নতুন শহরে,3
কুরআতুল_আয়েন
আজ শুক্রবার হওয়ায় ভার্সিটি বন্ধ।ইসুর কাছে আজকের দিনটা অনেকটা ঈদ ঈদ লাগছে।এক তো ভার্সিটি বন্ধ আরেক হলো,ইস্পাতের আর মুখোমুখি হতে হবে না।ইসু সুন্দর করে গোসল করে একটা জামা পড়ে নিলো।চুল টা চিরুনি করেই খেতে যাবে।কখন থেকে আছিয়া বেগম ডেকে ডেকে হয়রান হচ্ছেন।এবার না গেলে ইসুর কপালে শনি আছে।
খাবার টেবিলে বসে ইসু সবার দিকে তাকিয়ে একবার পরোক্ষ করে নিলো।ইসুর খালু রামিদ উদ্দিন গম্ভীর মুখ করে বসে আছেন।ইসু তার খালুকে এইভাবে গাম্ভীর্য নিয়ে বসে থাকতে কখনো দেখে নি।আজকেই প্রথম দেখলো।অবশ্য,ইসুর সাথে দেখাই বা হলো কতোদিন।তাও,আজকে ইসুর কাছে তার খালুকে অন্যরকম লাগছে।পাশে বসা রুমু খুব মনোযোগ দিয়ে খাচ্ছে।আর,ইসুর খালা আছিয়া বেগম খাবারের তদারকি করছেন।মুখে উনার মিষ্টি হাসি বিদ্যমান।ইসু তার খালার হাসি দেখে বুঝে নিয়েছে এইখানে কোনো গোলমাল আছে।কি হয়েছে তা পরে জেনে নিবে ভেবে ইসু আর সেদিকে পাত্তা দিলো না।চুপচাপ নিজের মতো খেতে লাগলো।
আছিয়া বেগম খাবারের তদারকি করতে করতে বললেন,
‘রুমু আর ইসু কাল থেকে থেকে তোরা ইস্পাতের কাছে গণিত পড়তে যাবি।রুমু অনেক কাঁচা গণিতে।কেমনে কেমনে যে আমার মেয়ে গণিত বিষয়টা পেয়ে গেলো বুঝতেই পারি নি।’
রুমু খাওয়া থামিয়ে দিয়ে তাকিয়ে রইলো আছিয়া বেগমের দিকে।রুমু ভেবে পাচ্ছে না তার কি রিয়েকশন করা উচিত।আর ইসু থম মেরে বসে রইলো।তার মাথায় শুধু কেঁচোর মতো কিলবিল করছে ইস্পাতের কাছে পড়ার কথাটা।ইসু তাড়াহুড়ো করে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো।চেঁচিয়ে বললো,
‘খালামনি স্যারের কাছে পড়তে হবে না।আমরা এমনেতেই পারবো।’
আছিয়া বেগম চোখ রাঙিয়ে বললেন,
‘একদমই না!তোরা দু’জন আর তোদের সাথে টুম্পাও পড়বে।ইস্পাতের সাথে আমার কথা হয়েছে।অনেক কষ্ট করে ইস্পাত বাবাকে রাজি করিয়েছি।এখন যদি তোরা রাজি না হস তাহলে কিন্তু তোদের বাসা থেকে বের করে দিবো।’
ইসু দমে যায়।আর কিছু বলার সাহস পায় নি।তবে,মনে মনে বিরবির করছে,এতো বড় হয়েও বাচ্চাদের মতো বাসায় প্রাইভেট পড়তে হবে।অন্যদিকে রুমুও কিছু বলছে না।চুপচাপ বসে বসে খাবার গিলছে।ইস্পাতের কাছে পড়া তার জন্য একপ্রকার দুধভাত।পড়লেও কি আর না পড়লেই কি!
