অহংকারি_চাচাতো_বোন😜,পর্ব-০৫,০৬

💝অহংকারি_চাচাতো_বোন😜,পর্ব-০৫,০৬
✍শাকিল দিহান
🥀 পর্ব-০৫

-একপর্যায়ে তানু রাগ করে বলে উঠল”থাক তোরা তোদের কালো ভুত বন্ধুটাকে নিয়ে,এসব গাঁইয়া,ক্ষেত লোকের সাথে মানুষ কথা বলে নাকি!তোদের চোখ এতই খারাপ,থাক তোরা”(এই বলে তানু সেখান থেকে চলে গেলো)
.
“আমার জন্যই হয়েছে,আমি কালই ঢাকায় চলে যাবো,আর এসে তোদের মাঝে সমস্যা করবো না”~(আমি)
.
“তোকে যেতে দিলেতো যাবি,তানুকে ঠিক করার দায়িত্ব আমাদের,ও মনে হয় তোর ওপর রাগ করে আছে,তাই দেখতে পারে না,না হলে দেখ এখানে দেখতে কে সুন্দর!”~(আরিফ)
.
“বিষয় সেটা না,তানু আমাকে ঘৃনা করে,আমার মনে হয়না রাগ করে আছে”~(আমি)
.
“বাবা-মায়ের আদর একটু বেশি পেয়ে কাউকে মানুষ বলে গুনেনা,ওর সমস্যা অন্যজায়গায়,তুই ঠিক করতে পারবি ওকে?”~(রাফি)
.
“শুনলাম তোর পড়লেখা পুরো হয়নি,তানুর ভার্সীটিতে ভর্তি হয়ে যা,পড়লেখাও চালায় যা,তানুকে ঠিক করতেও পারবি”~(নাদিয়া)
.
“দেখি”~(মন খারাপ করে)
.
“ওই মন খারাপ করবি না একদম,কিন্তু একটা কথা ভাবছি”~(আরিফ)
.
“কি ভাবছিস”~(নাদিয়া)
.
“তানুতো ভার্সীটিতে বিভিন্ন ফালতু কাজ করে,যদি দিহানকে এর স্বীকার হয়?”~(আরিফ)
.
“ও সেটাতো ভুলে গেছি,বাদ দে দিহান তুই বাসায় থেকে কর যা করার পড়লেখা করতে হলে অন্য ভার্সীটিতে করিস”~(রাফি)
.
“কি করে ভার্সীটিতে ও?”~(আমি)
.
“সে অনেক কিছু পরে বলবো,কিন্তু আজ অনেকদিন পর ৫ বন্ধু একত্র হলাম আর তানু ভেঙে দিলো দুর ফালতু”~(নাদিয়া)
.
“বাদ দে”
.
তারপর যে যার বাসায় চলে গেলো।আমি বাসায় এসে নিজেকে আয়নায় দেখলাম।দেখতে আসলেই বাজে লাগছে।যে মানুষের নিজকে নিজের কাছে ভালো লাগে না,অন্যমানুষ গুলোর কাছেও সে ভালো হয় না। 🥀
তখনই বন্ধু নাহিদের ফোন আসলো,
“কীরে কি অবস্তা?”~(নাহিদ)
.
“ভালো দোস,তোর?”~(আমি)
.
“ভালো,স্যার কিছু বলছে?”
.
“পরে এসব বিষয় নিয়ে বলবো,তোরা চট্টগ্রামে…চলে আয়,মিশন আছে”~(আমি)
.
“হুম,স্যার বললো,চট্টগ্রামের কোন কোন জায়গায় যেন অবস্তা খারাপ,অবস্তা খারাপ মানে কি বুঝাতে চাইছে”~(নাহিদ)
.
“সেটা এখানে আয় তারপর দেখা যাবে”
.
“সেখানে এসে থাকব কোথায়,তোর বাসায় নাকি?জায়গা দিলে ভালো হয় ভাবি পটাতে পারবো”
.
“এখন মজা করার মুডে নাই,আমি সবকিছুর ব্যবস্তা করছি তুই চলে আয়,সাথে ফাহাদ,জয়,রাহাতকে নিয়ে আয়”
.
“আর কেউ নাই?”
.
