জ্বীন রহস্য ( love story) ❤Season 2,Part 31,32

জ্বীন রহস্য ( love story) ❤Season 2,Part 31,32
Writer Maishara Jahan
Part 31

রি,বাবা,,,, বা ভা কিছু প্লেন করে রেখেছে।

রিমান,,,,,,,,,,,, আবার জিজ্ঞায়।

রি,বাবা,,,,,,,, তাহলে বিয়েটাও করে নিতি আমাদের বলার কি দরকার ছিলো।

রিমান,,,,,,,,,,,,,, বললাম না হলে কিন্তু তোমাদের না বললে বিয়ের খরচটা আমাদের দিতে হতো তাই বল্লাম৷

রি,,বাবা,,,,,,,, ওরে বাটপার ,,, তুই আমার আসল ছেলে কিনা ঐটা আমার সন্দেহ হচ্ছে না, এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে তুই মেহুর ছেলে নাকি। মেহু মনে করে বলো হসপিটালে আমার ছেলের জায়গা অন্য কাওকে নিয়ে আসনি তো।

মেহু,,,,,,,,,,,, রিমান যদি শান্ত শিষ্ট ভদ্র থাকতো তাহলে আমি ভাবতাম হয়তো এটা তোমার সন্তান না৷

সাথে সাথে সবাই হেসে দেয়।

রিমান,,,,,,,, এখানে ভদ্রটা আবার কে।

আ,,,মা,,,,,, আরাব তো অনেক রাগী,, ভদ্র বলতে ফারহান আছে। এর মতো ভদ্র ছেলে হয় না৷

রি,মা,,,,,, ঠিক বলেছো।

ফারহান একটা ভাব নিয়ে রিমির দিকে তাকায়।

রিমি,,,,,,,,,,,, ভদ্রতায় একদম উল্টায়া পড়তাছে হুহহ ( মুখ ভেঙ্গিয়ে )

ফা,,বাবা,,,,,,,, একদম আমার মতো হয়েছে তাই ভদ্র।

ফা,,মা,,,,,,, মানে আমি কি অভদ্র নাকি।

ফা,,বাবা,,,,,,,, আমি তা বলেছি নাকি।

রি,,,বাবা,,,,,, দেখ ফারা দেখ সবার সামনে তোকে অভদ্র বলছে,, এতো বড়ো অপমান ধর্মে সইবে না।

ফা,,বাবা,,,,,,,,,, ঐ কয় দিন পর ছেলে মেয়ে বিয়ে দিবি এখন প্যাচ লাগানো সভাবটা ছাড়।

ফা,,,মা,,,,,,,,, অভদ্র তাই না,, ঘরে চলো একবার,, আর তুমি যে কতো বড়ো ভদ্রলোক সেটা কেও না জানলেও আমি জানি, আইছে আমার ভদ্র হুহহ।

ফা,,,বাবা,,,,,,, রিয়াদের বাচ্চা,, আজকে আমার খবর আছে।

বিকালে,,,,,,,,,,,,

ফারহান,,,,,,,,,,, জানেমান চলো।

রিমি,,,,,,,,,,,,, কোথায়

,,,,,,,,, ডেটিং এ

,,,,,,,,,, কাল বাদে প্রশু আমাদের বিয়ে সে আজ যাবে ডেটিং এ৷

,,,,,,,,,, ওয়াদা করেছিলাম নিয়ে যাবো তাই বললাম।

,,,,,,,, কোথায় যাবে।

,,,,,,,,, যতো দূর তোমার ইচ্ছা।

,,,,,,,, সত্যি

,,,,,,, হুমম,,, চলো এখন।

,,,,,,, চলো চলো।

ফারহান আর রিমি গাড়িতে বসে রোমান্টিক গান ছেড়ে দুজনে বেরিয়ে পড়ে।

,,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,,, মাহু জানু চলো আমরা ডেটিং এ যাবো।

মাহুয়া,,,,,,,,, হঠাৎ কেনো??

রিমান,,,,,,,, ফারহান আর রিমি ডেটিং এ গেছে তাহলে আমরা কেনো যাবো না, চলো চলো ( মাহুয়াকে টানতে টানতে )

মাহুয়া গাড়ির দিকে যায়।

,,,,,, ঐ দিকে কোথায় যাও??

