একটু_একটু_ভালোবাসি
পর্বঃ০২,০৩
লেখিকাঃশাদিয়া_চৌধুরী_নোন
পর্বঃ০২
এভাবেই এক অজানা আগুন্তকের ভয়ে সিরাতের সারারাত ঘুম হলো না। শেষ রাতের দিকে একটু ঘুম এসেছিলো। তারপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে জানা নেই তার।
পরদিন সকালে,
ছোট ভাই ইফতিকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার পর সিরাত কোচিং-এ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে লাগলো। কোচিং সেন্টার সামান্য দূরে। রিকশা করে না গেলেই নয়। কিন্তু টাকা জমানোর লোভে সে রাস্তাটা হেঁটে হেঁটেই পার করছে সে। কোচিং সেন্টারের কাছাকাছি পৌঁছোতেই সিরাতের মুখ খানিকটা চিন্তিত দেখা গেলো। বুকটা ক্রমান্বয়ে হাতুড়িপেটা করছে। বারকয়েক দ্রুত চোখের পলক ফেলে পেছন ফিরে তাকালো সে। কই! কেউ তো নেই। মনে হলো যেন কেউ তার পেছন পেছন আসছে!
সিরাত ঢোক গিলে সামনে ফিরে আবার হাঁটতে শুরু করলো। কিছু দূর যেতেই সিরাত খুব তাড়াতাড়ি পেছন ফিরে তাকালো যাতে, পেছনের লোকটা লুকানোর সুযোগ না পায়।
সিরাত পেছনে ফিরতেই দ্রুত কিছু একটা যেন পেছনের গলিটাতে ঢুকে পড়লো। সিরাত চোখ বড় বড় গলির প্রবেশপথের দিকে তাকিয়ে রইলো বেশ কিছুক্ষণ। কারো দৌঁড়ানোর আওয়াজ তার কানে এসেছে। এতো সকালে এমনিতেই রাস্তায় মানুষজন নেই। তারউপর এমন একটা ঘটনা, সিরাত পারলে গলে গিয়ে মাটির সাথে মিশে যায়। একটা বড়সড় চিৎকারে চারপাশটা মুখরিত হলো।
—— আল্লাহ গো……
সিরাত প্রাণপনে দৌড়াতে লাগলো। এখনো তার মনে হচ্ছে, পেছন থেকে তার সাথেসাথে কেউ দৌড়াচ্ছে। তার চিৎকারের পরিমাণ আরো বাড়তে লাগলো,
—- চলে যাও…. তুমি চলে যাও।
সিরাত আর পেছনে ফিরে তাকালো না। একেবারে কোচিং সিন্টারের ভেতরে গিয়ে জোরে জোরে হাঁপাতে লাগলো। খুব বেশি ভয় পেয়েছে সে। অনেকক্ষণ দৌড়ের ফলে, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে৷ বেঞ্চে বসে কয়েক ঢোক পানি শেষ করতে করতে সে হাস ফাঁস করতে লাগলো। এ কোন বিপদে পড়লো সে?
সিরাতের এহেন অবস্থা দেখে কোচিংয়ের হাতেগুণা যে ক’জন ছেলে-মেয়ে এসেছিলো, তারাও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সিরাতের দিকে। সিরাত বরাবরই শান্তশিষ্ট মেয়ে। কিন্তু আজ দেখে মনে হচ্ছে, সে এইমাত্র ঘূর্ণিঝড় আইলা’র সাথে যুদ্ধ করে এসেছে।
সিরাত আচমকা সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে শুরু করলো। সে কলেজে পড়লেও অন্যান্য মেয়েদের মতো ম্যাচিউরড নয়। বাবার চাকরিসূত্রে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছে বেশিদিন হয়নি। নিজের পরিবার ছাড়া আশেপাশের পৃথিবীর কোনোকিছুরই সম্মুখীন হতে হয়নি তাকে। কিন্তু কাল থেকে এমন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে যে, সে কান্না ছাড়া কোনো উপায় পেলোনা।
ক্লাসের কয়েকজন মেয়ে স্যারকে ডেকে আনলে, তিনিও বেশ অবাক হলেন৷ অতঃপর একটা রিকশাতে করে সিরাত সুন্দর করে সুবোধ বালিকার মতো বাড়িতে চলে গেলো।
এদিকে সিরাত মা স্যারের কাছ থেকে এই ঘটনা জানার পর মরাকান্না জুড়ে দিলেন।
—– হায়! হায় আল্লাহ্, আমার মাইডারে জ্বিনে ধরছে। সিরাতরে এখন তোরে বিয়া দিমু কেমনে? তোরে কোন পোলা বিয়া করবো? তোরে আমি বলছিলাম মাথায় সবসময় ওড়না দিবি, দোয়া-সূরা পড়বি… আমার কথা শুনোস নাই। জ্বিন তোরে বশ কইরা বট গাছে নিয়া সংসার করবো রে..