—-
ইস্পাতদের বাসার বড় একটা টেবিলে বসে আছে টুম্পা,রুমু আর ইসু।টুম্পা তো অনেক খুশি।মুখে মনে হয় একগাদা পাউডার মেখে এসেছে।রুমু নিজের মতো ব্যস্ত।আর,ইসু মুখটা বাংলার পাঁচের মতো করে রেখেছে।সে কিছুতেই এইখানে আসতে রাজি ছিলো না।একপ্রকার বাধ্য হয়েই এসেছে।ইস্পাত এখনো আসে নি।একটু পরে আসবে।টেবিলের উপর রাখা দুটো কলার দিকে তাকিয়ে আছে ইসু।খুব ইচ্ছা করছে খেতে।ইসু দু’পাশে তাকিয়ে দেখে নিলো রুমু আর টুম্পার মতিগতি।দু’জনেই ব্যস্ত নিজেদের মতো।ইসু সুযোগ বুঝে হাত টা বাড়িয়ে একটা কলা নিয়েই নিলো।কপালটা টেবিলের উপর ঠেকিয়ে রেখে মুখটা নিচু করে কলা খেতে লাগলো।খাওয়া প্রায় শেষের দিকে।দূর্ভাগ্যবশত,শেষ কামড় টা দেওয়ার সাথে সাথেই ইস্পাত চলে আসে।যা দেখে ইসু অনেকটাই ঘাবড়ে যায়।তাড়াহুড়ো করে মুখে রাখা কলা টা হাতে নিয়ে নিলো।গিলতে গিয়েও পারলো না।আর,কলার খোসা টা কোমড়ে পায়জামায় গুজে রেখেছে।ইস্পাত সবার দিকে একবার তাকিয়ে চেয়ার টেনে বসে পড়লো।ইসু খুব ইতস্তত করছে।না জানি কখন তাকে দেখে ফেলে।ইস্পাত কোনো কথা না বলে সোজা বই হাতে নিলো।পড়াও শুরু করে দিয়েছে।টুম্পা ইস্পাতের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে।টুম্পার তো ইচ্ছা করছে না পড়ে যদি ইস্পাতের দিকে সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকা যেতো।কিন্তু তা তো আর সম্ভব না।
অন্যদিকে রুমু সিরিয়াস ভঙিমা করে পড়ায় মনোযোগ দিলো।
ইস্পাত হঠাৎ করে টেবলের সামনের দিকে তাকালো।একটা কলা দেখে কিছুটা অবাক হলো।ও তো সকালে দুটো কলা রেখে গিয়েছিলো।কলার খোঁজ না পেয়ে ইস্পাত বিরবির করে বলতে লাগলো, ইমামও তো বাসায় নেই।ও তো এখন স্কুলে আছে।মা,বাবা দু’জনেই নিজেদের কর্মস্থলে।বাবা অফিসে আর মা,স্কুলে।তাহলে কলা টা গেলো কোথায়!!একা একা হেঁটে কোথাও চলে গিয়েছে নাকি।
ইসু ভয়ে কাঁপছে।ইস্পাতের চোখ যে কলা খুঁজছে তা ঠিক বুঝতে পেরেছে।তাই চুপ মেরে বইয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো।এখান থেকে যেতে পারলে বাঁচে।
ইস্পাত আশপাশ খুঁজে ব্যর্থ হলো।কলা খুঁজা বাদ দিয়ে পড়ানোতে মনোযোগ দিলো।সবাইকে ম্যাথ বুঝিয়ে দিচ্ছে খুব সিরিয়াস ভঙিমা করে।ইস্পাত ম্যাথ বুঝাচ্ছে আর সবার দিকে তাকাচ্ছে।একসময় ইস্পাতের ইসুর দিকে চোখ পড়লো।ইসুর ঠোঁটের পাশে লেগে থাকা হালকা কলার আঁশ দেখে ইস্পাত যা বুঝার বুঝে নিয়েছে।তার উপর ইসুর মুখে ভয়ের ছাপ।ইস্পাতের শরীর কাঁপিয়ে হাসতে ইচ্ছা করছে।কোনোমতে হাসি থামিয়ে পড়াতে শুরু করলো।ইসু আবার এই সুযোগে হাতে থাকা বাকি অংশের কলাটাও খেয়ে ফেলেছে।যা ইস্পাতের চোখ এড়ায়নি।ইস্পাত শুধু ঠোঁট চেপে হাসছে।
পড়া শেষ হতেই ইসু সবার প্রথমে উঠে দাঁড়ালো।ইস্পাত মুখ গম্ভীর করে সবাইকে কড়া গলায় যেতে বললো।ইসু চলে যেতে নিলেই ইস্পাত আগের ন্যায় বলে উঠলো,
‘ইসু তুমি দাঁড়াও!টুম্পা আর রুমু যাও।’
ইস্পাতের কথা শুনে টুম্পা তেলেবেগুনে জ্বলছে।ইসুকে একদমই সহ্য করতে পারছে না।মনে মনে ইসুকে বকে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।রুমুও ভালো মেয়ের মতো চলে গেলো।আর,ইসু ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।তার মন শুধু নানান ভাবনায় বিভোর হয়ে আছে।মনে মনে ভাবছে,স্যার কি বুঝে গিয়েছে কলা খাওয়ার ব্যাপার টা।আমি তো অনেক সাবধানতার সাথে খেয়েছি।ইসু মুখে হাত দিতেই টাস্কি খেয়ে গেলো।হাতে,কলার আঁশ দেখে ইসু থতমত খেয়ে ইস্পাতের দিকে তাকালো।মাথায় হাত দিয়ে জোরে চিল্লিয়ে বললো,
কেলো করেছে!এতো সাবধানতার সাথে খেয়েও ধরা পড়ে গেলাম।
ইসু আস্তে আস্তে দরজার কাছে এসে দিলো এক দৌড়।দৌড় দেওয়ার আগেই ইস্পাত ইসুর হাত ধরে বেশ জোরেই একটা টান দিলো।টান খেয়ে ইসু একদম রোবট হয়ে গিয়েছে।ইস্পাতের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
ইস্পাত গলা কেশে বললো,
‘কলা টা খেতে কেমন ছিলো মিস ইসু?’
