জ্বীন রহস্য(love story)❤,Season 2,Part 14,15
Writer Maishara Jahan
Part 14
রিমান,,,,,,,,,,, শয়তান 😑😑
খাওয়া শেষে রিমান রিমিকে বাসায় নিয়ে যায়। নিয়ে শুয়িয়ে দেয়। রিমি ঘুমিয়ে পড়ে।
রিমান রিমিকে শুয়িয়ে দিয়ে, অফিসে যায়।
রিমান,,,,,,,,,,,, আজ মাহুকে সব বলে দিতে হবে, এক দিন না এক দিন তো জানবেই।
রিমান মাহুয়ার অপেক্ষায় বসে থাকে,, কিছু ক্ষন পর মাহুয়া অফিসে আছে।
রিমান,,,,,,,, এই তোমার আসার সময় হলো, সেই কখন ধরে অপেক্ষা করছি।
মাহুয়া,,,,,,,,, কাল মাত্র তোমার প্রপোজে রাজি হয়েছি আর আজ থেকেই হুকুম শুরু হয়ে গেছে।
রিমান,,,,,,,,,, এটা তোমার হুকুম মনে হলো 😐
মাহুয়া,,,,,,, আচ্ছা বাদ দাও বলো তো আজ আমাকে কেমন লাগছে।
রিমান,,,,,,,, প্রতিদিনের মতো ভালোই লাগছে।
মাহুয়া,,,,,, আরে ভালো করে দেখো আজ আমি একটু অন্য রকম ভাবে সেজেছি৷
রিমান মাহুয়ার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে।
রিমান,,,,,,, প্রতিদিন তো এভাবেই আসো শুধু কিছু দিন ধরে চশমা পরো না।
মাহুয়া,,,,,,,,, আজ আমি একটু গাঢ় করে গোলাপি লিপস্টিক দিয়ে এসেছি 😤😤
রিমান,,,,,,,,, ও 😐😐,,, একি রকম তো লাগছে 🙄🙄।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, কিহহ
রিমান,,,,,,,,, আসলে তোমার ঠোঁট দুটো অনেক সুন্দর আর গোলাপি তাই লিপস্টিক দিলে বুঝায় যায় না লিপস্টিক দিয়েছো নাকি দেওনি। আর তাছারা তোমার ঠোঁটের দিকে আমি এতো বেশি খেয়াল করি না।
মাহুয়া,,,,,,,,,, কেনো 🤨🤨
রিমান,,,,,,,,, তোমার ঠোঁটের দিকে নজর গেলে নিজেকে সামলে রাখা অনেক কঠিন হয়ে যায়। মনে চায় এই দুটো ঠোঁট নিজের করে নিয়। ( মাহুয়ার কাছে গিয়ে )
মাহুয়া,,,,,,,,, বুঝতে পেরেছি আর বলা লাগবে না।
রিমান,,,,,,,,,,, ( বেঁচে গেলাম ) ঠিক আছে তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো।
মাহুয়া,,,,,,,,, কোনো কথা না আমার অনেক কাজ আছে আজকে পরে কথা বলবো,, বাই
বলে তাড়াতাড়ি চলে যায় ,,,,
রিমান,,,,,,,,,,,, আরে শুনো,জরুরি কথা বলার ছিলো। দূররর,,,,,
,,,,,,,,,,,,,
মুন,,,,,,,,,,,,,, কি হয়েছে আরাব আপনাকে এতো চিন্তিত লাগছে কেনো।
আরাব,,,,,,,,,,,,, রিমিকে নিয়ে একটু টেনশনে আছি, তিন দিন পরে ওর ২০ তম জম্ম দিন।
,,,,,,,,,, কিছু হবে না সব ঠিক হয়ে যাবে।
,,,,,,,, কোনো মতে এই বিপদটা যাক তারপর অন্য চিন্তা।
,,,,,,,,, আচ্ছা যারা রিমিকে নিতে আসে তারাই কি আপনার উপর হামলা করে।
,,,,,,,,,, না,,, আমার মনে হয় না,, এটা তো অন্য কোনো শত্রুর কাজ।
,,,,,,,,, আমারো অনেক শত্রু আমার সাথিরা না থাকলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।
,,,,,,,,, কে তোমার শত্রু
,,,,,,,,, জানি না তারা আমার এই লকেটের পিছনে পরে আছে, আর আমি এই লকেট কোনো খারাপ জ্বীনের হাতে পরতে দিবো না।
,,,,,,,,,, লকেট কেমন লকেট।
,,,,,,,,, আমার গলায় আছে
,,,,,,, কোথায় আমি দেখতে পারছি না।
,,,,,,, এটা আমি অদৃশ্য করে রাখি যাতে কেও দেখতে না পারে৷ এখন দেখো।
,,,,,,,,,,, এই লকেট তোমার কাছে ( বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে,ভয়ে )
,,,,,,,,,,, হ্যাঁ দাদি আমাদের পাঁচ জনকে এমন একটা লকেট দেয়,, লকেটের পাঁচ টুকরো মিলিয়ে একটা হয়, আর এটা কোনো খারাপ জ্বীনের হাতে পরে গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। তাি দাদি মারা যাওয়ার আগে আমাদের এটি হেফাজত করার জন্য দিয়েছে।
,,,,,,,,,,,,, তোমার পুরো নাম কি। ( ভয়ে )
,,,,,,,,,,,, মুনতাহা তানহা মুন
,,,,,,,,,,, ( মুন তাহলে সেই মেয়ে,, আমার অতীত এই ভাবে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে,, মুন সেই মেয়ে যার সামনে দাঁড়ানোর সাহস নেয় আমার, মুন যদি যানতে পারে আমি সেই পৃগ্ধ তাহলে আজ যে চোখে ভালোবাসা দেখতে পারছি সেই চোখে ঘৃণা ছাড়া কিছুই থাকবে না )
,,,,,,,,,, কি ভাবছো এমন গম্ভীর হয়ে। আর চোখে পানি।
,,,,,,,,,,, কিছু না,,, কিছু না ।
,,,,,,,,,, আমার সাথে এক জায়গায় যাবে।
,,,,,,,,, কোথায়।
,,,,,,,,,,, বৃদ্ধা আশ্রমে কাপড় খাবার এই সব দিতে।
,,,,,,,,,, আমারা কাল যাই পিল্জ, আজ আমার ভালো লাগছে না৷