“আরেকজন কর্নেল স্যার সিলেক্ট করবে,আর আজ রাতে তুদের আসতে হবে”
.
“ওকে,আচ্ছা রাখি বাই”
.
রাত ১১:৩০ বাজে।গ্রামে এই সময়ে মধ্যরাত,আর শহরে রাতের খাবার খাওয়ার সময়(🥀 🥀সঠিক তো? 🥀🥀)।নাহিদ ফোন করে জানিয়েছে,ওরা চট্টগ্রামে চলে আসছে 🥀
.
রাতের বেলা মোবাইল স্কিনের হালকা আলোই,ঘর থেকে বের হলাম।চারদিকে নিস্তব্ধ গ্রামটা,এক অপরূপ সৌন্দর্য কাজ করে।গ্রামে রাতের বেলাটা অসম্ভব সুন্দর লাগে হালকা ঠান্ডা হাওয়া,ঝিঝিপোকার ডাক অসম্ভব সুন্দর লাগে।
.
রাত ১২টা বেজে ০৫ মিনিট।হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছি চিরচেনা ভার্সীটির গেইটের সামনে।নাহিদ,রাহাত ও ফাহাদের জন্য ভার্সীটির পাশেই একটা বাসা ভাড়া করেছিলাম।
.
হঠাৎ ভার্সীটির ক্যাম্পাসে কিছু একটা চোখে পড়ে।একটা লাল লাইট।কেউ একজন হেটে যাচ্ছে,এখন আমার কোনটা করা উচিত।নাহিদের সাথে দেখা করা নাকি,এই লোকটার পিছে করা।
.
আমার জন্য হয়তো ওদের অপেক্ষা করতে হবে,তাই ওদের কাছে চলে গেলাম।
“দিহান এই মিশনটা খুবই সিক্রেট রাখতে হবে,এখানে অনেক বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিযুক্ত”~(নাহিদ)
.
“কেন?”~(আমি)
.
“সিআইডির ৪জন লোক,এদের এরেষ্ট করার জন্য আসছে,কিন্তু এদের ৪ জনকেই আর খুজে পাওয়া যায়নি”~(রাহাত)
.
“ওকে আমাদের কাজ তাড়াতারি শুরু করতে হবে,ছদ্মবেশ ধরে,মানে এখন থেকে তোদের সাথে কথা হবে গোপনে”
.
“ওকে”

“এতদিন থেকে বুঝতে পারলাম আমরা যদি কোন ভার্সীটিতে।ছাত্র হিসেবে…কাজ শেষ করি তাহলে আমাদের কাজ ভালোভাবে শেষ করতে পারবো
.
“কি বলতে চাস?”
.
“আমরা সবাই ভার্সীটির ছাত্র হিসেবে জয়েন হতে হবে,তারপর সেখান থেকে কাজ চালিয়ে যাবো,একটা কথা মনে রাখবি মিশনের আগে তোদের আমি চিনি না,মানে গোপনভাবে কথা,আর বাকিগুলো মেসেজে,কারন আমার ওপর অনেকে সন্দেহ করে আছে”~(আমি)
.
“ওকে তাহলে কাল ভার্সীটির প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলবো,আমাদের ছাত্র হিসেবে কাজ করতে দেওয়ার জন্য”
.
“না লিগেল আপিল করতে হবে,কেননা হয়তো পরবর্তিতে দেখা যেতে পারে এদের মধ্যে কেউ ক্রিমিনাল যে এই সারা বিষয় পরিচালনা করছে”
.
“ওকে,আচ্ছা যা যদি কেউ দেখে পেলে সমস্যা হবে”
.
“ওকে”
.
আমি আস্তে আস্ত চলে আসলাম বাসায়।বাসায় এসে খেয়াল করি দুইতলার বেলকনিতে তানু মোবাইল টিপছে,তাড়াতারি নিজেকে আড়াল করে রুমে চলে আসলাম।
🥀রাত ১ টা বেজে ৪৫ মিনিট।ঘুমাচ্ছে কোনো একটা দলের বস।তখনই তার ফোন বেজে উঠল,
“হ্যালো”
.
“হ্যালো বস”
.
“হ্যা বল কি হয়েছে?”
.
