তুমি_আমার_অধিকার ,পার্ট_2,3

তুমি_আমার_অধিকার ,পার্ট_2,3
লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ🍂
পার্ট_2

নিরার চিৎকার চেচামেচি শুনে ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলো নিলয়.. ..

_আপনার সাহস তো কম নয় । আপনি আমায় পাবেন না বলে রাতে আমায় ভোগ করতে আসছেন । আপনার জন্য আমার যতটুকু ভালোবাসা ছিলো । সব আজ থেকে ঘূর্ণায় পরিণিত হলো । আমি আপনাকে ঘূর্ণা করি.. ঘূর্ণা ।

_এইদিকে নিলয় বেচারা কিছুই বুজতে পারছে না কি করবে সে, তবে নিরার কথা গুলো শুনে খুব কষ্ট পেলো । সে নিরাকে কিছু না বলে, ভিজা কান্না মাখা চোখে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো এক পলক ।

_নিরা বিছানা থেকে ওঠে ওয়াসরুমে চলে গেলো. নিলয়ের ইচ্ছা করে করছে খুব জোরে চিৎকার করে কাদতে, নিলয় নিরার মন পেতে যা যা করার দরকার সব করবে আজ থেকে‌‌‌..

_নিরা ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে তার ভেজা চুল গুলো ঝাড়তে ঝাড়তে আয়নার সামনে গিয়ে ধারালো, নিলয় তো নিরার চুল গুলো দেখে পুরা ফিদা হয়ে গেলো ভিজা চুলে নিরাকে খুব হেব্বি লাগছে । ইচ্ছা করছে তার চুলগুলোর ঘ্রাণ নিতে হাত বুলিয়ে দিতে ।কিন্তু সে অধিকার টুকু নেই তার । তবে সে নিরার থেকে তার অধিকার আদায় করবে । সেটা ভালোবাসা দিয়ে তার যতটুকু ভালোবাসা আছে সব নিরাকে দিবে ।

– নিরা চুল আচড়াতে আচড়াতে খেয়াল করে, নিলয় তার দিকে এক পলক তাকিয়ে আছে । এটা দেখে তার খুব রাগ হয়
সে বলে একটু আগে যে কথা গুলো বললাম আপনাকে তা কি আপনার কানে যায় নি ।

এমন হাবার মতো তাকিয়ে আছেন কেনো রুম থেকে বের হন.

নিলয়ঃ কেনো বের হবো, আমার তুমাকে দেখার আমার অধিকার আছে ?

নিরাঃ ওহ, তাই তো মিস্টার নিলয় সাহেব, আমি তো আপনার বিয়ে করা বউ আপনার তো অধিকার আছে । এই বলে নিরা তার পড়নের ড্রেস টা ছিড়তে লাগলো.. আর নিলয়ের দিকে আগাতে লাগলো..

নিলয়ঃ- কি করছো এইগুলো, তুমি আমি তুমার থেকে এইভাবে অধিকার চাই না আমার..? তুমি আমায় ভুল বুজছো‌

তো কিভাবে চান মিস্টার নিলয় সাহেব বলুন শুনি,

আমি তুমাকে আমার হ্দয়ের যত ভালোবাসা আছে তা দিতে চাই, যেখানে তুমি শুধু থাকবে আমার অধিকার আর কারো নয়, আমার তুমাকে ভোগ করার কেনো ইচ্ছা নেই.

নিরাঃ হুম বুজলাম তবে আপনি তো আমার মন পাবেন না কখনো,

নিলয়ঃ কেনো…?
কারণ আমি আমার সবটুকু ভালোবাসা হদয়কে দিয়েছি । আর আমি তো আগেই বলছিলাম আপনার এইখানে কিছুদিন অতিথি হিসাবে থাকবো । তারপর হদয় আমাকে নিতে আসবে..

নিলয়ঃ ও আচ্ছা.. ( মন খারাপ )

আচ্ছা আমি এখন চলি. ( নিরা বলে উঠলো.)

নিলয়ঃ কোথায়????

সব কথা কি আপনাকে বলতে হবে নাকি হুম ( রেগে বললো নিরা)

নিলয়ঃ না তুমার জন্য আমি আজকে তুমার পছন্দের খাবার রান্না করে তুমাকে খাওয়াতে চেয়েছিলাম..

