তুমিই_আমার_প্রিয়_নেশা
পর্ব:50 হাফ সেঞ্চুরি (সমাপ্ত)
Suraiya_Aayat
দেখতে দেখতে ইফা-আহান আর রেদোয়ান-মায়ার বিয়ের দিন চলে এলো, কমিউনিটি সেন্টারে বিয়েটা হবে কারন দুটো আলাদা আলাদা পরিবারের বিয়ে আর একসাথে যেহেতু হওয়ার কথা তাই আলাদা আলাদা সম্ভব না সেহেতু কমিউনিটি সেন্টারে একসাথেই বিয়ের ব্যাবস্থা করা হয়েছে৷ দুই ব্রাইডের সাজ প্রায় কমপ্লিট,নূর মায়া আর ইফার সাথেই বসে ছিলো এতখন কারন ইফা বড্ড নারভাস৷ আয়াশের জন্য বাধ্য হয়ে নূরকে উঠে চলে আসতে হয়েছে৷
কিছুখন আগের কথা,,,
নূর রেডি হয়ে ইফা আর মায়ার কাছে যেতে গেলেই পিছন থেকে আয়াশ ডেকে উঠলো
“আফুসোনা৷”
নূর ঠোঁট চেপে মুচকি হেসে আয়াশের দিকে স্বাভাবিক ভাবে ফিরে বলল
“হমম বলুন৷”
আয়াশ নূরের মাথা থেকে পা অবধি ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করে বলল
“সুন্দর লাগছে৷”
নূর ভ্রু কুঁচকে বলল
“শুধু সুন্দর? আরও কিছু যে বলা যায় তা কি আপনার জানা আছে?আসলে পৃথিবীর সায়েন্টিস্ট প্রজাতির মানুষদের থেকে এসব আশা করায় বৃথা৷”
কথাটা বলে মুখ ঘুরিয়ে চলে আসতে গেলেই আয়াশ খানিকটা ছুটে এসে নূরকে আটকে বলল
” আফুসোনা শোনো,রাগ করোনা৷”
নূর মুখ টিপে হাসছে৷ তবুও আয়াশের সামনে রাগী রাগী ভাব নিয়ে বলল
“কি হয়েছে কি? এখন কি সরি বলবেন? বললেও কিন্তু আপনার সরি গ্র্যান্টেড হবেনা বলে রখলাম৷”
আয়াশ নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল
” টানা 2 ঘন্টা ধরে নাকানি চুবানি খেয়ে আমিই তো তোমাকে সাজিয়ে দিলাম, আর আমি যদি বড়ো মুখ অরে কবি সাহিত্যিক দের মতো করে ইহা বড়ো একটা কমপ্লিমেন্ট দিতাম তাহলে তুমি বলতে যে আমি তোমাকে সাজিয়ে দিয়েছি বলে নিজে ক্রেডিট পেতে চাইছি তাই হালকার ওপর দিয়ে একটু বলে দিলাম, কিন্তু তাতেও তুমি আমাকে অতো কিছু শুনিয়ে দিলে, তাহলে বলো আমি কি অরি এখন!”
নূর ভ্রু কুঁচকে বলল
” এই যে এক নাগাড়ে এতোকিছু বলে দিলেন এর পরিবর্তে যদি ঝরঝর করে কমপ্লিমেন্ট দিতেন তাহলে আমি আমার অভিযোগ উইথড্র করে নিতাম৷”
আয়াশ বেশ মিনমিন অরে বলল
” আরে আমাকে কিছু বলতে তো দেবে তারপর তো বলবো৷”
নূর চলে যেতে নিয়ে বলল
“হোয়াটএভার৷”
একপা এগিয়ে যেতেই আবার আয়াশের দিকে ফিরে বলল
” ওয়েট ওয়েট ওয়েট, আপনি এতখন ধরে হাতটা পিছনে লুকিয়ে রেখেছেন কেন? কি আছে আপনার হাতে?”
