অর্ধাঙ্গিত_পূর্নিমা পার্ট:৪ Written By Ayat Mushtarih Ayan

#অর্ধাঙ্গিত_পূর্নিমা
পার্ট:৪
Written By Ayat Mushtarih Ayan
.
[লেখকের সম্পূর্ণ নাম ব্যতিত কিংবা পোস্ট কোন ইডিট করে পোস্ট করা সম্পূর্ণ নিষেধ ]
.
রুহির পায়ে হ্যাচকা টান পড়ে আর সে খাটের নিচে চলে যায়।এ যেনো এক অন্য দুনিয়া।চারিদিকে মানুষ বলতে নেই।মরুভূমির মতো খা খা করছে। চারিদিকে কোন বাতাস নেই।অন্ধকার আসতে আসতে রুহির দিকে ছেয়ে আসছে।রুহি চারিদিকে তাকায়।ঘাস ভেজা, এর মানে একটু আগে এখানে বৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু রুহি বুঝে পাচ্ছে না যে সে এখানে কিভাবে এলো।সে তো বাসায় ছিলো।তার খাটের নিচ থেকে তাকে কেউ টান দিলো।আর সে সোজা এখানে।
.
.
সাব্বির হাপাচ্ছে।আয়ান তাকে ঠান্ডা করার চেষ্টায় ব্যস্ত।আয়ানের আম্মু তাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছিলো।কিন্তু আয়ান উত্তর না দিয়ে সাব্বির কে নিয়ে রুমে আসে।
ফাতিন সাব্বির কে ঠান্ডা করতে বলে,
-ভূতেও ভাইরাল ডাইলগ দিতে শিখে গেছে?
-কোন ডাইলগ?
-ওই যে তুই বললি,সেই স্বাদ।
-আরে..সেটাই তো।
-হাহা।এতো স্বাদ ক্যারে??
.
এগুলা বলছে আর দুইজন এ মিলে হাসতে শুরু করে।এতো সিরিয়াস মোমেন্ট কেও কিভাবে ঠান্ডা বানিয়ে নিতে হয় তা আয়ান জানে।
.
.
-এই তোকে আমি না করছিলাম না??আয়ানদের কাউকে কিছু না করতে?বেশি কেনো বুঝতে গেলি?(অদৃশ্য শক্তি)
-আসলে আমি চাচ্ছিলাম ওদের শেষ করে দিতে।(মিম)
-এখন তোর জন্য কি হইছে তুই জানিশ?রুহি আসিয়ুসদের জগতে চলে গেছে।সে এমন এক জগত যেখান থেকে সেই শক্তি পাওয়া যাবে যাকে আমাদের পক্ষে হারানো প্রায় অসম্ভব।
-আমি তো রুহিকে খাটের নিচে টান দিয়েছিলাম।তাহলে তো আসিয়ুসদের জগতে কিভাবে গেলো?
-আসলে সেখানে তুই যখন তাকে টান দিলি তখন ভালো জ্বীন রা তাকে বাচানোর চেষ্টা করে যার ফলে অনেক শক্তির ক্ষয় যাচ্ছিলো।সেই শক্তি গুলো এতোই বিশাল ছিলো যে তা আসিয়ুসদের জগতের দরজা খুলে দেয় আর রুহিকে তাতে পাঠিয়ে দেয়।
-এখন ওখান থেকে রুহিকে আনা যাবে না?
-আমাদের কোন শক্তি সেখানে কাজ করবে না।কিন্তু রুহি সেই শক্তি এতো সহজে পাবে না।আর যেহেতু সেই শক্তির ব্যাপারে ও যানে না তাই একটু সুবিধা হইছে।
-এখন আমার কি করা উচিত?
-তুই চুপ করে বসে থাক।আর ইয়ামিন এর বড় হওয়ার অপেক্ষা কর।আর হে মনে রাখিশ।আমাদের ও দুইটা শক্তি সংগ্রহ করতে হবে।যা দ্বারা আমরা আয়ানদের সহজে হারিয়ে দিতে পারবো।
-কি কি শক্তি সেগুলা?
-সময় হে জানতে পারবি।
.
.।

