অনুভূতির জোয়ার,পর্ব_০২_০৩
Wohad Mahmud
পর্ব-2
হালিমা বাধা দিতে চায়লে ধাক্কা মেরে পাশে ফেলে দেয়। খাটের কাঠের সাথে ধাক্কা লেগে মাথা দিয়ে রক্ত বাহির হয়। ঠিক তখনই রুমের মধ্যে প্রবেশ করে হালিমার একমাত্র নোনদ মাহমুদা।
মাহমুদা তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে ভাবির এমন অবস্থা কীভাবে হলো মা?
মাহমুদার মা তখন বলে, আমি এই ব্যাগটা নিয়ে আসছিলাম তখন হালিমা আমাকে বাঁধা দেয়, আমি ধাক্কা দিয়ে পাশে সরিয়ে দেওয়ার সময় খাটের সাথে মাথায় লেগে মাথা ফেটে রক্ত বাহির হয়।
কী আছে এই ব্যাগের মধ্যে মা? যার জন্য এতো কিছু হয়ে গেল।
হালিমার পড়ার বই আছে কিছু।
পড়ার বই মানে? বই কী হবে?
হালিমা আবার পড়াশোনা করতে চায়। তাই ওর ভাই আকাশকে দিয়ে বইগুলো নিয়ে এসেছে।
মাহমুদা বলে এসব বিষয়ে পরে কথা হবে। আগে ভাবিকে তুলে মাথাটা পরিস্কার করে দাও।
মাহমুদা আর মাহমুদার মা হালিমাকে উঠিয়ে মাথাটা পরিস্কার করিয়ে দেয়।
খুব বেশী আঘাত লাগেনি। মাথার একপাশ হয়ে কেটে গেছে। অল্পকিছু রক্ত বাহির হয়েছে।
হালিমার শ্বাশুড়ি হালিমার হাত ধরে বলে, যা হওয়ার হয়ে গেছে। এসব বিষয়ে তোমার ভাইকে কিছু বলো না। বিষয় টা এখানেই শেষ করে দাও।
হালিমা মনে মনে ভাবে আমাকে যদি এখানে শান্তি মতো থাকতে হয় তাহলে বেশি নরম হওয়া যাবে না। যে যেমন তার সাথে তেমন ব্যবহার করতে হবে। সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে আমাকে।
হালিমা বলে, কেন বলব না আমার ভাইয়ের সাথে? সে জানুক তার বোনের শ্বাশুড়ি কেমন।
দেখো হালিমা নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে। ঘরের সমস্যাগুলো ঘরের মধ্যেই সমাধান করা ভালো। কথা যতই বাড়বে বেশি সমস্যা হবে।
হালিমা বলে আমি আপনার কথা মানতে রাজি আছি তবে আমার একটা শর্ত আছে। যদি আমার কথা মানতে পারেন তাহলে আমি আপনার কথা রাখব। আর আমার কথা না মানলে আমিও ভাইকে সব বলে দিব।
কী শর্ত?
আমাকে পড়াশোনা করতে দিতে হবে। আমার পড়াশোনার মাঝে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারবেন না। যদি আমার এই শর্ত মানতে রাজি আছেন তাহলে আমিও আপনার কথা মানতে রাজি।
শ্বাশুড়ি এতক্ষণে বুঝে গিয়েছে, হালিমার সাথে পেরে উঠা যাবে না। ঠিক জায়গা মতো খেলে দিয়েছে। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পরে বলে, আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমার শর্তে রাজি। তবে আগে ঘর সংসার তারপর পড়াশোনা। যদি ঘর সংসার সামলিয়ে পড়াশোনা করতে পারো তাহলে আমি রাজি আছি।
হালিমা তখন বলে, এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করবেন না আপনি। আমার দিক থেকে সংসারের কোনো ত্রুটি হবে না।
মাথায় আঘাত পাওয়ার ফলে মাথাটা একটু যন্ত্রণা করছে। তাই রেস্ট নিচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরে আকাশ আর মাহমুদ বাসায় ফিরে আসে।
মাহমুদ আর আকাশ যখন আসে তখন মাথাটা শাড়ির আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখে যাতে বোঝা না যায় মাথায় আঘাত পেয়েছে। ঘরের মধ্যেও এই গরমে মাথা শাড়ির আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখা ভালোই কষ্টকর।
খাওয়া দাওয়া শেষে আকাশ বলল, আমি এখনি চলে যাব আপু।
