চাচাতো_বোন_যখন_বউ 😍,part_5
writer_মো_রাশেদ
সকালে মেঘলার ঘুম ভাঙ্গে একটা ফোনে আর এই ফোন হলো রাশেদ এর।
নাম্বারটা দেখে রাইসার কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে।
রাইসা ফোনটা হাতে নিয়ে ফোনটা ধরলো।
–
–
রাইসাঃ হ্যালো।
রিয়াঃ হ্যালো।
রাইসাঃ কাকে চান।
রিয়াঃ এটা কি রাশেদ এর নাম্বার।
রাইসাঃ হুম but আপনে কে।
রিয়াঃ আমি রিয়া একটু রাশেদ কে দেওয়া যাবে।
টুটট..টুটট…টুটটট….
–
–
–
আর কোনো কথা না বলেই ফোনটা কেটে দিল
রাইসা ভাবছে তাহলে কুত্তা রিয়া কে ভালোবাসে।
দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা।
এই বলে রাইসা ফোন আর ল্যাপটপ নিয়ে রাশেদ এর কাছে যাচ্ছে।
কিন্তু রাশেদ এর কিছুই জানে না।
রিয়া যে ওর নাম্বার কোথা থেকে পেয়েছে তাও জানে না।
কিন্তু এদিকে রাইসা আসছে রাশেদ এর বাসায়।
এসেই অনেক চিল্লা চিল্লি করছে।
আর এদিকে রাশেদ ঘুম থেকে উঠে ভাবছে।
কিরে এটা রাইসার কন্ঠ না।
ও এমন ভাবে চিল্লা চিল্লি করছে কেনো।
তাই ঘুম থেকে উঠে নিচে গেলাম,,,,,
যাওয়ার সাথে সাথে।
–
–
–
রাইসা বলতেছেঃ ঐ কুত্তা তোরে রিয়া ফোন দেয় কেনো।
তোকে ওর সাথে কথা বলতে নিষেধ করছিলাম নাকি সেটা বল।
তুই ওর সাথে কথা বলছোস কেনো।
ও তোকে ফোন দিবে কেনো।😡
(অনেক জোরে জোরে বলছে)
(আমি জানিই না রিয়া আমার নাম্বার পেলো কুথায়।
আর আমাকে ফোন ই বা দিলো কেনো।
তাই আমিও একটু মিথ্যা বললাম।
যেন ও আমার পেছনে না আসে।
কিন্তু কে জানে আবার তার উল্টো টা হবে।)
আমিঃ ফোন দিতেই পারে আর দিলে তোর সমস্যা কোথায়।
আমার যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে কথা বলবো।😬
রাইসাঃ তাই না তুই কথা বলবি এইনে। ঠাসসসস ঠাসসস
(আপনারা কি ভাবছেন আমাকে চর বসিয়ে দিছে।
না,,,?
চর মারলে তাও একটু ব্যথা পাইতাম।
কিন্তু ও আমার কলিজাটা ভাঙচুর করে ফেলেছে।
মানে আমার ফোন 😭😭)
–
–
আমিঃ তুই এটা কি করলি।
রাইসাঃ যা করছি বেশ করেছি।😬
আম্মুঃ কিরে কি হইছে এতো চিল্লা চিল্লি করতেছিস কেনো
আমিঃ ও আমার ফোনটা ভেঙে ফেলছে।😭
আম্মুঃ কিরে ফোনটা ভাঙলি কেনো।
রাইসাঃ তোমার ছেলে কে বলো,?
