চাচাতো_বোন_যখন_বউ 😍,part_10_last
writer_মো_রাশেদ
আম্মুঃ কিরে রাইসা কাঁদোস কেনো কি হইছে।
রাইসাঃ আজকেই আমি ওকে বিয়ে করবো।
আর আজকেই যদি বিয়ে না হয়,,,,
আমি সত্যি আজকেই সুইসাইড করবো দেইখো।😭(রাইসা কান্না করছে আর বলছে)
আম্মুঃ কিইইই কি বলিস এগুলা কি হইছে।
রাইসাঃ কি হবে তোমার ছেলে কে বলো।
আম্মুঃ কি হইছরেএএ।
আমিঃ কিছু হয় নাই আম্মু।
রাইসাঃ কিছু হয় নাই না।
আমিঃ কি হবে।
–
–
রাইসাঃ জানো বড় আম্মু তোমার ছেলে।
এখানো মেয়েদের সাথে কথা বলে।
আবার জড়িয়ে ধরে ছিল।
তাও আবার আমার সামনে। 😭
(এটা বলার সাথে সাথে কেঁদে দিছে রাইসা)
আম্মুঃকিইই রাইসার সামনে তুই কোন মেয়ের সাথে কথা বলোস।
আমিঃ আরে আম্মু ওতো আমার স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড।
অনেক দিন পর দেখা হয়ে গেল তাই একটু কথা বললাম।
রাইসাঃ একটু কথা না কুত্তা,,
তোরে যে আমি মেরে ফেলি নাই সেটাই তোর ভাগ্য ভালো।
আর শোনো বড়আম্মু আমি কিন্তু বললামি আজকে যদি আমি ওকে না পাই।
তাহলে আমাকে আর খুঁজেই পাবে না এই বলে দিলাম। 😭
আম্মুঃ আচ্ছা আমি সবার সাথে কথা বলে দেখি।
রাইসাঃ কিসের কথা কোন কথা বলা লাগবে না।
আম্মুঃ আচ্ছা তার জন্যও তো কথা বলা লাগবে তাই না।
–
–
তারপর আমি ছাদে যাচ্ছিলাম।
তখনি আমার হাতটা ধরে ফেললো রাইসা।
আর আমাকে রুমে নিয়ে গেলো।
আর সাথে সাথে রুমের দরজাটা বন্ধ করে দিলো।
আমিঃ এই কি করছো এসব।
রাইসাঃ কি করছি মানে তুই এই রুম থেকে বের সতে পারবি না।
যেই পর্যন্ত আমাদের বিয়ে না হবে সেই পর্যন্ত আমিও বাহির হব না।
তোকেও আমি বের হতে দিবো না।😡
আমিঃ এটার মানে কি রাইসা।
রাইসাঃ কিসের মানে কোন মানে নাই।
তোকে আমার করে নিতে হলে জোর করেই নিতে হবে।
আমিঃ কেনো আমি কি বলছি তোমাকে ভালোবাসি না।
রাইসাঃ না তা বলোস নাই।
কিন্তু এখনো সবাই কে বলোস আমি তোর বোন।
তোকে বিয়ে না করলে তুই এই কথা আরো বলবি।
আর এইজন্য তোকে তারা তারি বিয়ে করতে চাচ্ছি।
যাতে সবাই কে আর না বলতে পারিস আমি তোর বোন।
এই জন্যেই বিয়ে করবো।
যাতে সবাই কে বলিস আমি তোর বৌ বোন না।😭
আমিঃ আরে পাগলী আমি কি তোকে না করছি নাকি যে বিয়ে করবো না।
রাইসাঃ আমি জানি না,,,,,,,, তুই আমাকে আজকেই বিয়ে করবি।😭
–
–
–
এইবলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বুকের উপর মাথা রেখে চোখ বুজে শুয়ে আছে।
আর আমি রাইসার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।
কি বাচ্চাদের মতো করে শুয়ে আছে।
অনেকক্ষণ হয়ে গেছে মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে।
তাই আর ডাক দিলাম না।
আরো কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে ডাকা ডাকি করতে শুরু করলো।
আমি রাইসা কে ডাকছি কিন্তু উঠছে না।
আবার যেই ডাক দিলাম তখন ও আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