,,,,,,,,,, ঠিক আছে তাহলে তুমি রেস্ট করো আমি দিয়ে আসি। 😊😊
,,,,,,,,, আজি দিতে হবে কালকে দিলে কি হবে।
,,,,,,,,,, আরে আজ আমার মা বাবার মৃত্যুবাসি না তো আজি দিতে হবে, প্রতেক বছর দিয় এবার দিবো না।
,,,,,,,,,,, ও হ্যাঁ চলো।
,,,,,,,,৷ এমন ভাব করছো যেনো তুমি এটা জানতে,,, চলো৷
,,,,,,,,,,, ( কিভাবে বলবো তোমায়,,, পিল্জ আমাকে মাফ করে দিয়ো, আমি কোনো মতেই তোমার মাফ পাওয়ার যোগ্য না )
,,,,,,,,,,,,,,,,
ফারহান রিমিদের বাসায় এসে রিমির পাশে গিয়ে বসে,, রিমি ঘুমিয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,,,,, এর জ্বর তো এখনো কমেনি, তিন দিন পর না জানি কি হবে তার জন্য তাকে আরো সুস্থ হওয়া দরকার কিন্তু রিমি তো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এর টেনশনে কবে জানি আমি হার্ট অ্যাটাক করি।
রিমি,,,,,,,,,,, হার্টের ডক্টর যদি এই কথা বলে তাহলে রোগীরা কি বলবে।
ফারহান,,,,,,,,,,, ও সরি তোর ঘুম ভাঙিয়ে দিলাম।
রিমি,,,,,,,,, আজ কি ছুটি নিয়ে এসেছেন।
,,,,,,,,,,,, হুমম।
,,,,,,,, আমার জন্য এতো কষ্ট করার কি দরকার ছিলো।
,,,,,,,,, তুই আবার এভাবে কথা বলছিস,,, বললাম তো সরি।
,,,,,,,,, কি করবো কথা গুলো ভুলতে পারছি না।
,,,,,,,,,, দেখ আমি ও ভাবে বলতে চাই নি।
,,,,,,,,,, কিন্তু বলে তো ফেলেছেন।
,,,,,,,,, কি করবো তোর আর আমার এক হওয়া সম্ভব না, খুব কষ্ট হয় তোর থেকে দূরে থাকতে তার মধ্যে তুই,,,,,,
,,,,,,,,, আচ্ছা আমি যদি কোনো জ্বীনকে বিয়ে করি দেখতে পারবেন আপনি। কি হলো চুপ কেনো। আমি দেখতে পরবো না অন্য কোনো মেয়েকে আপনার পাশে।
,,,,,,,,, এক কাজ করি কারো বিয়ে করার কোনো দরকার নেয়, সারা জীবন সিংগেল থাকবো।
,,,,,,,,,, সারা জীবন বিয়ে না করে থাকতে পারবেন আপনি।
,,,,,, হুমম আমি থাকতে পারবো।
,,,,,,,,, কিন্তু আমি পারবো না।
,,,,,,,,,, কিহহ,, আমি থাকতে পারলে তুমি পারবা না।
,,,,,,,, না পারবো না,,, আমি আপনার সামনে একটা হেন্সাম জ্বীন কে বিয়ে করবো, প্রেম করবো,,
তারপর কিছু দিন পর আমাদের একটা,, একটা না কয়েকটা পিচ্চি হবে যে আপনাকে বাবার জায়গা মামা মামা করে ডাকবে,তারপর আপনি খুশি হয়ে চকলেট কিনে দিয়েন ঠিক আছে।
,,,,,,,,, রিমি চুপ কর আমার কিন্তু রাগ হচ্ছে।
,,,,,,,,, আরে থামেন মুভি আরো বাকি আছে,, বিয়ে যেহেতু আমাকে করবে শুধু বসিয়ে তো আর রাখবে না তাই না, কিছু দিন পর আমকে নিয়ে হানিমুনে যাবে, আর হনিমুনে কি হবে তা তো আপনাকে বলে দিতে হবে।
,,,,,,,,,, চুপ কর না হলে খারাপ হবে। ( মুখ চেপে ধরে৷)
,,,,,,,,,,, হাত সরান,,, এই তো কিছুই না, রাতে আমার কাছে আসবে, আমার হাত ধরবে, তারপর কপালে কিস করবে তারপর নাকে তারপর ঠোঁটে তারপর গ,,,,,
আর কিছু বলার আগেই ফারহান রিমির মাথা বালিশে চেপে ধরে কিস করতে থাকে,, রিমির চোখ বরো বরো হয়ে গেছে।
ফারহান কিস করে রিমি ঠোঁটে জোরে একটা কামড় দেয়। রিমি ব্যাথায় ফারহানকে ধাক্কা দেয়।
ফারহান রিমিকে ছেড়ে দেয়।
ফারহান,,,,,,,,,, আর কোনো দিন এই সব উল্টা পাল্টা কথা বলবি তাহলে খবর আছে,, অন্য কেওকে তোর গাঁয়ে হাত দেওয়ার অধিকার দিলে ওর আগে তোকে খুন করবো। আমি ও বিয়ে করবো না তেমন তুইও চিরকুমারী হয়ে ঘরে বসে থাকবি,,,, ( রাগে )
ফারহান রাগে হনহন করে চলে যায়। রিমি ঠোঁটে হাত দিয়ে হা করে বসে আছে।
রিমি,,,,,,,,, কি রাগরে বাবা আমার তো মনে হয়েছিল আজ আমাকে মেরেই ফেলবে। শুধু একটু ভয় লাগছে তাই কিছু বললাম না, রাক্ষস এমনি আমি অসুস্থ। যখন কিস করছিলো তখন কি হচ্ছিল যানি না তকে এখন অনেক লজ্জা করছে।
,,,,,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,,, ঐ বাল,, সেই কখন ধরে পিছ পিছ ঘুরছি কিছু বলবো তা না সে কোনো পাত্তায় দিচ্ছে না।
মাহুয়া,,,,,,,,,, ঠিক আছে বলো।
,,,,,,,,, এখানে না চলো আমার সাথে।
রিমান মাহুয়াকে নিয়ে ছাদে আসে,,
মাহুয়া,,,,,,,,,,,, বলো কি বলবা।
রিমান,,,,,,,,,, তুমি বসো আমি একটু সাহস জোগার করে নিয়।
,,,,,,,,, এমন কি বলবা,, এক মিনিট তোমার অন্য কোনো গার্লফ্রেন্ড নেয় তো।
,,,,,,,,, আরে দূরর না। তুমি একটু চুপ থাকো।
রিমান মাহুয়ার পাশে বসে।
