এক_পূর্ণিমা_সন্ধ্যায়,পর্ব_৩
নিশাত_জাহান_নিশি
“সব সাজানো নিয়াজ ভাই! সব সাজানো! তারা আমাদের বাঁচতে দিবেন না। মুনা থেকে শুরু করে আমি এবং অনলকে ও তারা ছাড়বেন না!”
বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে অনল ভয়ে কাবু হয়ে থাকা ঐথির উদ্বিগ্ন এবং রহস্যময়ী দু’চোখে তাকাল। ঐথির বহমান অশ্রুজলে বেদনার চেয়ে আসন্ন বিপদ, উৎকন্ঠা, ধ্বংস, আচ্ছনতা মোটের উপর বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে! অপর দিকে নিয়াজ, আহির এবং রুহাজ উদগ্রীব এবং কৌতুহল চিত্তে তিনজন তিনজনের মুখ দেখাদেখি করছে। মস্তিষ্কে অজানা, অদৃশ্য হাজারও প্রশ্ন নিয়ে অনল ঐথির দিকে ব্যগ্র গলায় প্রশ্ন ছুড়ে বলল,,
“কারা আমাদের বাঁচতে দিবে না ঐথি? তুমি দুই বা ততোধিক ঠিক কাদের উদ্দেশ্য করতে চাইছ?”
ভেজাক্ত আঁখিপল্লবে ঐথি মাথা উঁচিয়ে অনলের দিকে আহত দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। অতি রোষ এবং অপ্রকাশিত যন্ত্রণায় জর্জরিত হয়ে প্রত্যত্তুরে অনলকে বলল,,
“খুঁজে বের করো তুমি তাদের! যারা আমাকে, তোমাকে এবং আমার বোনকে নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে! সেই বুদ্ধিমত্তা, সাহসিকতা, বিচক্ষণতা নেই তোমার মধ্যে?”
চোয়াল শক্ত হয়ে এলো অনলের! দেহের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় অত্যধিক রাগ সঞ্চারিত হলো। প্রতি পদে নিজেকে হেনস্তা হতে দেখে উচ্চ আওয়াজে ঐথিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলল,,
“এই তোমার কি মনে হয় হুম? আমাকে তোমার ঠিক কি মনে হয়? আমার ব্যক্তিত্বে প্রশ্ন তুলে তুমি ঠিক কি মজা পাও?”
“তুমি দেখে ও কিছু দেখছ না অনল! বুঝে ও সেই বোধশক্তিকে বিচক্ষণতার সাথে কাজে লাগাচ্ছ না। তোমার চোখের সামনেই তোমার মিডিয়ার লোকজন তোমাকে ফাঁসাতে চাইছে! এবং আমাকে সেই চালের গুটি হিসেবে ব্যবহার করছে!”
অনল উগ্র হয়ে উঠল। স্থান পরিত্যাগ করে সটানভাবে দাঁড়াল। অনুসন্ধিত হয়ে ঐথির দিকে পুনরায় প্রশ্ন ছুড়ে বলল,,
“আমি কি এমন ক্ষতি করেছি মিডিয়ার লোকজনদের? কেন তারা আমাকে ফাঁসাতে চাইবে? তুমি ঠিক কি বলতে চাইছ ঐথি?”
চোখের জল নিবারণ করে ঐথি খানিক রুষ্ট গলায় চেঁচিয়ে বলল,,
“কিছুদিন আগের সেই ভিডিও ফুটেজটির কথা মনে আছে তোমার? যে ফুটেজটিতে একটি মেয়ের শ্লীলতাহানি হচ্ছিল?”
অনল অত্যধিক উৎসুক হয়ে অধৈর্য্য গলায় বলল,,
“কোন ভিডিও ফুটেজ? কার শ্লীলতাহানি? তুমি এসব কি বলছ ঐথি?”
ঐথি নাক টেনে কেঁদে বলল,,
“কিছু মাস আগে তুমি রাঙ্গামাটি গিয়েছিলে রাইট?”
“হ্যাঁ গিয়েছিলাম! তো?”
কিয়ৎক্ষণের মধ্যেই অনল কিছু একটা মনে করে পুনরায় জিগ্যাসু দৃষ্টিতে ঐথিকে শুধিয়ে বলল,,
“ওয়েট, ওয়েট, ওয়েট! তুমি কি করে জানলে আমি রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম?”
“তুমি যে বাড়িতে উঠেছিলে, সে বাড়িটিই ছিল আমার বাড়ি! আমার বাবার বাড়ি!”