আয়াশ এবার ফিচেল হাসি হেসে বলল
” পিছন ঘোরো তাহলেই বুঝতে পারবে৷”
নূর আর বেশি তর্কাতর্কি তে গেল না এমনিতেই সুযোগের সদব্যাবহার করে ছেলেটাকে বেশ ভালোই অনেক কথা শুনিয়ে ফেলেছে ও৷
নূর পিছন ঘুরতেই আয়াশ নূরের খোঁপায় একটা বেলিফুলের মালা গুঁজে দিতেই নূর শিউরে উঠলো, আয়াশের মতো মানুষের থেকে ও এমন কিছু কখনোই আশা করেনি, যদিও আশা করেনি কথাটা বললেও ভুল হবে কারন আয়াশ বড্ড একগুঁয়ে আর অত্যন্ত চাপা স্বভাবের একজন মানুষ, ঠিকভাবে কোন অনুভূতি এক্সপ্রেস করতে পারে না৷
নূর কিছুখনের জন্য নির্বাক হয়ে গেল কিছু বলছে না, এদিকে অনেকখন যাবৎ আয়াশ বেলিফুলের মালাটা নিয়ে নাড়াচাড়া করছে কিন্তু এতোখনে তো মালাটা পরিয়ে ফেলার কথা, নূর এবার একটু নড়েচড়ে উঠলো, আয়াশকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ঝট করে আয়াশের দিকে ঘুরতেই আয়াশের দিকে তাকালো, আয়াশের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম আর ঠোঁট চেপে মুখের এক করুন অবস্থা বানিয়ে রেখেছে, নূর বেশ কিছুখন আয়াশের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে ফেলল, আয়াশ এবার বেশ ঘাবড়ে গেল আর নড়েচড়ে উঠলো, পাঞ্জাবীর কলারটা ঠিক করে নুরকে একটু কড়া কন্ঠে প্রশ্ন করে উঠলো
” কি হলো হাসছো কেন এভাবে?”
নূর হাসতে হাসতেই বলল
” হাসবো না তো কি করবো, আপনি মুখের যা করুন অবস্থা করে রেখেছেন তাতে তো হাসি আটকানো অসম্ভব৷”
আয়াশ এবার রাগী রাগী ভাব নিয়ে বলল
” তাই বলে তুমি হাসবে আফু সোনা? এটা কি ঠিক? কোথায় তুমি আমাকে হেল্প করবে তা না৷ কতো কষ্ট করে গুলশান 1 থেকে ফুলটা নিয়ে এলাম কতো ফাস্ট ড্রাইভ করে আর তুমি৷ ধ্যাত!”
কথাটা বলে আয়াশ বিরক্ত হয়ে চলে যেতে নিলেই নূর আয়াশের হাত ধরে থামিয়ে নিলো৷
আয়াশ বিরক্ত হয়ে বলল
” হাত ছাড় আফু সোনা ৷”
নূর এবার আয়াশের সামনে গিয়ে মুচকি হেসে বলল
” এতো সহজে হার মানলে হবে জানাব! সরে তো একসাথে পথ চলা শুরু, একে অপরের পরিপূরক হতে হবে তবেই না জীবনটা আর সম্পর্ক টা সুন্দর আর রঙিন হবে৷”
আয়াশের মুখের বিরক্তি ভাবটা কেটে গেল৷
বেশ স্বাভাবিক কন্ঠে বলল
” কি করতে হবে বলো?”
“হমম৷”
নুর এবার পিছন ঘুরে বলল
“কিছুখন আগে মাথায় যে অগোছালো খোঁপাটা করে দিলেন তার ওপর মালাটা সোজা করে রাখুন৷”
আয়াশ নূরের কথা শুনে খানিকটা মুচকি হাসলো,
“তারপর৷”
“তারপর মালাটা খোঁপার সাথে ভালভাবে জড়াবেন ফিতেটা বাদে কারন ফিতে দিয়ে বাঁধতে হবে ৷”
নূরের কথা মতো আয়াশ তাই করলো,
“তারপর৷”
“ফুলটা জড়ানো কমপ্লিট?”
“হুমমম৷”
“এবার আর কি,ফিঁতেটা বেধে দিন ভালো করে যাতে না খুলে যায়৷”
আয়াশ এবার ইচ্ছা করে ফিতেটা বাধলো না বরং খোঁপাটা আরও ঢিলে করে দিলো যাতে খুলে যায় আর তাই হলো৷
” হয়েছে এবার?”
