🙃অহংকারি_চাচাতো_বোন💔,পর্ব-১৪,১৫,১৬,১৭
✍️শাকিল দিহান🥀
পর্ব-১৪
“তুই এমনটা কেন করলি,ওতো অনেক ভালো ছেলে,তুই দেখতে পারিস না ঠিকআছে তাই বলে এত কিছু?”~(দাদা)
“দাদা দেখ ও যদি অপরাধী সেটা প্রমান না হয় তাহলে আমি নিজে ওকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসবো”~(তানু)
-দেখতে দেখতে দিনটা চলে গেলো,আমি এখনো জেলে,এই ১২ ঘন্টায় অনেক আঘাত করে,ট্রেনিং আছে সহ্য করে নিতে পেরেছি,
পরেরদিন সকালবেলা দেখি দুইজন পুলিশ আর সাথে নাহিদ আমার কাছে আসলো।
“সরিরে আসতে একটু লেইট হয়ে গেলো।তোর গায়ে কোন অফিসার হাত দিয়েছে দেখি সেই কলিজার টুকরোকে”~(নাহিদ)
-এটা বলার সাথে সাথে অফিসার ভয় পেয়ে গেলো।
“সমস্যা নাই চল আগে বাসায় যায়”
-তারপর নাহিদের সাথে বাসায় চলে আসলাম।অনেক কষ্ট হচ্ছে নিজে বাসায় যেতে না পারায়।
শরীর খারাপ তাই শুয়ে পড়লাম।
অন্যদিকে আমার কথা চিন্তা করে দাদা অসুস্ত হয়ে পড়লো।
-দিনটা গিয়ে রাত চলে আসলো,আবার আগের মতো বের হয়ে গেলাম।
আজ একা সাথে নাহিদও নেই,জয়ও নেই,তবে আজ উদ্দেশ্য ড্রাগ গোডাওন জ্বালিয়ে দেওয়া।
-সকালবেলা সবাই কলেজে আসলো,শুধু দিহান বাদে,
“আচ্ছা তানু বলতো দিহান কি এমন দোষ করেছে যে তুই এত বড় অপবাদ দিলি?”~(রাফি)
“ও অনেক খারাপ লোক”~(তানু)
“সেটা তুই কেমনে জানলি,আর এত তাড়াতারি বাসায় পুলিশ কীভাবে আনলি,মনে হচ্ছে এটা তোর সাজানো”~(আরিফ)
“না কেউ একজন দিহানের খারাপ কাজের ব্যাপারে বিস্তারিত চিটি লিখে পাটিয়েছে,এটাও বলছে আগামীকাল সকালে যেন ওকে পুলিশে ধড়িয়ে দেয়,আর আমিও ওকে দেখতে পারিনা বিদায় ধরিয়ে দিলাম,আমার কাটা শেষ হয়ে গেলো,ও বাসা থেকে চলে গেলে আমারই লাভ”~(তানু)
“ওরা তোকে কি কি বলল?”~(রাফি)
“তোরা এত কিছু কেন জিজ্ঞেস করছিস,তোরা কি সিআইডি অফিসার যে তোদের সব বলতে হবে?”~(তানু)
“এমনি বললে সমস্যা আছে?”
“না এমনি বললাম”
“এখন তোকে আমরা বলি দিহান কোনো দোষী নয়,আর যারা তোকে উল্টা পাল্টা বুঝিয়েছে তারা দিহানের শত্রু,আর আমরা সিআইডি অফিসার,আমি আর আরিফ”~(রাফি)
“বলিস কী তোরা দিহান এখন কোথায়?”~(তানু)
“আগে শোন দিহান হলো একজন আর্মী অফিসার,আমরা ওকে জেল ছাড়াতে গিয়েছিলাম,তার আগেই প্রশাশন ওকে ছাড়িয়ে নিয়েছে”~(রাফি)
“আর দিহান এখানে এসেছে মিশনের জন্য”~(আরিফ)
“এখন দিহান কোথায়”
“জানিনা কোথায় আছে তবে ভার্সীটিতে মনে হয়না আসবে”
“ও”
-এভাবে দশদিন পার হয়ে গেলো।তানু এখন দিহানকে মিস করতে শুরু করেছে।এই মিস করার মাঝে তানুর ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।এই দশদিন দিহান ভার্সীটিও আসেনি।
-আজ ১০ দিন পর ভার্সীটি যাচ্ছি,পাশে নাহিদ,
“কীরে আজ হেটে যাবি?”~(আমি)
“হুম,আজ থেকে প্রশাশন এই এলাকার সাথে সকল সংযোগ বিছিন্ন করেছে জানিসনা তুই?