হালিমা বলল, আচ্ছা ঠিক আছে। তোর স্কুল খোলা। এখানে থেকে পড়াশোনার ক্ষতি করতে হবে না। যখন বেশি করে ছুটি দিবে তখন অনেকদিন এসে থেকে যাবি।
আকাশ চলে যেতে চাইলে জোরে করে ঠেকিয়ে রাখে না হালিমা। কারণ, আকাশ এখানে থাকলে বেশি সমস্যা হবে। বলা যায় না হালিমার শ্বাশুড়ি আবার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আকাশ চলে যাওয়ার পরে মাহমুদ বলল, আজকের দিনটা থেকে যেতে পারত। চলে যেতে চাইলো আর তুমি যেতে দিলে। একটু থাকার কথাও বললে না।
হালিমা বলল না থাক। ওর পড়াশোনা আছে। এখানে থাকলে পড়াশোনার ক্ষতি হবে।
মাহমুদ কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বলল, উফফফ বুঝলাম না, তোমার মাথায় কী শুধু পড়াশোনা ছাড়া আর কিছু ঢুকে না। যখন তোমার সাথে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলি আর তুমি সেই কথার মাঝে পড়াশোনা আর পড়াশোনার বিষয় টা চালিয়ে দাও।
হালিমা বলল, যখন যে কথা বলার দরকার আমি তখন সেই কথাটা বলি। আর আমি খারাপ কথা বলি নাই। ঠিক কথাই বলেছি।
মাহমুদ কিছুটা বিরক্ত নিয়ে চলে যায়। আর বলে তোমার সাথে কথা বলে পারা যাবে না।
রাতে মাথা ঘুরে পড়ে যায় হালিমা। হালিমার মাথায় লাগার বিষয়ে কিছু জানে না মাহমুদ। তাড়াতাড়ি করে ডাক্তার নিয়ে এসে চিকিৎসা করায় হালিমাকে।
মাহমুদ ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলো, হালিমার কী হয়েছে ডাক্তার? হঠাৎ এভাবে পড়ে যাওয়ার কারণ কী?
ডাক্তার বলল, হালিমার মাথা কেটে রক্তক্ষরণ হয়েছে তাই এভাবে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে। চিন্তা কোনো কারণ নেই। মেডিসিন লিখে দিয়েছি ঠিক মতো খাওয়াবেন আর রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে।
মাহমুদ মনে মনে ভাবে মাথা কেটে রক্তক্ষরণ হয়েছে মানে। কীভাবে মাথা কেটেছে আবার হালিমার।
ডাক্তার চলে গেলে মাহমুদ হালিমাকে বলে, কী হয়েছে তোমার। ডাক্তার বলল মাথা কেটে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে এমন হয়েছে। কীভাবে মাথা কেটেছে তোমার।
হালিমা মুচকি হেসে বলে, তেমন কিছু হয়নি আমার। চিন্তা করতে না হবে না তোমার।
মাহমুদ ভারি গলায় বলল, কী হয়েছে আগে বলো।
হালিমা তখন বলল, পায়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছিলাম তাই মাথায় একটু লেগে কেটে গিয়েছে। হালিমা চায় না মাহমুদ সত্যি কথা জানুক। কারণ শ্বাশুড়ি হালিমার কথায় রাজি হয়েছে। এখন এসব না বললেও চলবে।
আগে বল নাই কেন আমাকে?
আমি ভেবেছিলাম বেশি সমস্যা হবে না। অল্প একটু কেটে গিয়েছে ঠিক হয়ে যাবে।
হালিমা অসুস্থ সকালে উঠতে একটু দেরি হয়েছে। তাই হালিমার শ্বাশুড়ির বকবকানির জন্য বাসায় থাকা মুস্কিল। হালিমার শ্বাশুড়ি বলে কত সকাল হয়ে গিয়েছে চা, নাস্তা তৈরি করবে কে। এই বয়সে এসেও এখন ঘরের কাজ করতে হচ্ছে। ভেবেছিলাম ছেলেকে বিয়ে দিয়ে একটা শান্তি মতো থাকতে পারব। কিন্তু তা আর হয়ে উঠছে না। আবার বলে না-কি পড়াশোনা করতে হবে। এমন হবে আগে জানলে এই মেয়ে ঘরে আনতাম না।
শ্বাশুড়ির এসব কথা শুনে আস্তে আস্তে রান্না ঘরের দিকে যায়। রান্না ঘরে গিয়ে বলে আমি রান্না করছি আপনি গিয়ে একটু রেস্ট নেন আম্মা।
হালিমার শ্বাশুড়ি মুখ বাঁকা করে বলল, থাক হয়েছে আর আসতে হবে না। আমি সব করে নিতে পারব।