নিরা বললো তার দরকার নেই । আপনি খেয়ে নিয়েন আমি চললাম হদয় আজকে আসবে তার সাথে দেখা করবো… তার সাথে ঘুরতে যাবো আর কত কি উফ এইগুলো ভাবতে আমর খুশি আটকাতে পারছি না । নিরা চলে গেলো…

_ নিলয় তার চলে যাওয়ার পানের দিকে তাকিয়ে রইলো..
নিলয়ের বিয়ে করা বউ নিরা, যেখানে তার কেনো অধিকার নেই.

নিলয় রুম থেকে বের হয়ে নিচে চলে গেলো দোকান থেকে সিগারেট কিনে একটা মুখে ধরিয়ে হাটতে হাটতে লেকের পাড়ে চলে আসলো, তার মন খারাপ থাকলে সে প্রায় সময়ে এখানে আসে..

এমন সময় বাদাম ওয়ালা হাক হাকলো . বাদমওয়ালা নিলয়ের কাছে এসে বললো…

“স্যার! বাদাম দিবো আপনাকে… ( মুচিক হেসে ‌.)

নিলয় এক পলক চেয়ে ভাবলো না করবে, কিন্তু বাদমওয়ালার হাসি দেখে আর না করতে পারি নি..
নিলয়ঃ দেও..
” আইচ্ছা স্যার ”
এই যে নেন স্যার…
আচ্ছা তুমার কি কেনো জরুরি কাজ আছে না থাকলে এখানে এসে বসতে পারো আমার সাথে..!!!!

বাদমওয়ালাঃ কি কন স্যার আমি আপনার সাথে বসমু আমি এইডা কেমন দেখায়‌‌ না স্যার.???

নিলয়ঃ কেমন দেখাবে কেন? তুমিও মানুষ আমিও মানুষ এতে আপত্তির কি আছে আসো বসেন…

বাদমওয়ালা:- কেনো কথা না বলে নিলয়ের সাথে বসে পড়লো..

নিলয় তার দিকে হাত বাড়িয়ে কয়েকটা বাদাম দিলো..

সে নিতে চায়ছিলো না । কিন্তু নিলয়ের জোরাজোরিতে নিলো…

তুমার বাসা কই. ( নিলয়)

-এই এইখানে বস্তিতে স্যার

আমাকে স্যার স্যার ডাকবে না, আমাকে নিলয় বা অন্য কিছু বলে ডাকতে পারেন ।

– ওকে আইচ্ছা স্যার ( এই বলে বাদমাওয়ালা মুখে কামড় দিয়ে বসলো) আর বললো ভুল হয়ে গেছে ..

নিলয়ঃ হুম

বাসায় তুমার কে কে আছে,

– আমি আমার বউ, নতুন বিয়ে করলাম, দুই বছরের ভালোবাসা আমাদের,

নিলয় বলে উঠলো তো কিভাবে তুমি তুমার ভালোবাসাকে বিয়ে করলে সেই কাহিনি বলো..

: আজকে কিছু জরুরি কাজ আছে মাফ করেন, তবে অন্যদিন বলবো আজকে বউকে মার্কেট নিয়ে যেতে হবে..?তাকে একটা শাড়ি কিনে দিবো.

নিলয়ঃ ও তাই, তবে কেমন শাড়ি দিবা তাকে ?

বাদমাওয়ালাঃ মুখটা মলিন করে বললো, তেমন কেনো দামি শাড়ি দিতে পারবো না তাকে । তবে জমানো কিছু টাকা আছে সেটা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

নিলয়ঃ তার পকেট থেকে হাজের পাচেঁক টাকা তার হাতে গুজে দিয়ে বললো, যদি না করো তাহলে রাগ করবো । এটা দিয়ে নিজের জন্য আর তুমার বউয়ের জন্য সুন্দর দেখে পান্জাবি আর শাড়ি কিনবা ওকে..

কান্না ভেজা চোখে বললো, আপনে অনেক ভালা, আল্লাহ যেনো আপনাকে সব সময়ে সুখী রাখে । তবে একদিন এই গরীবের বাইত, চারটা ডাল ভাত খাইয়া যেতে হবে, না হলে টাকা নিমু না.

