#ধূসর_শ্রাবণ💚
#লেখিকা:#তানজিল_মীম💚
#পর্ব-১৯
________________
সরু চোখে হিমশীতল এই ঠান্ডার মৌসুমের মাঝে তাকিয়ে আছে বর্ষা শুভ্রের চোখের দিকে। শুভ্রও তাকিয়ে আছে। হঠাৎই নিজের হুস আসতেই শুভ্রের থেকে চোখ সরিয়ে ফলে বর্ষা। তারপর আস্তে আস্তে শুভ্রের উপর থেকে উঠে পড়লো সে। আনমনেই মুচকি হেঁসে বললো,
‘ সরি।’
এতটুকু বলে তক্ষৎনাত দৌড়ে বাড়ির ভিতর চলে যায় বর্ষা। লজ্জায় লাল নীল বেগুনি হয়ে গেছে সে। বর্ষার কান্ডে হাসলো শুভ্র। শুয়ে পড়লো সে বরফের মাঝে তারপর চোখ বন্ধ করে আকাশ পানে তাকিয়ে কাউকে উদ্দেশ্য করে বললো শুভ্র,
‘ থ্যাংক ইউ ঔপন্যাসিকা, হয়তো তুমি ঠিকই বলে ছিলে ভালো আমি এই বোকারানির সাথেই থাকবো। আর ভালোবাসাটা?’
ভেবেই চোখ বন্ধ করে ফেললো শুভ্র। দু’হাত জড়িয়ে ধরলো বুকে। নিমিষেই বর্ষার হাসি মাখা মুখটা ভেসে আসলো তাঁর সামনে। চোখ খুললো আবারো জোরে নিশ্বাস ফেললো আনমনে।’
‘ আজ দিনটা যেন বেশ ভালো কাটলো তাঁর।’
_____
নিজের রুমে ঢুকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস ফেললো বর্ষা। নিজের গালদুটোকে দু হাতে আলতোভাবে চেপে ধরলো সে। পুরো গরম হয়ে গেছে। লজ্জা পুরো লাল হয়ে যাওয়ার অবস্থা তাঁর। বর্ষা আয়নার দিকে তাকিয়েই বলে উঠল,
‘ এতটা লজ্জা পাওয়ারও বা কি আছে?’
হাসলো আনমনে।’
মাঝপথে কেটে যায় দু’দিন।
ঘড়ির কাঁটারা টিক টিক শব্দ করে চলছে বেশ। রাত চলছে মাঝামাঝি সময়ে।’
কাল শুভ্রের জন্মদিন। তাই এই রাতের বেলাতেই পুরো বাড়িটাকে খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে বর্ষা। শুভ্রকে সারপ্রাইজ দিতে চায় সে। শুভ্রের পছন্দ মতো সব খাবারি বানিয়েছে সাথে। আজ মনটা খুবই ভালো বর্ষার। বাড়ির জুড়ে গুনগুন করে গান গাইছে সাথে নিজেকে তৈরি করছে সে। আজ মন মতো সাজবে। গায়ে বাহারি রঙের শাড়ি পড়েছে সে। চুল দিয়েছে খুলে, কানে ঝুমকো, এক হাতে বাহারি রঙের চুড়ি, আর অন্য হাতে ঘড়ি, চোখে কাজল, আইলাইনার, মাশকারা সাথে ঠোঁটে লাল লিপস্টিক দিয়ে খুব সুন্দর করে নিজেকে সাজিয়েছে সে। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় রাত এগারোটা ছাড়িয়ে গেছে। আর এক ঘন্টার পরেই কালকের নতুন সময় শুরু হবে। বর্ষা মনে মনে প্রার্থনা করছে আজ অন্তত শুভ্র টাইম মতো বাড়ি আসুক। যেন ঠিক রাত বারোটার সময়তেই শুভ্রকে সারপ্রাইজটা দিতে পারে বর্ষা।’
