিচে যাচ্ছিলাম…মামা আর নবনী ডায়নিং টেবিলের এক পাশে বসে নাস্তা করছিলো….হঠাৎ মামা নবনীর পায়ে পা দিয়ে খোচা দিচ্ছিলো…আর নবনী টেবিলের এক কোণে জড়সড় হয়ে বসে আছে…মামা আবার ও নবনীর পিঠে খারাপ ভাবে হাত বুলাচ্ছিলো…এবার নবনী কিছুটা রাগ দেখিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে চলে আসে…নবনীর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে…কিছু বলার সাহস হচ্ছেনা আমার…কিইবা বলব???
আমি আসলে নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিনা… আমার মামা এতটা খারাপ হবে ভাবতে পারিনি কখনো…আমি মামার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,,মামা নবনী এভাবে খাবার ফেলে উঠে গেলো কেন???
মামা কিছুটা ইতস্তত হয়ে বলল,,,,কই কিছু নাতো…খাওয়া শেষ তাই উঠে চলে গেছে…আচ্ছা তুই বস খেয়ে নে….
আমি আর কথা বাড়ালাম না…খেতে খেতে মামা কে বললাম,,,মামা আমি হোস্টেলে যাবো…আমাকে দিয়ে এসো…
মামা বললেন,,,তোকে না বলেছি আগামীকাল যেতে??আজ যেতে হবে কেন???
মামা আমার ক্লাস আছে…ক্লাস করা হয়না অনেকদিন…আর আমার সব বই খাতা হোস্টেলেই পড়ে আছে…আমার যাওয়াটা জরুরি..
আচ্ছা ঠিক আছে….তুই রেডি হয়ে নে….
আমি রেডি হয়ে মা কে বলতে গেলাম… মা আমাকে তো ছাড়তেই চাইছিলেন না…তাও এক প্রকার জোর করেই এসেছি…আর সাথে চুরি করে মায়ের স্মার্টফোন নিয়ে এসেছি যাতে মামার পর্দা ফাস করতে পারি…
প্রায় দু ঘন্টা পরে হোস্টেলে পৌছালাম…. অনেকদিন পর অনন্যা,সায়মা, রিদিতা কে দেখ্ব খুব ভালো লাগছে…সবগুলা এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো…
সেদিন অনেক আনন্দেই কাটালাম…অনেক টাই ভুলে গেছি এতোদিন আমার সাথে যা ঘটেছে তা…
রাতের বেলা ঘুমাতে যাবো তখন মনে হলো কেউ ডাকছে আমাকে…এই ফাহু,ফাহু…
এই ডাক টা একমাত্র জয় ই ডাকে….আমি ওদের কিছু বুঝতে দেইনি…যদিও জয়ের কথা ওদের বলি,, আমাকে বিশ্বাস তো করবেই না আবার ওর কাছে যেতে দেওয়া দূরে থাক….
সায়মা কে বললাম,,,,আচ্ছা তোরা শুয়ে পড়… আমি একটু ওয়াশরুমে যাবো…
রিদিতা বলে উঠলো,,,না আমিও যাচ্ছি তোর সাথে…তোকে একা যেতে দেওয়া ঠিক হবেনা…
রুমের সবাই রিদিতার কথায় তাল মিলালো…
আমি পড়লাম মহাবিপদে…কিভাবে কি করি?? উফ এই রিদিতা যে কি করে??আমাকে ঝামেলায় না ফেললে চলছিলো না ওর…
আচ্ছা শোন তোদের এত ব্যস্ত হতে হবেনা…আমি একাই যেতে পারবো…চিন্তা করিস না কিচ্ছু হবে না আমার….ওদের বুঝিয়ে শুনিয়ে রুম থেকে বের হয়ে এলাম…
রুম থেকে বের হতেই কে যেন আমার ডান হাত হেচকা টানে দেয়ালে ঠেসে ধরলো…আমি চোখ বুজে আছি…আমার কপালের উপর কয়েকটা চুল এসে পড়েছে…আর কেউ সেই চুলগুলো হাত দিয়ে কানে গুজে দিচ্ছে…আমি আস্তে আস্তে চোখ খুলি…হু,,আমি ঠিক ধরেছিলাম….জয় এসেছে….জয় এখনো আমাকে ঠেসে ধরে আছে…আমার নড়ার সাধ্যও নেই….