ইতোমধ্যেই ফার্মের আশপাশ থেকে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির পদধ্বনি কর্নগোচর হতে লাগল উপস্থিত পাঁচ জনের! অনল সহ বাকিরা ও ভড়কে উঠল। হাতে থাকা জ্বলন্ত মোমবাতিটি অনল ফুঁ দ্বারা নিভিয়ে ঐথিকে টেনে বসা থেকে উঠিয়ে দাঁড় করালো! ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঐথির দম বন্ধ হয়ে আসছিল। অনলের সুঠাম বাহুডোরে ঐথি একটুখানি জায়গা করে নিলো। ঘাম এবং চোখের জলে সিক্ত ঐথি স্বল্প সময়ের মধ্যেই অনলের বাহুডোর ভিজিয়ে দিলো। অনল সামান্যতম বিরক্তবোধ না করে ঐথিকে অন্য বাহু দিয়ে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরল। ভরসা পেয়ে ঐথি অনলের বাহুডোরে নিজেকে অত্যধিক পাকাপোক্ত ভাবে ঠেসে ধরল! পদধ্বনি গুলো গাঢ় হতে লাগল। বুঝতে বেশি বেগ পেতে হলো না, কেউ বা কয়েকজন মন্থর গতিতে এগিয়ে আসছে ফার্ম হাউজের দিকে! অনল অধিক ঘাবড়ে উঠে মিনমিনে গলায় নিয়াজ, আহির এবং রুহাজকে বলল,,
“এক্ষুনি আমাদের এই স্থান পরিত্যাগ করতে হবে। তোরা তিনজন পিছনের দিকটায় যা। গোপন দরজাটা খোলার চেষ্টা কর। আমি ঐথিকে নিয়ে আসছি!”
তিনজনই সম্মতি জানিয়ে দ্রুত পা ফেলে ফার্ম হাউজের ঠিক পেছনের দিকটায় চলে গেল। ঐথি ভয়ার্ত গলায় ফুঁফিয়ে উঠে বলল,,
“আমি জানতাম, “ওরা আসবে!” আমাদের সন্ধানে ওরা ঠিক এইখানে ও চলে আসবে।”
অনল অস্থির দৃষ্টিতে গভীর তমসায় মাখা শঙ্কিত ঐথির দিকে দৃষ্টি আবদ্ধ করল। ঐথি ক্ষণে ক্ষণে তব্ধ শ্বাস নির্গত করছে। নাকের জল, চোখের জল মিশিয়ে অনলের বাহুডোর ভেজাক্ত করে তুলছে! এই পুরো অশৃঙ্খল বিষয়টায় অনল বিন্দুমাত্র বিরক্তি বোধ না করে উল্টে আনুমানিকভাবে ঐথির বাঁ হাতটি চেপে ধরে মন্থর গলায় বলল,,
“শান্ত হও ঐথি। তোমার এই নাকী কান্নার শব্দ যদি বাইরে ওঁৎ পাতা শত্রুদের কর্নপাত হয় তবে আমাদের কারোরই শেষ রক্ষা হবে না। এই মুহূর্তে আমাদের খুব সতর্কতা এবং নিরাপত্তার সাথে ফার্ম হাউজ থেকে পালাতে হবে।”
“তুমি এত ভালো ভাষায় আমার সাথে কথা বলো না অনল! তোমার এত ভালো ব্যবহার আমার একদম সহ্য হয় না! সবসময় আমার সাথে যেভাবে খারাপ আচরণ করো বা করতে এখনও ঠিক সেই আচরণটিই করো! তবেই হয়তো আমার স্বস্তিবোধ হবে। তোমাকে বুঝতে সুবিধে হবে!”
অনল রূঢ় গলায় বলল,,
“লিসেন ঐথি? আমি এমনি এমনি তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করি না কিন্তু! তুমিই প্রতিবার আমাকে বাধ্য করো তুখার বদমেজাজি এবং খারাপ আচরণ করতে! তোমার প্রতিটি বিবেচকহীন কাজ আমাকে সাংঘাতিক রাগী হতে বাধ্য করে।”
ইতোমধ্যেই পেছনের দরজা থেকে নিয়াজ অতি নিম্ন গলায় অনলের নাম ধরে ডেকে উঠল। আহির এবং রুহাজ এতক্ষণে গোপন দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেছে। অনলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়াজ ও মুহূর্তের মধ্যে পেছনের দরজা দিয়ে হাউজ থেকে বেরিয়ে গেল। অনল বেশ তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হুট করে ঐথিকে পাজাকোলে তুলে নিলো! ঘটনার আকস্মিকতায় ঐথি মৃদু আওয়াজ করে উঠতেই অনল দাঁতে দাঁত চেপে ঐথির মুখটিকে অনলের বুকের পাঁজরের সাথে চেপে ধরল! অনলের বুকের পাঁজর ভেদ করে আওয়াজ আর বেরুনোর ক্ষমতা কুলাতে পারল না! বুকের পাঁজরেই আওয়াজ স্তব্ধ হয়ে গেল! কিয়ৎক্ষনের মধ্যেই ঐথি অনলের বুকের পাঁজর থেকে মুখ সরিয়ে নিলো! বেসামাল লজ্জায় কুঁকড়ে উঠে সে অনলের বুকের মধ্যিখানে মাথা লুকিয়ে নিলো!