সিরাত মুখ পানশে করে মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। মা এমন একটা সিচুয়েশনে তার বিয়ের কথা চিন্তা করছে! মায়ের কাছে তার কোনো দামই নেই? হুহ!
সিরাত কান্নামুখ করে নিজের রুমে চলে গেলো। সেদিন সে আর কলেজে গেলো না। সারাদিন বাড়িতেই সময় কাটালো। রাত এগারোটার পর আবার আননোন নাম্বার থেকে কল আসা শুরু করলো তার মোবাইলে। সিরাতের ইচ্ছে হলো এই মোবাইলটাকে প্রশান্ত মহাসাগরের পানিতে দশবার ডুব মেরে আনতে। আজব তো! গতকাল থেকে এসব কি হচ্ছে তার সাথে? ঐ লোকটা কে? ঐ লোকটা একটা সর্বনাশা, তুই একটা মহাপাগল, তুই পাবনা মানসিক হাসপাতালের অলিখিত রোগী। তুই কাকের ডিম। সিরাত দ্বিধাবোধ নিয়ে মোবাইলটা বন্ধ করে রাখলো। আননোন নসম্বার মানেই তার কাছে ভয়। কে না কে কল করেছে!
কয়েকদিন কেটে গেলো। সিরাত কলেজে যায়, আসে। আগের মতো প্রতিদিনের রুটিনের মতোই চলছে তার জীবন। সেদিনের পর থেকে আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি তাকে। ঘটনাগুলো ভুলে যাওয়ার পথে সে।
আজও সে কলেজ শেষে গেইটের বাইরে একটা গাছের আড়ালে, খানিকটা ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছে। পাশে আছে শিলা। সিরাত চোখ ছোট ছোট করে সূর্যের প্রখরতা মাপার চেষ্টা করছে। হাতে একটা ফাইল। গরমে নাজেহাল অবস্থা একেবারে। শিলা মাথা নিচু করে একমনে ফোনে স্ক্রল করেই চলেছে। বাসটা আসছে না কেন!
এমন সময় ঘটলো আকস্মিক এক ঘটনা। সিরাতকে কেউ একজন জড়িয়ে ধরে আছে আলতে করে। ধাক্কাটা সামলাতে সিরাতের একটু বেগ পেতে হলো। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে ফ্রিজড হলো যেন।
—- ডার্লিং! সেদিন হাগ না করে চলে গেলে কেন? আমি তোমাকে মিস করি জানো?
সিরাতের মনে হলো সে স্বপ্ন দেখছে। ভয়ে সে বিড়বিড় করে ভূত তাড়ানোর মন্ত্রটা আওড়াতে লাগলো। নিশ্চিত গাছের উপর থেকে ভূত নেমে এসেছে।
—– শো মন্তর শোহ! ভূত তুই চলে যা, থোহ্ থোহ্ থোহ্!
একি ভূতটা যাচ্ছে না কেন? সিরাত আরো কয়েকবার মন্ত্রটা পড়লো৷ একই ফলাফল। মুখে হাত দিয়ে লোকটার পাশ থেকে সরে এসে সিরাত একনজর তাকালো।
ঐ দিনের আধা পাগল লোকটাই! সিরাতের মুখের রং পাল্টে গেলো। নিঃশ্বাস নিতেও ভুলে গেলো যেন। লোকটা হাসিমুখে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
—– ইন্নানিল্লাহ্! আল্লাহ গো….. আমাকে বাঁচাও!
সিরাত হাতের ফাইলপত্র দূরে ছুঁড়ে মেরে কোনো দিকে না তাকিয়ে আবার দৌড় দিলো।
চলবে
#একটু_একটু_ভালোবাসি
#পর্বঃ০৩
#লেখিকাঃশাদিয়া_চৌধুরী_নোন
—– শো মন্তর শোহ! ভূত তুই চলে যা, থোহ্ থোহ্ থোহ্!