কি আর করার ডাকছে দরজা টাও তো খোলা লাগবে।
তাই রাইসা কে ছাড়িয়ে যেই না উঠতে যাবো।
তখনি পিছন থেকে একটা ঘুষি মারলো।
সেই জোরে ঘুষিটা মারছে অনেক ব্যথা অনুভব করছি।
পিছনে তাকিয়ে দেখি রাইসা রাগি লুকিয়ে তাকিয়ে আছে।
বুঝলাম না কেনো মারলো।
–
রাইসাঃ ঐ কুত্তা তোর সাহস কিভাবে হলো আমাকে তোর বুক থেকে সরাইয়া দেওয়ার।😡
আমিঃ আম্মু-আব্বু ডাকছে তো।
রাইসাঃ ডাকুক কিন্তু তুই আমাকে সরাইয়া দেওয়ার সাহস দিলো কে।
আমিঃ তোমাকে তো অনেক ডাকছি তুমিইতো উঠলা না।
রাইসাঃ আমি উঠি নাই একটু ভালো করে ভালোবেসে আদর করতে করতে ডাকলেই তো উঠতাম।
আমিঃ আচ্ছা আমার ভুল হয়ে গেছে এইযে আমি কান ধরছি আমাকে মাফ করে দাও।
রাইসাঃ আর কখনো হবে না তো।
আমিঃ না হবে না,, আগে গিয়ে দরজাটা খুলে দেই কখন থেকে ডাকছে।
রাইসাঃ এই না তুমি থাকো আমি যাচ্ছি।
এই বলে রাইসা দরজা টা খুলতে গেল।
দরজা খুলে দেখে সবাই এক সাথে এসেছে।
রাইসা বললোঃ কি হইছে।
আম্মুঃ চল আগে কিছু খাবি।
রাইসাঃ আগে বলো কি বলছিলাম।
আব্বুঃ হুমমম হবে কিন্তু আজকে না কালকে।
রাইসাঃ কেনো আজকে না কেনো আমি আজকেই করবো।
রাইসার আব্বুঃ এখন আজকেই কিভাবে দিবো বলতো।
সবাই কে তো জানাতে হবে।
এইজন্য আজকে সবাই কে জানাই কালকে বিয়ে টা হবে আর সবাই জানবেও।
রাইসাঃ আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে যাও এখন।
আম্মুঃ কি কিছু খাবি না।
রাইসাঃ না যাও।
আমিঃ আমি খাবো আমার খুদা লাগছে।
আম্মুঃ আয় তাহলে।
রাইসাঃ না ও যাবে না তুমি ওর খাবার এখানে দিয়ে যাও।
আম্মুঃ তাহলে তোর জন্যেও দিয়ে যাই।
রাইসার আম্মু মানে ছোট আম্মুঃ না ও বাসায় গিয়ে খাবে। চল বাসায় চল।।
রাইসাঃ না আমি যাবো না।
রাইসার আম্মুঃ কেনো।
রাইসাঃ আমি এখানেই থাকবো।
রাইসার আম্মুঃ থাকবি মানে তোদের এখনো কি বিয়ে হইছে যে থাকবি।
রাইসাঃ হয়নি তো কি হইছে কালকে তো হবে।
রাইসার আম্মুঃ কালকে হবে কালকে থাকিস।
রাইসাঃ হুমমম যাচ্ছি কিন্তু ও যেন কোথাও যেতে না পারে।
আমার আম্মুঃ আচ্ছা ঠিক আছে যাবে না।
তার পর রাইসা কে নিয়ে গেলো।
আর আমিও গিয়ে খেয়ে আসলাম।
এসে শুয়ে আছি আর ভাবছি।
এখনি যেমন করে,,,,,
বিয়েটা হয়ে গেলে তো,,
আমি শেষ!
কি যে করবে,?
তখন তো আরো বেশি অধিকার দেখাবে।
কিযে হবে,,,?
আমি ভালোই বুঝতে পারছি।
তখন তো কোন মেয়ের সাথে কথা বলাতো দুরের কথা।
কোন মেয়ের দিকে ভুল করে তাকালেই আমাকে খেয়ে ফেলবে।
–
–
এইসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আর সকালে যখন ঘুম থেকে উঠতে যাবো তখনি দেখি রাইসা শুয়ে আছে।
কোথায় শুয়ে আছে তাতো আপনারা বুঝতেই পারছেন।
যখনই ওকে ছাড়াতে যাবো তখনি মনে পড়ে গেল কালকের সেই কথা।
ভয়ে আর সরালাম না তাই রাইসা কে ডাক দিলাম।
আমিঃ রাইসা এই রাইসা।
রাইসাঃ চুপ 🤫—–!