দ্রুত পায়ে হেঁটে অনল ফার্ম হাউজ থেকে বের হয়ে তিন রাস্তার মোড়ে অস্থির ভাবাপন্ন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রুহাজ, আহির এবং নিয়াজের দারস্থ হলো। ঐথিকে কোলে রেখেই অনল রুহাজের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলল,,
“জীপ কোথায়?”
“মেইন গেইটে! এই মাত্র পুলিশদের গাড়ি এই রাস্তা ক্রস করল। টহলে আছে বোধ হয়।”
নিয়াজ তৎপর গলায় রুহাজের হাত ধরে বলল,,
“চল, জীপটা নিয়ে আসি।”
অনল উত্তেজিত গলায় নিয়াজকে শাসিয়ে বলল,,
“গবেট তুই? মেইন গেইটের সামনে আমাদের জীপটা নিশ্চয়ই পুলিশদের দৃষ্টিগোচর হয় নি? আমি শতভাগ নিশ্চিত, ফার্ম হাউজের ভেতরে পুলিশের কোনো সহচর বা আমাদের দ্বিতীয় কোনো শত্রুপক্ষ আছে! তাদের পদধ্বনিই আমাদের কর্ণগোচর হয়েছিল! কেউ আমাদের খুঁজছে। আমাদের সন্ধানে এই অবধি পৌঁছে গেছে!”
এই পর্যায়ে এসে ঐথি খুব মোচড়ে উঠল! শরীরের সমস্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে অনলের বলিষ্ঠ শরীরের সাথে যুদ্ধ বিগ্রহ করে অতি তিক্ত গলায় বলল,,
“কোল থেকে নামাও বলছি। বিপদ কেটে গেছে, এবার ছাড় আমায়!”
অনুরক্ত দৃষ্টিতে অনল ঐথির রূঢ় দৃষ্টিতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বলল,,
“এই শোনো? আমারও কোনো ইন্টারেস্ট নেই তোমাকে কোলে তুলে রাখার! বাধ্য হয়ে কোলে তুলতে হয়েছিল, নিজেকে শত্রুপক্ষের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য!”
রাগে অতি ক্রুদ্ধ হয়ে অনল ধপাস করে ঐথিকে তার পাশ ঘেঁষে দাঁড় করিয়ে দিলো! সোজা হয়ে ঠিকই দাঁড়িয়ে আছে ঐথি, তবে তার শরীরের সমস্ত অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ ভেতর থেকে দুমড়ে মুচড়ে গেছে বোধ হয়! যা তার কুঁচকানো এবং বিরাগ মুখভঙ্গি দেখে স্পষ্টত বুঝা যাচ্ছে! ওষ্ঠদ্বয় চেপে ধরে ঐথি কোমড়ে ভর করে দাঁড়াল। চাঁপা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলল,,
“পাষন্ড অনল! বাইরের শত্রু আমার শত্রুই না! তুমিই হলে আমার চিরশত্রু! ভাগ্য কত নির্মম আমার! সেই চির শত্রুর সাথেই দাঁড়িয়ে আছি আমি। একেবারে না মেরে আমাকে তিলে তিলে মেরে দিচ্ছে এই শত্রু!”
“মেরে তো দিচ্ছ তুমি আমায়! দু’বছর ধরে তিলে তিলে মারছ। এই পর্যায়ে এসে আরও ভয়ঙ্কর ভাবে আমাকে মেরে দেওয়ার পরিকল্পনা করছ।”
আহির অতিষ্ট হয়ে অনল এবং ঐথির মাঝখানে দাঁড়িয়ে অধৈর্য্য গলায় বলল,
“এই তোরা থামবি প্লিজ? নিজেদের বাঁচানোর ব্যবস্থা না করে তোরা একে অপরের সাথে ঝগড়া করছিস? মাথা কি পুরোপুরি গেছে তোদের?”
ফোঁস করে শ্বাস ছেড়ে ঐথি তাৎক্ষণিক মাথা নুইয়ে নিলো। অনল গলা খাঁকিয়ে উল্টে যাওয়া শার্টের কলারটা ঠিক করে আহির, নিয়াজ এবং রুহাজকে তৎপর গলায় বলল,,
“এখন কিছুতেই ফার্ম হাউজের দিকে যাওয়া যাবে না। জীপের আশা ছেড়ে দিতে হবে। রিকশা ধরে আমাদের এখন বাস স্টপের দিকে রওনা হতে হবে।”
নিয়াজ কর্কশ গলায় অনলকে শুধিয়ে বলল,,
“ঠিক আছে। কিন্তু আমরা যাব টা কোথায়?”
