চাচাতো বোন যখন বউ😍,part_1
writer_মো_রাশেদ
আমিঃ আম্মু টাকা লাগবে।
আম্মুঃ টাকা দিয়ে কি করবি ?
তোকে তো হাত খরচ কালকেও দিলাম আবার আজকে কিসের টাকা।
আমিঃ আমি কি হাত খরচ চাইছি নাকি।
আম্মুঃ তাইলে কিসের টাকা লাগবে,,,,?
আমিঃ ভার্সিটি থেকে পিকনিকে নিয়ে যাবে।
আম্মুঃ রাইসা যাবে না?
আমিঃ ওরাতো আমাদের এক বছরের জুনিয়র,,,,,
কিন্তু ওদের কেউ বলা হয়েছে যাবে কি না আমি জানি না।
আম্মুঃ রাইসা গেলে তোর আব্বুর কাছে থেকে টাকা নিয়ে দিবো ওকে।
আমিঃ আম্মু এটা তুমি কি বললা ও যদি না যায় তাহলে আমি যাবো না।
এই টা কোন কথা।
আম্মুঃ না যাবি না।
আমিঃ কিন্তু কেনো ?
আম্মুঃ তুই একা একা ঘুরতে যাবি।
আর আমার মেয়েটা যাবে না তা তো হবে না সোনা।
আমিঃ আচ্ছা আম্মু বলোতো আমি তোমাদের ছেলে।
নাকি ঐ রাইসা তোমাদের মেয়ে।
দাও না আম্মু লাগবেই তো মাত্র পাঁচ হাজার টাকা।
আম্মুঃ এতো কথা বলোস কেনো হে,,
বললাম না রাইসা গেলে টাকা পাবি না গেলে পাবি না।
যাতো এখন এখান থেকে, বিরক্ত করিস না।
–
–
কি আর করার রুমে চলে আসলাম।
আর হে আমাদের পরিচয় টা দিয়ে দেই।
আমি যার সাথে কথা বলছিলাম সে হচ্ছে আমার আম্মু।
আর আমি বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে।
আমার নাম রাশেদ।
আমি এইবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি।
আমার কোনো বোন নেই।
আর রাইসা নামটা শুনছিলেন তো ঐ টা হলো আমার চাচাতো বোন।
আমার ছোট চাচার মেয়ে।
আমার কোনো বোন নেই তো,,
তাই আমার আম্মু আব্বু রাইসা কে এতো ভালোবাসে।
নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসে।
আবার ছোট চাচা আর চাচিও আমাকে অনেক ভালোবাসে।
কারণ তাদেরও কোনো ছেলে নেই।
আমি চাচা কে ছোট আব্বু,
আর চাচি কে ছোট আম্মু বলে ডাকি।
–
–
আর রাইসাও আমার আব্বু কে বড়আব্বু,
আর আম্মু কে বড়আম্মু বলে ডাকে।
একটু পর আম্মু এসে আমার হাতে ৫ হাজার
টাকা দিলো।
আমি তো অবাক হয়ে গেলাম।
আমিঃ আম্মু তুমি আমাকে টাকা দিচ্ছো।😱
আম্মুঃ হুম দিচ্ছি কারণ রাইসাও যাবে বলছে।
আমিঃ ও তাইতো বলি তুমি এমনি এমনি টাকা দিচ্ছো।
আমিঃ আম্মু এখন আর আমার টাকা লাগবে না আমি যাবো না।
তার পর আম্মু কে টাকা দিয়ে দিলাম।
আম্মুঃ মানে,?
আমিঃ আমি না করে দিছি আর ঐ পেত্নি টা কেই যেতে বলো আমি যাচ্ছি না।😣
আম্মুঃ যাবি না মানে,,,,রাইসা কি একা একা যাবে নাকি।
আমিঃ হ্যাঁ ঐ পেত্নি একাই যাবে আমি যাবো না তোমাদের আদরের পেত্নি মেয়ে কেই পাঠাও গা।😒
পেত্নি টা বলতেই,,,,,,রাইসা এসে শুনে ফেলছে যে আমি ওকে পেত্নি বলছি।
–
–
রাইসাঃ বড়আম্মু ও আমাকে পেত্নি বলছে আর তুমি কিছু বলছো না কেন। ☹
আমিঃ ও তাইতো ঐ তুই ওকে পেত্নি বললি কেনো হে।
আমিঃ পেত্নি কে পেত্নি বলবো না তো কি বলবো।😊
রাইসাঃ ঐ আমি পেত্নি।😡 (মেঘলা আমার কলার ধরে)
আম্মুঃ হইছে আল্লাহ এই বার থাম তোরা।
রাইসাঃ হুম। আর তোমার ছেলেকে না করে দাও,,এখনি না হলে আমি কিন্তু খুন করে ফেলবো এই বলে দিলাম।
আম্মুঃ আচ্ছা,,,, এই ধর টাকা।
আমিঃ এতো কেনো আম্মু।
আম্মুঃ তোর ৫ হাজার টাকা আর রাইসার ৫ হাজার টাকা।