রিমান,,,,,,,,,, তুমি তো আমাকে ভালোবাসো তাই না,, তাই আমার ব্যাপারে কিছু জানতে পারলে তো ভালোবাসা আর কমে যাবে না তাই না।
,,,,,,,,,, এই তোমার কি বউ আছে নাকি৷
,,,,,,,,, তোমার জোর করে সতীন বানানোর এতো শক কেনো, এর পরে কিছু ভাবতে পারো না।
,,,,,,,,, আরে বলো না কি বলবে।
,,,,,,,,,, বললে ভয়ে দৌড় দিবা নাতো।
,,,,,,,, কেনো করোনা হয়ছে না কি তোমার।
,,,,,,,,,, আরে দূররর না।
,,,,,,,,,,, তাইলে কি হয়ছে।
,,,,,,,, আমার ব্যাপারে একটা সত্যি যেটা তুমি যানো না যেটা যানা তোমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ে করলে এক দিন না এক দিন জানতেই পারবে তাই আগে থেকে জানা উচিত।
,,,,,,,,,, কি গোপন কোনো রোগ আছে নাকি,, তাহলে ডাক্তারের কাছে যাও।।
,,,,,,,,,,, কিসের গোপন রোগ,,, তুমি চুপ থাকো তো, আর শুনো৷
,,,,,,,,,,, বলো।
,,,,,,,,,,,, আমি আসলে মানুষ না,,,,
,,,,,,,, তো কি জানোয়ার 🤣😂
,,,,,,,, আমি মজা করার মুডে নাই।
,,,,,,,,, তো কি করছো,, মানুষ তো কি 🤣😂
,,,,,,, জ্বীন৷
মাহুয়া কিছু ক্ষন চুপ থেকে,, আবার রিমানকে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে হাসছে 🤣😂
মাহুয়া,,,,,, আরে বাপরে আমি তো ভয় পেয়ে গেছি,দেখো ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছে।
,,,,,,,,,, আমি মজা করছি না।
,,,,,,,,,, আচ্ছা গায়েব হয়ে দেখাও ( হাসতে হাসতে )
রিমান সাথে সাথে গায়েব হয়ে যায়, আর মাহুয়ার হাসি একদমে বন্ধ হয়ে যায়,,, হা করে পুতুলে মতো বসে আছে।
,,,,,,,, রি রি রিমান,, রি রি রিমান
রিমান আবার হঠাৎ করে সামনে চলে আসে,, মাহুয়া জোরে চিৎকার দেয়।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, এ এ এটা কি ছি ছি ছিলো, ম ম মজা ক করছো তা তা তাই না।
রিমান,,,,,,,,,, এক দমি না। আমি সত্যি একটা জ্বীন।
মাহুয়া এক চিৎকার করেই শেষ অজ্ঞান, রিমান তার জ্ঞান ফিরাই,,, মাহুয়ার জ্ঞান ফিরতেই রিমানকে এক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, রিমান কোথায়,, কে আপনি,,
কি করেছেন রিমানের সাথে।
রিমান,,,,,,,,,, আরে দূরররর আমিই রিমান,, দেখো মাহু।
,,,,,,,,,, না আপনি রিমান না, বলেন কোথায় রিমান।
,,,,,,,,,, আরে আমিই রিমান একটা জ্বীন শুধু আমি না আমার বোন, মা, বন্ধু আরাব তার গার্লফ্রেন্ড সবাই জ্বীন।
,,,,,,,, কি তার মানে ঐ দিন পার্টিতে আমি সব জ্বীন-ভূতের সাথে পার্টি করেছি আল্লাহ কি কয়। আমাকে মেরে আপনি কি পাবেন আমার তো টাকা পয়সাও নায়।
,,,,,,, আজব তো তোমাকে মারবো কেনো।
,,,,,,,,,, আমি মুভিতে দেখেছি জ্বীনরা মেয়েদের ফাসিয়ে মেরে ফেলে।
,,,,,,,,,, এর মুভি 🤬🤬,,, কে বানায় এই সব মুভি একবার খালি পাই।
মাহুয়া,,,,,,, এমন কেনো করলা।
রিমান,,,,,,,,,,, মাহুয়া বুঝার চেষ্টা করো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি,, আমার বাবা মানুষ সে আমার মাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে, আমার মা জ্বীন ছিলো তাই আমিও জ্বীন হয়েছি।
আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি সত্যি, আমার মা জ্বীন হলেও আমার মার মতো শাশুড়ী কোথাও পাবে না।
,,,,,,,,,,, পাবেই না তো, জ্বীন শাশুড়ী কয় জনে পায়।
,,,,,,,,, আমার মতো ভালোবাসার কেও পাবে না।
,,,,,,,,,, জ্বীন বয়ফ্রেন্ড কয় জনে পায় বলেন।
,,,,,,,, আমার বাবার শশুর পাবে না,,,,,,, এবার বলো আমার বাবার মতো মানুষ শশুর কয় জনে পায়।
,,,,,,,,, ঠিকি তো যে জ্বীনকে বিয়ে করেছে, সারা জীবন জ্বীনের সাথে কাটিয়েছে এমন শশুর কয় জনে পায়।
,,,,,,,,, ও ভাই মারো মুজে মারো 😣😣
,,,,,,,,,, আচ্ছা ঠিক আছে,, আগে নিজের আসল রুপটা দেখাও পরে দেখছি।
,,,,,,,,, আসল রুপ মানে।
,,,,,, আরে শুনেছি জ্বীনরা দেখতে ভয়ানক হয় তারা রুপ পাল্টিয়ে থাকে। তাই তোমার আসল রুপ দেখাও কি করবো ভালোতো ভেসে ফেলেছি।
,,,,,,,,,, এটাই আমার আসল রুপ আর সব জ্বীনরা ভয়ানক হয় না কিছু হেন্সাম ও হয় আমার মতো।
,,,,,,,,, সত্যি
,,,,,,হুমম,, এখন জরিয়ে ধরি।
,,,,,,,, না থাক,, এখনো একটু সময় লাগবে স্বাভাবিক হতে।
,,,,,,,,ঠিক আছে আমি বাসায় পৌঁছে দিয়।
,,,,,,,,আজ তো আমও একায় যেতে পারবো।