শ্বাশুড়ির কথায় কান না দিয়ে দ্বিতীয় বার জিজ্ঞেস না করে চলে যায় হালিমা।
হালিমার চলে যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে হালিমার শ্বাশুড়ি। আর মনে মনে ভাবছে এটা আবার কেমন মেয়ে। একবার চলে যেতে বললাম বলে সত্যি সত্যি চলে গেল। দ্বিতীয় বার আর জিজ্ঞেস করল না।
চলবে,,,
অনুভূতির জোয়ার
পর্ব_০৩
Wohad Mahmud
হালিমার চলে যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে হালিমার শ্বাশুড়ি। আর মনে মনে ভাবছে এটা আবার কেমন মেয়ে। একবার চলে যেতে বললাম বলে সত্যি সত্যি চলে গেল। দ্বিতীয় বার আর জিজ্ঞেস করল না।
রুমে এসে হালিমা মনের সুখে বই পড়ছে।
মাহমুদ এসে বলল, এখন গিয়ে একটু মাকে সাহায্য করতে পারো। এখন রান্নার সময়। রান্না শেষে করে খাওয়া দাওয়া করে পড়বে।
হালিমা তখন মুচকি হেসে বলে, আমি গিয়েছিলাম কিন্তু মা আমাকে কাজ করতে দেয়নি। বলছে কাজ শেষ এখন করতে হবে না।
তাই আমি চলে আসলাম। মায়ের কথা যদি না শুনি তাহলে মায়ের প্রতি অসম্মান দেখানো হবে।
মাহমুদ বলে তুমি অসুস্থ তাই হয়তো তোমাকে কাজ করতে দেয়নি। অসুস্থ অবস্থায় রান্না করলে কষ্ট হবে তোমার। সে জন্যই তোমাকে বলেছে কাজ করতে হবে না।
মাহমুদ মায়ের কাছে গিয়ে বলে তুমি কষ্ট করে রান্না করতে গেলে কেন? মাহমুদা ছিল তো মাহমুদাকে বলতে পারতে রান্না করে দিত।
মাহমুদের মা বলতে চাইলো মাহমুদা কেন করবে? তোর বউ আছে তো আমাকে রান্নার কাজে সাহায্য করলেই তো পারে। কিন্তু কথা মুখ থেকে বলার আগেই সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে নিয়ে বলে, আরে সমস্যা নেই। হালিমা অসুস্থ তাই কাজ করতে দেয়নি। আর মাহমুদা তো টিউশনিতে যাবে একটু পরে। তুই বাইরে থেকে আসলি, ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং এ বস, আর হালিমাকে নিয়ে আসবি। আমি খাবার নিয়ে আসছি।
মাহমুদ বলল, আচ্ছা ঠিক আছে মা। এটা বলে চলে গেল। মাহমুদ ফ্রেশ হয়ে হালিমাকে সাথে নিয়ে ডাইনিং এ বসে আছো। সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে।
খাওয়া দাওয়া করতে করতে। মাহমুদা বলল, ভাইয়া একটা কথা বলার ছিল।
কী কথা?
কথাটা ভাবির বিষয়ে।
মাহমুদা যখন বলল, ভাবির বিষয়ে তখন হালিমা কিছুটা চমকে যায়। আর মনে মনে ভাবে, না জানি আবার কী সব কথা বলবে আমার নামে।
মাহমুদ বলল, তোর ভাবির আবার কী হয়েছে?
মাহমুদা বলল, ভাইয়া আমি আর ভাবি তো সেম ইয়ার। তাই বলছিলাম আমি আর ভাবি একসাথে কাল থেকে টিউশনিতে যাব। আর ভাবি তো পড়াশোনা করবে। টিউশনি না পড়লে তো আর ভালো করে পড়তে পারবে না।
মাহমুদার কথা শুনে মাহমুদার মা জোরে কাশি দেয়। ভাবতেই পারছে না মাহমুদা এমন কিছু বলবে। মাহমুদার থেকে অন্যকিছু আশা করেছিল মাহমুদার মা।
মাহমুদার কথা শুনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে হালিমা। হালিমা মনে মনে বলে যাক এই বাড়িতে কেউ একজন আমার কথা ভাবে। আমাকে সঙ্গ দিচ্ছে।
হালিমার শ্বাশুড়ি তখন বলে হালিমা টিউশনিতে গেলে আমাকে রান্নার কাজে সাহায্য করবে কে?
মাহমুদা তখন বলে চিন্তা করো না মা। টিউশনিতে যাওয়ার আগেই তো রান্না শেষে হয়ে যাবে।
মাহমুদ তখন বলল, আচ্ছা ঠিক আছে হালিমা যদি যায় তাহলে যাবে সমস্যা নেই।
মাহমুদা বলল, ভাবি আপনি কী আমার সাথে যাবেন?