“বাদ দে চল”
ভার্সীটি এসেই দেখি তানু!!!!””””
‘চলবে’
#অহংকারি_চাচাতো_বোন💔
✍️শাকিল দিহান💝
🍀পর্ব-১৫♨️
আজ ভার্সীটি এসে দেখি তানু,আরিফ,রাফি,নাদিয়া একসাথে আড্ডা দিচ্ছে।আমি আর নাহিদ যাওয়ার পর সবাই চুপ হয়ে আছে।
“কীরে কি করিস সবাই একসাথে?”~(আমি)
“আড্ডা দেয় একটু,চল একসাথে ঘুরে আসি সবাই মিলে”~(রাফি)
-সবাই মিলে ঘুরছি।আজ তানু কোনো বাধা দেয়নি।একটা জিনিস বার বার খেয়াল করছি তানু কেমন যেন আড় চোখে তাকাচ্ছে।
এক পর্যায়ে দেখলাম তানু আর রাফি কি যেন কথা বলছে,
“ওই দিহান যেন না জানে ও আর্মি সেটা আমি জেনে গেছি”~(তানু)
“ওকে”~(রাফি)
-ঘুরাঘুরি করতে করতে দুপুর হয়ে গেল।সবাই একসাথে ছোট একটা হোটেলে খাবার খেয়ে নিলাম।
মাঝে মাঝে তানুর দিকে চোখ পড়ছে,বেশ খুশি খুশি লাগছে ওকে।
এভাবে দিন কেটে যাচ্ছে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে যে মেজর শাকিল এখন ঐ এলাকায়।
-এই কয়েকদিনে এলাকার সব খারাপ কাজের লিস্ট তৈরি করে ফেলেছি,সাথে যারা খারাপ কাজ করে তাদেরও।সবাইকে একসাথে ধরতে হবে,
৫০ জন ফোর্স নিয়ে একদিন কাজ শুরু করে দিলাম,একে একে সবাইকে ধরে ফেললাম।
-সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে আমার নাম।খবরের কাগজের শিরোনাম হয়ে দাড়ালাম।
টিভি ব্রেকিং নিউজ-কাল রাত ৩ টার দিকে মেজর শাকিল দিহানের পরিচালনায় ২৭ জন ড্রাগ ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বাংলাদেশ আর্মীর কিছু স্পেশাল ফোর্স,এছাড়া জ্বালীয়ে দিয়েছে ৬ টা গোডাওন,
শাকিল দিহান জাতীর গর্ব,নতুম প্রজন্মের অনুপ্রেরনা,
টিভির পর্দায় খবর দেখছে হাজার হাজার মানুষ কিন্তু খবর দেখে দুইজন মানুষ খুবই উত্তেজিত,তারা হলো
‘চলবে’
#অহংকারী_চাচাতো_বোন💔
✍️শাকিল_দিহান🥀
✍️পর্ব-১৬♨
হুম সে দুইজনের একজনে কথোপকন,
“বস আমাদের ২৭ লোকই আটকে গেছে,এখন কী হবে?”
“আমি সব ব্যবস্তা করে রাখছি তুই এখন ঐ মেজরের পিছনে লেগে পড়”
“ওকে বস”
-অন্যজন,
“এ আমি কি করে ফেললাম,যাকে না দেখে ভালোবেসেছি তাকেই আমি এত অপমান করলাম,ও কি কোনোদিন আমাকে ক্ষমা করবে?”