বর্ষার ভাবনাগুলোর মাঝেই বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠল উচ্চস্বরে। সাথে সাথে হাল্কা চমকে উঠলো বর্ষা। আজ বেশি এক্সাইটিং না হয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো বর্ষা তারপর আয়নায় একপলক দেখে শাড়ির কুঁচি ধরে মনে মনে ‘দরজা খুলে যেন শুভ্রকেই দেখে এমন চিন্তা ভাবনা নিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে চললো বর্ষা।”
দরজা পর্যন্ত আসতেই আবারো কলিং বেল বেজে উঠলো। বর্ষা চোখ বন্ধ করে মনে মনে বললো,
‘ প্লিজ দরজার ওপাশে থাকা ব্যক্তিটি যেন শুভ্রই হয়। মনে মনে এমন প্রার্থনা করে জোরে শ্বাস ফেলে চোখ খুলে আস্তে আস্তে খুলতে লাগলো দরজা। দরজা খুলে সত্যি সত্যি শুভ্রকে দেখে প্রচন্ড লেভেলের খুশি হয় সে। আর শুভ্র এত রাতে বর্ষার এমন সাজসজ্জার চেহারা দেখে বেশ অবাক হয়ে বললো,
‘ এত রাতে সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছো আর দরজা খুলতে এত টাইম নিচ্ছিলে কেন?’
প্রতি উওরে বর্ষা বেশি কিছু না ভেবেই বললো,
‘ এমনি!’
‘ এমনি এমনি দরজা খুলতে দেরি হচ্ছিল?’
শুভ্রের কথা শুনে হাল্কা খুশি খুশি ভাব নিয়ে বললো বর্ষা,
‘ ওই আর কি আমায় ভালো লাগছে দেখতে?’
বর্ষার কথা শুনে আবারো পিছন ঘুরে তাকিয়ে বর্ষার দিকে তাকালো শুভ্র। আজ বেশ অন্যরকমই লাগছে বর্ষাকে। শুভ্র নিজের পায়ের জুতোটা খুলতে খুলতে বললো,
‘ হুম সুন্দর লাগছে কিন্তু এতরাতে সেজেছো কেন?’
শুভ্রের কথা শুনে খুশি হয় বর্ষা তারপর বলে,
‘ এমনি।’
‘ এটাও এমনি?’
‘ হুম।’
ততক্ষণে শুভ্র জুতো খুলে তাকায় বাড়ির ভিতর বেশ পরিপাটি আর সাচ্ছন্দ্য লাগছে বাড়িটাকে। শুভ্র বেশ খানিকটা অবাক হয়ে বললো,
‘ আজ কি স্পেশাল কিছু আছে বর্ষা?’
‘ হুম আছে তো,
বর্ষার কথা শুনে বেশ অবাক চোখেই তাকায় শুভ্র বর্ষার দিকে তারপর বলে,
‘ কি সেটা?’
উওরে এক্সাইটিং হয়ে বলল বর্ষা,
‘ আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে শুভ্র তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসুন হাতে বেশি সময় নেই।’
‘ কি সারপ্রাইজ?’
শুভ্রের কথা শুনে দেয়াল জুড়ে থাকা ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে বলে বর্ষা,
‘ এত কিছু বলার সময় নেই আগে গিয়ে ফ্রেশ হন তারপর বলবো।’
বলেই শুভ্রকে ঠেলেঠুলে রুমে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দেয় বর্ষা। বর্ষার কাজে হতাশ শুভ্র, কিছু যে বলবে তারও সুযোগ দেয় নি বর্ষা। শুভ্র ওয়াশরুমে ঢুকে বলে,
‘ আগে আমায় বলবে তো আজ কি?’
উওরে ওয়াশরুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে বলে বর্ষা,
‘ বলবো বলছি তো আগে আপনি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসুন তারপর।’
‘ কিন্তু বর্ষা?’
