ঘৃণার মেরিন season : 2,part : 1
writer : Mohona
চট্টগ্রাম….
☆:১১২কোটি ১,, ১১২ কোটি ..
☆:১৫কোটি…
☆:১১৫ কোটি ১,,
☆: ১২০কোটি ….
☆:১২০কোটি… the amount is increasing… ১২০কোটি ১…. ১২০ ক….
☆ : ১২৫ কোটি…
☆:১২৫কোটি ১,, ১২৫ কোটি ২,,,
☆: ১৪০ কোটি…। ।
☆: oh my god…. the নিহাল আহমেদ চৌধুরী বললেন ১৪০ কোটি। হয়তো উপস্থিত আর কেউ এটাকে আর বারাতে চাইবেনা। so… ১৪০কোটি ১,, ১৪০কোটি ২,, ১৪০কোট….
■: ১৯৫কোটি টাকা,,,
.
১৯৫কোটি কথাটা শুনেই সবাই পিছে ঘুরলো। ১জন ছারা। যে ঘোরেনি সে হলো নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন। যে ১সপ্তাহ আগে london থেকে ফিরলো। লেখা পড়া complete করে। সে সাইডে দারিয়ে তার জান নীরার সাথে কথা বলছিলো। আর যে ১৯৫কোটি টাকা বলল তাকে দেখে কারো ঘাম ছুটতে লাগলো আবার কারো চোখ বেরিয়ে আসতে লাগলো। আবার কারো কাপাকাপি শুরু হলো। আবার তার দিকে তাকিয়ে কারো চোখ ঝলসাতে লাগলো। কারন সে হলো none other than the মেরিন বন্যা খান। যে কালো রঙের লেডিস ব্লেজার পরেছে। হাতে কালো ঘড়ি। ঠোটে গাঢ়ো লাল লিপস্টিক। স্মোকি আইস। 4 layer করে কাটা চুলগুলো উচু করে ঝুটি করা। ২পাশে চুল বের করা।
☆: মমমেরিন ববববন্যা খখখান। ১৯৫কোটি টাকা এএএক,,, ১৯৫,,,
মেরিন : stop… এখানে উপস্থিত কেউ এই dealটার জন্য ১৯৫কোটি টাকার বেশি দাম চরাবে না। so don’t waste my time ….
আসলেই এখানে উপস্থিত কেউ এটাকে আর বারাবেনা। টাকার বিষয় তো আছেই তবে তারথেকে বড় কারন হলো মেরিন। মেরিন যখন এখানে এসেছে তখন এই ডিলটা ও ই নিবে। যেভাবেই হোক না কেন।
☆: tttthis dddeal goes ttto tttthe মমমমেরিন বববন্যা খান।
মেরিন style মেরে স্টেজে উঠলো। deal paper নিলো। তখন চোখ গেলো নীড়ের দিকে। নীড়ের পেছন দেখা যাচ্ছে। কালো ব্লেজার। কারো সাথে ফোনে কথা বলছে। হাতটা দেখা যাচ্ছে। সেই সাথে হাতের ঘড়ি আর আংটি।
মেরিন মনে মনে: কে এই ব্যাক্তি যে মেরিন বন্যা খানের উপস্থিতিতে অন্য কাজ করছে। strange …
সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেরিনের ধ্যান ভাঙলো।
মেরিন : yes…
সাংবাদিক : ম্যাম… এই ডিলটা নেয়ার কারন?
মেরিন: মেরিন বন্যা খান কখনো কাউকে কোনো জবাব দেয়না।
বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো। নীড় কেবল মেরিনের পেছনটা দেখলো।
.
১ঘন্টাপর…
মেরিন : জন…
জন: yes mam…
মেরিন : নিহাল আহমেদ চৌধুরীর সাথে আজকে তার ম্যানেজারের ছারাও আর কে এসেছিলো?
জন : ম্যাম উনার একমাত্র ছেলে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন।
মেরিন : ওহ। আচ্ছা শোনো…
জন: জী ম্যাম…
মেরিন: পরশু তুমি officeএ একটু তারাতারি যেও। আমার একটু লেট হবে।
জন: ok ম্যাম।
মেরিন : ok bye… পরশু দেখা হবে।
জন: পরশু?