একি ভূতটা যাচ্ছে না কেন? সিরাত আরো কয়েকবার মন্ত্রটা পড়লো৷ একই ফলাফল। মুখে হাত দিয়ে লোকটার পাশ থেকে সরে এসে সিরাত একনজর তাকালো।
ঐ দিনের আধা পাগল লোকটাই! সিরাতের মুখের রং পাল্টে গেলো। নিঃশ্বাস নিতেও ভুলে গেলো যেন। লোকটা হাসিমুখে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
—– ইন্নানিল্লাহ্! আল্লাহ গো….. আমাকে বাঁচাও!
সিরাত হাতের ফাইলপত্র দূরে ছুঁড়ে মেরে কোনো দিকে না তাকিয়ে আবার দৌড় দিলো।
এই লোকটা কে? বারবার এমন অদ্ভুত ভাবে সামনে আসে কেনো? আর আসলেও এমন এমন কান্ড করে যা সত্যি অকল্পনীয়।
সিরাত এখন রিকশায় বসে দাঁতে নখ খুঁটছে। বেশ কয়েকবার পেছন ফিরে দেখলো, কেউ আসছে কি-না। নাহ্!কেউই আসছে না। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সে।
—- কি দরকার ছিলো সেদিন ঐ রেস্টুরেন্টে যাওয়ার? এখন কেমন লাগছে তোর? কি হবে বল? ঐ পাগলটা তোর কলেজ অব্দি চলে গেছে।
সিরাত আপনমনে বিড়বিড় করতে লাগলো। তারপর অনুভূতিহীন দৃষ্টিতে আকাশপানে তাকিয়ে রইলো। এসব কি হচ্ছে? কেনো হচ্ছে? এমনিতেই নিজের সমস্যা কুলোয় না, তারউপর জুটলো ঐ অর্ধপাগল লোকটা। এরপর যদি বাড়িতে চলে আসে? সিরাত এবার শব্দ করে নাক টানতে লাগলো। রিকশাওয়ালা বার কয়েক পেছন ফিরে তাকিয়ে আবার নিজের কাজে মনোযোগ দিলো। কাক ডাকছে। মধ্যাহ্নের সূয্যিমামাও যেন চলমান রিকশাটার সাথে এগিয়ে চলেছে সামনে।
সিরাত বাড়ির সামনে দরজাতে খেয়াল করলো অনেকগুলো অপরিচিত মানুষের জুতো। ভেতর থেকে হাসাহাসির শব্দ আসছে। তারমানে মা আবার পাত্রপক্ষ এনেছে। সিরাত ভয়েভয়ে কলিংবেলের সুইচবোর্ডে চাপ দিলো। এইবার না তার বিয়েটা হয়ে যায়! ধূর এভাবে কি বাঁচা যায় নাকি? মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
দরজা খুললো সিরাতের মা। হাসিমুখে দরজা খুললেও সিরাতের ভীতু চাহনি দেখে তিনি ধমক দিলেন,
—- বানরের মতো চেহারা করে রেখেছিস কেন? ওরা তো তোর চেহারা দেখেই মানা করে দেবে। বলবে, তোকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছি। সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলবি। আয় ভেতরে আয়….
তিনি সিরাতের হাত ধরে টেনে ভেতরে ঢুকালেন। তারপর রুমে নিয়ে গিয়ে সুন্দর গোলাপি একটা শাড়ি পড়িয়ে দিলেন সিরাতকে। হাতে একটা নাস্তার ট্রে ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
—- এইবার যদি তোর বিয়ে না হইছে, আমিও সওদাগরের মাইয়া না…..
———————-
রাতে সিরাত শুনলো, তার বাবা’ই ওদের মানা করে দিয়েছে। তিনি এনজিও চাকরি করা ছেলেকে মেয়ে দেবেন না। সিরাত কথাটা শুনে পারলে নেচে দেয়। বেশ হয়েছে! বেশ হয়েছে একদম। ছেলের মা বলে কিনা, বিয়ের পর পড়তে দেবে না। কেন? বিয়ে করলে কি স্বামীকে গলায় মালার মতো ঝুলিয়ে রাখতে হবে নাকি? পড়লে কি সমস্যা? হুহ! যাক অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও বিয়ের কথা উঠবে না বাড়িতে। সিরাত খুশিমনে পড়তে বসলো। জানালা দিয়ে হুরমুর বাতাসে টেবিলের সব বই যেন পারলে উড়ে যায়। সিরাত বিরক্তি নিয়ে জানালার বাইরে চোখ রাখলো। নিমেষেই রাগ যেন, বইয়ের পৃষ্ঠার মতোই উড়ে গেলো। অকৃত্রিম চাঁদের আলোটা বড়ই মুগ্ধকর। সত্যিই মুগ্ধকর।
সেদিন ছিলো সোমবার। সিরাত যথারীতি কলেজ শেষ করে বাড়িতে ফেরার অপেক্ষায় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে। তার মতোই দাঁড়িয়ে আছে আরো অজস্র শিক্ষার্থী। সবার উদ্দেশ্যই বাড়ি ফেরা। আকাশের অবস্থা ভালো নয়।যেকোনো সময় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামতে পারে। ছাতাও নেই সাথে। আজকাল আবহাওয়াও যেন মানুষের সাথে মশকরা শুরু করেছে। এই রোদ, এই বৃষ্টি! কোনো নিয়মনীতি মানে না। আরে এটা বাংলাদেশ। ঋতু অনুযায়ী চলবে জানি, তা না করে সব মিলেমিশে একাকার করে ফেলেছে!