নিলয় মুচকি হেসে বললো ও আচ্ছা ওকে আরে চিন্তা করো না আসবো আসব,

এখন তুমি যাও বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে যে, ভাবি দেখো মুখ গোমড়া করে বসে রয়েছে । যাও তার রাগ ভাঙ্গিয়ে তারপর তাকে নিয়ে মার্কেটে যাও..

বাদমওয়ালাঃ আইচ্ছা,

বাদাম বিক্রেতা চলে গেলো তার প্রিয় মানুষটির সাথে আনন্দ আর ভালোবাসার খুনসুটি করতে ।

নিলয় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে, বাদামের খোসা গুলো ছিড়তে লাগলো

এমন সময় এক্সিউজ মিঃ আমি কি এইখানে বসতে পারি..

নিলয় ঘুরে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলো তুমি..

মেয়েটিও তুমি এখানে…

চলবে

#তুমি_আমার_অধিকার🍂
#লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ.
#পার্টঃ3

এইইই হেই অন্তী যে, কি অবস্থা মেডাম অনেক দিন পর দেখা
হুম ( মুখ গোমড়া করে.) আমি তো ভাবতে পারিনি । আমাদের দেখা হবে ওই আমাদের কলেজ লাইফ গেলো একসাথে ছিলাম

ভার্সিটির লাইফ তারপর হঠৎা করে তুমি উধাও হয়ে গেলা..
অন্তী বললো আমাকে মিস করো নাই তুমি একটুও

_ এই কথা শুনতে নিলয় চুপ হয়ে গেলো.. আসলে ব্যাপারটা কি একটু ফ্লাসব্যাকে গিয়ে শুনে আসি, কি তাদের সম্পর্ক‌….

_নিলয় আর অন্তী একই সাথে পড়তো সেই কলেজ লাইফ থেকে আর অন্তী নিলয়কে প্রচন্ড ভালোবাসে একথা নিলয় জানতো কিন্তু সে অন্তীকে কখনো সরাসরি না করে দিতে পারিনি ।

অন্তী মেয়ে হিসাবে ভালো খুব, যেমন পড়ালেখা এক্সপার্ট সুন্দর ও বটে , তবে তেমন সুন্দর না। চেহারা আর বাকি দিক দিয়ে সব এক্সপার্ট, এক কথায় যে কেউ এক দেখাতে পছন্দ করে ফেলবে। অনেক ছেলের প্রোপজল পেয়েছিলো কিন্তু নিলয়ের জন্য সে সব পাওা দেই নি ।

_ভার্সিটির ক্লাস শুরু হওয়ার আগে নিলয়ের জন্য ওয়েট করা আবার শেষ হলে একসাথে ঘুরতে যাওয়া । লেকের পাশে বসে গল্প করা আরো কত কিছু সারাক্ষন অন্তী নিলয়ের সাথে খুনসুটিতে ব্যস্ত থাকতো ।

_নিলয়ের যে ভালো লাগতো না তা কিন্তু নয় । সেও অন্তীকে ভালোবাসতো একটু হলোও কিন্তু অন্তীকে সে এখন সে অধিকার দিবে না । কারণ তার সকল অধিকার জমা রেখেছে তার বউয়ের জন্য ।

নিলয় যেমনটি জানতো অন্তী ছোট থেকে অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে তারপর শহরে এসে তার জীবনটা পাল্টে গেছে, আসলে নিলয় তাকে অনেক ভাবে হেল্প করছে । কারণ এই পৃথিবীতে নিলয় ছাড়া অন্তীর তেমন কেউ নেই..
তবে সব কিছু ঠিক ছিলো হঠৎা করে অন্তী উধাও হয়ে গেছে. নিলয় অনেক খুজলো কিন্তু অন্তীকে আর পেলো না..

অনেক কিছু জানা হয়ে গেছে অন্তীর ব্যাপারে এইবার বর্তমানে আসি….