এভাবে অনেকখন ডাকলাম কিন্তু কোনো সাড়া দিল না। তাই বললাম।
আমিঃ জানু এই জানু ওঠো না।
সাথে সাথে আমার দিকে তাকিয়ে বলল।
রাইসাঃ হুমমম জান বলো কি হইছে।
প্রিয় পাঠকগন দেখেছেন তু তার মানে ও ঘুমের ভান ধরে ছিল।
ও হয়তো আমার কাছে থেকে এরকম কিছু একটাই শুনতে চেয়ে ছিল।
আর আমি চুপ করে আছি দেখে আবার বললো।
রাইসাঃ ঐ কি হলো।
আমিঃ না মানে তুমি ঘুমিয়ে ছিলে না।
রাইসাঃ না কেন।
আমিঃ তাহলে এতো ডাকলাম তখন উঠলা না কেন।
রাইসাঃ তখন তো আর ভালোবেসে ডাকো নাই তাই উঠি নাই।
আমিঃ ও এখন সড়ো আমি উঠবো।
রাইসাঃ না আর কিছুক্ষন থাকি না।
আমিঃ হুমমম এখন না রাতে যতো খুশি থাইকো।
তার পর রাইসা আমাকে ছেড়ে দিল।
আর আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম।
খেতে গিয়ে দেখি আমার সব বন্ধুরা চলে আসছে।
আর অন্য দিকে তাকিয়ে দেখি।
আমার সব কাজিন ও আমার সব আত্মীয় স্বজনরাও চলে আসছে।
তার পর খেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম
কাজিনদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে দুপুর হয়ে গেল।
তাই সবাই খেতে গেলাম একসাথে সবাই খেয়ে আবার আড্ডা দিতে লাগলাম।
–
–
আর তখনই আমার ফুপাতো বোন।
আমার গিটার টা নিয়ে এসে আমার পাশে বসে।
আমার হাত গিটারটা ধরিয়ে দিলো আর বললো গান শুনাতে।
আর সাথে সাথে সবাই জোর করতে লাগলো গান গাইতেই হবে।
তাই আর না করলাম না।
আইয়ুব বাচ্চু সেই গানটা (রুপালি গিটার)।
আর রাইসা আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
বুঝলাম রাইসা রেগে আছে।
কারণ আমার ফুপাতো বোন আমার পাশেই বসে আছে।
আর কথায় কথায় আমার গায়ে হাত দিয়ে হাসছে।
আর এতেই মহা-রানীর রাগ হয়ে গেছে।
আর ওতো আমার একার ফুপাতো বোন না
ওতো রাইসা রো ফুপাতো বোন।
–
–
আর আমার একটু ভয় ও লাগছিলো।
এভাবে রাত ৮:০০ টা বেজে গেছে আর আমাদের বিয়ে টাও হয়ে গেল।
রাইসা কে আমার রুমে নিয়ে গেলো।
আর আমি আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ছাদে চলে গেলাম।
অনেকখন আড্ডা দিয়ে ১২:০০ টার দিকে রুমে গেলাম।
গিয়ে দেখি রাইসা বসে আছে।
যেই ওর কাছে বসবো তখনই রাইসা রেগে বলতে লাগলো।
রাইসাঃ কুত্তা তুই আমার কাছে আসছিস কেনো যা ওর কাছে যা।😡
আমিঃ কার কাছে যাবো।
রাইসাঃ যা তোর ফুপাতো বোন এর কাছে যা।
আমিঃ ও আমার ফুপাতো বোন আর তোমার কি তোমারো তো ফুপাতো বোন।
রাইসাঃ না ও আমার শত্রু ।😬
আমিঃ কেনো।
রাইসাঃ কেনো তুই জানিস না,,,তুই ওর সাথে কথা বলছোস কেনো।
আমিঃ ওতো আমাদের বোন তাই না।
রাইসাঃ বোন হোক আর যাই হোক তুই ওর সাথে কথা বলতে পারবি না।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে বলবো না আসো তোমাকে একটু আদর করি।
রাইসাঃ লাগবে না তোর আদর আমাকে ডাকবি না।
আমি আর কিছু বললাম না।
রাইসা অন্য দিক হয়ে শুয়ে আছে।
আর আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
আর একটু পর আমিও শুয়ে পড়লাম।
তার আধা ঘন্টা পর রাইসা আমাকে মারতে শুরু করলো।
আমিঃ এই মারছো কেনো।
রাইসাঃ কুত্তা আমি রাগ করছি তাতে তুই খুব খুশি হইছিস তাই না।😭
আমিঃ কেনো কি হইছে।
রাইসাঃ আমি অন্য দিক হয়ে শুয়ে আছি তাতে কি হইছে।
আমাকে কি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতে পারতি না।
আমিঃ তুমিই তো না করছো।
রাইসাঃ কুত্তা তোকে কথা বলতে না করছি জড়াইয়া ধরতে না করি নাই।😭
আমিঃ আচ্ছা srry…আমার ভুল হয়ে গেছে আর কখনো হবে না।
আসো বুকে আসো।
রাইসাও আমার বুকে মাথা রেখে আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
এভাবেই চলতে থাকলো তাদের জীবন।
কখনো খুনসুটি
কখনো ভালোবাসা
কখনো দুষ্টুমি।
সমাপ্ত।