গল্পের নাম:প্রেম পায়রা,পর্ব ১৪
লেখনীতে:অজান্তা অহি (ছদ্মনাম)
২৬.
“তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে
যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে।
যদি থাকি কাছাকাছি,
দেখিতে না পাও ছায়ার মতো আছি না আছি___
তবু মনে রেখো!”
রুমে ক্ষীণ সুরে রবীন্দ্র সংগীত বাজছে।ভেজা চুলে ওয়াশরুম থেকে বের হলো তিথি। টাওয়ালটা বিছানায় রেখে মাথার হাত দিয়ে মাথার চুল ঝাড়া দিল।বিছানায় বসে সে টেবিলের দিকে তাকালো।টেবিলের উপর সম্পদের গম্ভীর চেহারার একটা বাঁধানো ছবি।সম্পদ চলে যাওয়ার পর তিথি ছবিটা লুকিয়ে বাঁধিয়ে এনেছে।
“যদি পড়িয়া মনে,
ছলোছলো জল নাই দেখা দেয় নয়নকোণে___
তবু মনে রেখো!”
সংগীতের সাথে গুনগুন করে তিথি গলা মেলাল।উঠে দাঁড়িয়ে সম্পদের ছবিটা নিয়ে আবার বিছানায় বসলো।বাইরে ঝড়ো হাওয়া বইছে।হঠাৎ করে বিজলি চমকালো।তার আলোয় ক্ষণিক সময়ের জন্য অালোকিত রুমটা আরো খানিক আলোকিত হয়ে গেল।
চারিদিকে কেমন মাতাল করা পরিবেশ।এ রকম চমৎকার একটা পরিবেশে তিথির মন খারাপ ভাব তীব্র হলো।সম্পদ থাকলে এই পরিবেশ পূর্নতা পেত।পূর্নতা পেত সে!
আচমকা রুমের লাইট বন্ধ হয়ে গেল।লোডশেডিং!বাইরে বাতাসের বেগ বেড়ে চলেছে।ঘুটঘুটে অন্ধকারেও তিথির সম্পদের ছবির দিকে চেয়ে রইলো।একটুপর ভেজা নয়নে ডান হাতটা দিয়ে সম্পদের ছবি ছুঁয়ে দিল।আজ তিন মাস চার দিন হলো সম্পদ দেশ ছেড়েছে।
বড় করে শ্বাস নিয়ে তিথি সম্পদের ছবিটা বুকে জড়াল।এ কয়েকটা মাসে সে একটি দিনের জন্যও বড় বাবার বাড়িতে যায়নি।যাতে সম্পদ এটা ধারণা করে না যে সে এখনো অতীতে পড়ে আছে।সে অতীতে পড়ে নেই!অতীত থেকে তার মুক্তি মিলেছে।এখন তাকে সম্পদের অনুপস্থিতি পোড়ায়।নিশানের নয়!
এখন তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো সম্পদের এই রুমটা!সবচেয়ে প্রশান্তির জায়গা।ভার্সিটি গেলে, বাইরে গেলে বা অন্য কোথাও গেল সে সারাক্ষণ উদগ্রীব থাকে কখন এই রুমটাতে ফিরবে।সম্পদের সেই চিরপরিচিত গন্ধটা একমাত্র এই রুমে খুঁজে পায় সে।প্রতিটি রাত সে তার বালিশের পাশে একটা বালিশ রেখে কল্পনা করে সম্পদ তার পাশে শুয়ে আছে।এই তো নড়েচড়ে উঠলো,ঘুমের ঘোরে কাত ঘুরলো,এই তো বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছে!
তিথির সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম আজ শেষ হয়েছে।এ কয়েকটি মাস সে যতটা সম্ভব গুছিয়ে পড়াশোনা করেছে।সম্পদের উপর অনেকটা জিদ ধরে পড়েছে সে।
বিগত মাসগুলোতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সম্পদ ফোন দিত।সারাদিনের কত কর্মকান্ড তিথি মস্তিষ্কে সাজিয়ে রাখতো সম্পদকে বলার জন্য।অথচ ফোন কানে নিয়ে তার কিছুই বলা হতো না।সম্পদের নির্জীব কন্ঠ তার সব উচ্ছ্বাস ঠুনকো করে দিতো।অভিমানে ভরিয়ে দিতো মনটা!সম্পদ প্রফেশনালি দু চারটে কথা বলে ফোন রেখে দিত।
আর নয়!অনেক হয়েছে।অনেক পুড়েছে সে।নিজেকে আর কষ্ট দিবে না।নিজের ক্ষত পূরণ করতে তার সম্পদকে পাশে কাছে।সম্পদকে কাছে চাই,খুব কাছে!যতটা কাছে হলে সে আর দূরে যাওয়ার কথা কল্পনা পর্যন্ত করবে না।সে কয়েক দিন যাবত ভেবে ভেবে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।সম্পদকে সেও সারপ্রাইজ দিবে।সম্পদের কল্পনার বাহিরের সারপ্রাইজ!