নিলয়ঃ কেমন আছো..
অন্তীঃ হুম ভালো..
নিলয় বলে উঠলো, এতদিন কোথায় ছিলি তুমি
অন্তীঃ কেনো আমায় খুজছিলে নাকি ।
হুম. ( নিলয়)
জানতাম না তো তুমি আমায় খুজবে । কারণ সে কলেজ লাইফ থেকে আমি তুমাকে ভালোবেসে গেছি কিন্তু কখনো ভালোবাসা পাইনি সেই ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার টুকু মনে হয় আমার নেই..।

আচ্ছা এই সব কিছু বাদ দিলে হয় না হুম….
দূর এমনিতে মুড খারাপ আর তারপর তুমি আগের কাহিনি বলে মুড খারাপ করে দিয়েছো..

_কেনো মুড খারাপ কেনো. ( অন্তী)
নতুন বিয়ে করলে শুনলাম, তাহলে মুড ভালো থাকার কথা. অন্তী আশেপাশে তাকালো কিন্তু কোথাও নিলয়ের বউকে দেখতে পাচ্ছে না । কি তুমার বউ কোথায় তাকে তো দেখতি পাচ্ছি না..

নিলয়ের মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো, চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো.. অন্তী এটা দেখে কি হলো তুমি কাদছো কেনো হুম..

আসলে অন্তী নিলয়ের চোখের পানি সহ্য করতে পারে না । তড়িগড়ি করে ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে নিলয়ের চোখটা মুছে গেলো‌.

_ নিলয় আর আটকালো না অন্তীকে, কারণ বেচারি মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে এইটুকু করার অধিকার আছে তার‌‌.

এর পর নিলয় অন্তীকে এক এক করে সব কাহিনি বললো.
অন্তী কি বলবে বুজতে পারছে না । কারণ যে নিলয় তার সবটুকু ভালোবাসা তার বউয়ের জন্য রেখেছে । কিন্তু হায় বেচারার কি হলো দেখো বউয়ের ওপর তার ভালোবাসা ফলানের অধিকারটুকু নেই ।

অন্তীঃ চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে, আর বেশি কাদলে কিন্তু তুমার মাথা ব্যাথা করবে চল কোথায় যাই তাহলে তুমার মন ভালো হয়ে উঠবে ।

– হুম কোথায় যাওয়া যায় ‌. অন্তী বললো আমাদের সেই অতি পরিচিত যাওয়া যায় । নদীর পাশে.

হুম চলো.. ( নিলয়..)

ওইদিকে নিলয়ের বউ নিরা অনেক্ষণ ধরে দাড়িয়ে আছে হদয়ের জন্য কিন্তু হদয়ের আসার কেনো খবর নেই‌‌..
তাই সে দাড়িয়ে না থেকে একটু বসলো এর কিছুক্ষণ পর হদয় আসলো..

-হদয় আসাতে নিরার চেহারা হাসি ফুটে উঠলো..
হদয়ের চরিএের একটু ধারণা দিয়ে দেই আপনাদের । হদয় এমন একটা ছেলে প্রথমে সে খুব ভালো সাজবে কেউ বুজতো ও পারবে না । তারপর আস্তে আস্তে তার রুপ বদলাতে থাকবে ।
নিরা এখনোও হদয়কে চিন্তে পারিনি । আসলে নিরা হদয়কে খুব ভালোবাসে হয়তো তাই হদয়কে সন্দেহ করতে পারে না কেনো কিছুতে ।

হদয়ঃ হেই সুইট হার্ট, সরি অনেক দেরি করে ফেললাম..
নিরাঃ ইট’স ওকে,.
হদয়ঃ চলো বসি.
নিরাঃ হুম চলো..
হদয়ঃ তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছো, এবং বিয়ে করে ফেলছো এখন আমি কি করবো.. আমার মনে হয় আমাদের এখান থেকে সব ক্লোজ করে দেওয়া দরকার ।
নিরাঃ এমন কেনো বলছো, বিয়ে হয়েছে কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছু হয় নি.
হদয়ঃ হয় নি মানে, একটার মেয়ের বিয়ে হয়েছে আর তুমি বলছো কিছু হয় নি হুম..
নিরাঃ হুম সত্যি আমাকে বিশ্বাস করো । আমাদের মধ্যে কিছু হয় নি. ওই পাগলটাকে আমি আমার শরীর কি আমার ড্রেস পযন্ত স্পর্শ করতে দেই নি।