,,,,,,,, কেনো হেঁটে হেঁটে যাবে না কি, গাড়িতে বসবে না।

,,,,,,,,,,,, আরে রাখো তোমার গাড়ি আমরা বাইকে যাবো, ঐ দেখো বাইক।

,,,,,,,,,,, ওয়াও কি সুন্দর বাইকটা,, কিন্তু আমি কখনো বাইকে বসিনি ভয় লাগবে।

,,,,,,,,, কিসের ভয় আমি আছি না। তুমি শুধু বসো।

রিমান বসে পিছনে মাহুয়া,,, মাহুয়া দুই হাত দিয়ে বাইকের পিছনে ধরে রয়েছে।

রিমান,,,,,,,,,,,, এটা কিভাবে বসেছো, ভালো করে বসো।

,,,,,,, ভালো করেইতো বসেছি।

,,,,,,,, ঠিক আছে দেখি কতো ক্ষন এইভাবে বসে থাকো।

রিমান জোরে বাইক চালাই। মাহুয়া ভয় পেয়ে যায়৷

মাহুয়া,,,,,,,,,,, রিমান আমার ভয় করছে আস্তে চালাও (জোরে বলে)

,,,,,,,,,, সরি আমার বাইক আস্তে চলে না।

রিমান আরো জোরে বাইক চালানো শুরু করে, মাহুয়া ভয়ে রিমানকে ঝাপটে ধরে, আর রিমান তখন স্প্রিরিট কমিয়ে দেয়। মাহুয়া ছাড়তে নেয়।

রিমান,,,,,,,,, বুঝে নিও আমাকে ছাড়লে স্প্রিরিট ডাবল হয়ে যাবে।

,,,,,,,,,, শয়তান ( বলে রিমানকে শক্ত করে ধরে )

,,,,,, বলো প্রথম বার বাইকে উঠে কেমন লাগছে।

,,,,,,,,,, আমার খুব ভালো লাগছে, বলার বাহিরে।

,,,,,,,,,,

মুন,,,,,,,,,, আরাব শুনো না

আরাব,,,,,,,,, বলো না

মুন,,,,,,,,,, সবাই ডেটিং এ গেছে শুধু আমরা ছাড়া চলো না কোথাও যায়।

আরাব,,,,,,,,,, কোথায় যাবে, যানো তো এতো কিছুর ফলে আমাদের শক্তি দুর্বল হয়ে গেছে তাই কিছু দিন,,,,

,,,,,,,,,, আমরা কি যুদ্ধ করতে যাবো নাকি,, আর আমাদের সব শত্রু শেষ, চলো না যাই।

,,,,,,,,,,, ঠিক আছে চলো,, বলো কোথায় যাবে।

মুন,,,,,,, জানি না আমাকে এমনি ঘুরিয়ে নিয়ে আসো৷

,,,,,,,, ঠিক আছে চলো।

আরাব আর মুনও গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে।

,,,,,,,,,,,

রিমি,,,,,,,,,,, এই অন্ধকার হয়ে এসেছে।

,,,,,,,,,,, বিকালে বের হলে এমনি হবে। আর কোথায় অন্ধকার দেখো না রাস্তায় বাতির আলোতে আলোকিত হয়ে আছে কি সুন্দর আর রোমান্টিক। ( রিমির দিকে দুষ্টু নজরে তাকিয়ে )

,,,,,,,,,, খবর দার উল্টো পাল্টে কিছু করার কথা ভাববেও না বলে দিলাম।

,,,,,,,,,, সত্যি আমি কিন্তু ওরকম কিছু ভাবিনি কিন্তু তুমি আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছো ( গাড়ি থামিয়ে)

,,,,,,,,, মানে,, আ আ আর গাড়ি থামালে কেনো।

,,,,,,,,, বলছি,, গাড়ি থেকে নামো।

,,,,,,,, না নামবো না।

,,,,,,,,,, ঠিক আছে নামা লাগবে না।

ফারহান গাড়ি থেকে নেমে,, রিমিকে গাড়ি থেকে নামাই।

রিমি,,,,,,,,,, কি করছো কি ছাড়ো। ( হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে )

ফারহান রিমিকে গাড়ির সামনে এনে, রিমির কমরে ধরে উঠিয়ে গাড়ির সামনে উপরে উঠিয়ে বসিয়ে দেয়, আর তার হাত রিমি দুই সাইডে গাড়িতে রাখে৷

রিমি,,,,,,,,,, ক ক কি ক করছো।

,,,,,,,,, আমি তো এমন কিছু ভাবিনি,, কিন্তু তুমি অনেক কিছু ভাবতে বাধ্য করেছো, এখন কি করা যায় তোমার সাথে।

,,,,,,,,,, কিছুই না। কিছু ক করা যা যাবে না।

,,,,,,, জানেমান চাইলে অনেক কিছু করা যায় শুধু তুমি অনুমতি তো দাও।

,,,,,,,, দিবো না অনুমতি যাও।

,,,,,,, তাই ( রিমির কাছে এসে )

রিমির শ্বাস বাড়ি হয়ে আসছে, হার্ট বির্ড বেড়ে গেছে। ফারহান তার ঠোঁট রিমির ঠোঁটের কাছে আনছে,,

,,,,,,, ফা ফা ফারহান,,,,

ফারহান তার ঠোঁট রিমির ঠোঁটের অনেক কাছে নিয়ে যায়,, তখন রিমি চোখ বন্ধ করে দেয়৷ ফারহান ঠোঁটের দিকে নজর সরিয়ে রিমির চোখের দিকে তাকায় দেখে রিমি চোখ বন্ধ করে দিয়েছে।

