অভিশাপ,পর্বঃ ০৮,০৯

গল্পঃ অভিশাপ,পর্বঃ ০৮,০৯
Writer:- (নষ্ট জীবন) Sohanur Rohoman Sohan
০৮

বুকের উপরে ধারালো কিছু দিয়ে ভেতর থেকে হৃদপিন্ডটা ছিঁড়ে বের করে নেওয়া হয়ছে।
পাশে রক্তে ভেজা হাতের আচরের চিহ্ন জীবনের মায়া কার না থাকে, অনেক চেষ্টা করেও মেয়েটা নিজেকে বাঁচাতে পারেনি।হাউ মাউ করে কেঁদে দিলো এ’যে তার নিজেরই দুষ্টু মেয়ে জেনিফা…।
°
দেখে চিনতেই পারেনি এটা তার আদরে দুষ্টু মেয়েটা।বোঝা মুসকিল ৮০ বছরের বুড়ি নাকি ৬/৭ বছরের পিচ্চি মেয়ে।বাসায় ফেরার সময় অনেক গুলো চকলেট এনেছিলো তার আদরের মেয়েকে দেবে।চকলেট পেয়ে খুশি হবে তারপর জোরিয়ে ধরে গালে পাপ্পি দিয়ে কোলে বসে বলবে “আব্বু আব্বু একটা গল্প শোনাও না”

আচ্ছা এই মাধবীলতা মেয়েটার বাড়ির দরজায় পা রাখার পর থেকে কি সব অশান্তি আসতেছে আর আসতেছে।প্রথমত ভার্জিন না! তারপর আবার বিজনেসে অনেক বড় ক্ষতি, ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি হবেই কিন্তু আজ মাধবীলতার জন্য নিজের মেয়েটাকে হারালাম।
পিচ্চি মেয়েটার কি দোষ ছিলো? তাকে কেন মাধবীলতার পাপ কর্মের ফল ভোগ করতে হলো?

শান্তনা দিয়ে মাধবীলতা, সোহানকে তাদের বাসায় রেখে আসে।ডাইনিং টেবিলে সোহান অন্যমনস্ক হয়ে শার্টের হাতাই চোখের জল মুছতেছে।
প্লেট হাতে, মাধবীলতা সোহানের সামনে দাড়িয়ে বলল…
-খেয়ে নিন ডিম ভাজি করছি.. (মাধবীলতা)
(রান্নার ভেতর শুধু ডিম ভাজি আর ডাল ছাড়া কিছুই রান্না করতে পারেনা।মা বাবার আদরের মেয়ে হওয়াই আগুনের ধারে কাছেও যায়নি)
.
-ঠাসসস্ -ঠাসসস্।আর একটা কথাও বলবি না।আচ্ছা তোর কি একবারও লজ্জা করলো না, নিজের পাপ কর্মের শাস্তি একটা বাচ্চা মেয়েকে ভোগ করাতে।যেদিন যেদিন তোর মুখ দেখে অফিস গিয়েছি প্রতিটা দিনি বিজনেস ডিল ক্যান্সেল কেন হয়? (সোহান)

ঝন-ঝন শব্দে রুমটা ভরে গেলো।
প্লেটের সব কিছু ফ্লোরে পরে মাখা মাখি অবস্তা।সোহানের মনটা চাচ্ছে পারলে একটা লাথি দিয়, মেয়েদের সম্মান দেওয়ায় লাথি মারতে পারলো না।
যাওয়ার আগে সোহান শুধু একটা কথায় বলল…
-পারলে ভোর হওয়ার আগে নিজের মুখটা না দেখালেই খুশি হব! (সোহান)
.
-(আব্বু-আম্মু কি আর বাসায় তুলবে।আমি তো কলঙ্কিনী মেয়ে।মাথা নিচু করে বলল)
হুমমমম”.. (মাধবীলতা)
.
-যত্তসব কোথা থেকে এসেছে যে পৃথিবীতে ভাগ বসায়.. (সোহান)

সকাল সকাল ঘুম জোরিত চোখে বিছানায় হাত বুলিয়ে দেখে তার বউ পাশে নেই।কই গেলো মেয়েটা।
যাই হোক ভালোই হয়েছে আপদ বিদায় হয়েছে, মেয়ের চিন্তায় ব্রাশ করেনি।সারা রাত কান্না করে ৪:৩০ মিনিটে ঘুম চোখে নেমে আসে।গোসল করে ঠিক ১০টায় মেয়ের দাফন-কাজ শেষ করে।