অন্ধকারে টেবিল হাতড়ে ফোন খুঁজলো তিথি।পেয়েও গেল!ফোনে অাননোন একটা নাম্বার ডায়াল করে সে কল করলো।
২৭.
সন্ধ্যাবেলা তিথির ঘুম ভাঙলো।একটু নড়েচড়ে বাম কাত ফিরলো।উঠতে ইচ্ছে করছে না,চোখ খুলতে মন সায় দিচ্ছে না।তবুও মনের উপর এক প্রকার জোর খাটিয়ে চোখ দুটো খুলল।ঘুম ঘুম চোখে সে দেখল,সম্পদ চিৎ হয়ে শুয়ে আছে।বাম হাতটা কপালের উপর আড়াআড়ি ভাবে রাখা।ডান হাতটা মাথার নিচে।
তিথি অবাক হলো না।বিগত মাস গুলোতে সে প্রতিনিয়ত সম্পদকে স্বপ্নে দেখে।নিজের চারপাশে সম্পদের উপস্থিতি টের পায়।সব জায়গা সম্পদের অস্তিত্ব অনুভব করে।প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে সম্পদের মুখটা এসে মন দরজায় কড়া নাড়ে।তার নিজের উপর আর নিয়ন্ত্রণ নেই।নিয়ন্ত্রণ নেই মনের উপর!সবটা সম্পদের দখলে।সবকিছুতে সম্পদ নামক মানুষটার বিচরণ!
তার দেহের এবং মনের সব অধিকার মানুষটা ছিনিয়ে নিয়েছে।যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত সৈনিক এখন সে।কিন্তু এ পরাজয়ে দুঃখ নেই।আছে শুধু আনন্দ, অপরিসীম ভালোবাসা আর ভালো লাগা।সে হেরে গেছে সম্পদের ভালোবাসার কাছে।সম্পদ নিজের ভালোবাসা দিয়ে তাকে হার মানতে বাধ্য করেছে। বাধ্য করেছে পুনরায় ভালোবাসতে।সে দূরে গিয়ে তিথিকে বুঝিয়ে দিয়েছে তার জীবনের কতটা অংশ জুড়ে এই মানুষটার বসবাস!এই মানুষটাকে সে কতটা ভালোবাসে!
তিথি চোখ বন্ধ করলো।ঘুমের ঘোরে সম্পদের প্রতিমূর্তির দিকে এগিয়ে গেল।ডান হাত বাড়িয়ে সম্পদকে জড়িয়ে বুকে মাথা রাখল।শুধু মাথা রেখে সে ক্ষান্ত হলো না।কিছুক্ষণ পর নড়েচড়ে একদম সম্পদের উপরে উঠে গেল।দু হাত বাড়িয়ে ভালোমতো জড়িয়ে ধরলো।সম্পদের বুকে মাথা রেখে তবে শান্ত হলো!
সম্পদের বুকে মুখ গুঁজতে হঠাৎ করে তার মস্তিষ্ক সচল হলো।স্বপ্নে কি কাউকে এতটা অনুভব করা যায়?এতটা গভীর ভাবে ছুঁয়ে দেয়া যায়?এতদিন স্বপ্নে তো সব ছাড়া ছাড়া ছিল।সম্পদকে ছুঁয়ে দেয়ার আগেই অদৃশ্য হয়ে যেত। ছুঁয়ে দিলেও এতটা অনুভব করতে পারতো না।কেমন যেন অগোছালো ছিল সব কিছু।কিন্তু আজ?
তিথি ধপ করে চোখ খুলল।সম্পদের বুক থেকে মাথা তুলে বড় বড় চোখ মুখপানে তাকাল।সঙ্গে সঙ্গে তার বুকের ভেতর ছোট খাটো সাইক্লোন বয়ে গেল।সম্পদ কপালে হাত রেখে শান্ত চোখে তার দিকে চেয়ে আছে।
তিথির সবকিছু কেমন পরাবাস্তব মনে হচ্ছে।সে কি গভীর ঘুমে স্বপ্ন দেখছে?স্বপ্ন কি করে হবে?আর স্বপ্ন না হলে সম্পদ তার রুমে,বিছানায়,তার বুকের নিচে কি করছে?সম্পদের তো বিদেশে থাকার কথা!কি করে সম্ভব?