ফারহান মুশকি হাসে,, আর রিমির কানের কাছে গিয়ে বলে,,

,,,,,,,,, তুমি না অনুমতি দিবে না আমাকে তাহলে চোখ বন্ধ কেনো করলে, আটকালে না কেনো।

রিমি চোখ খুলে, ফারহান এটা বলে সরে যেতে নেয়, রিমি শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে ঠোঁটের সাথে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। রিমি চোখ বন্ধ করে কিস করতে থাকে৷

ফারহান চমকে গেলেও পরে ফারহান দুই হাত রিমির মাথায় ধরে চোখ বন্ধ করে দেয়৷

,,,,,,,,,,

মাহুয়া,,,,,,,,,,,, অন্ধকার হয়ে এসেছে এখন।

,,,,,,,,, আরে ভয় পেওয়া না, আমি আছি না।

,,,,,,,, একটা জ্বীনের সাথে বসে আছি আবার ভয় কিসের,,আগে কেও জ্বীনের গল্প বললে ভয় পেতাম,, আর বলতাম কোনো দিন জ্বীন যেনো আমার সামনে না আসে, আর এখন দেখো জ্বীনের সাথে রাতে ঘুরে ঘুরে প্রেম করছি ভাবা যায়।

,,,,,,,,,, তা এই জ্বীনের সাথে ভয় করছে না তো।

,,,,,,,,,, এতো হেন্সাম জ্বীন থাকলে কারো ভয় করবে না।

,,,,,,, আচ্ছা

,,,,,,, হুমম এখন যদি আমাদের সামনে সাদা কাপড় পড়া কোনো কিছু এসে পড়ে তাও আমি ভয় পাবো না৷

রিমান,,,,,,,, তুমি ভয় পাবে না বুঝলাম কিন্তু আমাকে কেনো ভয় দেখাচ্ছো। এই সব কথা রাতে বলতে নেয় যদি সত্যি সত্যি এসে পড়ে।

,,,,,,, এ্যা বলে কি,, আমার কাছে জ্বীন বয়ফ্রেন্ড আছে বলে এতো সাহস হচ্ছে মনে,আর এ নিজে জ্বীন হয়ে ভয় পাচ্ছে।

,,,,,,, কি বলো কি তুমি হ্যা জ্বীন বলে কি মানুষ না আমাদের কি ভয় লাগে না।

,,,,,,,,, এ্যা কি বলছো এই সব উল্টো পাল্টে।

,,,,,,,, আচ্ছা শুনো আমি আর বাইক চালাতে পারবো না,, তুমি সামনে এসে চালাও আমি একটু রেস্ট নেয়৷

,,,,,,,, ওপারে যাওয়ার প্লেন আছে নাকি আমি বাইকে প্রথম উঠলাম চালাবো কিভাবে।

,,,,,,, আরে দুরর আমি আমার জাদু দিয়ে বাইক চালাবো তুমি চিন্তা করো না, তুমি শুধু ধরে রাখবা, আর ডানে বামে ঘুরাবো কিছু হবে না।

,,,,,,,,, ঠিক আছে তাহলে নামো আমি চালাবো ( খুশি হয়ে )

রিমান নেমে পিছনে বসে মাহুয়া সামনে, মাহুয়া বাইক চালাতে থাকে রিমান তার দুই হাত দিয়ে মাহুয়ার পেটে জরিয়ে ধরে, তার মাথা মাহুয়ার কাঁধে রাখে৷

মাহুয়া,,,,,,,,, কি হচ্ছে এসব৷

,,,,,, রাস্তায় খেয়াল করো না হলে এক্সিডেন্ট হবে বুঝেছো৷

,,,,,,,,,,,, কচু হবে,, কিছু হবে না ছাড়ো তুমি।

রিমান আরো শক্ত করে ধরে।

,,,,,,,,,, আরে এমন করছো কেনো চালানা তুমি।

,,,,,,,,,,,,

আরাব,,,,,,,,, দেখো এই রাতটা আর রাস্তাটাও কি সুন্দর তাই না।

মুন,,,,,,, হুমম

বলতে বলতে গাড়ি থেমে যাই।

মুন,,,,,,,,,, কি হলো গাড়ি থামালে কেনো।

,,,,,,, গাড়ি থামায় নি থেমে গেছে।

,,,,,,, কেনো।

,,,,,,, তেল নেয়।

,,,,,,,, গাড়িতে উঠেছো তেল আছে কিনা চেক করে উঠবে না।

,,,,,,,, তুমি এতো তাড়াহুড়া করছিলে যে দেখতে পাই নি, আর গাড়িতে বসেই হাই স্পিডে গাড়ি চালাতে বলেছো, তাই সব মিলিয়ে শেষ৷

,,,,,,,,, ওয়াও রাস্তা সুন্দর বলছিলে না এই নাও রাস্তা তোমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিলো। এখান থেকে প্রেটল পাম্প অনেক দূরে।