মেরিন : হামম। কারন এখনই আমি ঢাকা রওনা হচ্ছি।
জন : এই রাতে?
মেরিন : হামম।
জন: ok mam… আমি তাহলে সব গুছিয়ে নিচ্ছি।
মেরিন: দারাও….
জন : জী ম্যাম।
মেরিন: আমি কি বলেছি তুমিও আজকে যাবে?
জন: কিন্তু ম্যাম…
মেরিন : আমি একা যাবো। & i don’t want any argument ….
বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো।
.
২ঘন্টাপর…
মেরিন full volume এ গান ছেরে গাড়ি চালাচ্ছে। ” আয় খুকু আয়”। গান শুনতে শুনতে হুইসকির বোতলটার মুখ দাঁত দিয়ে খুলল। এর ঢোক মুখে দিলো। এরইমধ্যে হঠাৎ করে ওর গাড়ির কিছুটা সামনে থাকা গাড়িটা break মারায় ওকেই খুব জোরে break চাপতে হলো। যার কারনে ওর কপালটা স্টিয়ারিং এ লেগে সামান্য কেটে গেলো।
মেরিন : what the hell…
মেরিন রেগে মেগে হুইসকির বোতলটা হাতে নিয়েই বের হলো। তেরে গাড়িটার দিকে এগিয়ে গেলো ।
মেরিন: hey you dumb… stu….
তখন গাড়ি থেকে এক সুদর্শন যুবক বেরিয়ে এলো। formal get up… black suit পরা চুল গুলো হালকা ডার্ক করা। ভীষন ফর্সা। পাকা রং যাকে বলে। কাচা হলুদের মতো। লম্বা ৬.২। ঠোট ২টা লাল। crush খাওয়ার মতো। সে ১বার হাত জোর করে ক্ষমা চেয়ে এরপর ২কান ধরে sorry sorry বলতে বলতে এগিয়ে এলো। ভীষন cute লাগছে দেখতে। ছেলেটার পরনে থাকা suit সেই সাথে ডান হাতে থাকা ঘড়ি আর অনামিকা আঙ্গুলের সেই স্বর্নের আংটিটা দেখে মেরিন বুঝতে পারলো এটা সেই নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন। মেরিন নীড়ের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখছে।
নীড় কানে হাত দিয়ে cute করে
বলল : i m really very sorry miss… আসলে আমি ইচ্ছা করে করিনি।
মেরিন : oh really? আপনার ভুল বসত করা কাজের জন্য আমার গাড়িটা নষ্ট হতে পারতো। জানেন এটার দাম কতো? u idiot….
নীড় অবাক হলো। কোনো মেয়ে এমনভাবে কথা বলতে পারে। তার কপাল কেটে রক্ত বের হচ্ছে তবুও সে ওটার কথা না বলে গাড়ির কথা বলছে। তাও এতোটুকু ১টা মেয়ে। অতিরিক্ত হলে বয়স ২১ কি ২২ হবে। লম্বায় ৫.৩। হরিনের মতো চোখ। কালো লেডিস ব্লেজার পরা। ঠোটে dark red lipstick…. স্মোকি আইস। উচু করে ঝুটি করা। ডান হাতে ঘড়ি সেই সাথে ১টা হুইসকির বোতল।
মেরিন : এই যে hello…. why don’t answering?
নীড় : আসলে মিস গাড়িটা disturbed দিচ্ছিলো কিছুক্ষন যাবত থেমে গেলো। এখন হঠাৎ করে থেমেই গেলো। তাই….
মেরিন : shut up just shut up…. ছোটোলোক। এমন খাটারা গাড়ি নিয়ে বের হন কেন? ভালো গাড়ি কেনার টাকা না থাকলে কিনবেন না। third class & cheap ।
নীড় : excuse me… আপনার সাথে আমি ভালোভাবে কথা বলছি আর আপনি….