‘ প্লিজ শুভ্র আর প্রশ্ন করবেন না।’
হতাশ শুভ্র। আর কিছু বললো না বিনিময়ে সে। ওয়াশরুমের দরজা আঁটকালো নিমিষেই।’
ঘড়ির কাঁটায় এগারোটা চল্লিশ। রুমে মধ্যে পায়চারি করছে বর্ষা। সময় মতো সবটা করতে পারবে কি না ভেবেই টেনশন হচ্ছে তাঁর। এরই মধ্যে টাওয়াল পড়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয় শুভ্র। দরজা খোলার আওয়াজ পেতেই পিছন ঘুরে তাকায় বর্ষা। শুভ্রের দিকে একপলক তাকিয়েই চটজলদি চোখ সরিয়ে ফেলে বর্ষা। তারপর বলে,
‘ বিছানার ওপর আপনার জামাকাপড় রেখেছি আমি ওগুলো পড়ে তাড়াতাড়ি চলে আসুন নিচে আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করছি শুভ্র, প্লিজ দেরি করবেন না।’
এতটুকু বলে তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে যায় বর্ষা। বর্ষার কাজে আরো নিরাশ শুভ্র। সে বুঝতে পারছে না বর্ষা একজেকলি করতে কি চাইছে। অতঃপর বেশি ভাবলো না শুভ্র চটজলদি বর্ষার রাখা কালো শার্ট প্যান্ট পড়ে নিয়ে চুল মুছতে মুছতে দরজা খুলে বের হলো শুভ্র।’
ঘড়ির কাঁটায় এগারোটা পঞ্চান্ন। এবার বেশ টেনশন হচ্ছে বর্ষার। শুভ্র এখনো কেন আসছে না। টাইম মতো না হলে কি করে হবে সব। এরই মাঝে শুভ্র নিচে নেমে এলো শুভ্রকে দেখেই খুশি হয় বর্ষা চটজলদি এগিয়ে যায় সে শুভ্রের কাছে। তারপর ওর হাত ধরে বললো বর্ষা,
‘ আপনি চলে এসেছেন আর একটু আগে আসতে পারলেন না যাই হোক চলুন আমার সাথে।’
এই বলে শুভ্রের হাত ধরেই টেনে নিয়ে যেতে থাকে বর্ষা। বর্ষার কাজে শুভ্র বিস্ময় ভরা কন্ঠ নিয়ে বললো,
‘ আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছো বর্ষা? আমি কিন্তু তোমার কাজ কর্ম কিছু বুঝতে পারছি না।’
‘ আপনাকে কিছু বুঝতে হবে না আপনি শুধু চলুন আমার সাথে।’
বলেই নিজের হাতের ঘড়ির দিকে তাকাতে তাকাতে চলে যায় বর্ষা ছাঁদের উদ্দেশ্যে। হাতে আর মাত্র চার মিনিট আছে।’
বর্ষার এমন উত্তেজিত হওয়ার ভাব দেখে বেশ বিস্মিত হয় শুভ্র তবে কিছু বলে না। কারন সে বুঝতে পেরেছে এখন কিছু বললেও বর্ষা কিছু বলবে না তাঁকে।’
বর্ষা চটজলদি শুভ্রকে নিয়ে এসে দাঁড় করায় ছাঁদে। খুব বেশি উঁচুতে নয় ছাঁদটা অল্প কিছু সিড়ি পার হয়েই ছাঁদ। শুভ্রও বেশ বিস্মিত হয়ে তাকায় ছাঁদে পুরো ছাঁদটাই অন্ধকারে টুইটুম্বর। যা দেখে বলে শুভ্র,
‘ তুমি আমায় এখানে কেন নিয়ে আসলে বর্ষা?’
প্রতি উওরে শুভ্রের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলে উঠল,
‘ হুস?’