,,,,,,,,,, আচ্ছা উল্টো দিকে হাটতে থাকো দেখি কি হয়।

,,,,,,, এখন হাঁটতে হবে।

সমস্যা নেয় আমি তোমাকে কোলে করে নিয়ে যাবো,, যেই বলা সেই কাজ,, মুনকে কোলে করে হাঁটতে থাকে।

মুন,,,,,,,,, গাড়ি থেকে এভাবে যেতে বেশি মজা লাগতাছে।

,,,,,,, তাই তাহলে আগে বলতে কোলে করেই ঘুরাতাম।

,,,,,,,,,, তাহলে দেখা যায় আমার ভুল হয়ে গেছে।

কিছু ক্ষন হাটার পরেই বৃষ্টি নেমে আসে।

আরাব,,,,,,,,, এটা কি হলো।

মুন,,,,, নামাও আমাকে আর দৌড় দাও। দেখো কোনো জায়গা পাও নাকি দাঁড়ানোর জন্য।

আরাব আর মুন দুজনে হাত ধরে দৌড় দেয়।

,,,,,,,,,

ফারহান আর রিমি কিস করছে এমন সময় বৃষ্টির আগমন হয়।

ফারহান,,,,,,, বৃষ্টি নামার আর সময় পেলো না। গাড়িতে বসো তাড়াতাড়ি তোমার তো আবার ঠান্ডা লাগার অভ্যাস আছে।

রিমি,,,,,,,, কি গাড়িতে বসো,, তোমার গাড়ির ছাদ নেয়। কি মডেলের গাড়িরে বাবা।

ফারহান,,,,,,,,,,, আসার সময় ঐদিকে একটা দাঁড়ানোর মতো জায়গা দেখেছিলাম চলো সেখানে।

ফারহান আর রিমিও দৌড় দেয় ।

,,,,,,,,,,

রিমান,,,,,,, বৃষ্টি আসার টাইম নাই নাকি। মাহুয়া ঐ দেখো সামনে একটা জায়গা আছে সেখানে গিয়ে বাইকটা থামাও তাড়াতাড়ি।

,,,,, কিভবে থামাবো।

রিমান পিছন বাইক ধরে ব্রেক দেয়, দুজনে নেমে ঐ জায়গাটাতে দাঁড়ায়৷

জায়গাটা রাস্তার সাইডে, উপরে সুন্দর ছাদের মতো করা আর নিচে বেঞ্চ দেওয়া।

রিমান,,,,,,,,,,, ভিজা কাক হয়ে গেছি। তুমিও তো ভিজে গেছো, রিমান রুমাল বের করে মাহুয়ার মুখ মুছে দেয়।

মাহুয়া,,,,,, এই দিনে কেও বাহির হয় তাও আবার ঘুরতে,, কি হলো ভিজে গেলাম।

রিমান,,,,,,, আরে আমরা তো অল্প ভিজেছি বিচারা ফারহানের কি হবে ওর গাড়িতে তো ছাদও নেয় 🤣😂।

মাহুয়া,,,,,,, হাসছো কেনো ওরা ভিজে যাবে।

,,,,,,,,,,, আমরা ভিজা কাক হয়েছি আমও চাই ওরা ভিজা বিড়াল হয়ে যাক।

,,,,,,,, কেমন বন্ধু

,,,,,, সত্যি কারের বন্ধু এমনি হয়,,,,, যাক গিয়ে দেখো না বৃষ্টি হচ্ছে, কি রোমান্টিক পরিবেশ আশেপাশে কেও নেয়।

,,,,,,, তো৷

,,,,,,,,, একটা কিস,, পিল্জ

,,,,,,,,, যা হহ আমার লজ্জা।

,,,,,,, দিবে নাকি বৃষ্টিতে ভিজে সুইসাইড করবো।

,,,,,, বৃষ্টিতে ভিজে সুইসাইড,, আচ্ছা তোমার আর সুইসাইড করা লাগবে না। বলে চোখ বন্ধ করে দেয়। রিমান ঠোঁট ভাজ করে মাহুয়ার ঠোঁটের দিকে এগুই,, কিস করতে যাবে এই সময়,,,,

দুই পাশ দিয়ে দৌড়ে ফারহান আর আরাব আসে।

এক সাইড দিয়ে আরাব আর মুন আসে অন্য সাইড দিয়ে ফারহান আর রিমি আসে।

মাহুয়া তাদের দেখে সরে যায়,, রিমান গাড় বেকা করে ঠো ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে ওদের দিকে তাকিয়ে।

ফারহান,,,,,,,, কি করছিস এভাবে।

রিমান,,,,,,,,,, ( শালারা আর সময় পাইলো না৷) গাড় বেঁকে গেছে সোজা করছি।

ফারহান তাড়াতাড়ি গিয়ে আরাবের কোর্টটা খুলে নিয়ে নেয়।

আরাব,,,,,,,,, ঐ কি

ফারহান কোর্টটা নিয়ে রিমিকে দেয়।

রিমান,,,,,,,, ভাই কোর্টটাও ভিজা কোনো লাভ নেয় পরিয়ে এগুলো শুধু মুভিতে হয়।

ফারহান,,,,,,, আমি তোর মতো আবাল না, ও সাদা আর পাতলা ড্রেস পরেছে তাই কোর্ট পরিয়েছি।