“রাঙ্গামাটির দিকে! পাহাড়ি পার্বত্য অঞ্চল গুলোতে।”
অনলের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়ে সবাই হাঁটা ধরল মেইন রাস্তা ধরে। একটু এগিয়ে যেতেই সামনের মোড়ে রিকশা চালকের কোনো অভাব হবে না। নিয়াজ, রুহাজ এবং আহির তাদের হুডির টুপি মাথায় তুলে দলবদ্ধ হয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে চলছে মোড়ের দিকে। অনল এবং ঐথি পেছনের সারিতে অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখে আপন গতিতে হেঁটে চলছে। কেউ কারো দিকে ভুলক্রমেও দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে না। কুয়াশা-মাখানো শীতল প্রকৃতি যেন মুহূর্তে মুহূর্তে ঐথির শরীরে কাঁটা তুলে দিচ্ছে। পাতলা জর্জেট ওড়নার আস্তরণ ভেদ করে শীতের ভয়াল প্রকৃতি নিমিষেই যেন ঐথিকে গ্রাস করে নিচ্ছে। দাঁতে দাঁত সংঘর্ষিত হয়ে আসতেই ঐথি হাত দুটো বুকের ভেতর গুটিয়ে নিলো। বুকের উষ্ণ আদ্রতায় ঐথির শিথিল হাত দু’খানা মুহূর্তের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল। একটু আরাম বোধ হতেই ঐথি ওড়না দ্বারা তার সমস্ত শরীরকে ঢাকার চেষ্টা করল। এই পর্যায়ে এসে অনলের ও মৃদু শীতের অনুভূতি হলো! হাতে হাত সংঘর্ষণ করে অনল মুখ থেকে উষ্ণ ধোঁয়া নির্গত করতে তৎপর হয়ে উঠল। শীতের প্রবাহে ইতোমধ্যেই অনলের কপালের কাঁটা অংশ এবং হাতের জখমের অংশে মৃদু ব্যথার অনুভূতি হলো! অতি ব্যথায় নাক, মুখ কুঁচকে নিলো অনল। ল্যাম্প পোস্টের ঝাপসা আলোতে ঐথির অস্থির দৃষ্টি পড়ল অনলের কুঁচকে থাকা মুখমন্ডলে। সঙ্গে সঙ্গেই ঐথি অপর প্রান্তে দৃষ্টি সরিয়ে রুক্ষ গলায় অনলের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলল,,
“কপালটা কিভাবে কাটল?”
ঐথির প্রশ্নে অনলের তেমন কোনো ভাবান্তর হলো না! গাঁ ছাড়া ভাব নিয়ে জবাবে বলল,,
“এতকিছু তোমার জানতে হবে না!”
“জোর করছি না জানাতে! কৌতুহল হলো তাই জিজ্ঞাসা করলাম। তাছাড়া এমনিতেও আমার কোনো ইচ্ছে নেই অন্যজনের প্রেমিককে তার ব্যথার কথা জিজ্ঞেস করার!”
দাঁতে দাঁত চেপে অনল কিয়ৎক্ষণের মধ্যেই ঐথির বাঁ হাতটি চেপে ধরল! রক্তিম দৃষ্টিতে ঐথির অধীর দৃষ্টিতে দৃষ্টি আবদ্ধ করে জিজ্ঞাসু গলায় বলল,,
“এখনও সেই ভুল মনোভাব মনে পোষণ করে রেখেছ তাই না? ইফাকে আবারও আমাদের মাঝখানে টেনে আনছ?”
ঐথি রেগে উঠল। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অঢেল ক্ষোভ সমেত অনলকে শাসিয়ে বলল,,
“হাতটা ছাড়ো! তোমার কোনো অধিকার নেই বিনা অনুমতিতে আমাকে স্পর্শ করার। তাছাড়া, ইফা আমাদের মাঝখানে থাকা অদৃশ্যনীয় এমন একটি চরিত্র যে চরিত্রটি তুমি চাইলেও অস্বীকার করতে পারবে না বা তাকে এড়িয়ে যেতে পারবে না!”
ঐথির হাতটি ছুড়ে ফেলে অনল বাজখাঁই গলায় চেঁচিয়ে বলল,,
“ইফা শুধুমাত্রই আমার ভালো লাগা ছিল! তোমাকে ভালোবাসার অতি পরেই আমি বুঝতে পেরেছি তা! ভাবতে পারি নি, আমার খামখেয়ালিপনাকে সত্যি ভেবে ইফা ও পরিশেষে রাফিন ভাইকে অতি অনায়াসে বর্জন করবে। আমার ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে আমার কাছে ছুটে আসবে। তোমার এবং আমার মধ্যে বিচ্ছেদের দেয়াল তৈরী করবে!”
#চলবে…?