-স্টেজে দাড়িয়ে আছি পাশে কর্নেল স্যার।যখন তিনি আমাদের মিশনের কথা শুনলেন,তখন তিনি এসব আয়োজন শুরু করলেন,এত কম সময়ে তিনি এত কিছু করিয়ে নিলেন।কেমনে কীভাবে সম্ভব, যেন ওনি আগে থেকে জানতেন।
তারপর কিছু সংক্ষিপ্ত ব্যক্তব্য দিতে বলা হলো আমাকে,
কিছু কথা বলে নিজের ইএসএ যাওয়ার কথা সবাইকে বলে দিলাম।
আজকের মতো বাসায় চলে আসলাম।কয়েকদিনের মাঝে অন্যদেশে পাড়ি জমাবো।
সবার সাথে দেখা সাক্ষাত করে চলে যাবো,একে একে সবার সাথে দেখা করলাম।তারপর গেলাম নিজ বাসায়।
কলিং বেল দিতেই দড়জা খুলল তানু,আর্মীর বেশে দিহানকে দেখে তানুর মন খুশিতে ভরে গেল।
ভেতরে এসে সবার সাথে কথা বলতে লাগলাম,
“অবশেষে আমার স্বপ্ন পুরন হলো”~(দাদা)
“হুৃম”~(আমি)
“বাবা আমাদের ক্ষমা করে দে”~(চাচা-চাচি আমার হাত ধরে বলতে লাগলো)
“আরে কী করছো সন্তানের কাছে মা বাবা কখনো ক্ষমা চায় নাকি?”তোমরা হয়তো না বুঝে করছো সমস্যা নাই,আমার কারো ওপর কোনো অভিযোগ নাই”
“দিহান তুই আমাদের মুখ উজ্বল করলি”~(চাচা)
“চাচা তোমরা দোয়া করো আমি যে আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারি,আর আমি কিছুক্ষন পর চলে যাবো দেশ ছেড়ে,ইএসএতে একটা অফার এসেছে,সেখানে গিয়ে পড়া লেখাও শেষ করবো”~(আমি)
-আমার কথা শুনে কেউ কিছু বললো না,বুঝলাম সবাই রেগে আছে,কিন্তু আমাকে যে যেতে হবে,এখানে থাকলে তানুকে ভুলতে পারবো না,ওর মিথ্যা ভালোবাসার জ্বালে আটকা পড়ে যাবো,
-আশে পাশে তাকিয়ে দেখি তানু নাই।তাই সবার থেকে বিদায় নিয়ে তানুর…রুমের দিকে গেলাম,মনে হয় আমার অপেক্ষায় করছিল,
আনমনে তানুর রুমের দিকে যাচ্ছিলাম তখন আমার বুকে কে যেন শক্ত করে লেগে আছে,খেয়াল করে দেখলাম তানু,
ঠাস ঠাস দুইটা চড় দিলাম,
“মারলে কেন?”~(তানু)
“বেশ করেছি,এতদিনতো আমাকে সহ্য হতো না কেন জড়িয়ে ধরতে গেলি?”
“সরি দিহান আমাকে ক্ষমা করে দাও,বিশ্বাস করো আর কোনোদিন কারো সাথে মিস বিহেভ করবো না”
“ওকে ভালো থাকিস”
-এটা বলে বের হয়ে গেলাম,নিজেরই খারাপ লাগছে যাকে এত ভালোবাসি তার গায়ে হাত দিলাম,কিন্তু কষ্ট সেদিনের সেই জেলের মারের কাছে কিছুই না
-দাদা,চাচা মিলে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌছে দিয়ে আসলো।
-আজ নিজের দোষে দিহানকে হারালাম,ওকে আটকাতে পারলাম না,আজ আমি যদি ওর ভালোবাসার মর্যাদা দিতাম ও কখনোই আমাকে ছেড়ে যেত না,নিজের স্বপ্নের রাজাকে নিজের দোষেই হারালাম,আল্লাহ তুমি আমাকে আরেকটা সুযোগ দাও,(নিজে নিজেকে বলছে তানু)
“দাদা”
“ও তানু তুই,বস এখানে”~(দাদা)
“দাদা,দিহান আবার আসবে?”~(তানু)
“হুম আমাদের ছেড়ে ও থাকতে পারবে না দেখিস ও ঠিকই চলে আসবে”
-দাদার রুম থেকে বেরিয়ে আসলো,এখন তানুর কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না,শুধু দিহানের কথাই ভাবছে
-এদিকে আমি সকল ফরমালেটি পূরন করে বিমানে উঠছি,তখন পেটে ব্যাথা শুরু হলো,গরম গরম পানি বের হচ্ছে,হঠাৎ পড়ে গেলাম,দুনিয়া অন্ধকার হয়ে আসছে,মৃথ্যুকে কাছে দেখতে পাচ্ছি
‘চলবে’
#শাকিল_দিহান
#অহংকারি_চাচাতো_বোন🥀
✍️শাকিল_দিহান😎
পর্ব👉১৭🤙
পেঠে হাত দিয়ে দেখলাম প্রচুর পরিমানে রক্ত ঝরছে,আমার বুঝতে বাকি রইলো না এটা স্নাইপারের আঘাত…!