,,,,,,,, ভালো তো বাসো আমায় তাই না।
,,,,,,,,,ভালো না বাসলে এতো ক্ষনে আমি আল্লাহর কাছে থাকতাম। আমি এখন যায়।
,,,,,,,,,,, ঠিক আছে ফোন দিয়ো৷
,,,,,, হুমম ( রিমান যেহুতু জ্বীন তাই তার কেও ক্ষতি করতে পারবে না, কোনো মানুষ তো পারবে না, যাক এই টেনশনটা দূরর হলো )
,,,,,,,,,
মুন,,,,,, কতো এতিম মা বাবা চেয়েও পায় না, আর কিছু মানুষ তাদের মর্ম না বুজে এভাবে বের কর দেয়, ছিঃ এরা মানুষ বলার যোগ্য না, আল্লাহ মানুষকে সেরা হিসাবে ঘোষণা করেছে, আর এরা কি মূল্য দিচ্ছে এর। এদের দেখে আমার মা বাবার কথা মনে পরে যায়, তাদের দেখতে ইচ্ছে করে।
আরাব,,,,,,,,,,, চলো তাদের কবর দেকে আসো।
,,,,,,,,,, মা বাবার কবর জ্বীন রাজ্যে আর আমি জ্বীন রাজ্যে যেতে পারবো না।
,,,,,,,,, কিন্তু কেনো।
,,,,,,,,,, জ্বীন রাজ্য যাওয়ার জন্য সব জ্বীনের কাছে একটা মহর থাকে,, আর যানি না কিভাবে আমার সাতে সাথে আমার সাথিরও মহর হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়ে গেছে। আর মহর ছাড়া জ্বীন রাজ্যে প্রবেশ নিষেধ।
আরাব,,,,,,,, আমি তোমার জন্য মহর এনে দিবো।
মুন,,,,,,,, সত্যি।
আরাব,,,,,,,,,,, হুমম।
মুন,,,,,,,, আমার মহরের সত্যিই প্রয়োজন কারো সাথে পুরানো হিসাব মিটাতে হবে।
আরাব,,,,,,,, ( আমি ভুলেই গেছি, না মুনকে মহর দেওয়া যাবে না তাহলে মুন সব যেনে যাবে ) আচ্ছা মুন তুমি বাসায় যাও আমিও যাচ্ছি,, রাত হয়ে গেছে।
,,,,,,
রিমান বাসায় আসে সাথে আরাব ও।
রিমান,,,,,,,, তুই সারাদিন এখানেই ছিলিতো,, রিমি ঠিক আছে তো।
ফারহান,,,,,,,,,, হুমমম ( রাগে )
আরাব,৷৷৷ , তুই কি রেগে আছিস।
রিমান,,,,,,,,, আরে ঐ পাগলিটার সাথে থাকলে রাগ উঠা কোনো বড়ো ব্যাপার না। আমাকেই দেখ বড়ো জোর দুমিনিট ভালো থাকতি পারি রিমির সাথে৷
আরাব,,,,,,,,,, কি করেছে রিমি।
ফারহান,,,,,,, কিছু না।
রিমান,,,,,,,,,, আরে বল না।
ফারহান,,,,,,,,, তোর বনের বিয়ে করে পাগল হয়ে গেছে, বলছে আমি বিয়ে না করলে অন্য কাওকে করবে৷ ( রাগে )
রিমান,,,,,,,, তো ঠিকি তো বলেছে সারা জীবন ওকে খাওয়াবে কে, তকে বলছে বিয়ে করতে না করলে ও কি করবে।
আরাব,,,,,,,,,, এতে রাগার কি আছে।
রিমান,,,,,,, এখন বুঝছিস না, যখন আমার বনের বিয়ে, তারা হানিমুনে যাবে ফিরে এসে রিমির বাচ্চারা তোকে বাবার জায়গা মামা মামা ডাকবে তখন বুঝবে আর,,,,,,
আর কিছু বলার আগেই ফারহান রিমানকে ধরে সোফায় ফেলে তার উপর বসে পিটাচ্ছে।
ফারহান,,,,,,,,, শালা তোর বোনও কিছু ক্ষন আগে আমাকে এই কথা গুলোই বলেছে,, এই কথা গুলো এখনো আমার মাথা থেকে যায় নি আর তুই রিপিট করছিস।
রিমান,,,,,,,,,,, ওই সত্যি সত্যি মারতাছে ব্যাথা লাগতাছে ছাড়। ওই আরাব ছাড়া কি মজা নিতাছোস।
আরাব,,,,,,,, তোরে মার খেতে দেখে মজা লাগতাছে।
রিমান,,,,,,,,, শালা তোর তো মজাই লাগবো,,,, ওই আমার মুখে মারবি না,, যানোস আমার ফেছের কতো দাম।
ফারহান,,,,,,,,,,, তোর বোনের উপর যা রাগ আছে সব তোর উপর দিয়ে মিটামু।
দুই জন দুই জনকে দিচ্ছে ইচ্ছে মতো।
আরাব,,,,,,,,, অনেক হয়েছে ছাড় এবার।
রিমান,,,,,,,,, এতো ক্ষনে আয়ছে,, তোর জন্য মার গুলো খায়ছি।
রিমান ও আরাবকে ধরে মারা শুরু করে,, তিন জনে মারা মারি শুরু হয়ে যায়।
আরাব,,,,,, ফারহান আমি তোরে কি করছি তুই মারোছ কেন।
ফারহান,,,,,,,,, আমার রাগ উঠছে তো কাওকে মেরে ঠান্ডা করতে পারলেই হলো।
আরাব,,,,,,, তাই না আয় ঠান্ডা করছি তকে।
তিন জনে মারামারি করতে করতে ঘরের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।
রিয়াদ ( রিমানের বাবা),,,,,,,,,, বা আমার ঘরে দেখা যায় মুভি চলছে,, পাপকন আনি নাই, না হলে বসে দেখতাম আর খেতাম।
তিন জনে চুপচাপ এক জন আরেক জনের কাঁধে হাত দিয়ে রেখেছে।
বাবা,,,,,,,,, আহা সব গুলো দুধে ধোঁয়া তুলসি পাতা,, তা কি জন্য এমন মারামারি।
রিমান,,,,,,,, কে মারামারি করছে
আরাব,,,,,,, আমরা তো খেলছিলাম।
ফারহান,,,,,,,,,, আমরা কি মারামারি করতে পারি।
বাবা,,,,,,,, এতো ভদ্র মানুষ তো আমি জীবনে দেখি নাই সাথে জ্বীনও। তোমরা তো মারা মারি করছিলে না ভালোবাসছিলে তারি দাগ মুখে দেখা যাচ্ছে।
রিমান,,,৷৷ ,,,, এটা তো বাবা মেকাপ