নূর কথাটা বলার সাথে সাথে মালটা খুলে পড়লো আয়াশের হাতে, নূর আয়াশের দিকে হতাশ হয়ে তাকিয়ে বলল
” এতো সহজ ভাবে বলেও হয়নি?”
আয়াশ বেশ কাঁচুমচু মুখ করে বলল
“নাহ৷”
নূর এবার বিরক্তিভরা কন্ঠে বলল
“আপনি সায়েনটিস্ট হলেন কি করে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে৷ দিন আমার কাছে দিন,আম্মুর কাছ থেকে পরে নেবো আমি৷”
কথাটা বলে মালাটা আয়াশের হাত থেকে নিতে গেলেই আয়াশ মুচকি হেসে বলল
” আই উইল ডু ইট৷”
নূর ভ্রু কুঁচকে বলল
“আপনি পারবেন না ছাড়ুন৷”
আয়াশ এবার নূরের একেবারে কাছে গিয়ে বলল
“আমি অনেক কিছুই পারি আফু সোনা, আই থিংক তুমি তা জানো৷ যদি প্রামান চাও তো….”
নুর বেশ ঘাবড়ে গেল কথাটা শুনে,শুকনো ঢোক গিলে বলল
“হমম বুঝেছি বুঝেছি আপনি পারেন,এবার এটা তড়াতাড়ি পরান,আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে৷”
আয়াশ মুচকি হেসে মালাটা পরিয়ে দালো,এবং খানিকখন ফুলের ঘ্রান নিয়ে নূরের কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল
“মাঝে মাঝে কিছু অগোছালো জিনিসকেও ছোট ছোট সৌন্দর্যতার সাথে পরিপূর্ণতা দেওয়া যায় এই যেমন তোমার খোঁপা, অগোছালো হলেও সুন্দর আর মোহিত৷ কপালের টিপটার অবস্থান ও খানিকটা এলোমেলো তবুও মায়াবতী লাগছে আর ঠোঁটের মিষ্টি হাসিতে তুমি রাঙাবউ আর এই লাল শাড়িতে আমার রঙ্গবতী৷”
কথাটা বলে আয়াশ মুচকি হেসে চলে যেতে নিলেই নূর বলল
“কতো সুন্দর করে আমার সৌন্দর্যের বর্ননা করলেন তাও বলছেন আপনি বলতে পারেন না?”
আয়াশ মুচকি হেসে ঘুরে বলল
“আমি আবেগপ্রবন কম তাই অনুভূতি ব্যাক্ত করতে পারি না তবুও যতটুকু বলি তাতে যদি তুমি প্রাপ্তি অনুভব করো তাহলে আমি খুশি৷”
আয়াশ নিজের বুকের বাম দিকে হাত রেখে কথাগুলো বলল৷
আয়াশ চলে গেল আর নূর অদ্ভুত ভাবে চেয়ে রইলো আয়াশের পানে৷ আরও বেশ কিছুখন কল্পনা জল্পনা করে নূর খোঁপায় হাত দিয়ে মুচকি হাসলো, এখনো খোঁপাটা হালকা ঢিলা তবে খুলবে না সহজে তা নূরের বিশ্বাস৷
ইফা আর মায়ার সাথে বসে আছে নূর, ইফা নূরের হাত ধরে বসে আছে আর মাঝে মাঝে ভাবী ভাবী বলে ডাকছে, বেচারী আবার কাজকর্মে নূরের বেশ হাসি পাচ্ছে তবুও ও হেসে দিলে মেয়েটা বোধহয় কেৢদেই ফেলবে তাই নিজেকে সংযত করে রেখেছে নূর৷ হঠাৎ নূরের ফোনে ফোন এলো৷
“আফু সোনা বাইরে এসো তোমার ওখানে থাকতে হবে না৷”
নূর ফিসফাসিয়ে বলল
“কেন?”
“সব কেন র উত্তরহয় না,তাড়াতাড়ি বাইরে এসো৷”
নূর হালকা ধমকের সুরে বলল
“কেন বলবেন তো নাহলে যাবো না ৷”
আয়াশ আর কোন কথা না বাড়িয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে গেল,ফোনটাএখনো কাটেনি৷ কানে ফোনটা ধরে বলল
” আসবে নাকি আমি গিয়ে টেনে তুলে আনবো কোনটা?”