ইসু এখনো মাথা নিচু করে রেখেছে।তার কেমন যেনো লজ্জা লজ্জা করছে।ইসস্!ধরা পড়ে গেলো।এখন কি ভাববে ইস্পাত স্যার!!
‘মিস ইসু!বললে না তো কলার স্বাদ টা কেমন ছিলো।’
ইসু মাথা উঁচু করে বললো,
‘ভালো ছিলো না তেমন।কেমন একটা নরম নরম ছিলো।একটু শক্ত থাকলে খেতে ভালো লাগতো।’
ইস্পাত হতবিহ্বল।এই মেয়েকে বোকা বলবে নাকি বেক্কল বলবে।দুটো তো একই শব্দ।তাহলে,দুটোই বলা যায় এই মেয়েকে।
ইস্পাত মজার সুরে বললো,
‘টেবিলের ওই কলা টা তো ভালো।ওইটাও খেয়ে নাও।পেটে শান্তি পাবে।’
ইসু ভাব নিয়ে বললো,
‘কি মনে করেছেন আপনি আমাকে স্যার?আমি কি শুধু খাই নাকি।আমি খেলেও সবাইকে দিয়ে খাই।এই যেমন এখন কলা টা খেয়েছি আর কলার খোসা টা আপনাকে দিবো।’
ইসু পায়জামায় গুজে রাখা কলার খোসা টা বের করে ইস্পাতের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,
‘এই নিন!আপনার কলার খোসা।এইটা দিয়ে যা মন চায় তাই করুন আপনি।পারলে ওই কলাটাও খেয়ে নিয়েন।’
‘আমার কলা আমাকেই খেতে বলছো।মিস ইসু তোমাকে অনেক বড় শাস্তি দিতে হবে।এমনকি এখনিই দিবো।তিন সেকেন্ড সময় দিলাম নিজেকে প্রস্তুত করে নাও।’
ইসু কয়েক কদম পিছিয়ে গেলো।ইস্পাতের এমন কথা শুনে ইসু ইস্পাতের চোখের দিকে তাকালো।ইস্পাতের চোখে সে স্পষ্ট দুষ্টুমির ভাব দেখতে পারছে।ইসু আমতাআমতা করে বললো,
‘স্যার!আমার যেতে হবে।রুমু তো অনেক আগে চলে গেলো।এখন না গেলে খালামনি খুব চিন্তা করবে।’
ইস্পাত নাছোড়বান্দা হয়ে বললো,
‘উঁহুহু!শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমি তোমাকে ছাড়ছি না।শাস্তি পাবে চলে যাবে।’
ইস্পাত আর দেরি না করে ইসুকে হেঁচকা টান দিয়ে কোলে বসিয়ে দিলো।ইসু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ইস্পাতের দিকে।ইস্পাত মুচকি হেসে ইসুর কোমর টা জড়িয়ে ধরলো।ইসু উঠতে নিলেই ইস্পাত আরো জোরে চেপে ধরলো।ইসু থরথর করে কাঁপছে।ইস্পাত হাত বাড়িয়ে কলা টা নিয়ে নিলো।কলা টার খোসা ছাড়িয়ে ইসুর মুখের সামনে ধরে বললো,
‘এই কলাটাও খেতে হবে তোমাকে।বাসায় আরো দুই হালি কলা আছে।ওইগুলোও খেতে হবে।’
‘আমাকে যেতে দিন প্লিজ স্যার।’
‘না খাওয়া পর্যন্ত ছাড়ছি না।এই কলাটা শেষ করলে ওই কলা গুলো এনে নিবো।সবগুলো খেতে হবে।’
‘আপনি খুব খারাপ স্যার।কলার নাম করে আপনি ছাত্রী কোলে নিয়ে বসে আছেন।’
ইস্পাত হালকা হেসে বললো,
‘আমার ছাত্রীই তো।যে ছাত্রী বানরের মতো কলা খায়।তাও আবার স্যারের জন্য রাখা কলা।ওই ছাত্রীকে কোলে না নিয়ে আদর করা উচিত।’
ইসু পিছনে তাকিয়ে বললো,
‘আপনি একজন খারাপ পুরুষ।লজ্জা করে না ছাত্রীর সাথে এইভাবে ঢলাঢলি করতে।’
ইস্পাত ইসুর কাঁধে চুমু খেয়ে ছেড়ে দিলো।শান্ত কন্ঠে বললো,
‘এবার আমি কি পুরুষ?’