ভুল করেছি তাই আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন আপনার মতো ১টা মেয়েকে sorry বলছি। তাও আপনার মতো ১টা বেয়াদব মেয়েকে। যে কিনা মদ খেয়ে টাল হয়ে একটুপর এমনিতেই accident করে মরবে। যার একহাতে ওই মদের বোতল। যত্তোসব ফালতু মেয়ে।
মেরিন : you….
বলেই হাত ওঠালো নীড়কে থাপ্পর মারার জন্য । আর সাথে সাথে নীড় হাতটা ধরে ফেলল।
.
নীড় : আল্লাহ কেবল আপনাকেই হাত দেয়নি। আমাকেও দিয়েছ। ভুল করেছি বলে এই হাতটা ঠিক আছে। না হলে ভেঙে গুরিয়ে দিতাম। মেয়ে মানুষও মানতাম না। got it….
মেরিন অবাক চোখে দেখছে নীড়কে। এই প্রথম কেউ সাহস করে ওর সাথে কথা বলছে। তাও চোখে চোখ রেখে। নীড় মেরিনের হাত ছারলো । নীষ চলে যেতে নিয়ে আবার ফিরে এলো।
নীড় : দেখি আসুন আপনার মাথায় ব্যান্ডেজ করে দেই। অনেক রক্ত পরছে।
মেরিন:….
ও নীড়কে দেখতে ব্যাস্ত। নীড় মেরিনকে টেনে গাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে first aid box বের করে মেরিনের মাথায় রক্ত মুছে পরম যত্নে ব্যান্ডেজ করছে। মলম লাগাচ্ছে আর মুখ দিয়ে ফু দিচ্ছে। মেরিন মুগ্ধ নয়নে নীড়কে দেখছে।
নীড় : কতোখানি কপাল কেটে গেছে সেটা না বলে উনি গাড়ির কথা বলছেন। কি ভাব….
মেরিনের কাছে দারিয়ে নীড়ের কেমন যেন ১টা অনুভূতি হচ্ছে। যেটা ৫বছরের ভালোবাসা নীরার কাছে থাকলে কখনোই হয়না। heart beat অনেকগুন বেরে গেছে।
নীড় কথা বলছে যার জন্য ওর ঠোট ২টা নরছে। সেই সাথে আছে নীড়ের অসম্ভব সুন্দর চোখজোরা।।
মেরিন : i love you…
নীরের হাত থেমে গেলো। অবাক চোখে মেরিনের দিকে তাকালো। নীড় কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেরিন নীড়ের ঠোট জোরা দখল করে নিলো। নীড় তো just shocked…. রাগ লাগছে ভীষন। কিন্তু কোথাও কোনো অন্যরকম ভালোলাগাও কাজ করছে। তবুও নীড় রাগটাকে প্রাধান্য দিলো। মেরিনকে ছারিয়ে ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
নীড় : অসভ্য মেয়ে। বেয়াদব। নোংরা মেয়ে। মা-বাবা কিছু শেখায়নি? নাকি পতিতালয়ে বড় হয়েছো? অসভ্য …. যে আমি আমার ৫বছরের ভালোবাসা আমার হবু বউকে…. idiot…. বাজে মেয়ে।
বলেই নীড় সোজা হাটা ধরলো।
মেরিন গালে হাত দিয়েই
বলল : আপনার গাড়িটা কি আর চলবে? আসুন আমার গাড়িতে বসুন। একসাথে ঢাকা যাবো। গল্প করতে করতে।
নীড়ের মাথা রাগের চোটে ফেটে যাচ্ছে। নীড় কোনো রকমে গাড়িটা start দিয়ে ওখান থেকে চলে গেলো। মেরিন ওখানে দারিয়েই হাহা করে হাসতে লাগলো। হুইসকির বোতলে চুমুক দিলো।
মেরিন : পালিয়ে কোথায় যাবেন নীড়…. মেরিনের নজর পরেছে আপনার ওপর। এখন থেকে আপনি আমার দৃষ্টিবন্দী নীড়। আপনি যে আমার নীড়। বন্যার বর্ষন।
.
৩দিনপর…. শাহজাহান খান স্বয়ং চৌধুরীদের office এ গেলো।
শাহজাহান খান : আসতে পারি?