আমিঃ ওর ৫ হাজার মানে ওর টাকা তুমি দিচ্ছো কেনো ।
আর ওকে টাকা দিতে ওর আব্বু নাই।
রাইসাঃ লাগবে না বড়আম্মু আমি যাবো না।
–
–
আম্মু রেগে গিয়ে আমাকে বলেঃ তোকে একটা চর মারবো বলে দিলাম।
আর একবার যদি এইসব কথা বলোস।
আর তোকে যা বলি তাই কর ভার্সিটিতে টাকা জমা দিবি দুজনের।
আর টাকা তোর কাছে রাখবি।
রাইসা যা যা খেতে ইচ্ছে করে,, যা যা কিনতে চায় সব দিবি তুই।
আমিঃ ওর টাকা ওর কাছেই দাও ওর যা মন চায় তাই করবে। আমি কিছু কিনে দিতে পারবো না।
আম্মুঃ ও বুঝছি তোর আব্বু কে বলতে হবে।
আমিঃ না.না.না…থাক বলা লাগবে না। আমিই সব করবো।
আম্মুঃ ও যদি তরে বকা দেয় সাথে সাথে আমাকে বা তোর বড়আব্বু কে ফোন করবি।
রাইসাঃ ঠিক আছে বড়আম্মু।
এই বলে আম্মু চলে গেল।
আর রাইসা আমার কাছেই বসে আছে।
আমি ফেসবুকিং করছি।
–
–
রাইসাঃ ঐ কি করিস।
আমিঃ মুরগি চুরি করি,,করবি।
রাইসাঃ ঐ মিথ্যা বলিস কেনো হে তুই তো ফেসবুকিং করছিস।
আমিঃ দেখতেই যখন পাচ্ছিস তাইলে আমাকে জিজ্ঞাস করছিস কেনো।
রাইসাঃ হুম দেখি কোন মেয়ের সাথে কথা বলছিস।
আমিঃ আমি কার সাথে কথা বলবো তোকে বলতে হবে।
রাইসাঃ হুম আমাকে বলতে হবে নাহলে বড়আম্মু কে বলে দিবো।
আমিঃ কি বলবি তুই।
রাইসাঃ আমি মিথ্যা বলবো তুই একটা মেয়ে কে খারাপ কথা বলছোস।
আমিঃ আমি কাকে কি বললাম।
রাইসাঃ বলোস নাই,,,,! কিন্তু আমি বলবো বড়আম্মু কে।
আমিঃ ঠিক আছে দেখ।
রাইসাঃ হুম আমার হাতে দেএএএএ।
আমিঃ তোর হাতে দিতে হবে কেনো আমার হাতে থেকে দেখতে পারছিস না।
রাইসাঃ না পারছি না। বড়আম্মুমমম–(ওমনি রাইসার মুখটা চেপে ধরলাম)
আমিঃ চুপ🤫 ধর এইনে তাও ডাকিস না ।
রাইসাঃ হুম দে।
–
–
ফোনটা হাতে নিয়ে আমি যেই কয়টা মেয়ের সাথে মেসেজ করছি।
সব গুলারে ব্লক দিয়ে আনফ্রেন্ড করে দিলো।
তার পর আমার হাতে ফোনটা দিয়ে চলে যাচ্ছে।
আর আমি যখনই দেখলাম এই কাজটা করছে।
সাথে সাথেই আমার মাথা রাগে গরম হয়ে গেল।
সাথে সাথে দিলাম দৌরানি রাইসা গিয়ে আম্মুর পিছনে পোলালো তাই দেখে আম্মু বললো।
আম্মুঃ কিরে কি হইছে।
আমিঃ ঐ পেত্নি টা কি করছে জানো।😡
রাইসাঃ কি করছি বল যদি সাহস থাকে।☺
আম্মুঃ কি করসে বলই।
আমিঃ কিছু না থাক।
–
–
এই বলে চলে আসলাম আর ভাবছি এর প্রতিশোধ ঠিকি নিবো।
আর আবার সবাই কে রিকোয়েস্ট দিলাম।
আর সবাই কে মেসেজ করে দিলাম।
যে আইডিতে কি যেন হইছে,,,
তাই একাই আনফ্রেন্ড হইছে ।
–
–
পরের দিন ভার্সিটি যাবো আম্মু এসে রাইসা কে আমার কাছে দিয়ে গেল।
মানে বাইকে বসিয়ে দিয়ে গেল।
প্রতিদিন আমার সাথেই যায়,,,,
কিন্তু কালকের জন্য রাইসা আম্মু কে নিয়ে আসলো।
আমি যদি না নিয়ে যাই।
হুম আম্মু যদি না আসতো তাহলে সত্যি সত্যিই নিতাম না।
–
+
আমি বাইক চালাচ্ছি আর রাইসা পিছনে বসে আছে।
আমি কথা বলছিলাম না দেখে বললো।
রাইসাঃ আচ্ছা রাশেদ পিকনিকে যাবে কয় তারিখ এ যেন।
আমিঃ (……চুপ করে আছি……..)
রাইসাঃ ঐ কি বলি শুনতে পাসনা।
আমিঃ আচ্ছা একটা কথা বল আমি তোর বড়ভাই না।
রাইসাঃ হুম কেনো।
আমিঃ তো ভাইয়া কে কেউ তুই করে বলে।
আবার নাম ধরে ডাকিস।
এখন থেকে শুধু ভাইয়া বলে ডাকবি ওকে।
রাইসাঃ পারবো না।🤭
___চলবে!……..?