মৃদু বাতাস বইছে। সিরাতের বাসটা মিস হয়ে গেছে৷ বাস এসেছিলো ঠিকই কিন্তু মানুষের হুড়োহুড়িতে সে উঠতে পারেনি। এখনো নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনি সে, এই শহরের সাথে। পরের বাসটা কখন আসবে জানা নেই তার। তবুও দাঁড়িয়ে আছে সে। একটু পরপর চোরা চোখেও তাকাচ্ছে এদিক-ওদিক। ঐ পাগল লোকটা না আবার উদয় হয়!
সিরাতের ভয়টাই সত্যি হলো। অবাকের সাগরে ডুব দিয়ে সে খানিকের জন্য ধ্যান হারিয়ে ফেললো। লোকটা এবার তাকে পালানোর কোনো সুযোগ দিলো না। লোকটা তাকে কোথাও টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সিরাত শুধু বোকার মতো শূন্য দৃষ্টিতে অনুসরন করে গেলো। চোখ মুখ শুকিয়ে পাণ্ডুর বর্ণ হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে দেখে মনে হবে, সে রক্তশূন্যতার রোগী।
লোকটা তাকে কলেজের একটু দূরের কার পার্ক করার জায়গাটাতে এনে দাঁড়ানো শতশত গাড়ির একটিতে বসিয়ে, নিজেও বসলো। সিরাত চোখ পিটপিট করে লোকটার দিকে তাকিয়ে, আচমকা ঠোঁট উল্টে শব্দ করে কেঁদে উঠলো। বিনীত কন্ঠে বললো,
—- প্লিজ! প্লিজ আমার কোনো ক্ষতি করবেন না। আমি কিছু করিনি। সত্যি বলছি।
লোকটা যেন সিরাতের কথায় বেশ মজা পেলো। ঠোঁটের কোণে উঁকি দিলো ছোট্ট হাসি। গলা খানিকটা খাদে নামিয়ে বললো,
—- আমি কি কিছু করেছি রাত?
সিরাত বোকা বনে কান্না থামিয়ে তাকিয়ে রইলো আবার। চোখের ভাসা ভাসা চিকন রগগুলো লাল হয়ে গেছে। সদ্য কয়েক ফোঁটা অশ্রু বিসর্জনের পরও, চোখ টলমল করছে। লোকটা সিরাতের গালে আলতো করে হাত রাখলো। দুজনের মাঝে বেশ দুরত্ব। সিরাত এবার এক অদ্ভুত কথা বললো,
—- আপনি আমাকে সবসময় ইয়ের মতো করেন কেনো?
—ইয়ে মানে কি রাত?
— ইয়ে মানে বউ!
লোকটা হাসি নিয়ে বললো,
—- কি করেছি আমি?
সিরাত এবার নাক টেনে টেনে বলতে শুরু করলো,
—- আপনি আমার কপালে চুমু দিয়েছেন, জড়িয়ে ধরেছেন এখন আবার আমার গালে হাত রেখেছেন। এগুলো আপনার বউয়ের সাথে করতে পারেন না? আমার সাথে কেন এমন করছেন? আমার মা-বাবা জানলে আমাকে মেরে ফেলবে। আর পড়তে দেবে না।
লোকটা এবার শব্দ করে হেসে দিলো। হাসির ঝংকারটা সিরাত বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনলো। লোকটাকে এখন আর বিপজ্জনক মনে হচ্ছে না।
—- আচ্ছা, আপনি কি পাগল?
— ঠিক ধরেছো। আমি বেশ কয়েকমাস পাগলাগারদেই ছিলাম।
সিরাতের মাথা এবার ভনভন করতে শুরু করলো। ইচ্ছে হলো, লোকটাকে সে নিজেই নিজ খরচে পাবনা পাঠিয়ে দেয়। উনার আরো দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন।
চলবে