বাসায় ঢোকার পর লক্ষ্য করে কেউ একজন বাথরুমে কাপড়-চপড় ধুচ্ছে।সোহান কিছুক্ষণ ভাবতে থাকে, কাজের বুয়াকে তো কাল সকাল থেকে জয়েন করতে বলেছি।
তাহলে কাপড়-চপড় ধুচ্ছেটা কে?
উঁকি দিয়ে দেখে মাধবীলতা বাথরুমে।
রেগে গিয়ে বলে…
-তোকে না বলছি আমাকে তোর মুখ দেখাবি না..! (সোহান)
.
-কোথায় যাব? (মাধবীলতা)
.
-যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকে চলে যা, তবুও তোর অভিশাপ্ত মুখ আমাকে দেখাবি না।একটার একটা বিপদ লেগেই থাকে তোকে দেখলে…(সোহান)

মাধবীলতা কাপড় কাচা বাদ রেখে মাথা নিচু করে কাঁদছে।
সোহান রাগে কটমট করতে করতে চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ পা পিছলে ফ্লোরে পরে সজোরে মাথা আঘাত পেয়ে জ্ঞান শূন্য হয়ে পরে থাকে।

মাধবীলতা ভয় পেয়ে যায়, কেন বার বার এমন হচ্ছে।
কাছের মানুষ গুলো কে কেরে নিচ্ছে।সোহানের মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফিরে আনে।মাথাটা ঝিমুচ্ছে এখনো, মাথায় হাত রেখে একটু নড়ে চড়ে উঠে বসতে গেলে।
মাধবীলতা কাঁধে হাত রেখে বলে..
-আপনার এখন রেস্ট দরকার, উঠবেন না (মাধবীলতা)
.
-ঠাসসস্, কেন যাচ্ছিস না চলে।প্রথমে আমার মেয়েকে মারলি এখন আমাকেও মারার ফন্দি করছিস।ডাইনি.. (সোহান)

মাধবীলতা মাথা নিচু করে চলে গেলো।
এই দু’দিনে থাপ্পর খাওয়াটা মাধবীলতার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।ক্রিং ক্রিং শব্দে কেঁপে উঠছে মাধবীলতার ফোন।
স্কিনে কায়েসের ছবি ভেসে উঠেছে।
কায়েসের নাম্বার দেখেই রাগতে লাগলো।কলটা কেঁটে দিলো, কিন্তু না এযেন থাকার কোনো নামই নেই!
সাইলেন্ট করে রাখলো ফোন।

এবার আর কোনো কল আসেনি সরাসরি একটি ভিডিও ম্যাসেজে আসল।ভিডিও টা দেখে মাধবীলতা শুকনো ঢোকগিল্ল।
নিজে থেকেই কায়েস’কে কল করলো…
-কায়েস তুমি কি চাও? এভাবে ব্লাকমেইল কেন করছো।আর এই ভিডিওটাই বা কখন করলে.! (মাধবীলতা)
.
-গোপনে করে রেখেছিলাম যদি হঠাৎ ক্ষুধা লাগে তখন তো তোমাকেই দরকার পরবে নাকি? (হা হা) (কায়েস)
.
-ক্ষুধা লাগে মানে? আমি কি পতিতা যখন ইচ্ছা হবে ব্যবহার করবে.. (মাধবীলতা)
.
-তা ঠিক জানি না, তবে সেলিব্রেটি না হতে চাইলে আরেকটি বার তো বিছানায় আসতেই হবে! (কায়েস)
.
-কি সব আবল-তাবল বকছো তুমি? আমার বিয়ে হয়ে গেছে।আমার এখন একটা সংসারও আছে।তুমি প্লিজ ডিলিট করে দাও..(মাধবীলতা)
.
-আফছোস! কাল সকালে যখন ইউটিউবে দেখবে তোমার আমার উলঙ্গ ভিডিও।হয়তো তোমার লাশ ফাঁশিতে ঝুলবে নয়তো নষ্টা মেয়ে নামে এলাকায় ফেমাস হয়ে যাবে।একবার ভেবে দেখো যুকব থেকে শুরু করে বয়স্ক লোক তোমার উলঙ্গ দেহ দেখবে আর মজা নিবে।তার থেকে ভালো আর একটি বার… (কায়েস)
.
-আমি রাজি! (মাধবীলতা)
.
-কোথায় দেখা করবে তাহলে রেস্টুরেন্ট নাকি বাসায়? (কায়েস)
.
-তুমি আমার বাসায় আসো..(মাধবীলতা)
.
-কোনো চালাকি চলবে না কিন্তু তাহলেই ভাইরাল করে দিব…(কায়েস)

চলবে কি??