বাবা,,,,,,,,, তুমি যে স্কুলে পরো তার হেডমাস্টার ছিলাম আমি।
রিমান,,,,,,,, তো কি হয়ছে এখন তো রিটায়ার হয়ে গেছো৷
আরাব,,,,ফারহান,,,,,,,😆😆
বাবা,,,,,,,,,, বেশি কথা বললে না পকেটে মানি থাকবো না,।
রিমান,,,,,,,,, বাবা তুমি মনে হয় ভুলে গেছো এক বছর আগে তোমার থেকে টাকা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
আরাব,,,,ফারহান,,,,,,😆😆
রিমান,,,,,,,,, অনেক দিন হলো জুতার বারি ও খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে শুরু করমু,, আর তোমরা দুজন অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না অন্য সময় তো বলো আমি নাকি তোমাদের বাবার মতো,, তোমরাও তো আমার ছেলের মতো, তো এখন আমার ছেলেকে যা দিমু তোমাদের ও দিয়।
আরাব,,,,,,,,, আমি রিমিকে দেখে আসি।
ফারহান,,,,,,,,, রিমিকে ঔষধ দিতে হবে।
বলে উপরে যেতে থাকে।
রিমান,,,,,, ( শালা ) আমিও রিমিকে দেখি নি,, আহারে আমার বোনটাকে দেখে আসি না জানি কি অবস্থায় আছে।
রিমান ও দৌড়ে চলে যায়।
সবাই দৌড়ে রিমির রুমে তাড়াতাড়ি ডুকে। রিমি লাফ দিয়ে উঠে।
রিমি,,,,,,,, কি হয়ছে কি হয়ছে।
আরাব,,,,,, তোকে দেখতে এলাম ( হাঁপাতে হাঁপাতে)
রিমান,,,,,,,,, কেমন আছোস
রিমি,,,,,,,,, ভালো,, তোরা কি প্রতিযোগিতা করছিলি যে কে আগে আমার রুমে আসতে পারে।
রিমান,,,,,,,,, হ হ,,,,,, তোর ঠোঁটে কি হয়েছে এমন ফুলে গেছে কেন।
রিমি,,,,,,,,, ফারহানের দিকে তাকিয়ে বলে,, একটা পোকা কামড় মারছে।
আরাব,,,,,,, বিষাক্ত পোকা ছিলো মনে হয় অনেকটা ফুলে গেছে।
রিমি,,,,,,, অনেক বিষাক্ত ছিলো।
রিমান,,,,,,,, এক মিনিট এটা তো অন্য কিছু কামড় লাগছে দেখি একটু।
আরাব,,,,,, দেখি,,
রিমি তার ঠোঁটে হাত দিয়ে ঢেকে রাখে।
ফারহান,,,,,,,,, চল সবাই করোনা সময়ে বাহিরে থেকে এসে আগে হাত মুখ ধুতে হয়। যা যা
রিমান,,,,,, আরে দেখতে তো দে
ফারহান,,,,,,,, আরে আয় আগে ফ্রেশ হ।
ফারহান কোনো মতে দুজনকে ধাক্কিয়ে নিয়ে যায়।
চলবে,,,,,,,
জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 15
ফারহান কোনো মতে দু’জনকে ধাক্কিয়ে নিয়ে যায়।
খাবার টেবিলে,,,,,,,
আরাব,,,,,,,,,,,, কালকে আমরা এখান থেকে দূরে বাগান বাড়ি চলে যাবো রিমিকে নিয়ে, সব ঠিক হয়ে গেলে ফিরবো।
রিমি,,,,,,,,, কেনো ভাইয়া এখানে কি হয়েছে।
রিমান,,,,,,,,,, এখানে দাদু দাদি আছে, তারা এই বিষয়ে কিছু জানে না, আর আশেপাশে পাড়াপ্রতিবেশি আছে, সে দিন কি হবে আমারা কেও জানি না তাই নিরিবিলি জায়গা যাবো।
ফারহান,,,,,,,,,, রিমির সামনে এইভাবে বলিস না ও ভয় পাবে।
রিমি,,,,,,,,, আমি ভয় পায় না, কপালে যা আছে তাই হবে,, আমার শরীর দুর্বল হতে পারে আমার মনের জোর না।
রিমান,,,,,,,,,, আমার বোন হয়ে এতো বড়ো বড়ো কথা কিভাবে বলছিস।
রিমি,,,,,,,,, সবাইকে নিজের মতো মনে করো না।
রিমান,,,,,,,,, মনে করিও না সবাই আমার মতো হেন্সাম, সাহসী আরো না জানি কতো কি হতেই পারে না।
ফারহান,,,,,,,,, শুরু হয়ে গেছে।
রিমান,,,,,,,,,,, কাজের কথায় আশা যাক, আমরা যেহেতু একটা জায়গা যাচ্ছি তাই আমার গার্লফ্রেন্ডকে ও নিয়ে যাবো, রিমির একা একা বড়িং লাগবে কোনো মেয়ে না থাকলে।
ফারহান,,,,,,,,,, আমি আছি রিমির বড়িং লাগবে না তাই না রিমি।
রিমি,,,,,, হুমম
আরাব,,,,,,,,,,, তোরা দুজন ঘুরবি তো আমার আর রিমানের বোরিং লাগবে, তাই নিয়ে যেতে দে।
ফারহান,,,,,,,,,,, আগেও তো কতো ঘুরছি কই লাগে নাই তো। আর কি যেনো বলতি তোরা থাকলে আমার আর কেও লাগে না।
আরাব,,,,,,,,,, আরে নিয়ে যেতে দে বিচারার নতুন নতুন প্রেম।
রিমান,,,,,,,,,,, আমার জন্য তোর এতো দরদ উথলাইয়া উঠতাছে হঠাৎ,,, আসল কথাটা বলেন শুনি।
আরাব,,,,,,,,, আসল কথা আবার কি।
রিমান,,,,,,,,,, চুপচাপ আসল মতলবটা বলো, এতো প্যাচানোর দরকার নেয়।
আরাব,,,,,,,, মতলব টতলব কিছুই নাই,, আমার অনেক কাজ থাকে তাই আমার সাথে আমার এসিস্ট্যান্ট ও যাবে।
ফারহান,,,,,,,,,, কে ওই মিঃ গোস
রিমান,,,,,,,,,, ওই বুড়া বেটাকে নিয়ে কি করবে।
আরাব,,,,,,,,,, হুমম,,, না মানে ওনার বয়স হয়ছে ওনি যেতে পারবে না।
রিমান,,,,,,,,,, মিস্ মুন জোয়ান আছে ওনি যাবে তাই না।