নিহাল : আরে স্যার আপনি? আসুন বসুন বসুন….
শাহজাহান খান : ধন্যবাদ। আমি ১টা জরুরী কাজে এখানে এসেছি।
নিহাল: জী স্যার বলুন। স্যার আমাকে ডেকে পাঠাতেন।
শাহজাহান খান: আমার নাতনি মেরিন বন্যা খান student … তবুও সে আমার থেকে ভালোই business বোঝে। তবে মাঝে মাঝে sentimentএরও দরকার হয়। যেটা ওর জানার অগোচরে। তাই ও তোমার দেয়া offer টা reject করে দিয়েছে। আক সেটা আমি final করতে এসেছি। খান & চৌধুরীরা একসাথে কাজ করবে।
নিহাল: oh my god… i can’t believe sir.
thank u…
শাহজাহান : হামম। এই নাও ডিল পেপার । ঠান্ডা মাথায় এটা পড়ো। পড়ে ২দিন পর আমাকে ফোন কোরে। যে এই ডিলটা করবে কি করবেনা।
নিহাল: স্যার যেখানে আপনি এসেছেন সেখানে কোনা ভাবাভাবির দরকার নেই।
শাহজাহান : না। তুমি পড়ো।
নিহাল : আপনি যখন বললেন তখন এখনই পড়বো।
নিহাল ড্ল পেপারটা পড়লো। আর পড়ে তো ওর চোখ কপালে।
কারন যেই project টা ওরা jointএ করতে চায় সেটা সম্পুর্ন হবে minimum ৮০০ কোটি টাকা লাভ হবে। যার থেকে খান গ্রুপ ১টা টাকাও নিবেনা। খান গ্রুপ কেবল চৌধুরী গ্রুপের সাথে কাজ করবে। তবে,,, এই ডিলটা সম্পুর্ন করতে হলে চৌধুরী গ্রুপ & company এর
70% share মেরিনের নামে করতে হবে। মেরিনের নামে 70% share দিলেও মেরিন এই company এর কোনো টাকাতে কখনো কোনো ভাগ নেবেনা। ও just share নিবে 70%। এমন এ্যাগরিমেন্ট কখনো নিহাল দেখেনি।
.
নিহাল : uncle এটা কোন ধরনে ডিল?
মেরিন : আমি বলছি।
নিহাল : তুমি এখানে?
মেরিন: কেন আসা নিষেধ? যাই হোক uncle …. এই পেপারে sign করবেন কি করবেন না সেটা আপনি সময় নিয়ে ভাবুন ঠান্ডা মাথায়। যদি চৌধুরী গ্রুপ খান গ্রুপের সাথে মিলে যায় তবে চৌধুরী গ্রুপ কতোটা ওপরে চলে যাবে সেটা আপনি অবশ্যই আন্দাজ করতে পারছেন। তবে মনে রাখবেন যদি 70% মেরিনের নামে না হয় তবে 100% হয়ে যাবে ।
নিহাল ভালো মতো বুঝতে পারলো যে মেরিন কি বোঝাতে চাইছে। যদি ও পেপারে sign না করে তবে মেরিন ওর company খেয়ে ফেলবে। সব ডিলার দের , investor দের কিনে নেবে। তাই বাধ্য হয়েই নিহাল sign করলো।
মেরিন : thank you uncle …
নিহাল : welcome …
মেরিন : আমি সপ্তাহে ৩দিন এই officeএ বসবো। কাল থেকে। আর পরশু থেকেই project টা শুরু হবে। আসছি। চলো দাদুভাই।
মেরিন চলে গেলো।
.
পরদিন…
নীড় officeএ এলো। ওর রুমে গেলো। দেখলো ওর চেয়ারের পাশেই ১টা চেয়ার । যেখানে কেউ বসে আছে। পেছন ঘুরে।
নীড় : who’s that..?
মেরিন : its me. মেরিম বন্যা খান।
নীড় : মেরিন বন্যা খান? ঠিক চিনলাম না।
মেরিন ঘুরলো।
মেরিন : এখন চিনেছেন? 😎।
নীড় : you? 🤬
.
চলবে…