চোখ কচলে ফের তাকাল সে।সম্পদের সেই নিরব চাহনির কোনোরূপ পরিবর্তন ঘটেনি।কপাল কুঁচকে চোখ সরু হলো তিথির।সম্পদ হাত বাড়িয়ে তার কুঁচকানো কপালের রেখা শিথিল করে দিতে তিথির ঘোর কাটে।নিজের দিকে একবার তাকায়।নিজেকে এভাবে সম্পদের বুকের উপর দেখে ছিটকে সরে যায়।এক লাফে বিছানা থেকে উঠে অস্ফুটস্বরে বলে,
—‘ক-কে?’
সম্পদ চোখ তুলে তাকালো তার দিকে।গভীর সে চাহনি।তার গভীরতায় তিথির জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া ভেতরে নিমেষে শীতলায়ন ঘটলো।তোতলানো স্বরে বলল,
—‘আ-আপনি?আপনি কি সম্পদ?’
সম্পদ দীর্ঘশ্বাস ফেলল।অন্য দিকে তাকিয়ে বলল,
—‘আমি তো তাই জানি!’
—‘আপনি কোথা থেকে আসবেন?আমি নিশ্চিত স্বপ্ন দেখছি।’
মুহুর্তে সম্পদের চোখে মুখে বিরক্তি ফুটে উঠলো।তিথি তা স্পষ্ট বুঝতে পারছে।সম্পদ তার প্রশ্নের উত্তর দিল না।কাত ঘুরে তিথিকে পিঠ দিয়ে শুয়ে পড়লো।এতে তিথির বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো এবং বুঝতে পারলো সে স্বপ্ন দেখছে না।সত্যি সত্যি সম্পদ এসেছে।বিদেশে থেকে চলে এসেছে।
কিন্তু তার কোর্সের তো এখনো কয়েক মাস বাকি।হাতের আঙুল গুণে সে বুঝতে পারলো আজ দিয়ে তিন মাস এগারো দিন হলো সম্পদ দেশের বাইরে।তার কোর্স কমপ্লিট হতে আরো মাস তিনেক লাগার কথা।তাহলে হুট করে চলে এলো কেন?
তিথি একছুটে সম্পদের কাছে আসতে নিয়েও দু পা পিছিয়ে গেল।মুহূর্তে চোখ দুটো কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেল।সম্পদ বিদেশ থেকে আসলো অথচ তাকে একটিবার জানানোর প্রয়োজন মনে করলো না?তার লাইফে সে এতটা মূল্যহীন?এতটুকু গুরুত্ব নেই?এই তার ভালোবাসা?তিথির চোখে অবাধ অশ্রুর ধারা বইতে সে দৌঁড়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে গেল।
দীর্ঘক্ষণ পর তিথি ওয়াশরুম থেকে বের হলো।ইতোমধ্যে রুম অন্ধকারে ঢেকে গেছে।গোধূলি সন্ধ্যার সেই লাল আভা ঢেকে ফেলেছে নিকষ কালো অন্ধকারে।ছিঁটেফোঁটা আলো কোথাও নেই।সব জায়গা অন্ধকার গ্রাস করেছে।
অন্ধকারে এগিয়ে গিয়ে তিথি সুইচে চাপ দিল।সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি একটা আলো রুমের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লো।আলোটা চোখ পড়লে মনে প্রশান্তি নেমে আসে।কিন্তু তিথি কোনো প্রশান্তি অনুভব করলো না।বিছানায় তাকিয়ে দেখলো সম্পদ পাতলা একটা কম্বল জড়িয়ে গভীর ঘুমে।
তিথি ছলছল চোখে এগিয়ে গেল।মাথা নিচু করে গভীর দৃষ্টিতে সম্পদের দিকে চেয়ে রইলো।মুখটা অনেক শুকিয়ে গেছে সম্পদের।কিন্তু চেহারার মাধুর্য কমেনি।একদম ধবধবে ফর্সা হয়ে গেছে।ত্বক গুলো কেমন মসৃণ।তিথি গভীর আবেগে সম্পদের কপাল ছুঁয়ে দিল।ছুঁয়ে দিল সম্পদের মুখের সর্বত্র!ইশ!কতগুলো দিন পর সে মানুষটাকে ছুঁয়ে দিতে পারছে।তীব্র ভাবে অনুভব করতে পারছে।
সম্পদ হালকা নড়েচড়ে উঠতে সে দ্রুত সরে আসলো।আরেক পলক গভীর চাহনি দিয়ে চোখ মুছে বাইরে বের হলো।
ড্রয়িং রুমে আসতে স্নেহা জড়িয়ে ধরলো তিথিকে। কয়েক সেকেন্ড পর ছেড়ে দিয়ে হাসিমুখে বলল,
—‘কেমন ছিল সারপ্রাইজ?ভাইয়াকে এভাবে দেখে দারুণ খুশি হয়েছ না?’