আমি নিচু গলায় বললাম,,,কি হচ্ছে জয়???ছাড়ো আমাকে…ব্যাথা পাচ্ছি আমি…
জয় রাগী কন্ঠে বলল,,,,তুমি যে আমাকে ব্যাথা দিয়েছো??সেটার কি হবে???
আমি অবাক হয়ে বললাম,,, কিভাবে ব্যাথা দিলাম???আর কোথায় ব্যাথা দিয়েছি???
হু ব্যাথা দেওনি??আমাকে এভাবে ভুলে গেলে… একবার ও আমাকে মনে করলে না…
আমি মুচকি হাসি দিয়ে জয়কে হালকা ধাক্কা দিয়ে বললাম,,,ওহ ভূত মশাইয়ের এইজন্যই রাগ হয়েছে???আচ্ছা শোন… আমি যদি তোমার কথা ওদের বলি তাহলে ওরা আমাকে নিয়ে হাসবে…আর কিভাবেই বা তোমার সাথে দেখা করতাম???আমাকে এখন একা ছাড়তেই চাইছিলো না…ওদের মিথ্যা বলে এসেছি…
এবার আমাকে ছাড়ো… দেরি হয়ে গেলে ওরা আবার চিন্তা করবে আমার জন্য…আমি তো এখানেই আছি…তোমার যখন ইচ্ছা হয় তখনি আমাকে দেখতে এসো…উফ হাত টা ছাড়ো..হাত টা তো ব্যাথা করে দিলে….
জয় আবারো আমাকে দেয়ালে ঠেসে ধরলো…দেয়ালে ঠেসে ধরেই ধীরে ধীরে জয়ের মুখ টা আমার ঠোটের সামনে আনতেই,,,, আমার নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসে….খুব জোরে নিঃশ্বাস ফেলছি আমি…
তারপর জয় নিজেই দূরে সরে গেলো…. মুখ নিচু করে বলছে,,,সরি ভুল হয়ে গেছে…প্লিজ মাফ করে দেও…
আমি হাসতে হাসতে বলি,,,এইযে ভীতু ভূত প্রেমিক…. এত লজ্জা পেতে হবে না…আমি কিচ্ছু মনে করিনি… তারপর জয়ের চুলে হাত নাড়িয়ে দিয়ে চলে আসতেই আবারো জয়,, আমার হাত টেনে ধরলো…
কি হলো???আবার হাত ধরলে কেন???
শোনো তোমার বান্ধবী রা যদি কিছু জিজ্ঞেস করে সত্যিটা বলে দিও…আর বাকিটা আমি দেখে নিবো….
আমি জয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রুমে ঢুকতেই দেখি,,,ওরা কেউ ই ঘুমায়নি….আমার দিকে অনন্যা, নাফিসা,রিদিতা, সায়মা ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে…
আমি এক গ্লাস পানি খেয়ে ঢোক গিলে বললাম,,,কি হয়েছে তোরা এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন???তোরা কি দিনে দুপুরে ভূত দেখছিস নাকি???
অনন্যা জবাব দিলো,,, হু ভূত ই তো দেখছি…. তুই কার সাথে কথা বলছিলি???তাও আবার হেসে হেসে??এই একদম চুপ করে থাকবি না…জবাব দে….
আমি একটা নিঃশ্বাস ফেলে বিছানায় গিয়ে বসলাম….হু,,তোরা যেহেতু জানতে চাইছিস আমি বলব…কিন্তু সব শোনার পর আমাকে কিছু বলতে পারবিনা বলে দিলাম…
আমি বলা শুরু করলাম…ওরা সবাই মুখ হা করে আমার কথা শুনছিলো….হয়তো বিশ্বাস করতে চাইছে না…কি বিশ্বাস হচ্ছেনা তো আমার কথা???আচ্ছা অপেক্ষা কর একটু পর ই দেখতে পারবি….
আমি জয় কে ডাকতে লাগলাম…জয় আমাদের সামনে দেখা দিতে শুরু করলো…
(চলবে)