আরাব,,,,,,,,,, হুমম,,এভাবে বলার কিছু নাই। তাছাড়া ও জ্বীন দরকারে সাহায্য করতে পারবে।
রিমান,,,,,,,,,,, এখন আসছো আসল কথায়,কার সাহায্য করতে পারবে তা আর বুঝার বাকি নায়।
রিমি,,,,,,,,,, আমার জন্য যাচ্ছো নাকি নিজেদের গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছো কিছু বুঝলাম না,, যাই হোক আমার খাওয়া শেষ আমি যায়।
রিমি সোজা উপরে উঠে যায়।
আরাব,,,,,,,,,, গার্লফ্রেন্ড না জাস্ট ফ্রেন্ড শুন ঐ,,,
রিমান,,,,,,,,,,,, কিস করে বলো গার্লফ্রেন্ড না জাস্ট ফ্রেন্ড।
আরাব,,,,,,,, তুই কিভাবে জানলি কিস করছি।
রিমান,,,,,,,,,,, কিহহ তার মানে সত্যি কিস করছোস,, আমি তো আনতাজি ঢিল মারলাম।
ফারহান,,,,,,,,, ধরা খেয়ে গেছে৷
রিমান,,,,,,,,, কতো অসহায় ছেলে বিয়ের পরে নিজের বউকে কিস করতে পারে না আর তুই কিস করে বলিস জাস্ট ফ্রেন্ড শালা তোর তো ফাঁশি হওয়া উচিত।
আরাব,,,,,,,, কে দিবো আমাকে ফাঁসি।
রিমান,,,,,,,,,,, সিঙ্গেল কমিটি,,,
ফারহান,,,,,,,,,,, বিয়ে পরে কেও যদি জিজ্ঞেস করে এটা আপনার কে হয়,, তাহলে কি বলবি জাস্ট বউ🤣😂
রিমান,,,,,,,,, ঐটা ছাড়,, বাচ্চা হওয়ার পরে কেও জিজ্ঞেস করলে কি বলবে,,,,,, ও জাস্ট আমার বাচ্চার মা,, এটা বলবি৷ 🤣😂
আরাব,,,,,,,,,, চুপ করবি।
রিমান আর ফারহান হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছে পড়ে যাচ্ছে প্রায়,, রিমান তো পড়েই যাই। তাও হাসছে।
রিমান,,,,, বিয়ের পর ভাবীকে বলবে,, তুমি আমার জাস্ট বউ, আমি তোমার জাস্ট হাসবেন্ড। 🤣😂
আরাব,,,,,,,,,,, তিলকে তাল বানাতে তোদের জুটি নেয়৷ দূরর আমি যাচ্ছি।
সকালে,,,,,,,,,,,,,,
সবাই রিমানদের বাসায় আসে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, রিমান আমি আবারো বলছি আমি যাবো না তোমার সাথে।
রিমান,,,,,,,,,,,,, কিন্তু কেনো।
মাহুয়া,,,,,,,,,,,, সেটা আমি বলতে পারবো না,, কিন্তু আমার না যাওয়াটাই ভালো।
রিমান,,,,,,, তুমি যাবে মানে যাবে আর কিছু শুনতে চাই না৷
আরাব সবাই গাড়িতে বসো এক ঘন্টায় আমরা পৌঁছে যাবো।
ফারহান,,,,,,,,,, এতো দূর রাস্তা এক ঘন্টায় কিভাবে যাবো।
আরাব,,,,,,,,,,,, এটা আমার গাড়ি এক ঘন্টায় কেনো এক মিনিটে নিয়ে যেতে পারি, বসো সবাই।
মাহুয়া,,,,,,,,,,,,, ( সাবধানে মাহুয়া তোর আশেপাশে সব জ্বীন )
আরাব ড্রাইভ করছে মুন তার পাশে বসা, পিছনে ফারহান রিমি,, তার পিছনে রিমান মাহুয় বসেছে)
রিমি,,,,,,,,,,,, বাহিরে তো কিছুই দেখা যাচ্ছে না এতো দ্রুত যাচ্ছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, আমি সব সবুজ সবুজ দেখতে পারছি।
রিমান,,,,,,,,,, বাহিরে কেনো তুমি আমাকে দেখো না।
রিমি,,,,,,, তোর এই এক বাজে মুখ প্রতিদিন দেখতে দেখতে বোর হয়ে গেছে তাই বাহিরে দেখছে।
রিমান,,,,,,,,,,,, তোর চেহেরা তো দেখার মতোই না, দেখ তাই ফারহান তোকে না দেখে মোবাইল এ কথা বলছে।
ফারহান,,,,,,,,,, ভাই আমাকে কেনো ফাসাচ্ছিস।
রিমি,,,,,,,,, আরেক বার এই মোবাইল তোমার হাতে দেখলে মোবাইলের সাথে সাথে তোমার হাতও থাকবে না বলে দিলাম।
ফারহান তাড়াতাড়ি মোবাইল তার পকেটে ঢুকায়।
কিছু ক্ষন পর,,,,,,,,,,
আমরা এসে গেছি সবাই নামো।
রিমি,,,,,,,,,, কোন রাস্তা দিয়ে আসলাম কিছুই দেখতে পারলাম না,, একা একা হারিয়ে যাবো, আমি তো জীবনেও বাসায় ফিরতে পারবো না।
রিমান,,,,,,,,, আমি তোমাকে হারাতে দিবো না।
মুন,,,,,,,,,, ওয়াও জায়গাটা কি সুন্দর।
মাহুয়া,,,,,,,,, পুরোই স্বনের মতো।
রিমি,,,,,,,,,,, ছোট বেলা ছুটিতে আমারা এখানে আসতাম।
আরাব,,,,,,,,,, চলো সবাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সব বলে ফেলবে আগে ভিতরটা তো দেখো।
সবাই মেইন গেইট খুলে ভিতরে যায়৷
চারপাশে অনেক গাছপালা,, ভিতরে পার্কের মতো, সবুজ ঘাস, নানা ধরনের ফুল,, সুইমিং পুল, বাগানের শেষে একটা সুন্দর কাঠের বাড়ির মতো। বাগানে একটা বড়ো গাছ ও আছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, বাড়িটা কি সুন্দর
মুন,,,,,,,,, আমার তো এই বড়ো গাছটা বেশি পছন্দ হয়েছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, এই সব গাছে জ্বীন-ভূত থাকে, এর কাছে না যাওয়ায় ভালো।