“বস দিহান ভাইকে দেখলাম রাত সাড়ে ১১ টায় কোথায় যেব গেছে।আমি পিছে নিতে চাইছিলাম,কিন্তু হারিয়ে যায়।কিছুক্ষন আগে ঐদিকেই যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম দিহান ভাই বাসায় আসছে”
.
“তো সমস্যা কি কোনো কাজ ছিল হয়তো”
.
“এত রাতে কোনো ভালো কাজ থাকবে বলে মনে হয়না”
.
“তোকে কতবার বলবো আমাকে বস বলবিনা,ভাই বলবি”
.
“ওকে”
.
“আপাতত দিহানকে কি হবে বলেন পাঠক পাঠিকারা,
……
‘চলবে’

💝#অহংকারি_চাচাতো_বোন😜
✍শাকিল দিহান💯
🥀 পর্ব-০৬♨
“আপাতত দিহানের ওপর নজর রাখ,আমার মনে হয়না দিহান এমন কোনো কাজ করবে যার দ্বারা আমাদের ক্ষতি হবে,তুই নজর রাখ”
.
“ওকে ভাই”
.
সকালে ঘুমিয়ে আছি তখন,”ভাইয়া উঠো”~(তাসনু)
.
“কীরে এত সকালে ডাকছিস কেন?”(আমি)
.
“ভাইয়া নাস্তা করবে না?নয়টা বাজছে,সারাদিন কি ঘুমিয়ে থাকবে নাকি?চলো দাদা তোমাকে ডাকছে”
.
“ওকে তুই যা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি”
.
-রাতে একটু দেরি করে আসায় সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেলো।
-ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলাম,সবাই বসে আছে আমি ছাড়া।আগেরদিন তানুকে দেখছি আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে,আর এখন দেখছি অন্যরকমভাবে।
.
“কীরে দিহান উঠতে এত দেরি হয় কেন?”~(দাদা)
.
“কাল রাতে একটু দেরিতে শুয়েছি তাই একটু দেরি হয়ে গেলো”
.
“ও আচ্ছা নাস্তা করে নে তাড়াতারি ঠান্ডা হয়ে যাবে”
.
“হুম”
.
-সবাই নাস্তা করে যে যার মতো চলে গেলো।বাকি আছি,তানু আর আমি।তানু আমার দিকে একবার তাকিয়ে রুমে চলে গেলো।
-আজ ভার্সীটিতে ভর্তি হবো।সব ফর্মালেটিস রেডি।তানু ভার্সীটি যাওয়ার জন্য বের হয়ে গেলো।তারপর আমি বের হলাম।
-ভার্সীটিতে এসে প্রথমে নাহিদ,জয়,ফাহাদের সাথে দেখা করতে হবে।তাই কেউ না দেখে মতো বাসায় চলে গেলাম।এসে দেখি সবাই এখনো ঘুমাচ্ছে।দিলাম একটা লাথি *** বরাবর,
“আআআআ,ও আম্মু গেলোরে,আমি শেষ কোন ভালো ছেলে আমারে লাত্তি মারছে”
.
“আমি”
.
“ওই তুই আমাকে এরকম মারলি কেন?”~(নাহিদ)
.
“এত দেরিতে উঠলে তোর ভবিষ্যৎ অন্ধকার,তাই ভবিষ্যৎ অন্ধকার না করে একেবারে বর্তমানও অন্ধকার করে দিচ্ছি”
.
“তোরেতো আমি পায়ছি”
.
“এই না দাড়া,তোকে ঘুম থেকে তোলার ছিল তুলছি,সেটা লাতি মেরে হোক আর চড় মেরে হোক,এখন আসল কথায় আসি,তোদের একটা কথা বলতে হবে”
.
“জ্বী স্যার বলেন”~(ফাহাদ)
.
“তোদের লজ্জা বলতে কিছুই নাই,৪ বছরের…জুনিয়র একজন ছেলেকে স্যার বলছিস”
.
“আমার এখনো বিশ্বাস হয়না,দিহান কেমনে মেজর হলো,আর নাহিদ কেমনে অফিসার হলো”~(রাহাত)
.
“এটা হচ্ছে আমাদের পাওয়ার,ছোট হয়েও তোদের লিড দেই,এটাকেই বলে পাওয়ার”~(নাহিদ)
.