হদয় আড়াচোখে নিরার তাকিয়ে বললো হুম বুজলাম । তো এখন তুমি কি করবা ।
নিরা বললো আমি ডিভোর্স নিয়ে নিবো তার থেকে..
হদয়ঃ কিহ তুমার মাথা ঠিক আছে ডিভোর্স নিবা মানে..
তুমার বাব মা আছে তাদের কে কিভাবে বুজাবে তারা কি মেনে নিবে
নিরাঃ হুম মেনে নিবে, তুমি এই নিয়ে চিন্তা করো না আমি সব ব্যবস্থা করবো । তবে মনে হয় ওই‌ পাগলটা আমাকে সহজে ছাড়বে না..
হদয়ঃ হুম তবে আমি জানি আমার বেবিটা পারবে চলো কিছু খেয়ে নেয়া যাক । তারপর মুভি দেখতে যামু..
নিরাঃ সত্যি.. মুভি দেখতে যাবা.
হদয়ঃ হুম যাবো..

এইদিকে অনেক্ষণ ধরে নিলয় আর অন্তী বসে আছে নদীর ধারে.
নদীগুলো মায়ের মতো, এই যেমন শান্ত তারপর হঠৎা করে রাগ করে ফুসে উঠে. মায়ের কথা মনে করাতে নিলয়ের ফোন বেজে উঠলো. ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে নিলয়ের মা কল দিয়েছে কলটা রিসিভ করে..
হ্যালো মা ” কেমন আছো তুমি..

আম্মুঃ হুম বাবা ভালো আছি তুমি কেমন আছো আমার বউমাটা কেমন আছে..

-হুম ভালো আছে মা.
আম্মুঃ আচ্ছা বউমাকে দেয় কথা বলি..
নিলয় কি করবে বুজতে পারছে না, আম্মুকে তো না করা যাবে না আর সে যে এখন বাহিরে আছে তা জানতে পারলে আম্মু রাগ করবে..
– তাই সে কিছু না ভেবে অন্তীকে কলটা দিলো, তুমি একটু ম্যানেজ করো‌‌. আম্মুকে.

অন্তীঃ চোখ বড় বড় করে আমি আমি কেনো… 🙄

তারপর নিলয়ের আম্মু হ্যালো… বউমা
অন্তীঃ আসসালামু আলাইকুম আম্মা কেমন আছেন…
হুম ভালো তুমি কেমন আছো হুম. আমাকে তো মনে হয় ভুলে গেছো.
অন্তীঃ না আম্মা কি যে বলেন ভুলবো কিভাবে ভুলি নাই তো..
এরপর অন্তীর আর নিলয়ের আম্মু অনেক্ষণ কথা বললো..

-আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থেকো.. আর নিলয়ের দিকে খেয়াল রেখো.. রাখি..
অন্তীঃ জি আম্মা, আসসালামু আলাইকুম..

-নিলয় বলে উঠলো যাক তুমি আমাকে বাচিয়ে দিয়ছো.. আজকে‌. অন্তী বললো হুম কিন্তু এইভাবে আর কতদিন হুম..

-যতদিন বাহিরে থাকবো ততদিন.. এই বলে নিলয় হে হে করে হেসে উঠলো..
অন্তীঃ শয়তান..

আচ্ছা চলো অনেক ক্ষুধা পেয়েছে আজকে আমি তুমাকে খাওয়াবো অন্তী অবাক চেয়ে তাকিয়ে রয়ে বললো তুমি…
নিলয়ঃ হুম আমি কেনো কেনো সমস্যা..
অন্তীঃ না চলো ঠিক আছে.. তুমি যখন নিজ থেকে বলছো আমার কেনো সমস্যা হবে…

নিলয় আর অন্তী নদীর পাশ থেকে উঠে রেস্টুরেন্টের দিকে হাটা দিলো.. যাওয়ার পথে নিলয় বলে উঠলো আচ্ছা এই কয়েবছর তুমি কোথায় ছিলে কি করছিলে, বলো
অন্তী আরে বাবা আস্তে আস্তে সব বলবো. চলো এখন.. পা চালাও

-বড্ড ক্ষিধা লাগছে..

( কেমন হলো জানাবেন)

চলবে.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here