তিথি ফ্যাকাসে ভাবে হাসলো।সেই সাথে তার সমস্ত সন্দেহের দ্বার বন্ধ হলো।তার মানে সম্পদ সত্যি সত্যি এসেছে।দু বার ভাবতেই তিথির মনের ভেতর সুখপাখির গুঞ্জন শুনতে পেল।সে ম্লান ভাবে বলল,
—‘আমি কিন্তু ভয় পেয়ে গেছিলাম স্নেহা।সেই সাথে দারুণ হকচকিয়ে গেছি।বিকেলবেলা ঘুমালাম একা।ঘুম থেকে উঠে দেখি পাশে একজন।তাও আবার সেই মানুষটা যার ওই মুহূর্তে বরফের দেশে থাকার কথা।কেমন হরর টাইপ না?’
স্নেহা শব্দ করে হেসে ফেলল।দুজন রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেল। যেতে যেতে স্নেহা বলল,
—‘প্লানটা কিন্তু আমার ছিল ভাবী।ভাইয়ার অবর্তমানে তোমার দুঃখী ফেস দেখে আমার ভীষণ ভীষণ মায়া লাগছিল।সে জন্য প্লান করে ভাইয়াকে বলে তার আসার কথাটা গোপন করলাম।এখন দেখো,তোমাকে কতটা খুশি দেখাচ্ছে।চোখে মুখে লজ্জার আভা।যেটা একমাত্র ভাইয়া কাছাকাছি থাকলে তুমি পাও!’
—‘হয়েছে হয়েছে!এবার থামো!কখন এসেছেন উনি?’
—‘বিকেলবেলা।তুমি রুমে যাওয়ার পরপরই!’
—‘আমাকে ডেকে দিলে না কেন?’
—‘আরে ভাবী ডেকে দিলে তো সব ভেস্তে যেত।তাছাড়া ভাইয়া হুট করেই চলে এসেছে।কেউ জানে না।এয়ারপোর্ট থেকে ভাইয়ার ম্যানেজার সবুজ গিয়ে রিসিভ করেছে।’
তিথির চিন্তা হতে লাগলো।হঠাৎ করে মানুষটা চলে এলো কেন?তাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য তো মনে হয় না!সে বেসিনে হাত ভিজিয়ে বলল,
—‘স্নেহা, তোমার ভাই হঠাৎ করে আসলো কেন?’
—‘বিজনেসের কাজে।ইমার্জেন্সি টিকেট ম্যানেজ করে এসেছে।কয়েকটা দিন পর আবার চলে যাবে।’
‘আবার চলে যাবে’ কথাটা খচ করে সুঁচের মতো বুকে বিঁধল তিথির।সে আর কথা বলতে পারলো না।ডেকচিতে পানি তুলে দিল।ফ্রিজ থেকে দুধের বোতল বের করে পানিতে ভিজিয়ে রাখলো।চমৎকার করে এক কাপ চা বানিয়ে সে সম্পদকে ডাকবে।
সে সম্পদকে সারপ্রাইজ দেয়ার কথা ভেবে রেখেছিল।অথচ সম্পদ নিজে থেকে তাকে একের পর এক সারপ্রাইজ দিয়ে যাচ্ছে।
ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা হাতে তিথি রুমের সামনে দাঁড়ালো।ভেতরে ঢুকতে তার ভীষণ ভয় করছে।ভয়ের সাথে সাথে সর্বাঙ্গে এসে ভর করেছে তীব্র লজ্জা।নতুন বৌয়ের মতো লজ্জা যেন তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।তার বুকের ভেতর ধুকপুক করছে।তীব্র বেগে রক্ত ছুটে চলেছে শিরা উপশিরা দিয়ে।হাত পা কাঁপছে।চায়ের কাপ থেকে ছলকে কয়েক ফোঁটা তার শাড়ির আঁচলে পড়েছে।
ইতোমধ্যে ফ্রেশ হয়ে সে সম্পদের প্রিয় রঙ বেগুনি রঙের একটা পাতলা শাড়ি পড়েছে।
ডান হাতের কাপ ঠকঠক করে কাঁপছে।বড় বড় করে শ্বাস নিয়ে তিথি নিজেকে ধাতস্থ করলো।চায়ের কাপটা দুহাতে শক্ত করে ধরে ভেতরে ঢুকলো।
(চলবে)