“ওকে,ভালো এখন আসল কথা বলো দিহান ভাই”~(জয়)
.
“আসল কথা হলো,তোদের ভার্সীটি ভর্তি হতে হবে না”
.
“মানে!”~(সবাই)
.
“বলছি,সবাই একত্র এক ভার্সীটিতে ভর্তি হলে সন্দেহের মাত্র বাড়তে পারে,তাই আমি নাহিদ এক ভার্সীটি ভর্তি হবো আর তোরা ৩জন পার্ক,স্কুল,স্ট্রিট এসব দেখা লাগবে,ভার্সীটি আমরা সামলে নিব”~(আমি)
.
“আমরা পারবো না,তোরা শুধু একটা করবি,আর আমরা এত গুলো?”~(ফাহাদ)
.
“আমি অনুরোধ করছি,জানিয়ে দিয়েছি,কাজ ঠিকঠাক মতো করবি”~(আমি)
.
“ওকে”~(রাহাত)
.
তারপর আমি নাহিদকে নিয়ে বের হয়ে আসলাম।নাহিদ কি যেন ভাবছে,”কীরে কী ভাবছিস?”
.
“না,কিন্তু তুই ওদের সাথে এমন ব্যবহার করলি কেন?”
.
“কেমন ব্যবহার করলাম?”
.
“এই যে রাগ করে কথা বললি,অডার করলি”
.
“দেখ ভার্সীটিতে মানুষ যদি ১০০০ কে সামলাতে হয়,তাহলে তাদের সামলাতে হবে ৫০০,এদের কমই কাজ তারপরও না বলল তাই মাথায় রাগ উঠে গেলো”
.
“ও আচ্ছা,বাদ দে”
.
-আমি আর নাহিদ ভার্সীটিতে গেলাম।গেইট দিয়ে ডুকছি কিছু দুরে তানু দাড়িয়ে আছে,সাথে ৭/৮ জন বান্ধবি।আমরা ওদের পাশ দিয়ে চলে আসছি খেয়ালই করলোনা।
-প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে ভর্তির সব কাজ শেষ করলাম।ক্লাস শুরু হতে আরো অনেক সময় বাকি।তাই ক্যাম্পাসে গেলাম।তখন তানু ডাক দিলো আমাকে,”ঐ এদিকে আয়”
.
-তানু আমাকে ডাকছে,মনে মনে অনেক খুশি হলাম,আজ সকালে তানু রিয়েক্সন অন্যরকম আবার ওর কাছে ডাকছে,তাই তাড়াতারি ওর কাছে গেলাম।
“আমাকে ডাকছো?”
.
“আমার সামনে দিয়ে চলে গেলি,আমাকে না দেখার মতো,আবার আমাকে সালামও দিলি না”~(তানু)
.
“এসব কি বলছো সালাম কেন দিব?”
.
“দেখ,দেখ তানু তোর…রাজত্বে এসে তোর সাথে কিরকম কথা বলছে”~(তানুর বান্ধবি)
.( ®#Bad_boyツ 😍😍😍)
ঠাস্ ঠাস্ করে তানু দুইটা চড় মারলো আমাকে,”কীরে তোর সাহসতো কম না তুই জানিস না আমি কে,এই পুরো ভার্সীটি আমার কথায় চলে”
.
“তো আমি করবো”
.
“আবার কথা বলিস,দে কানে ধরে ১০ বার উঠবস কর”
.
“ওই কি বলছেন এসব,ও কিছু করবে না,এই দিহান চলতো,এসব ফালতু মেয়ে গুলো দেখলে মাথায় রাগ উঠে যায়”(নাহিদ হাত ধরে আমাকে নিয়ে আসলো)
.
“কীরে নিয়ে আসলি কেন?”
.
“আমি নিয়ে না আসি আর তুই চড় খা”
.
“ভালো করছস,এমনিতে বের হতে পারতাম না”
.
“হুম,মেয়েটার ব্যপারে জানছি একটা ছেলের থেকে প্রতিদিনই নাকি নতুন ছেলেদের জার্গ করে,মেয়েদের করে কিনা জানিনা”
.
“আমাকে আমার বন্ধুরা বলছিলো”
.