গল্পঃ অভিশাপ
(পর্বঃ ০৯)
Writer:- (নষ্ট জীবন) Sohanur Rohoman Sohan
.
-তুমি আমার বাসায় আসো..(মাধবীলতা)
-কোনো চালাকি চলবে না কিন্তু তাহলেই ভাইরাল করে দিব…(কায়েস)
°
কিছুক্ষণ নিরবতা রেখে কায়েস ওপাশ থেকে বলে উঠলো।
-তাহলে কাল সকাল সকাল চলে আসি..(কায়েস)
.
-না, না সকালে কেন আসবে তখন আমার স্বামী বাসায় থাকে।তুমি পারলে ১২টার দিকে আসার চেষ্টা করো।তখন ফ্রি থাকবো..(মাধবীলতা)
.
-কেন আমার কি অফিস নেই নাকি? (কায়েস)
.
-(কাঁদে দিয়ে বলল) তুমি না আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলে।চাকরি পেলে অথচ মাঝখান দিয়ে আমাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করলে।মাঝে মাঝে মনের মাঝে প্রশ্ন জাগে তুমি শুধু ব্যবহারের জন্য ভালোবাসতে?? (মাধবীলতা)
.
-হ্যাঁ ব্যবহারের জন্য ভালোবাসতাম।আমি অন্যজনকে ভালোবাসি কাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ওর মা বাবা বলে যেদিন নিজের পায়ে দাড়াতে পারবে সেদিন বিয়ে করার স্বপ্ন দেখবে।জানিস মাধবী সেদিন অনেক অপমান হয়েছিলাম।তোর থেকে যত গুলো টাকা নিয়েছি সব দিয়ে চাকরির ব্যবস্তা করেছি।ঘুষ ছাড়া এখন কি আর চাকরি মেলে..! (কায়েস)
.
-আমাকে ছাড়া অন্য কোনো মেয়ে পেলেনা।আমারি কি তোমার শিকার হতে হলো।কি অপরাধ ছিলো আমার? (মাধবীলতা)
.
-রাগ! (কায়েস)
.
-মানে? কার উপর রাগ ছিলো? (মাধবীলতা)
.
-তোর উপর রাগ ছিলো।খুব অহংকার ছিলো তোর।অহংকারের কারণে মাটিতে পা পরতো না..(কায়েস)
.
-এক সময় তো সরি বলেছি, সবাইকে! (মাধবীলতা)
.
-সেটাও না, মনে পরে প্রথম দিনের কথা নতুন নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছি।ধাক্কা লেগেছিলো, ভড়া মাঠে থাপ্পরটা মেরেছিলি।সেই প্রতিশোধের আগুন জলছিল (কায়েস)
.
-শুধু মাত্র একটা থাপ্পরের জন্য এইভাবে আমাকে কলঙ্কিত করলে।নিজেকে নষ্টা মেয়ে মনে হয় নিজের (মাধবীলতা)
.
-আর আমি এখনো কলেজের মাঠে মাথা নিচু করে হেঁটে যায়।মনে পরে যায় পুরাতন কথা গুলো (কায়েস)
(দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলে)
.
-আবার সিগারেট খাচ্ছো।তোমাকে না বলছি সিগারেট খাবে না।আমি এসব পছন্দ করিনা.. (মাধবীলতা)
(অজান্তেই রেগে যায় কায়েসের উপর)
.
-তু-তুমি কিভাবে জানলে আমি সিগারেট খাচ্ছি (কায়েস)
(অবাক হয়ে যায় মেয়েটা কিভাবে বুঝলো আমি সিগারেট খাচ্ছি।একটি বারও তো বলিনি আমি সিগারেট খাচ্ছি।তাহলে..?)
.
-আমি যে তোমাকে ভালোবাসতাম।আমার মন বলে দেয় তোমার সব কষ্টের কথা.. (মাধবীলতা)
.
-দেখ, আমাকে নিজের ছলনাময়ী জাদুতে ফেলিস না।বিছানায় আসার কথার মাঝে এসব কেন টানছিস??? (কায়েস)
.
-হুমমম (মাধবীলতা)
(লম্বা একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে)
.
-তাহলে কাল দেখা হবে।এখন রাখি..(কায়েস)
.
-শোন তোমার বিয়ে হয়েছে ওই মেয়েটার সাথে? (মাধবীলতা)
.
-হুম, আমরা অনেক সুখে শান্তিতে সংসার করছি।আর কিছুদিন পর আমি বাবা হবো..(কায়েস)
(কথা গুলোর মাঝে কেন যেন একটা খুশি খুশি ভাব)
.
-বউ থাকতে কেন আমি? (মাধবীলতা)
.
-একটা জিনিস কি প্রতিদিন খেতে ইচ্ছা করে।নারীদের প্রতি সব পর-পুরুষের একটু হলেও আকর্ষণ থাকে…(কায়েস)
.
-জানোয়ারের বাচ্চা।আল্লাহ্ তোদের একদিন না একদিন ধ্বংস করবেই..(মাধবীলতা)
মাধবীলতা কাঁদতে-কাঁদতে কথা গুলো কায়েস’কে উল্লেক করেই বলে।ওপাশে কায়েস হা হা করে হেসে দিয়ে কলটা কেঁটে দিলো।
কায়েস আবার কিছুটা নাস্তিক টাইপের লোক।মাধবীলতা ডাইনিং টেবিলে বসে ঘুমাচ্ছে।সোহান কলিংবেল বাজাতেই মাধবীলতা ঘুমের হাই তুলে বলে…
-বাহিরে কিছু খেয়েছেন? (মাধবীলতা)
.
টলটল করে মাধবীলতার চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকে।আজ হঠাৎ এত ভালোবাসা.! খোঁজ কেন নিচ্ছে? চেয়ার টেনে টেবিলে বসে সোহান।
মাধবীলতা প্লেট উপর থেকে সরিয়ে নেয়।খাচ্ছে, মাধবীলতা তখন বলে…
-কাল কি অফিসে যাবেন নাকি মিটিং আছেএঁ? (মাধবীলতা)
.
-হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন? (সোহান)
.
-না, এমনেই বললাম আর কি? আর একটু ডাল দেব? (মাধবীলতা)
.
-হুম,, কাল থেকে আর রান্না করতে হবেনা।এই পোড়া ডিম ভাজি আর টলটলে পানির মতো ডাল খেতে ইচ্ছা করেনা।নতুন কাজের বুয়া আসবে সেই এখন থেকে সব কাজ করে দেবে (সোহান)
.
-হুমমম (মাধবীলতা)
.
-আচ্ছা কথা বলি।কিছু মনে করবেন না (সোহান)
.
-বলেন (মাধবীলতা)
.
-বেশ কিছু দিন ধরে উল্টোপুল্ট স্বপ্ন দেখছি।আমি আবার ভূত-প্রেতে ভয় করি।কিছু মনে না করলে বিছানাটা দুজনে শেয়ার করতে পারি? না, না রাগবেন না।মাঝখানে কোলবালিশ রাখবো… (সোহান)
.
-সমস্যা নেই তবে ধরার চেষ্টা করবেন না (মাধবীলতা)