রিমান,,,,,,,,, তোরা এখানে কি করছ।

আরাব,,,,,,, বৃষ্টিতে আটকে গেছি।

রিমান,,,,,,,, তো জাদু করে বাসায় চলে যেতি এখানে মরতে আসছস কেনো,, আসলে আরেকটু পরেই আসতি৷

রিমি,,,,,,, কেনো আরেকটু পরে আসলে কি এখানে আমাদের জন্য ঘর বানিয়ে রাখতি।

আরাব,,,,,,, আর জানোস না আমাদের শক্তি এখন দূর্বল কাজ করবে না।

রিমান,,,,,,,,,,, ওমা কি কয়,,, মাহু তাহলে তুমি বাইক চালাইলা কিভাবে।

মাহুয়া,,,,,,,, জানি না,, তুমি তো চালু করে দিছো আমি তো শুধু ধরে কোনো মতে বেলেন্স করছিলাম।

রিমান,,,,,,,, আল্লাহ বাচাইছে, তার মানে বাইক এমনি চলছিলো।

ফারহান,,,,,,,,, কি হয়ছে৷

রিমান,,,,,,,,, মাহুকে বাইক চালাতে দিয়েছিলাম, ভেবে ছিলাম আমি জাদু দিয়ে বাইক চালাচ্ছি মাহু শুধু ধরে রেখেছে।

রিমি,,,,,,,,, আল্লাহ তুই বেঁচে আছস।

রিমান,,,,,,,,, না মুর্দা দাঁড়িয়ে আছি।

আরাব,,,,,,,, তকে জীবন্ত দেখে অনেক ভালো লাগছে৷

ফারহান,,,,,,,,, বেচে যাওয়ার জন্য অভিন্দন।

রিমান,,,,,,, চুপ বেটা আমার এখন ভয় লাগতাছে।

সবাই বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে আছে। সবার মধ্যে রিমান মাহুয়াকে ধরে নেকামো করে বলছে।

রিমান,,,,,,, তোমার ঠান্ডা লাগছে আমাকে ধরো,, ইশশ ভিজে গেছে আমার বাবুটা ( মাথার চুল ঝেড়ে )

সবাই রিমানের দিকে ব্রু উঠিয়ে তাকিয়ে আছে, সে দিকে তার কোনো খেয়াল নেয়।

আরাব রিমানকে দেখে মুনের কাঁধে হাত রেখে জরিয়ে ধরে। ফারহানও ধরে৷

অনেক ক্ষন পর বৃষ্টি থামলে সবাই বাসায় যায়।

ফারহান,,,,,,,,,,,, গেলাম নায়ক হয়ে,,,

রিমান,,,,,,,, আসলাম কাক হয়ে,, এটাই সাইন্স। গিয়ে এবার সবাই শুয়ে পড়ো।

ফারহান,,,,,, রিমি তুমি তাড়াতাড়ি গিয়ে চেন্স করো না হলে ঠান্ডা লাগবে।

রিমি,,,,, হুমম

চলবে,,,,

জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer..Maishara Jahan
Part 32

ফারহান,,,,,,,,,, রিমি তুমি তাড়াতাড়ি চেন্স করো,না হলে ঠান্ডা লাগবে।

রিমি,,,,,,,, হুমম

সকালে,,,,,,,,,,,,,

আরাব,,,,,,,,,,, গুড মর্নিং সবাইকে ( হামি তুলতে তুলতে ) কি ব্যাপার আজ সবাই তাড়াতাড়ি উঠে গেছে শুধু আমি ছাড়া।

রিমান,,,,,,,,,,,, আমরা তো রাতে ঘুমাইছি তুই কি করছস কে জানে তাই হয়তো সকালে ঘুম ভাঙেনি৷

আরাব,,,,,,,,,,, কি করছি মানে, ( হামি তুলতে তুলতে )

রিমান,,,,,,,, দেখছস আমি মিথ্যা কথা বলি না।

আরাব,,,,,,,,,, তুই যে আগে দুপুর পর্যন্ত ঘুমাতি তাহলে তুই কি করতি রাতে, কাবাডি খেলতি৷