আর কিছু ভাবতে সময় পেলাম না,আমি পড়ে যাচ্ছিলাম তখনই কিছু আর্মী সদস্য আমাকে ধরে ফেলে।
আর কিছু মনে নেই,যখন জ্ঞান ফিরে নিজেকে আবিষ্কার করি চারদেওয়ালের এক ঘরে।
না এটা ঘর নয়,একটা হাসপাতাল।
এতকিছুর মাঝেও আমার খেয়াল আমার পরিবারের দিকে,কেউ আমার পাশে নেই,আর কর্নেল স্যারও নেই কোথাও,তাহলে কি ওরা আমাকে ভুলে গেছে!
সুসজ্জিত একটা হাসপাতাল,একজন সিরিয়াস রোগীর জ্ঞান ফিরেছে আধা ঘন্টা হয়ে যাচ্ছে অথচ কোনো ডাক্তারও নাই নার্সও নাই!
বেশকিছুক্ষন বসে থাকার পর কেউ একজন রুমে প্রবেশ করলো।দেখে মনে হয় না সে কোনো ডাক্তার কিংবা নার্স।সে এসে আমার পাশে বসলো,
“আপনার জ্ঞান ফিরছে কখন?” ~(মেয়েটি)
“আমি এখন কোন হাসপাতালে আছি?”
“আগে যেটা জিজ্ঞাসা করছি ওইটার উত্তর দেন”
“এইতো আধা ঘন্টা আগে,এবার বলুন আমি কোন হাসপাতালে আছি?”
“জ্বী এটা হাসপাতাল না এটা আমার বাড়ি”
“বুঝলাম না এটা হাসপাতালের মতো কেন,রোগীর বেড আছে,সব কিছু হাসপাতালের সরঙ্জাম?”
“হ্যা এটা আমার রিচার্জ ল্যাব,আমি একজন ডাক্তার প্লাস ঔষধ বিজ্ঞানিও,মানে বিভিন্ন ঔষধের ফর্মূলা তৈরি করে চড়া দামে তা কোম্পানিদের কাছে বিক্রি করে দেয়,আচ্ছা তোমার এখন এত কথা বলা ঠিক হবে না,তুমি ঘুমাও”
“ঘুম আসলেইতো ঘুমাবো”
“না আসলে একা একা মশা মারো”
“OKk”
দূর নামটাই জানা হলো না,তবে মেয়েটাও অনেক সুন্দর,
“দাদা দিহান বিদেশ যাওয়ার পরকি আমাকে না মানে আমাদের ভুলে গেছে.?”~(তানু)
” না,কখনোই এমন হবে না”~(দাদা)
“তাহলে বিদেশ যাওয়ার পর একবারও কল করলো না কেন.?”
“হয়তো কোনো সমস্যায় পড়েছে,তুই চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে”
“তাই যেন হয়” (মন খারাপ করে)😔
অন্যদিকে,
“স্যার আপনি যেভাবে বলেছেন আমি ঠিক সেইভাবে আমি মেজর দিহানকে মারতে সক্ষম হয়েছি,এখন আমার একজন ডাক্তরের কাছেই আছে,আপনি আমাদের পেমেন্ট পুরো করলেই মেজর দিহানকে আপনার হাতে তুলে দিব” ~(১ম জন)
“তোমার পেমেন্ট আমি পুরন করে দিব,তুমি দিহানকে সুস্ত করো,আমার সুস্ত সবল মেজর দিহান চাই” ~(২য় জন)
“আমি আমার হাসপাতালের বেষ্ট ডক্টরের কাছেই ওকে রেখেছি,আমার টাকা চাই আর কিছু না”
এদিকে আমি রুম থেকে বরুতে বেলকুনি দিয়ে চোখ গেলো রাস্তার দিকে,হঠাৎ এমন দৃস্য দেখে আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে….!
Writer : S_H_A_K_i_L