এটা বলার সাথে সাথে সবাই মাহুয়ার দিকে তাকায়। সবার তাকানো দেখে মাহুয়ার মনে পড়ে,,
মাহুয়া,,,,,,,,,, সরি ভুলে গেছিলাম 😅😅 ( এতো বড়ো গাছ জ্বীন ছাড়া আর কার পছন্দ হবে )
আরাব,,,,,,,, আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে। ভিতরে চলো।
সবাই বাড়ির ভিতরে যায়।
মুন,,,,, বাহিরে থেকে বুঝা যায় না ভিতর থেকে এতো বড়ো।
ফারহান,,,,,,,,,,,,, সবাই ফ্রেশ হয়ে নাও আমরা একটা ফেমাস রেস্টুরেন্টে যাবো খেতে,, সেখানে ঘুরার মতোও অনেক কিছু আছে। কাল থেকে ওই রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আসবে আজ আমরা গিয়ে খাবো।
সবাই ফ্রেশ হয়ে রেস্টুরেন্টে যায়।
আরাব,,,,,,,,, তোমরা মেয়েরা একটু সাবধানে থাকবে।
রিমি,,,,,,,, কেনো।
রিমান,,,,,,,,, এখানে একটা জোকার আছে, এই রেস্টুরেন্টের মালিক সুন্দর মেয়ে দেখলেই পিছনে লাগে৷
ফারহান,,,,,,,, আমি তো এটা বুঝি না এই পাগল লোকটা এতো বড়ো রেস্টুরেন্ট সামলায় কিভাবে।
বলতে না বলতে এাসে হাজির।
,,,,,,,,,,,, আরে আপনারা অনেক দিন পর আসলেন,,আপনাদের জন্য টেবিল বুক করা আছে। সুন্দর করে সাজানো আছে।
আরাব,,,,,,,,,,, হুমম চলুন।
,,,,,, আমি আপনাদের বলছি না,, এনাদের বলছি, আপনারা আসাতে আমার রেস্টুরেন্ট আলোকিত হয়ে গেছে।
রিমি,,,,,,,,,,, রেস্টুরেন্ট তো আগে থেকেই আলোকিত কতো গুলো লাইট লাগানো।
,,,,,,,,,,, আপনার মতো আপনার কন্ঠটাও না অনেক সুন্দর।
রিমি,,,,,,,,, thanks.
ফারহান,,,,,,,,,,,,,, এর দিকে তাকালে এমন জায়গায় ইনজেকশন ঢুকাবো যে এটা বের করতেও আমার কাছেই আসতে হবে। ( লোকটির কানে কানে ) চলো রিমি৷
মুন,,,,,,, কি হলো আপনি ভয় পেলেন নাকি৷
,,,,,,,,, না না ভয় পাবো কেনো,, এনি আপনাদের কে হয়।
রিমান,,,,,,,,,, আমার বোনের মতো আর আরাবের জাস্ট ফ্রেন্ড।
,,,,,,,, ওও তাহলে ঠিক আছে,,, আপনার নাম কি
মুন,,,,,,,,,,, মুন
,,,,,,,,,, মুন মানে তো চাঁদ আপনি চাঁদের মতোই সুন্দর।
রিমান,,,,,,,,,,,, ভাই চুপ করে যান, এনি আরাবের জাস্ট ফ্রেন্ড,, এর সাথে ফ্লাট করলে আপনাকে জাস্ট গাছে ঝুলিয়ে রেখে দিবে।
মুন,,,,,, চলো আরাব।
,,,,,,,,,,, ঐ দুটো মেয়ে কিন্তু এতো সুন্দর ছিলো না যতটা আপনি,, আপার দিকে তো সারা দিন তাকিয়ে থাকা যাবে।
রিমান,,,,,,,,,,, হিহিহি হেসে হেসে লোকটির কাঁধে হাত রাখে।
,,,,,,,,,,, কি হলো এখন আবার কার সমস্যা৷
রিমান,,,,,,,,,, আমার,, কিন্তু আমি বেশি কিছু করবো না শুধু আপনার হাত পা ভেঙে গলায় ঝুলিয়ে রেখে দিবো, তারপর আপনার মার্বেলের মতো চোখ দুটো খুলে একটা কাঁচের বাক্সে ভরে আমাদের বেড রুমে রেখে দিবো যতো খুশি দেখবেন।
,,,,,,,,,, বুঝেছি যান আপনারা বসেন কিছু লাগলে আমাকে না ওয়টারকে বলবেন।
রিমান,,,,,,,, চলো ডার্লিং।
ফারহান,,,,,,, ভালো করে বলেছিস না যাতে এদিকে না আসে।
রিমান,,,,,,,,,, এদিকে চোখও দিবে না।
সবাই খাওয়া দাওয়া করে চারদিকে ঘুরে চলে আসে।
রিমি,,,,,,,,,, আজকের দিনটা অনেক ভালো ছিলো
রাত হয়ে গেছে,,, সবাই বাগানে আগুন ঝালিয়ে মজা করছে, গান গাইছে।
কিছু খন পরে তিন জন আলাদা হয়ে বসে কথা বলতে থাকে।
মাহুয়া রিমানের এক হাত শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে৷
রিমান,,,,,,,,,,, কি হয়েছে মাহু।
মাহুয়া,,,,,,,,, আমার অনেক ভয় করছে।
রিমান,,,,,,,, কেনো আমি আছি তো।
মাহুয়া,,,,,,,,,, তোমাকে হারানোর ভয় করছে, যাই হয়ে যাক একটা কথা সব সময় মনে রাখবে, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, সব কিছু মিথ্যা হতে পারে কিন্তু আমার ভালোবাসা না। ( কান্না করে )
রিমান,,,,,,,,,,, আমি জানি,, যাই হয়ে যাক আমি তোমার পাশে আছি।
,,,,
রিমি,,,,,,,,,,,, ফারহান আজ আমাকে একটা ওয়াদা করো চিন্তা করো না বিয়ের কথা বলবো না।
ফারহান,,,,,,,,,,, বলো৷
,,,,,,,,, আমি এই পৃথিবীতে না থাকি তাহলে তুমি ভেঙে পরবা না।
,,,,,,,, রিমি চুপ এইসব কথা বলবি না।
,,,,,,,, আমাকে বলতে দাও পরে চলে গেলে ভাববে কেনো বলতে দিলাম না,,, না জানি কি বলতো।
,,,,,,,, তুই কোথাও যাবি না, আমার কাছে থাকবি সারা জীবন।
,,,,,,,,,,, যেতে কে চাই,,,,, কিন্তু কিছু উল্টো পাল্টে হয়ে গেলে নিজেকে সামলে নিবে,,, তুমি মুখে না বললেও আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো। তাই না