নূর দাঁতে দাঁত চেপে বলল
“ভারী অদ্ভুত মানুষ আপনা৷”
” আর কোন কথা না, উঠে এসো৷”
নূর বিরক্ত হয়ূ উঠতে গেলে ইফাবলল
“ভাবী কোথায় যাচ্ছো?”
নূর একটু বমি করার অভিনয় করে বলল
“ইফা আমার বমি পাচ্ছে আমি আসছি হ্যাঁ?”
ইফা আর কিছু বলতে পারলো না,নূর বেরিয়ে এসে আয়াশকে ইচ্ছা মতো ঝাড়ি মারতে শুরু করে দিলো৷ আয়াশ শুধু শুনে যাচ্ছে আর মুচকি মুচকি হাসছে৷
…….
ভালো ভাবে বিয়েটা হয়ে গেল ওদের চার জনের,সম্পর্কগুলো অতো সুন্দরভাবে পাল্টে গিয়ে মানুষগুলো আরও কাছের হয়ে গেল৷ পরিবারের সকলেই খুব খুশি,দূর হয়েছে সকলের মনোমালিন্য৷ মায়া আর ইফাকে বাসর ঘরে বসিয়ে নূর বেরিয়ে এলো, ক্লান্ত লাগছে বেশ তাই ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিতে গেলেই দেখলো আয়াশ আগে থেকেই ঘরে বসে আছে৷ নূর গিয়ে প্রশ্ন করলো
“আপনি এখনো ঘুমাননি?”
“নাহ,তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম৷”
নূর একটু বাঁকা চোখে তাকিয়ে জল খেতে খেতে বলল
” কি কারনে?”
“আমাদের বাসর রাত হয়েছিলো আফু সোনা?”
কথাটা শোনা মাত্রই নূর বিষম খেলো,আয়াশ হেসে ফেলল৷ নূর আদো আদো কন্ঠে বলল
“কেন?”
“নাহ আজকে সবার বাসর রাত তো তাই আমরাই বা কি দোষ করলাম বলো৷”
নূর গ্লাসটা ধপ করে রেখে বলল
” থামুন আপনি আর ঘুমান, আমি ক্লান্ত৷”
আয়াশ হঠাৎই নূরকে কোলে নিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে মেঝেতে বসালো৷
আয়াশ বলতে শুরু করলো
“আমি আবেগপ্রবন কম, তোমার ভাষাতে সায়েন্টিস্ট মানুষরা নিরাষিম, মানলাম৷ কি করবো বলোতো আমি যে এমনই৷ আমি অতো সবার মতো সব কিছু এক্সপ্রেস করতে পারি না, ভালবেসে দু চারটে কবিতার লাইন বাঁধতে পারি না আর না পারি আবেগপ্রবন হয়ে নিজের ভালোবাসার অনুভূতিকে ব্যাক্ত করতে৷ তাতে তোমার অভিযোগ থাকলেও আমি মেনে নেবো৷ তবে আমার কাছে সবকিছুর হিসাব যেন বড্ড সোজা লাগে,কোনকিছুই আমি জটিল ভাবে ভাবতে পারি না যে কারনে তোমার কাছে আমি মানুষটা ছিলাম এতোদিন ডেভিল৷ জানো আমি তোমার সামনে নিজেকে ডেভিল হিসাবে কেন উপস্থাপন করেছিলাম?”