ও যেন ওই মেয়ের সাথে কথা না বলে।
তাহলে আমি কিন্তু খারাপ কিছু করে
ফেলবো
এই বলে দিলাম।😭
আম্মুঃ কেনো কার সাথে কথা বলছে।
রাইসাঃ যার সাথেই বলুক না কেন।
ওকে বলে দাও কোনো মেয়ের সাথে যেন কথা না বলে।
আম্মুঃ ঠিক আছে বলবে না ,,,তুই আয় আমার কাছে আয়।
আমিঃ বলবো না মানে ১০০ বার বলবো তুই আমার ফোন ভাঙলি কেনো।
আব্বুঃ ভেঙেছে ভালো করছে,,,,
দরকার হলে আবার কিনে দিবো।
কিন্তু ওর সাথে যদি আর কখনো খারাপ ব্যবহার করিস তো।
মেরে হাত পা ভেঙে ফেলবো।
–
–
আব্বু এই কথা বলার সাথে সাথে রাইসা আব্বু কে জড়িয়ে ধরলো।
আর আমি ওখান থেকে চলে আসলাম।
পেত্নি টা মেরেও জিতবে কান্না করেও জিতবে।
তাই ওখান থেকে রাগ করে চলে আসলাম।
আমার ফোন ভেঙে ফেললো তাও একটু বকতে দিবে না।
আবার বলে দরকার হলে কিনে দিবো।
কিন্তু বকতে দিবে না।
মনে হয় ঐ ওনাদের মেয়ে আর আমি পরের ছেলে।
ধুর ভালো লাগে না।😞😞😞
আর ওদিকে রাইসার সাথে আম্মু আব্বু কথা
বলতেছে।
কেনো ও এটা করলো।
আর আমাকে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলতে দেয় না কেন।
আম্মুঃ আচ্ছা রাইসা তুই ওর ফোনটা ভেঙে ফেললি কেনো।
রাইসাঃ কুত্তাটা রিয়া নামের একটি মেয়ের সাথে কথা বলে তাই ভাঙছি।
আব্বুঃ ও অন্য মেয়ের সাথে কথা বললে সমস্যা কোথায়।
রাইসাঃ সমস্যা আছে ও অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারবো না।
আমি বলতে দিবো না।
আব্বুঃ কেনো দিবি না ওকে তো বিয়ে দিতে হবে তাই না।
তাহলে ওর বৌয়ের সাথে তো কথা বলবেই।
(সাথে সাথেই রাইসা আম্মু কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো কান্না করছে আর বলছে)
রাইসাঃ না ওর বিয়ে তোমরা দিবেনা।😭
আম্মুঃ এই পাগলী ওরতো বিয়ে দিতেই হবে।
(এই কথা বলার সাথে সাথে আরো জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো)
আব্বুঃ এই তুই কি রাশেদ কে ভালোবাসিস।
( আবার আব্বু কে জড়িয়ে ধরলো আর বলতে লাগলো)
বড়আব্বু আমি রাশেদ কে অনেক ভালোবাসে ফেলেছি।
ওকে ছাড়া আমি বাঁচবো না।
ও যখন অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলে তখন আমার মনে হয় যেন তখনই মরে যাই।😭
আব্বুঃ রাশেদ কে বলছোস।
রাইসাঃ হুম কিন্তু ও না করে দিয়েছে।
বলে আমরা ভাই বোন আর আমি আব্বু আম্মু ও ছোট আব্বু ছোট আম্মু কে কষ্ট দিতে পারবো না।😭
আব্বুঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,
তুই কনো চিন্তা করিস না।
আমি তোর আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলতেছি
তোদের বিয়ের ব্যাপারে তারাও রাজি হবে আমার কথা না করতে পারবে না।
রাইসাঃ তোমরা অনেক ভালো।😘
–
–
এইবলে আম্মু আব্বু কে জড়িয়ে ধরলো।
তার পর দুপুরে আব্বু আম্মু রাইসার আব্বু আম্মুর সাথে কথা বললো।
তারাও রাজি হলো এবং সবাই খুশি কারণ কেউ কাউকে হারাবে না।
সবাই আরো বেশি খুশি কারণ তাদের মেয়ে তাদেরি থাকবে।
রাতে গিটার টা নিয়ে বসেছি ফোনটাও নাই তাই গিটার বাজাচ্ছি।
একটু পরে রাইসা রুমে এলো।
আমিঃ তুই আবার আসলি কেনো। 😡
রাইসাঃ কেনো,,, বর আমার ঘরে,,,, আমি আচ্ছি তাতে তোমার কি।
আমিঃ তোর ঘর মানে। 🤔
রাইসাঃ আমারিতো ঘর বরের ঘর মানে আমারিতো ঘর হয় তাই না।
আমিঃ যাবি এখন থেকে।😡
আম্মু____________?
___চলবে!……..?