চাদরটা দুজনের হচ্ছিলো না।সোহান লাজুক ছেলে লজ্জা বেশি পায়।গুটিগুটি হয়ে বাচ্চাদের মতো ঠক ঠক করে কাঁপতেছে ঠান্ডা বাতাসে।
মাধবীলতা সেলিং এর দিকে তাকিয়ে ভাবছিলো কিছু একটা।সম্পূর্ণ চাদর তার গায়ে জোরিয়ে আছে।সোহানের এমতাবস্থা দেখে বাচারার প্রতি মায়া হলো।মাঝখান থেকে কোলবালিশ সরিয়ে দিলো।

কাঁপতে কাঁপতে জোরিয়ে ধরলো মাধবীলতাকে।উষ্ণ-গরম অনুভব পেয়ে আরও এটে-সেটে গেলে মাধবীলতার সাথে।ঘুমন্ত অবস্থায় কাউকে এভাবে জাগানো উচিত নয়, একটু তো সহ্য করতেই হবে এমন দুষ্টুমি যেহেতু বিয়ে করা বউ।
কিন্তু এটা একটু বেশিই হয়ে গেলো না?
মাধবীলতার বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।এক ঝটকায় সরিয়ে দিলো সোহানকে।ধাপস করে পরে গেলো ফ্লোরে…!
মাজায় ব্যাথা পেয়ে “আউউ” শব্দটা বের হয়।মাধবীলতা ধমকানি দিয়ে বলে…
-ভারি অভস্য তো আপনি? একা মেয়ে পেলেই সুযোগ তুলতে চান!! (মাধবীলতা)
.
-দেখুন ম্যাডাম আমি হয়তো ঘুমের মাঝে বুকে রেখেছি তাই বলে এভাবে কেউ নিচে ফেলে দেয়।অদ্ভুত মেয়ে আপনি! (সোহান)
.
-ওয়েট! ওয়েট! তার মানে আপনি ইচ্ছা করে বুকে মাথা রেখেছেন? তা না হলে জানলেন কিভাবে বুকে মাথা রেখেছে? (মাধবীলতা)
.
-এটাই তো বদ-অভ্যাস, বুকে মাথা রেখে ঘুমানো।বিয়ে করেছি একটু সহ্য করতে পারবেনা।অন্য কোনো ক্ষতি করব না প্রমিস..(সোহান)
.
-শুধু বুকে মাথা রেখে ঘুমাবেন তার বেশি কিছু না..(মাধবীলতা)
.
বিছানায় শুয়ে চাদর জোরিয়ে বলে…
-একটু জোরিয়ে ধরি।নয়তো শীত করবে (সোহান)

চলবে কি??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here