,,,,,,,,, জানি না।
,,,,,,,,,,, অপেক্ষা করবো তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি শুনার জন্য।
,,,,,,,,,,,,,, ( আমি তোর সাথে সারা জীবন বাঁচতে চাই, এভাবেই তোর মাথা আমার কাঁধে রাখতে চাই )
রিমি,,,,,,,,,,,, ফারহান
,,,,,,, হুমম
,,,,,,,,,,, আমার কেনো জানি ভয় করছে, মনে হচ্ছে কিছু একটা খারাপ হবে আজকে।
,,,,,,,,,,, কিছু হবে না আমি আছি না। ( কেনো জানি আজ ভয় আমারো হচ্ছে )
,,,,,,,,,,,
মুন,,,,,,,,,, আরাব তুমি এতো চুপচাপ কেনো, কিছু দিন ধরে দেখছি মন খারাপ কি হয়েছে।
আরাব,,,,,,,,,,, কোথায় কিছুই তো হয়নি।
মুন,,,,,,,,,,,, সত্যি তোমার কিছু হয়নি।
,,,,,,,, না আমি ঠিক আছি।
,,,,,,,, ঠিক থাকলে নিশ্চয়ই খেয়াল করতে আজ আমি তোমাকে তুমি বলে ডাকছি।
,,,,,,,,,,, ও হ্যাঁ, আজ হঠাৎ তুমি করে ডাকছো যে।
,,,,,,,,,,, তোমার প্রতি ভালোবাসা বেরে গেছে হঠাৎ করে তাই হঠাৎ করে তুমি ডাকছি।
,,,,,,,, ভালোবাসা কমবে না তো।
,,,,,,,,,, কমবে কেনো এটা আবার কেমন কথা।
,,,,,,,,,, না যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তোমার সাথে, আর সেটা মনে পরে গেলে।
,,,,,,,,,, এমন কোনো অন্যায় করো নি তুমি।
,,,,,,,,,, সব ভুলের তো ক্ষমা হয় তাই না।
,,,,,,,,, না সব ভুলে ক্ষমা হয় না।
,,,,,,,,, কেনো কাকে তুমি জীবনে ক্ষমা করবে না।
,,,,,,,,,, আছে এক পাপি,, সামনে পেলে হয়তো তাকে আমি মেরেই ফেলবো, জীবনে তাকে ক্ষমা করবো না। বাদ দাওতো এতো ভালো মূহুর্ত তার জন্য খারাপ করতে চাই না।
,,,,,,,,,,,, হুমম,,,, ( কিভাবে বলবো তোমার সব থেকে ভালোবাসার লোকটিও আমি আর ঘৃণা করার লোকটিও আমিই, কোন মুখে তোমার কাছে মাফ চাইবো )
,,,,,,,,,,,, চলো চলে যায় ভালো লাগছে না,,রাত অনেক হয়েছে ঘুমাবো।
,,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,, যেহেতু রিমির শরীরটা ভালো না তাই তোমরা দুজন থেকে যে কোনো একজন রিমির সাথে থাকো।
মুন,,,,,,,,,,, আমি থাকবো।
মাহুয়া,,,,,,,,, আমিও থাকবো, আমার একা একা ভয় করবে।
আরাব,,,,,,,,, ঠিক আছে কিন্তু রিমি কোথায়।
ফারহান,,,,,,,,, রিমি ঘুমিয়ে পড়েছে তাই ওর রুমে ওকে শুয়িয়ে দিয়েছি।
মুন,,,,,,,, তাহলে আমরাও যায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
সবাই যার যার মতো ঘুমিয়ে যায়।
গবীর রাতে,,,,,,,
রিমান ওয়াশ রুমে যাওয়ার জন্য উঠে,, কিছু একটার শব্দ পেয়ে বাহিরে একটু উকি দিয়ে দেকে কেও একজন দাঁড়িয়ে আছে।
রিমান বাহিরে গিয়ে কাধে হাত দিতেই মাহুয়া চিৎকার করে উঠে।
সাথে রিমানোও লাফ দিয়ে উঠে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, তুমি এখানে। এভাবে কেও গায়ে হাত দেয় আরেকটু হলে মরেই যেতাম।
রিমান,,,,,,,,, তুমি এতো রাতে বাহিরে কি করো।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, জানি না হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে যায়, জালানা দিয়ে শব্দ আসছিলো তাই বাহিরে তাকিয়ে দেখি কেও একজন বসে আছে, তাই দেখতে এলাম কিন্তু কেও নেয়।
রিমান চারপাশ ভালো করে তাকিয়ে দেখছে, হঠাৎ করেই ঝাড়া থেকে কিছু উড়ে গেলো।
রিমান,,,,,,,,,,, ( মনে হয় মাহুয়ার কোনো ক্ষতি করতে চাইছে, কারন এখানে শুধু মাত্র মাহুয়া দুর্বল ) আর কখনো এভাবে একা আসবে না, যাও গিয়ে ঘুমাও।
রিমানও চলে যায়।
সকালে,,,,,,,,,,,
সবাই বসে আছে গল্প করছে, হঠাৎ করেই রিমি জোরে চিৎকার করতে থাকে। মাটিতে পড়ে ছটফট করতে থাকে।
সবাই রিমিকে ধরে।
,,,,,,,,,, কি হয়েছে কি হয়েছে তোর।
রিমি,,,,,,,, ভাই আমার পিঠ ফেটে যাচ্ছে, আমি এই ব্যাথা সহ্য করতে পারছি না।
রিমান,,,,,,,,,,, পিঠ ব্যাথা করছে মানে,,, তোর লকেট কোথায়।
রিমি ছটফট করছে আর চিৎকার করছে, রিমিকে কোলে করে রুমে নিয়ে যায়,,,রিমিকে এভাকে দেখে সবার অবস্থা খারাপ।
ফারহান,,,,,,,,, আজকেই কি হবে।
আরাব,,,,,,,,,,,, না আজ না তবে কাল রাতে হবে,, তাড়াতাড়ি লকেট খুঁজো, এই ব্যাথা কিছু খন পরে চলে যাবে। লকেট না পাওয়া গেলে রিমিকে কাল বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে।
চলবে,,,,,,,,