“ও আচ্ছা চল ক্লাসে”

-অন্যদিকে,”কীরে তানু তুই ছেলে দুইটাকে কিছু না করে ছেড়ে দিলি কেন?”
.
“কই ছেড়ে দিলাম,আরো হিসাব নিব তাই একদিনে সব শেষ করতে চাইনা আরকি”
.
“আরো হিসাব মানে?”
.
“২ হতে ৩ মাস আগে ঐ কালো ছেলেটা দেখলি না,ও আমাকে ধাক্কা মারছিল,কিন্তু একটা সরিও বলল না,আবার আমার সামনে আমার খালাতো ভাই আসিফকে চড় মারলো,একেবারে সামনে ছিলাম না তাই নয়তো সেখানেই পুতে দিতাম”
.
“তো এখন তুই ওর কাছে কি চাস,মানে ওকে কি করবি”
.
“আসলে ও আমার চাচাতো ভাই,৯ বছর পর বাসায় এসেছে,২/৩ মাস আগে এখানে দেখেছিলাম,কোথা থেকে এসে আমাকে ধাক্কা মারে,সরিও বলেনি,আবার আমার খালাতো ভাইকেও চড় মারে,তাই ওকে শিক্ষা দিব,বাসায়তো দিতে পারবো না,তাই এখানেই দিতে হবে”
.
“২/৩ মাস আগে যখন দেখা হয়েছিল তুই কি জানতি যে ও তোর চাচাতো ভাই?”
.
“না,তখন জানতাম না,কিন্তু তখন থেকে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছি,এবার সুযোগ আসলো,ও নাকি ঢাকায় পড়ালেখা করছে,তারমানে ও এখন এই ভার্সীটির ছাত্র,এটাই সুযোগ”
.
“ও আচ্ছা,তোর চাচাতো ভাই হলেও তুই এমন করছিস কেন?”
.
…”ওর মতো কালো ভুতকে কে চাচাতো ভাই বলবে,আর দাদা নাকি চায় আমাদের বিয়ে দিতে তাই কষ্ট দিয়ে ওকে বাসা থেকে তাড়াবো”
.
“তারপর?”
.
“তারপর আরকি,ও চলে গেলেতো আমি শান্তি”
.
“কিন্তু ও দেখতেতো তেমনও কালো না,আর কানের সাইডে একটা সাদা দাগ দেখে মনে হচ্ছে,কালো হয়েছে কোনো কিছু এপেক্টের ফলে”
.
“ঐ তুকে এত বিজ্ঞানি কে হতে বলছে যা বলি শুনবি”~(তানু)
.
“ওকে”

-এদিকে আমি আর নাহিদ ক্লাসে যেতে নিচ্ছিলাম,তখনই দিহান বলে কেউ ডাক দেয়,
পেছনে ফিরে দেখি,রাফি,আরিফ,নাদিয়া।
“কীরে ভার্সীটি আসলি,ভর্তি হলি নাকি?”
.
“হুম”
.
“আমাদের একবার জানালিও না,এই তোর বন্ধুত্ব?বাসায় বলছিস?নাকি সেটাও বলিসনি?”(নাদিয়া)
.
“নাস্তা করার সময় সবাইকে একসাথে বলছি,আর তোদের বলতে পারি নাই কারন কাল রাতেই ডিসিশনটা নিয়েছি”
.
“ও আচ্ছা তা একে?”
.
“ও তোদের সাথে পরিচয় করাই দেই,এ নাহিদ,ঢাকায় যেখানে ছিলাম,আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু,আমি এখানে ভর্তি হবো শুনে আমার সাথে ভর্তি হতে চলে আসলো”
.
“ও তাহলে এটা আমাদের আরেক বন্ধু?”~(নাদিয়া)
.
-তারপর নাহিদ যেটা বলল সেটা শুনে আমি ওর দিকে একপলকভাবে তাকিয়ে আছি।রাফি আরিফতো অবাক কি হচ্ছে এখানে কিছুই বুঝতে পারছে না,পাঠক/পাঠিকা কি হচ্ছে এখানে,নাহিদ এটা কি বললো?নাহিদকে কি ফাঁসি দেওয়া দরকান না?
.
‘চলবে’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here