ইসু থম মেরে দাঁড়িয়ে রইলো।একটা শকের মধ্যে আছে ও।ইস্পাতের এমন কাজে সে অনেকটাই হতবাক।মন চাচ্ছে ছুটে পালিয়ে যেতে অনেক দূরে।বেশরম!খুব বেশরম উনি।
ইসু কেঁপে কেঁপে বললো,
‘আপনি খুব বেশরম পুরুষ।’
‘তাহলে একটু দেখিয়ে দেই বেশরম গিরি।’
ইস্পাত আগাতে লাগলো।ইসুও ইস্পাতের পা’য়ের দিকে তাকিয়ে পিছিয়ে যেতে লাগলো।ইস্পাতের পা’য়ের গতি দ্রুত হতেই ইসু দিলো এক দৌড়।দৌড়ে একদম ইস্পাতের রুম পেরিয়ে লিফট টের সামনে এসে থামলো।ইসু বিরবির করে বলছে,
খুব খারাপ উনি।উনার থেকে দূরে দূরে থাকতে হবে।না হলে খারাপ কিছু করে ফেলবে আমার সাথে।বেশরম লোক একটা।
ইস্পাত কিছুক্ষণ বসে থেকে শব্দ করে হেসে উঠলো।ইসুকে জব্দ করতে পেরে খুব আনন্দ পাচ্ছে সে।
—-
ভার্সিটির ক্লাসে ঘাপটি মেরে বসে আছে ইসু।ইস্পাত ক্লাস করাচ্ছে আর আড়চোখে ইসুকে দেখছে।ইসুও সেটা বুঝতে পারছে।তাই তো তার খুব অস্বস্তিবোধ হচ্ছে।ইস্পাত ক্লাস শেষ করে চলে গেলো।ইস্পাত ক্লাস থেকে চলে যাওয়ায় ইসু যেনো শান্তি পেয়েছে।শান্তির ঠেলায় বড়সড় একটা ঢেঁকুর তুললো।
টিফিন আওয়ারে ইসু করিডোর দিয়ে একা একা হেঁটে যাচ্ছে।রুমু ক্যান্টিনে বসে আছে।ক্যান্টিনে মানুষের অনেক জটলা বলে ইসু আর সেদিকে বসে নি।তার কোলাহলবিহীন পূর্ণ একটা জায়গা দরকার।করিডোর টাই এখন কোলাহলবিহীন।তাই তো চুপ করে হেঁটে যাচ্ছে।
একটু দূরে যেতেই ইস্পাত ইসুর হাত টেনে নিজের কেবিনে নিয়ে গেলো।দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।হঠাৎ এমন হওয়ায় ইসু খানিকটা ভড়কে যায়।সামনে ইস্পাতকে দেখে ইসু বার কয়েক চোখের পলক ফেললো।আচমকাই ইস্পাত ইসুর চোখের উপর চুমু খেলো।এমন হওয়ায় ইসু কিছুটা কেঁপে উঠলো।ইস্পাতের কোমর টা জাপটে ধরে আছে।ইসু চোখ বন্ধ করে রেখেছে।দাঁত চেপে বলছে,
‘বেশরম পুরুষ!নিজের কেবিনে এইসব দূষিত কাজ করতে বিবেকে বাঁধছে না।তাও আবার নিজের ছাত্রীর সাথে।’
‘কি করবো বলো?তোমাকে আদুরে লাগে অনেক।তোমার কাজ গুলো দেখলে তোমাকে খেয়ে ফেলতে মন চায়।’
ইসু চোখ বড় বড় করে বললো,
‘ছি ছি!অন্য কিছু খান আপনি।একদম আমার দিকে চোখ দিবেন না।চোখ দিলে কলম দিয়ে একদম আজীবনের জন্য কানা করে দিবো।’
‘তোমাকে কি আমি ছেড়ে দিবো।মানহানীর মামলা করে জেলে ঢুকিয়ে রাখবো।’
‘দূরে সরুন তো।আপনাকে আমার সহ্য হচ্ছে না।’
ইস্পাত দূরে সরে দাঁড়ালো।ইসু চোখ পাঁকিয়ে তাকিয়ে আছে ইস্পাতের দিকে।ইস্পাত নিজের চুল ঠিক করছে।ইসু রেগে ইস্পাতের কাছে গিয়ে বুকে ধড়াম করে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিলো এক দৌড়।ইস্পাত রেগেমেগে শেষ।দাঁত কটমট করে বলতে লাগলো,
মিস ইসু!এইটার শাস্তিও তোমাকে পেতে হবে।এইটার শাস্তি খুব কঠোর হবে তোমার জন্য।
চলবে.