রিমান,,,,,,,,,, আমার কথা আলাদা।

আরাব,,,,,,,আলাদা কেনো তুই কি ছেলে না, নাই তোর নাই।

রিমান,,,,,,, আই তরে দেখাই আছে কি না৷

আরাব,,,,,,,,, আরে আমি তো ইচ্ছার কথা বলছি, ডার্টি মাইন্ড।

রিমান,,,,,,,, তুই যে কি মাইন্ডে বলছস এটা আমি জানি।

আরাব,,,,,,,,, তুই তো জানবিই,,, তা ফারহান বাবাজি আপনি কিচেনে কি করেন৷

ফারহান,,,,,,,,, রিমির ঠান্ডা লেগেছে তাই ওর জন্য হেলদি সুপ বানাচ্ছি।

রিমান,,,,,,,,,,, ওমা টুরু লাভ৷

আরাব,,,,,,,,,, তা আর সবাই কোথায় দেখছি না যে।

ফারহান,,,,,,,, কালকে গায়ের হলুদ না তাই মার্কেটে গেছে সবাই শুধু রিমি ছাড়া।

রিমান,,,,,,,,,, মনে হয় আমার ফোন বাঝছে আমি আসছি।

রিমান ফোন ধরতে যায় আর তখন রিমি এসে সোফায় শুয়ে পড়ে। কিছু ক্ষন পর রিমান এসে রিমির দিকে তাকিয়ে থাকে৷

রিমি,,,,,,,,,, কি হলো এভাবে দেখছিস কেনো।

রিমান,,,,,,,,, ও এইটা তুই আমি মনে করেছিলাম বালিশ,,,চিনায় যাচ্ছে না বালিশ কোনটা তুই কোনটা৷

রিমি,,,,,,,,,, তোর সাথে এখন আমার ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে না।

রিমান,,,,,,,, কিন্তু আমার তো করছে।

আরাব,,,,,,, থাম তুই,,, রিমি মার্কেটে গেলি না তুই।

রিমি,,,,,,,,,, আমার ঠান্ডা লাগছে তো তাই যাইনি।

রিমান,,,,,,,,, কিছু ক্ষন আগের ঘটনা,, কে যেনো শপিংমলে যাওয়ার জন্য ষাঁড়ের মতো চিৎকার করছিলো, ছাগলের মতো কান্না করছিলো তাকে ছেছরিয়ে ফারহান ঘরে বন্ধী করে রাখে কিছু ক্ষনের জন্য।

আরাব,,,,,,,,, ওও তাই আমি বলি কিছু খন আগে আমার কানে বিড়ালের কান্নার আওয়াজ আসছিলো কেনো।

রিমি,,,,,,,,,, আরাব ভাইয়া তুমিও,,, যাও কথা বলবো না তোমাদের সাথে।

আরাব,,,,,,,, না আমি সত্যি এমন আওয়াজ পাইছি।

রিমান,,,,,,, রিমি এই ভাবেই কান্না করছে। তা রিমি তোর ঠোঁট ফুলে গেছে কেনো চোখ ফুলার কথা।

রিমি,,,,,,,,, বিষাক্ত পোকা কামর দিছে তাই ( রাগে )

আরাব,,,,, তোরেই কেনো পোকা বারে বারে এই জায়গায় কামর দেয়৷

ফারহান,,,,,,,,,, যারা কথা না শুনে তাদের সাথে এমনি হয়।

ফারহান সুপ নিয়ে আসে, রিমির পাশে বসে, রিমিকে জোর করে উঠিয়ে বসায়। আরাব রিমান অন্য সাইডের সোফায় বসে আছে।

ফারহান,,,,,,,, নাও খা করো ( এক চামচ সুফ মুখের সামনে ধরে )

রিমি,,,,,,,,,, খাবো না, আমার খুদা নেয় ।

ফারহান,,,,,,,, চুপচাপ হা করো।

রিমি,,,,,,,, খাবো না মানে খাবো না।

ফারহান,,,,,,,,,, চুপচাপ খাও না হলে একটু আগে যেটা হয়েছে সেটা রিপিট হবে ( রিমির কানের কাছে গিয়ে ) রিমির দিকে ঠোঁট বেকিয়ে হেসে তাকিয়ে আছে।

রিমি,,,,,,,,, ( রাক্ষসটা যখনি এভাবে হাসে তখনি বিপদ আসে, এখন খেয়ে নিচ্ছি, বিয়ের পর দেখাবো এই রিমি কি )

রিমি অন্য দিকে তাকিয়ে হা করে।

ফারহান,,,,,,, গুড গার্ল

ফারহান দিতে থাকে আর রিমি জোরে জোরে চিবিয়ে খেতে থাকে।

রিমান,,,,,,,,,,,, ওরে রিমি খাওয়া বন্ধ কর রে,, আমি হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাবো। ( রিমান হাসতে হাসতে সোফায় শুয়ে পড়ে।

রিমি,,,,,,,,,,, কেনো কি হয়েছে ( রাগে )

রিমান,,,,,,,,,, তোকে দেখে ছাগলের কথা মনে পড়ে গেছে,, দুজনের মধ্যে কোনো তফাক পাচ্ছি না। ( হাসতে হাসতে )