সঙ্গে সঙ্গে থমকে যায় শুভ্র। সে ভাবে নি বর্ষা এমন কিছু করবে। শুভ্রের চোখের দিকে তাকিয়েই পিছন ঘুরে আসে বর্ষা শুভ্রের থেকে কয়েক কদম দূরে দাঁড়ায় সে। শুভ্র শুধু নির্বিকার হয়ে তাকিয়ে রয় বর্ষার পানে। অল্প কিছুক্ষন পর বর্ষা আবারো তাকায় ঘড়ির দিকে তারপর জোরে নিশ্বাস ফেলে শুভ্রের দিকে তাকাতে তাকাতে আর পিছন যেতে বলে,
‘ 5, 4, 3
বর্ষার কাজে আরো অবাক হয়ে তাকিয়ে রয় শুভ্র বর্ষার পানে। এরই মাঝে বর্ষা মুখে হাসি নিয়ে পিছন যেতে যেতে দু’হাত অপসারিত করে জোরপ চেঁচিয়ে বলে উঠল,
‘ 2, 1, 0 হ্যাপি বার্থডে শুভ্র।’
সঙ্গে সঙ্গে পুরো ছাঁদ আলোতে ভরে যায়। আকাশ পথ বেয়ে জ্বলে উঠে আলোরা। আতসবাজিরা জ্বলে ওঠে তক্ষৎনাত। সাথে আকাশ পথে বড় বড় ইংরেজি অক্ষরে লেখা ওঠে হ্যাপি বার্থডে শুভ্র।’
পুরো ছাঁদটাই লাইটিং করা সাথে লাভের বেলুন দিয়ে সাজানো। মাঝখানে একটা টেবিল, তারওপর ক্যান্ডেল দিয়ে সাজানো। তাঁর মাঝেই মুখে একগাল হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বর্ষা।’
শুভ্র জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে থাকে পুরো জায়গাটার দিকে। সে তো ভুলেই গিয়েছিল আজ তাঁর জন্মদিন। শুভ্র জাস্ট নির্বিকার চোখে তাকিয়ে রয় বর্ষার মুখের দিকে। সে ভাবে নি বর্ষা তাকে এমন কোনো সারপ্রাইজ দিবে। শুভ্র একটু একটু করে এগিয়ে যায় বর্ষার পানে বর্ষাও মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে তাকিয়ে রয় শুভ্রের দিকে। পরিশেষে টাইম টু টাইম সবটা করতে পেরেছে সে। বর্ষা শুভ্রের দিকে এগিয়ে এসে বলে,
‘ হেপি বার্থডে জামাই শুভ জন্মদিন।’
শুভ্র খুশি হয়, ভীষণ খুশি হয়। হুট করেই জড়িয়ে ধরে সে বর্ষাকে তারপর বলে,
‘ থ্যাংক ইউ।’
শুভ্রের কাজে প্রথমে চমকে উঠলেও পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নেয় বর্ষা। কিছু বলে না শুধু মুচকি হাসে।’
”
আলোকিত ছাঁদ, লাইটিং করা দেয়াল, বেলুনে ভর্তি আশপাশ সাথে রঙিন করে সাজানো এই টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্র বর্ষা। তাদের সামনেই রয়েছে বিশাল বড় একটা কেক। যেটা নিজ হাতে তৈরি করেছে বর্ষা। হঠাৎই টেবিলের নিচ থেকে একটা গিফট বক্স বের করে মুচকি হেঁসে এগিয়ে দিল বর্ষা শুভ্রের দিকে তারপর বললো,
‘ এটা আপনার জন্য, অনেক খুঁজে বের করেছি। দেখে নিবেন পরে, স্পেশাল কিছু আছে আপনার জন্য।’
শুভ্রও নেয় বক্সটা। খুলতে নিলেই বলে বর্ষা,
‘ এখন খোলা লাগবে না আপনি পরে দেখে নিয়েন।’
