গল্প : রোমান্টিক জিন বউ,পর্ব : ১

গল্প : রোমান্টিক জিন বউ,পর্ব : ১
লেখক : অচেনা কিউট ছেলে

> কিরে ভাতিজা তর চেহারার এই অবস্থা কেন কি হয়েছে তর এমন শুকিয়েছিস কেন ( চাচা বললো )

>…………….. ( চুপ করে বসে আছি )

> ওহ কি বলবি আমায় গতকাল বললি ফোন করে এখন বল চুপ করে থাকিস না বলে ফেল ( চাচা বললো৷)

> কি বলবো চাচা কি হয়েছে আমার আমি নিজেও বলতে পারিনা ৷ চাচা তবে একটা সমস্যা হচ্ছে গত ছয় মাস দরে আমার সাথে । আর না বলে থাকতে পারলাম না আমার বন্ধুদের সাথেও বলিনাই আম্মু আব্বু কাউকে বলিনি ৷ তুমি তো কবিরাজি করো তাই তোমায় বলতে চাইছি এই সমস্যা ( আমি)

> হুম এখন বল বল কি হয়েছে ( চাচা বললো )

> রাতে যখন বিছানায় শুয়ে থাকি তখন শুধু বারবার মনে হয় কেউ জানালার বাহিরে দাড়িয়ে আছে আর আমার দিকে তাকি আছে মাজে মাজে জানালায় টুকা দেওয়ার শব্দ হয় যখন জানালা খুলি কেউ থাকেনা ঘরের লাইটটা নিবানো থাকলে মনে হয় ঘরের ভিতর কেউ আছে আর অদভুত মাজে মাজে শব্দ আসে বাহির থেকে ঘুমানোর পর মনে হয় কেউ একজন আমার উপর বসে থাকে সকালে যখন উঠি তখন ঠোঁট দুটো একটু একটু কাটা থাকে আর সারা সরিলে কামড় এর দাগ থাকে এই দেখো গতকাল রাতের কামড় ( আমার সরিলটা দেখিয়ে ) এই দেখো ঠোঁট দুটো ছিলে গেছে কিছু খেতে পারিনা এমন কামড় এর দাগ নিয়ে বাহিরে বের হলে সবাই খারাপ ভাববে তাই ঘর থেকে বের হই না । চাচা তুমি একটা কিছু করো এমন চলতে থাকলে আমি আর বাচবো না ( আমি কান্না করে বললাম )

> কাঁদিস না ভাতিজা আমি দেখছি কি করা যায় ( চাচা বললো৷)

> যলদি কিছু করো চাচা আমার আর ভালো লাগছে না কলেজে ও যেতে পারছি না বাসার বাহিরে ও যেতে পারছি না ঠিক মতো কিছু খেতেও পারছি না এর চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো ( আমি বললাম )

> এগুলো বলিস না ভাতিজা তুই আমার একমাএ ভাতিজা তর কিচ্ছু হতে দিবো না আমি । আমি বুঝতে পারছি তর উপর কোনো জিন অথবা পরি এমন অত্যাচার করছে একটা কাজ কর আজকের রাতটা দেখ কি হয় তারপর আমি আগামীকাল রাতে কবিরাজি করবো তকে নিয়ে ঠিক আছে ( চাচা বললো )

> আচ্ছা ঠিক আছে চাচা ( আমি বললাম )

> আচ্ছা ভাতিজা আমায় একটা কথা বলতো যখন তর সাথ এমন কিছু ঘঠতো তখন তুই কি কিছু জিজ্ঞেস করেছিস অন্ধকারে অথবা চিৎকার দিয়েছিস তর আব্বু আম্মু কে ডাকিস নাই ( চাচা বললো৷)

> নাহ আমি কিছু বলিনি আর চিৎকার দিলেও এই ঘরের বাহিরে যায় না আমার গলার শব্দটা আটকে যায় কেমন করে যানি তখন একদম আসতে আসতে কথা আসে ( আমি বললাম)

> আমি ১০০% সিওর এটা কোনো জিন এর কাজ আর এটা মেয়ে জিন হবে তর উপর নজর পড়ছে তাই এমন করছে জিন এখন জানতে হবে সে এমন করছে কেন তর সাথে ( চাচা বললো )

> কিন্তু কি করে জানবে চাচা ( আমি বললাম )

> সেটা তুই আগামীকাল দেখিস শুধু আজ রাতে তুই যখন ঘুমাবি তর উপর যখন কিছু বসে থাকার অনুভব করবি তখন বলবি সে কি চায় তর কাছে কেন তর সাথে এমন করছে আর বলবি…………….. তারপর যদি কোনো উওর না আসে তাহলে আমার অন্য কিছু করতে হবে ( চাচা বললো৷)

> আচ্ছা ঠিক আছে চাচা ( আমি বললাম )

> তাহলে আমি এখন যাই আমার কাজ আছে আগামীকাল এসে তকে নিয়ে কবিরাজি করবো ( চাচা বললো )

> আর চাচা এগুলো যে আমি তোমায় বললাম আম্মু আব্বু কে কিন্তু বলবে না ( আমি বললাম )

> ঠিক আছে ভাতিজা ( চাচা বললো )

এই বলে চাচা বাহিরে চলে গেলো তখন আম্মু চাচাকে বললো৷।।

> কি হয়েছে আমার ছেলেটার কিছু বললো ও ( আম্মু বললো )

> আরে কিছু হয়নি এমনি একটু সমস্যায় আছে তাই খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে নিবর চিন্তা করতে হবে না ( চাচা বললো৷)