নূর খানিকটা অবাক করা চাহনিতে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো৷
“জানার কথাও না আফু সোনা৷”
” আমি তোমাকে চিনতাম অনেক বছর ধরে কিন্তু তুমি আমাকে চিনছে না,গোপনে তোমাকে লক্ষ করতাম তবে তা ভালোবাসা নাকি অন্য কিছু তা জানার চেষ্টা করিনি কখনও, না ছিলো তোমার প্রতি কোন অধিকার বোধ আর না ছিলো কোন অকাঙ্খা৷ আমি মনে করি ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করলেই বুঝি ভালোবাসা ফুরিয়ে যায়, জানি না তার সত্যতা ঠিক কতোখানি তবুও আমি মানি৷ কিন্তু আমি যখন থেকে তোমাকে আমার নিজের করে নিলাম তখন ভয় হতো এই যদি তুমি হারিয়ে যাও, তখন একটা অধিকারবোধ জন্মালো, আমি ভাবি যে ভালোবেসে কাওকে ছেড়ে চলে যাওয়াটা সহজ কিন্তু ঘৃনার খাতিরে ছেড়ে চলে যাওয়াটা কঠিন, ঘৃনার দরুন মানুষ প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জাগ্রত হয় তাই আমিও ভাবতাম তুমিও আমাকে ঘৃনা করে আমাকে বদলানোর জন্য আমার কাছেই থেকে যাবে দূরে সরে যাবে না আর তার একমাত্র উপায় হলো আমার ডেভিলনেস, তবে তুমি যে এতো তাড়াতাড়ি আমাকে ভালোবেসে ফেলবে আমি ভাবিনি৷”
নূর ছলছল চোখে আয়াশের দিকে তাকিয়ে আছে, আয়াশ সামনের দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে, নূরের মাথাটা ও হাত দিয়ে টেনে নিজের কাধে রেখে বললো
” ভালোবাসি কি জানিনা তবে #তুমিই_আমার_প্রিয়_নেশা যে নেশাতে আমি আচ্ছন্ন৷”
নূর চোখ বন্ধ করলো, দক্ষিনা বাতাস বইছে, বেলি ফুলের হালকা মাদকতায় পরিবেশটা আরও নম্র হয়ে উঠেছে আর পরিবেশ থেকে একটাই ডাক ভেসে আসছে “ভালোবাসি৷”
5 বছর পর,,,,,
“বাবা তুমি এটা কি করছো?”
আদো আদো কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে উঠলো আয়াশ আর নূরের মেয়ে মেহু৷
আয়াশ মেহুকে কোলে বসিয়ে বলল
“এটা একটা মডেল মাম্মাম৷”
“কিসের মডেল?”
“কোয়ান্টাম মডেল৷”
দূর থেকে নূর আর ইফা কিচেন থেকে দেখছে৷ দুজনেই মুচকি হাসছে৷ পাশ থেকে ইফার ছেলে বলে উঠলো
“মেহু আমার চাচ্চুর কোল থেকে নাম৷”
মেহু মুখ ভাঙচিয়ে বলল
“এটা আমর পাপা হু৷”
আয়াশ ইফার ছেলে মিছিলকে কোলে তুলে নিলো,দুজনে দুই দিকে বসে আছে আর দুজনেই আঙুল উচিয়ে ঝগড়া করছে, মিছিল মেহুর থেকে 5 মাসের ছোট, ইফার সাথে ঝগড়া করে ঠিকই কিন্তু ইফাকে অন্য ছেলের সাথে খেলতে দেখলে সহ্য হয় না ওর, ইফার ব্যাপারে এখন থেকেই বড্ড কেয়ারিং৷”
আয়াশ দুজনকে থামিয়ে বলল
” স্টপ স্টপ ,তোমাদের দুজনের ঝগড়ার টপিকটা কি বলতে পারবে?”
মেহু কিছু বলতে যাবে তার আগে মিছাল বললো
“আমি কি ঝগড়া করতে চাই চাচ্চু? আমি চাই না কিন্তু মেহুর জন্য করতে হয় ,ও কেন সবসময় আমার ছেলে ফ্রেন্ডগুলোর সাথে কথা বলবে বলো?”
আয়াশ অবাক হয়ে বলল
“তাহলে কি বলবে না?”
মেহু বলে উঠলো
“বেশ করবো বলবো!”
মেহু অন্য দিকে মুখ করে আছে, আয়াশ মিছিলের দিকে তাকিয়ে ফিসবিসিয়ে বলল
“ওকে ওকে…৷”
হঠাৎ মিছালের কি মনে হলো ও আয়াশের কোল থেকে নেমে গিয়ে মেহুর একগালে চুমু দিয়ে বলল
“তোকে না আমার হেব্বি লাগে ৷”
কথাটা বলে মিছিল দৌড়ে পালালো,মেহু রেগে গিয়ে ওউ মিছালকে তাড়া করলো ৷
আয়াশ সহ সবাই হাসতে লাগলো৷
সমাপ্ত,,,,