হালিমা মুচকি হেসে বলে কেন না, অবশ্যই যাব। আমার জন্য আরো সুবিধা হবে। আমি এই বিষয়ে বলতে চাইছিলাম কিন্তু তার আগে তুমি বলে দিলে।
খাওয়া দাওয়া শেষে হালিমা রুমে আসে। মাহমুদা টিউশনিতে যায় আর মাহমুদ অফিসে চলে যায়।
রুম এসে হালিমা বড় বোনকে ফোন দেয়।
হ্যালো আপু কেমন আছিস?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুই কেমন আছিস?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপু। একটা খুশির সংবাদ আছে আপু, সে জন্যই তোকে ফোন দিলাম।
কিসের খুশির সংবাদ?
মাহমুদ রাজি হয়েছে আমার পড়াশোনা আর টিউশনির জন্য। টিউশনির কথা আমি বলি নাই এখন, তবে আমার ননদ রাজি করিয়েছে। দুজন সেম ইয়ার তো সে জন্য আরো সুবিধা হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো হয়েছে।
তবে একটা সমস্যা আছে আপু।
কী সমস্যা?
বাসায় সবাই রাজি আমার পড়াশোনা নিয়ে কিন্তু আমার শ্বাশুড়ি একদম রাজি না। আমার পড়াশোনার কথা শুনলে আমার সাথে ভালো ব্যবহার করে না। আমার খুব ভয় হয় কখন কী হয়ে যাই।
শোন হালিমা, নিজেকে কখনও নরম করে রাখবি না শক্ত হয়ে থাকবি। যত নরম হয়ে থাকবি তত পেয়ে বসবে তোকে। কিন্তু এসবের মধ্যেও শ্বাশুড়ি কেউ সম্মান দিয়ে চলবি আর কাজে সাহায্য করবি। কারণ এটা তোর দায়িত্ব। কখনও তোর নামে নালিশ করার সুযোগ দিবি না।
আমি চাই না তোর জীবনটা আমার মতো হোক। আমি যদি আজ সংসারে নরম হয়ে না থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতাম তাহলে আমার জীবন আজ সুখের হতো।
হালিমা বলে আপু তুই চিন্তা করিস না। তোর জীবন থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। তুই অনেক মেধাবী ছিলি। তোর জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে ওরা। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আমি তা হতে দিব না।
তোর জীবন নষ্টের মূল কারণ আমাদের বাবা। বাবা মনে করে বড়লোক ঘরে মেয়ে বিয়ে দিলে মেয়ে সুখে থাকে। তুই যদি তোর মতো করে তোর জীবন সাজাতে পারতিস তাহলে হয়তো আজ তুই পৃথিবীর সব সুখ তোর মধ্যে থাকত।
হালিমার বোন বলে থাক বাদ দে। যাওয়ার হয়েছে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। থাক তুই পরে কথা হবে।
এটা বলে হালিমার বোন ফোনটা কেটে দেয়।
প্রথমদিন ভালো করেই টিউশনিতে গেল বাসায় ফিরে আসে। কিন্তু পরের দিন টিউশনিতে যাওয়ার সময় আর বইগুলো খুঁজে পাচ্ছে না হালিমা। সম্পূর্ণ ঘর খুঁজেও বইগুলো পায়নি হালিমা।
হালিমা ভেবে পাচ্ছে না কী করবে। হালিমার বুঝতে বাকি রইলো না এটা শ্বাশুড়ি কাজ। শ্বাশুড়ি কাছে গিয়ে বলল, আম্মা আমার বইগুলো দেখছেন কী? কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না বইগুলো।
হালিমার শ্বাশুড়ি বলে আমি আবার কী করে দেখব। আমি কি বই পড়ি?
হালিমা বলে সমস্যা নেই মাহমুদ কে বলতে হবে নতুন বই কেনার জন্য।
টিউশনি থেকে এসে দেখে বইগুলো টেবিলের উপরে আছে । হালিমা মনে মনে হাসছে আর বলছে তাহলে বুদ্ধি কাজ করেছে। নতুন বই কিনতে গেলে ছেলের টাকা খরচ হবে। সে জন্যই শ্বাশুড়ি বইগুলো টেবিলের রেখে দিয়েছে।
এভাবে বেশ অনেকদিন কেটে যায়। মাহমুদা হালিমাকে দুচোখে সহ্য করতে পারে না কারণ, পড়াশোনার ক্ষেত্রে মাহমুদার থেকেও বেশি ব্রিলিয়ান্ট হালিমা আর হালিমার থেকে পড়াশোনার মেধার দিন থেকে অনেকটা কম।
আর সে জন্যই সবাই বলে তোমাকে হালিমার মতো হতে হবে মাহমুদা। এক বাসায় থাকো হালিমার কাছে একটু পড়বে আর বুঝে নিবে। তাহলে তোমার জন্য ভালো হবে। একটু মেধাবী হতে পারব।
সব সময় এসব কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যায় মাহমুদা আর সে জন্যই হালিমাকে একদম সহ্য করতে পারে না।
চলবে,,,,