> ছেলেটা আমার কিছুই খেতে পারে না সারাটা দিন ঘরে বসে থাকে । আম্মু কথা থামিয়ে চাচা বললো ।

> আমি বলছি চিন্তা করতে হবে না খুব তারাতাড়ি ভালো হয়ে যাবে আমি আগামীকাল আবার আসবো এখন চলে যাই আর নিরব কে এখন কেউ যালাবে না তার রুমেও যাবে না ঠিক আছে ( চাচা বললো )

> আচ্ছা ঠিক আছে ( আম্মু বললো )

এদিকে আমি রুমে বসে আছি এখন রাত হয়েছে আম্মু অল্প কিছু খাবার দিয়ে গেছে সেটা খেতে খেতে আপনাদের পরিচয় দিয়ে দেই । আমার নাম নিরব আহমেদ বাবা মায়ের আদরের প্রথম সন্তান ওহ আমার আরেকটা ছোট ভাই আছে নাম সিয়াম এবার ক্লাস অষ্টম শ্রেনীতে উঠবে রেজাল্ট যদি ভালো করে তাহলে আর আমি ইন্টারে পড়ি বাবা একটা সরকারি জব করে আর আম্মু আমাদের দেখাশোনা করে রান্না করে। বাকিটা গল্প পড়ে যেনে নিবেন ।।

।।

খাবার খেয়ে কিছুখন পড়ে তারপর শুয়ে পড়লাম ঘরির কাটায় তখন ১২ টা বাজে হঠাত জানালাটা আপনা আপনি খুলে গেলো এটা নতুন না ছয় মাস দরে এমন হচ্ছে তারপর উঠে গিয়ে জানালা বন্ধ করে পিছনে ফিরতে যাবো তখন কেউ মনে হলো কেউ একজন আমার পিছন দিয়ে দৌড়ে গলো কিছুটা ভয় পেলাম তারপর বিছানায় উঠতে যাবো তখন কেউ একজন আমায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো চিৎকার দিতেও পারছিনা এখন ঘরের বাহিরে ও যেতে পারবো না কারন দরজাটা যতই চেষ্টা করবো খুলতে পারবো না তখন উঠে আবার গিয়ে লাইটটা ওফ করে গিয়ে শুয়ে পড়লাম চোখটা বন্ধ করবো তখন মনে হলো কেউ একজন আমার আসে পাসে ঘুরছে তখন চাচার কথা মনে পড়লো চাচা কিছু কথা জিজ্ঞেস করতে বলেছিলো তার আগে আমি কিছু জিজ্ঞেস করে নেই দেখি যদি সত্যি কিছু থাকে তাহলে উওর দিবে তখন আমি বললাম ।।

> আমি যানি না তুমি কে আমার ঘরে যদি কেউ থাকো তাহলে আমায় কিছু ইশারা করে দেও যাতে আমি বুজতে পারি কেউ আছে ( আমি বললাম )

তখন আমার টেবিলের উপর থেকে কিছু বই পড়লো তার মানে কেউ আছে তখন আমি আবার বললাম ।

> হুম বুঝতে পারছি তুমি আছো আচ্ছা আমি কি ক্ষতি করছি তোমার যে তুমি আমার সাথে এমন করছো বলবে ( আমি বললাম )

কোনো কথার শব্দ আসছে না তখন আমি বললাম ।।

> যদি তোমার কোনো ক্ষতি করে না থাকি তাহলে কেন এমন করছো আমার সাথে কথা বলো ( আমি বললাম )

কোনো উত্তর আসলো না আরেকটা বউ পড়ে গেলো তখন আমি আবার বললাম ।।

> শুধু তোমার জন্য ঠিক মতো কিছু খেতেও পারছি না ঘুমাতে ও পারছি না এত অত্যাচার করার চেয়ে মেরে ফেলো বাচিয়ে রেখে অত্যাচার করছো কেন নয়তো আমি নিজেই মরে যাচ্ছি এত কষ্ট করে বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো অন্তত এত কষ্ট সয্য করতে হবে না ( আমি বললাম )

তারপর গিয়ে এই অন্ধকারে একটা চাকু নিয়ে হতে দরলাম তখন কেউ একজন আমার হাত থেকে চাকু কেরে নিয়ে গেলো তখন আমি বললাম ।।

> কি হলো চাকু নিয়েছো কেন দেও আমি আর বাঁচতে চাইনা মরে যাবো ( আমি বললাম )

তখন হঠাট আমার পুরো ঘরটা আলো হতে লাগলো আর কিছু একটা জিনিস ভেসে উঠছে তারপর দেখলাম মানুষ এর মতো কিছু হচে কিছুখন পর একটা মেয়ের রূপে আসলো আমি তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি তখন মেয়েটা দৌড়ে আমার কাছে আসলো আর বললো।।

> আমায় ক্ষমা করে দাও প্লিজ অনেক কষ্ট দিয়েছি। তুমি মরে গেলে আমি কি নিয়ে থাকবো কাকে এমন পাগলের মতো কিস করবো ( মেয়েটি বললো )

>…………।

বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন ।।

প্রথম পর্বটা একটু রোমান্টিক কম করলাম ।

দৃতীয় পর্বটা রোমান্টিক হবে।।

প্রথম পর্ব লিখেছি যানিনা কেমন হয়েছে গল্পটা।

যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে গল্পটা।।

তাহলে পরের পর্ব লিখবো ।।

আর নয়তো লিখবো না

তাহলে কমেন্ট করে বলে দিন ।।

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here