.
-এই যে আপু আপনি এখানে কেনো?
রুহি চমকে যায়।হঠাৎ করে কেউ এসে তাকে এসব বলায় সে একটু ভয় পায়।এমন নিরব একটা জায়গায় হঠাৎ করে বাচ্চা এসে ডাক দিলে একটু ভয় হবেই।
-কে তুমি?
-আপনি কে?আমাদের এই জায়গায় কি করছেন?
-আমি ও জানি না বাবু।
-আপনাকে ক্লান্ত লাগছে।আপনি আমার সাথে আসুন।আমাদের বাসায় নিয়ে যাই আপনাকে।
.
রুহি ভাবে এমন অচেনা যায়গায় একা থাকার চেয়ে এই বাবুর সাথে যাই।সেখানে বড় কাউকে আমাদের বাসার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে নিবো।
.
রুহি সেই বাবুর সাথে হাটতে থাকে।এই জাগটাকে প্রথমে যেমন মরুভূমির মতো লেগেছিলো তেমন না।যথেষ্ট সুন্দর একটা জায়গা।যে কেউ এই জায়গায় থাকতে চাইবে।রুহির মনে হচ্ছে আয়ান কে নিয়ে সে এখানেই সংসার শুরু করবে।কিন্তু আয়ান কি আসবে?সে তো পুরাই আনরোমান্টিক।এখানে আসতে বললেও বলবে,
“আমার কাজ আছে তুমি গিয়ে ঘুরে আসো”
আয়ান এর কথা চিন্তা করতেছে এমন সময় পাশ থেকে কেউ বলে উঠে,
-আপু আয়ান ভাইয়া এতোই যখন আনরোমান্টিক তাহলে ওকে ছেড়ে দিচ্ছেন না কেনো?
রুহি পুরাই টাস্কি খেয়ে যায়।এটা কি হলো?আমার মনের কথা ওরা কিভাবে জানলো?
-আপু আপনার মনের কথা আমরা জানলাম কারণ এটা যাদুই দুনিয়া।মনে মনে যা বলবেন সব শোনা যাবে এখানে।আপনি এক কাজ করুন।আমার বাসায় গিয়ে বড়দের কাউকে জিজ্ঞেস করে নিবেন যে আপনার দেশে কিভাবে যাওয়া যায়।
-রুহির ভয় করতে শুরু করে।এটা কেমন জগৎ? যাদুর জগৎ তো শুধু মাত্র গল্পে পড়েছে সে।এখন তো বাস্তবেও এসে গেলো।
রুহি একটা গুহার ভিতর দিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু যতোই ভিতরে যাচ্ছে তার গরম লাগছে।সে ছোট বাচ্চাটাকে বলে,
-আচ্ছা বাবু এতো গরম কেনো?
-গরম লাগছে আপনার?
-হে।
-সর্বনাশ।এর মানে বদমাশ আকিরুটা আশে পাশেই আছে।দৌড় দেন দৌড়।
এটা বলেই পিচ্চিটা দেয় দৌড়।
রুহি ও ঘটনার উপর নিচ কিছু না বুঝতে পেরে দৌড় লাগায় তার পিছনে।
.
.
সকাল থেকে রুহিকে তার রুমে পাওয়া যাচ্ছে না।ফোন বিছানায়।ভিতর থেকে দরজা লক কিন্তু রুহি ভিতরে নেই।১০টা অব্দি ঘুমানোর মেয়ে তো রুহি না।যখন দেখা গেলো যে রুহি ১০টা বাজেও রুম থেকে বেরুচ্ছে না তখন ডাকাডাকি শুরু হয়।সারা শব্দ না পেয়ে দরজা ভাংগা হয়।ভিতরে প্রবেশের পর দেখা যায় যে রুহি নাই।এবার তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।আয়ানদের বাসায় ও জানানো হয়।আয়ান তো পুরাই ফায়ার এমনিতেই কাল রাতে আয়ান আর সাব্বিরের সাথে যা হয়েছে তা নিয়ে খুব চিন্তিত সে।খুব রাগান্বিত ও।সে জানে এগুলা কে করছে।
.
-সাব্বির,রুহি গায়েব।
-কি বলছিশ এসব?
-মিম এর সাহস বেশি হয়ে গেছে।ওকে মজা দেখাতে হবে।
-কিন্তু দোস্ত কিভাবে?
-আমার ক্ষমতা তুমি জানো না মনা?নতুন করে দেখাতে হবে?
-আরে তুই আবার তোর ফর্মে ব্যাক করবি?
-রুহির জন্য সব বাদ দিছিলাম।ওর জন্যই নাহয় আবার শুরু করলাম?
-তাইলে মিম গেছে।
-বহুত তো দেখাইলা মিম।এবার আমি একটু দেখাই,আয়ান কি জিনিশ।
.

#চলবে
.
.
।সাড়া পেলে সকালের মাঝে একটা সারপ্রাইজ এপিসোড পাবেন ইনশআল্লাহ।৩ঘন্টা সময়।এর মাঝে ডিসিশন নিবো।

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here