আরাব,,,,,,,,,,,, কি ব্যাপার এমন ছাগলের মতো চিবিয়ে খাচ্ছিস কেনো।

ফারহান ও হেসে দেয়।

রিমি,,,,,,,,,, ভালো হাসো তোমরা আমি গেলাম নিচে আসাই ভুল হয়েছে।

রিমি রাগে হড় হড় করে উপরে চলে যায়।

ফারহান,,,,,,, রাগিয়ে দিলি তো।

রিমান,,,,,,,,, তুই কেনো হাসলি।

আরাব,,,,,,,, আচ্ছা তোরা কেনো শপিং এ যাসনি,,আমাকেও ডাকলি না, আমরা হলুদে বিয়েতে লুঙ্গি পড়বো নাকি।

রিমান,,,,,,,,, তোর লুঙ্গি আছে।

আরাব,,,,,,,,, না এটা তো কথার কথা বললাম৷

ফারহান,,,,,,,,, শপিং এ আম্মু গেছে৷

আরাব,,,,,,,, ওও তাহলে ভালো করছস না গিয়ে আর আমাকে না ডেকে।

রিমান,,,,,,, ফারা আন্টির আমরা যা পছন্দ করমু তা জীবনেও কিনবে না উল্টো সবার সামনে অপমান করবে, আর দাম তো বলাই যাবে না। আন্টির দাম শুনলে লজ্জায় দোকানদারকে মুখ দেখাতে পারি না।

আরাব,,,,,,,,,,, আন্টি এক হাজারের জিনিস দশটাকা দাম বলে৷

ফারহান,,,,,,,,,, তা ছাড়া মার যেটা পছন্দ করবে সেটাই কিনবে শুধু শুধু গিয়ে লাভ আছে, আর তিন জনে তো একি রকম শেরওয়ানী পড়বো।

রিমান,,,,,,,, তাও ঠিক।

ফারহান,,,,,,,,, আমি উপরে যাই মেডামের রাগ ভাঙ্গিয়ে খায়িয়ে দিয়ে আসি৷

ফারহান উপড়ে যায় সুপ নিয়ে,, রিমির রুমে গিয়ে দেখে রিমি মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।

ফারহান,,,,,,,,,,,,, এতো মুখ ফুলালে মুখ ফেটে যাবে।

রিমি মুখ ঘুরিয়ে বসে, ফারহান টেবিলে সুপটা রেখে রিমির পাশে বসে৷ রিমি উঠে যেতে নেয়, আর মাথা ঘুরে পড়ে যেতে নেয়, ফারহান ধরে বিছানায় বসায়৷

ফারহান,,,,,,, এই জন্যই আমি শপিং এ যেতে দেয়নি, কারন আমি জানি তো আপনার একটু ঠান্ডা লাগলেই মাথা ঘুরাই৷

রিমি,,,,,,,,, শপিং এ গেলে ঠিক হয়ে যেতো।

,,,,,,,,,,, কেনো শপিংমল কি কোনো জাদুঘর নাকি যে অসুস্থ হয়ে গেলে সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে,,, হ্যাঁ এটা অবশ্য ঠিক ছেলেরা যদি তার গার্লফ্রেন্ড নিয়ে যায় তাহলে বড়োলোক হয়ে যায় গরিব হয়ে ফিরে আসে।

রিমি,,,,,,,,,,,, কথা বলবা না আমার সাথে।

,,,,,,,,,, আচ্ছা দেখো এখন যদি তুমি রেস্ট না নাও তাহলে ঠিক হবে না, কাল থেকে রেস্ট বেশি নিতেও পারবে না,, এখন যদি তুমি বউ সেজে বার বার নাক টানো তাহলে কেমন দেখা যাবে, আর টিস্যু দিয়ে বার বার নাক মুছলে মেকাপও নষ্ট হয়ে যাবে।

রিমি,,,,,,,,,,, ঠিকি তো,,, কিন্তু তাও

ফারহান,,,,,,,, আচ্ছা বিয়ের পর তোমাকে শপিং এ নিয়ে যাবো যতো ইচ্ছে শপিং করো ঠিক আছে।

,,,,,,,, সত্যি

,,,,,, হুমম সত্যি

,,,,,,,,, তাহলে ঠিক আছে।

,,,,,,,,,, এখন খেয়ে নাও৷

বিকালে,,,,,,,,,,,,

রিমান,,,,,,,, ওরা কি পুরো শপিংমল কিনতে গেছে নাকি। সেই সকালে গেছে এখনো আসে না। পুরো বাড়ি সাজানো হয়ে গেলো তাদের কোনো খবর নেয়।