অবাক হয় শুভ্র। তবে বেশি না ভেবে বলে,
‘ ঠিক আছে।’
অতঃপর কেক কাটে দু’জনে। সাথে খুব সুন্দর ভাবে সেলিব্রেট করে শুভ্রের জন্মদিন। হাল্কা শীত শীত ভাব চারপাশে। আকাশটা জ্বল জ্বল করছে খুব, সাথে সাথে জ্বল জ্বল করছে শুভ্র বর্ষার মুখ।
‘ এবার তবে ভালোবাসাটা হয়েই যাবে।’
আচমকাই শুভ্রের গালে কেক লাগিয়ে দেয় বর্ষা। বর্ষার এমন কাজে চমকে যায় শুভ্র। পরক্ষণেই খুশি হয়ে সেও লাগিয়ে দিতে নেয় বর্ষাকে। শুভ্রের কাজে ছুট লাগায় বর্ষা। তারপর শুরু হয় দুজনের মাঝে ছুটাছুটি।’
____
‘ খুশিরা আজ উড়ছে আকাশ বেয়ে,
ছুটছে হিমশীতল মেশানো পাহাড়ের মাঝ দিয়ে
ভালোবাসারা ছড়িয়ে আছে আজ ধূসর রঙের মাঠ জুড়ে।’
‘ ছুটছে জোড়া দুই পাখি নিজেদের অজান্তেই ভালোবাসার রঙিন পাখনা দিয়ে।’
তবে কি ধূসরেরা নিভবে আজ
শ্রাবণের পথ দিয়ে?’
অজানা আনমনেই কথাগুলো লিখলো হিয়া ডাইরির পৃষ্ঠা জুড়ে। খোলা জমিনের মাঝে উঁচু এক গাছের নিচে বসে আছে হিয়া। চারপাশ দিয়ে ধেই ধেই করে আসছে বাতাস। বাতাসে হিয়ার চুল উড়ছে হঠাৎ হঠাৎ আনমনে অনায়াসে। মাথার উপর দিয়ে আচমকাই উড়ে গেল বিশাল এক প্লেন। হিয়া তাকালো সেদিকে। আনমনেই হাসলো নিজের অজান্তে। মাথার ওপর থাকা গাছের পাতারা ছিঁড়ে এসে পড়লো তার গায়ে। হিয়া তাকালো সেই গা ঘেসে পড়ে যাওয়া শুঁকনো পাতাটার দিকে। তারপর আনমনেই গালে হাত দিয়ে বললো,
‘ ভালোবাসা সত্যি খুব সুন্দর তাই না, মিষ্টি পাতা।’
মুচকি হাসলো নীরবে। গালে হাত দিয়েই তাকালো হিয়া আকাশের পানে। গোধূলি বিকেল তখন, আকাশটা বেশ সুন্দর আজ। বিশাল সবুজে ঘেরা মাঠের মাঝখানে একটা সুন্দর সবুজে ঘেরা গাছের নিচে বসে ছিল হিয়া। আজ হুট করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এখানে এসে বসে সে। কিন্তু এখন তাঁকে যেতে হবে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। হিয়া দাঁড়ালো তক্ষৎনাত হাতে থাকা ডাইরিটা সাথে ব্যাগটা নিয়ে এগিয়ে যেতে লাগলো সে। হঠাৎই ডাইরির ভিতর থেকে নিচে পড়লো একটা ছেড়া পৃষ্ঠা যেখানে লেখা ছিল,
‘ ধূসর শ্রাবণ!’
বাতাসের তীব্র ছোঁয়ায় হুট করেই কোথাও একটা উড়ে গেল সেটা। কেউ দেখলো না,হয়তো কেউ দেখবেও না। মিলিয়ে যাবে আজ সবুজের মাঝে, ঘাসেদের বুক চিঁড়ে অজানা কোনো পথে অবহেলায় অবলিত আকাঙ্খা নিয়ে,
#চলবে…..
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। আজ দু’দিন পর গল্প দিলাম আসলে শরীরটা ঠিক নেই। আর হ্যাঁ খুব শীঘ্রই গল্পের ধোঁয়াশা হাঁটিয়ে ইতি টানবো আমি অপেক্ষায় থেকো সবাই।]
#TanjiL_Mim♥️