#আমি_ক্লান্ত
#পর্ব: ০৪
#লেখক: সাব্বির রহমান নিলয়
মা তো আমাকে ভুলেই গিয়েছে,, আমার সাথে কেউ বসে খাবার খায় না,, মোন্তাহা কে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দেয়,,, যখন সাবাই খাবার খেতে বসে তার আগে আমার রুমে আমার জন্য খাবার পাঠিয়ে দেয়,, হয়তো বা যেনো তার সাথে খাবার না খাই সেই জন্য,, কেটে গেলো দুই দিন,, দুই দিন পর আম্মু আমার রুমে আসে হঠাৎ আম্মু কে আমার রুমে দেখে কিছু টা অবাক হলাম,,, কারণ এই দুই মাসে আম্মু আমার একবার ও খবর নেয় নাই,, আম্মু আমার কাছে এসে বলে
আম্মু : বাবা নিলয় কি করসি
— কিছু না মা
আম্মু : বাবা তুই কি আমাদের উপর রেগে আচ্ছিস
— রেগে থাকবো কেন মা তোমার তো কিছু করো নাই
আম্মু : নাহ তোর ছোট ভাই তোর আগে বিয়ে করে ফেলছে তাই
— নাহ্ মা রাগ করবো কেনো,, তোমরা যা ভালো মনে করছো তাই করছো এখনে রাগ করার কি আছে,,
আম্মু : আসলে বাবা আমারা ভেবে ছিলাম,, তুই এখন দেশে আসবি না তাই ওকে বিয়ে করিয়ে ফেলি,, আর ঘরে অনেক কাজ এই কাজ গুলো আমি একা একা করতে পারি নাহ্,, তাই বিয়ে করি দিয়েছি
— হুম মা বুঝতে পারছি,, সমস্যা নাই,, ভালো হইছে
আম্মু : বাবা তুই কবে যা আবার,, অনেক দিন তো হলো
— আম্মু কথা শুনে অনেক অবাক হলাম,, নিজের অজান্তে চোখ পানি চলে আসছে,, নিজেকে সামলে নিয়ে,, বললাম,, কেনো মা আমার এখানে থাকাতে কি তোমাদের সমস্যা হয়
আম্মু : না সমস্যা না আসলে তুই দেশে আসলি অনেক দিন হলো তাই জিজ্ঞেস করলাম,, কখন যাবি
— আমি চলে যাবো মা চিরদিনের জন্য,, তখন চাইলে ও আর ফিরতে পারবো নাহ্,, আর মাএ কিছু দিন,,
আম্মু : আচ্ছা যত তারাতাড়ি পারিস চলে যা,, সংসারে এখন অনেক টাকার দরকার,, তোর ছোট চাচা টাকা চাচ্ছে,, ওনার টাকা দিতে হবে,, আবার মোন্তাহা কে বিয়ে দিতে হবে,, অনেক টাকা লাগবে বুঝতে পারছিস তুই ছাড়া টাকা দিবে কে
এই বলো আম্মু চলো গেলো,, আম্মুর কথা গুলো তীরের মতো আমার বুকে এসে বিদলো প্রথমে ভেবে ছিলাম আম্মু মনে হয় সান্ত্বনা দিতে এসেছে,, এখন বুঝলাম আম্মু সান্ত্বনা না আমি কতো দিন এখানে আছি তা জানতে এসেছে,, ভেবে ছিলাম সাবাই যদি এক রকম হয় মা হয়তো আমাকে আগলে রাখবে,, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম কারণ সাবাই টাকার পাগল টাকা দিতে পাড়লে সাবাই আপন হয় থাকে,, যখন টাকা থাকে না,, তখন নিজের মা বাবা ভাই বোন সবাই পর হয়ে যায়,,
সাবাই শুধু নিজের সার্থ খুঁজে,, সার্থ ছাড়া দুনিয়া অচল,, রাতের খাবার খেয়ে বসে আছি,, তখন বড় আপু আব্বু আম্মু আমার রুমে আসে,, আব্বু চেহারায় অনেক টা বিরক্ত ভাব বুঝতে পারছি,, হয়তো কিছু বলতে চায়,, তখন বড় আপু বললো
বড় আপু : নিলয় তুই কি বিয়ে করবি,,
— নাহ্ আপু বিয়ে করবো নাহ্,, হঠাৎ এই কথা কেনো
বড় আপু : নাহ্ অনেক দিন হলো, দেশে আসলি তাই জিজ্ঞেস করছি,, বিয়ে করবি নাকি
— নাহ্ আপু বিয়ে করবো নাহ্,,
বড় আপু : তাহলে একটা কাজ কর তুই কিছু দিনের মধ্যে চলে যা বাড়িতে থেকে কি করবি,, অনেক দিন তো হলো
আব্বু : নিলয় তোর আপু কিন্তু ঠিক বলছে যদি বিয়ে না করিস তাহলে এখানে থেকে কি করবি
— ওহ তোমার তাহলে এই জন্য আমার কাছে আসছো
বড় আপু : হুম তারাতাড়ি চলে যা অনেক দিন হলো,,
— হুম আপু চলে যাবো আর পাচ দিন পর
তারপর সবাই চলে গেলো আমার থকে কেউ জিজ্ঞেস করে নাই আমি কেমন আছি,, বা আমি কি চাই সাবাই শুধু আমি কবে যাবো তা নিয়ে ব্যস্ত,, পাচ দিন পর ছোট বোন যখন আমার খাবার নিয়ে আসে এসে দেখে আমার নাক মুখ দিয়ে রক্ত পরছে,, রক্তে পরিমাণ এতো যে সারা ঘরে রক্ত ছড়িয়ে আছে,, এইটা দেখে ছোট এক চিৎকার দিয়ে বেহুশ,, ছোট বোন এর চিৎকার শুনে সাবাই চলে এলো
এসে দেখা এই অবস্থা,, মা ও এক চিৎকার দিয়ে বেহুশ হয় পড়ে,,কারণ নিলয় এর দেহটা এক দম সাদা হয়ে গিয়েছে সারা বিছানায় রক্ত লেগে আছে,, ছোট ভাই দেখে নিলয় নিশ্বাস নিচ্ছে না,,হয়তো বা অনেক আগে মারা গেছে নিলয় নিলয় এর ছোট ভাই যখন নিলয় কাছে যায় দেখে তার মাথার পাশে একটা চিরকুট,, চিরকুটা হাতে নিলো,, চিরকুট এর উপরে লেখা আমার পরিবার,, এইটা দেখে ছোট ভাই এই বার পড়তে শুরু করলো,,
চলবে,,