ফারহান,,,,,,,,,, আজকে বাবাদের পকেট খালি না করে তারা ফিরবে না ।

রিমি,,,,,,,, ইশশ কতো কিছু কিনছে মনে হয়।

রিমান,,,,,,,, ইশশ রে লোভীর মুখে পানি চলে এসেছে৷

রিমি,,,,,,,, চুপ থাক।

আরাব,,,,,,,,,,, আমার তো ভালো লাগছে না, আসছে না কেনো।

রিমান,,,,,,,,,,, তোমার যে কাকে ছাড়া ভালো লাগছে না এটা আমরা ভালো করে জানি৷

সন্ধ্যায় সবাই বাসাই আসে।,

রিমান,,,,,,,,, তোমারা আসছো আমি ভেবেছিলাম ঐখানে তোমরা ঘুমিয়ে গেছো।

আরাব,,,,,,,, তা খালি হাতে কেনো বেগ কোথায়।

মুন,,,,,,,,, সব আংকেলরা নিয়ে আসছে।

পিছনে তাকিয়ে দেখে বেগের পাহার নিয়ে আসছে তিনজনের বাবা।

রিমান,,,,,,,,,, আন্টি শপিং কিছু কম হয়ে গেলো না।

ফা,,,মা,,,,,,, দেখেছো আমি বলেছিলাম আরো কতো কি কিনার বাকি আছে।

রিমি,,,,,,,,, আমার জন্য কি কি আনছো দেখাও তাড়াতাড়ি।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, অনেক কিছু আনছি এদিকে আসো দেখাচ্ছি।

সব কিছু বের করে দেখাচ্ছে।

আরাব,,,,,,,,,,,, মনে হচ্ছে ডায়িং রুমে পুরো দোকান নিয়ে বসেছে৷

ফারহান,,,,,,,,,,, তা আমাদের জন্য কি কি এনেছো।

ফা,মা,,,,,,, তদের জন্য কিনার সময় পায়নি,, তোরা কিনে নিয়ে আয়।

রিমান,,,,,,,,,,, মার হাবা,, এটা কোনো কথা,, মানতাম না আমি, এতো গুলো বেগের মধ্যে আমাদেরটা জায়গা হয়নি।

আরাব,,,,,,,,,,,, ঐ বের হ মার্কেটে যামু।

ফারহান,,,,,,,, দাড়া দেখে নেই এতো গুলো বেগে কি এমন হাতি ঘোড়া আনছে যে আমাদের জন্য জায়গা হয়নি।

একে একে সব কিছু দেখতে থাকে।

আরাব,,,,,,,,,,,, এতো গুলা মেকাপের জিনিস কেন। ঘরে তো সবার নতুন নতুন কতো মেকাপ আছে।

রিমি,,,,,,,,,,, প্রথম বিয়ে করমু নতুন জিনিস লাগবো না।

ফারহান,,,,,,, কেনো দুটা বিয়ে করার দান্দা আছে নাকি৷

ফা,,মা,,,,,,, বিয়েতে সব নতুন পড়বে তাহলে মেকাপকি পুরান লাগাবে নাকি।

আরাব,,,,,,,,,, জামা কাপড় না হয় বুজলাম কিন্তু মেকাপ লাগালে পুরান নাকি নতুন বুঝা যায়। আর তোমরা তো পার্লার থেকে সাজবা৷

ফা,,মা,,,,,, তরা বুঝবি না।

রিমান,,,,,,,,,,,,,, বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা ( গান গেয়ে ) ওরে দাঁড়িয়ে থাকিস না চোখে পানি এসে যাবে, চল চল শপিং এ।

ফারহান,,,,,,,,,,,,, এটা কোনো কথা হলো।

আরাব,,,,,,,,,, এই সব দেখে আমার রাগ হচ্ছে চল তো৷

রিমান,,,,,, তোর রাগ হচ্ছে আমার হিংসা হচ্ছে।

ফারহান রিমান আরাব,,,,,তাদের জন্য শপিং করে এসে দেখে ঐ জিনিস পত্র দেখা নিয়ে ব্যস্ত সবাই, তাদের কোনো পাত্তা দিচ্ছে না,

আরাব,,,,,,, আমরা শপিং করে চলে আসলাম আর ওরা এখনো জিনিস দেখছে, শপিং কি দেখে করে নি৷

রিমান,,,,,,,,, এটাই সাইন্স।

ফারহান,,,,,,,,,,, দেখ আমার এগুলো দেখে এমনি রাগ উঠছে, তুই বেশি কিছু কইলে আমার রাগের সিমানা পেরিয়ে যাবে।

রিমান,,,,,,,, এটাই সাইন্স।

ফারহান,,,,,,,, তোরে তো,, এই তুই সাইন্স পড়ছস,, সাইন্সে কিছু না জেনে এতো কথা বলিস কেমনে।

রিমান,,,,,,,,, এটাই সাইন্স।

ফারহান,,,,,,,,,,,, তোর সাইন্সের গুষ্টি কিলাই। আরাব ওরে কিছু ক না হলে আমি কিন্তু মেরে নাক মুখ ফাটিয়ে দিবো।

রিমান,,,,,, আর আমি তো বসে থাকবো।

আরাব,,,,,,,,,,, চুপ মজা লাগতাছে না আর।

রিমান,,,,,,, মজা না লাগলে লবন দিয়ে নে।

এবার আরাব আর ফারহান মিলে রিমানের মাথায় থাপ্পড় মারে।

আরাব,,,,,,,,, আমাদের কেও পাত্তা ও দিচ্ছে না, কি আর করার আয় আমরা শুয়ে পড়ি।

তারা খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়ে।

চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here