#ধূসর_শ্রাবণ💚 #লেখিকা:#তানজিল_মীম💚 #পর্ব-২৬

#ধূসর_শ্রাবণ💚
#লেখিকা:#তানজিল_মীম💚
#পর্ব-২৬
________________

অতিরিক্ত এদিক সেদিক দৌড়ানোর কারণে সাথে বেখালি হওয়ায় আচমকাই শাড়ি পেঁচিয়ে পড়ে যেতে নেয় বর্ষা। সাথে সাথে সদর দরজা দিয়ে মাত্র ঢুকে পড়া ব্যক্তিটি ধরে বসলো তাঁকে। ঘটনাটা হুট করে হয়ে যাওয়াতে পুরোই চমকে উঠলো বর্ষা। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে সামনের ব্যক্তিটির দিকে তাকালো সে। ছেলেটির ফেস দেখতেই যেন চমকে উঠলো বর্ষা। কারন ছেলেটি হলো কালকের শপিং মলের সেই ছেলেটি। অন্যদিকে ছেলেটিও বর্ষার ফেস দেখে অবাক হয়ে বললো,

‘ আরে আপনি যে,

প্রতি উওরে নিজেকে ছাড়িয়ে নম্র গলায় বললো বর্ষা,

‘ ধন্যবাদ।’

‘ ধন্যবাদ পরে দিন আগে বলুন আপনি এখানে?’

ঠিক সেই মুহূর্তেই সেখানে এগিয়ে আসলো শুভ্রের মা। আশিককে সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে উঠলেন উনি,

‘ আরে আশিক যে ভিতরে আসো?’

প্রতি উওরে আশিকও বেশি কিছু না ভেবে সামনে এগিয়ে যেতে যেতে বললো,

‘ আসসালামু আলাইকুম আন্টি কেমন আছেন আপনি?’

আশিকের কথা শুনে মুচকি হাসলো শুভ্রের মা। তারপর বললো,

‘ ওলাইকুম আসসালাম হুম ভালো তুমি?’

‘ জ্বী ভালো আন্টি।’

বর্ষা কৌতুহলী এগিয়ে আসে সামনে। বর্ষাকে দেখেই বলে উঠল শুভ্রের মা,

‘ ও হচ্ছে বর্ষা তোমায় বলেছিলাম না ও আমার ছেলে শুভ্রের বউ। শুভ্রতার মায়ের কথা শুনে আশিকও খুশি মনে মুচকি হেঁসে বললো,

‘ ওহ, আসসালামু আলাইকুম ভাবি।’

আশিকের কথা শুনে বর্ষাও মুচকি হেঁসে বললো,

‘ ওলাইকুম আসসালাম।’

ওঁদের কথার মাঝখানেই শুভ্রতার মা এবার বর্ষার দিকে তাকিয়ে বললো,

‘ আর বর্ষা ও হচ্ছে আশিক শুভ্রতার হবু বর,

সঙ্গে সঙ্গে চোখ বড় বড় হয়ে যায় বর্ষার। শুভ্রতার হবু বর। বর্ষার রিয়েকশন দেখে হাসলো শুভ্রের মা তারপর বললো,

‘ কি অবাক হলে তো আসলে সবকিছু এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেল যে তোমাদের জানানো হয়নি। আশিকের বাবা আর শুভ্রের বাবা হলো দুই বন্ধু তোমার বাবারও বন্ধু আর সেই সুবাদেই এই সম্পর্ক। প্রতি উওরে শুধু এতটুকুই বলে বর্ষা,

‘ ওহ।’

এরই মাঝে শুভ্রের মায়ের ডাক পড়লো রান্নাঘর থেকে। সেও ‘আসছি’ বলে বর্ষা আর আশিকের দিকে তাকিয়ে বললো,

‘ তোমরা কথা বলো আমি এক্ষুনি আসছি?’

উওরে শুঁকনো হেঁসে বললো আশিক,

‘ ঠিক আছে আন্টি।’

শুভ্রের মা যেতেই আশিক বর্ষার দিকে তাকিয়ে বললো,

‘ আই কা’ন্ট বিলিভ দিস যে আপনিই বর্ষা ভাবি? শুভ্রতা আপনার কথা বলেছিল আমায় তবে আপনি যে বর্ষা ভাবি হবেন ভাবতে পারি নি।’

আশিকের কথা শুনে বর্ষাও বেশ আবেগী কন্ঠে বললো,

‘ আমারও কিন্তু সেইম অবস্থা। ওহ তাঁর মানে কাল আপনি শুভ্রতার জন্যই শাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন।’

উওরে মাথা নাড়ায় আশিক। তারপর বলে,

‘ কাল তো শুভ্রতার সাথে শপিং মলে দেখা হওয়ার কথা ছিল বাট কোনো এক কারনে ও চলে আসায় দেখা হয় নি।’

আশিকের কথা শুনে হাল্কা সংকোচতা ফিল বর্ষার। কাল তো শুভ্রের জন্যই তাঁদের ওইভাবে বেরিয়ে আসতে হলো। বর্ষা কিছুটা সংকোচতা নিয়ে বলে উঠল,

‘ আসলে হয়েছিল কি,

বর্ষার পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই বলে উঠল আশিক,

‘ ইট’স ওকে ভাবি বলতে হবে না, আমি জানি শুভ্র ভাইয়ের জন্যই ফিরে আসতে হয়েছে। উনি যা রেগে গেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনায় আমায় একসাথে দেখে উল্টো পাল্টা কিছু ভেবেছিলেন।’

এবার কি বলবে বর্ষা। শুঁকনো হাসলো শুধু তারপর বললো,

‘ ওই আর কি।’

হাসলো আশিক। বললো,

‘ বউয়ের পাশে অন্য কাউকে সহ্য করা সত্যি টাফ।’

আশিকের কথা শুনে হেঁসে ফেলে বর্ষা।’

এদিকে,

সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে আশিক আর বর্ষার কার্যকলাপ সবই দেখেছে শুভ্র। রাগও হয়েছে তাঁর, এই মেয়ে শাড়ি পড়ে যখন হাঁটতে পারে না তাহলে শাড়ি পড়ার কি দরকার অদ্ভুত বিষয়। আশিকের কথা সকালেই বলে ছিল শুভ্রের মা শুভ্রকে। সাথে ছবিও দেখিয়ে ছিল। শুভ্র তো প্রথমে ছবিটা দেখে সত্যি অবাক হয়েছে। শপিং মলের কাহিনিটায় খুব একটা ভাবায় নি শুভ্রকে কারন সে জানে তাঁর বোকারানি বউ হুটহাট এখানে ওখানে পড়ার রোগ আছে। যেমন এইমাত্র পড়লো, তবে হ্যাঁ ছেলেটি বর্ষার হাত স্পর্শ করেছিল বলে রাগ হয়েছিল শুভ্রের। তবে বর্ষার মতো আজেবাজে চিন্তা মাথায় আসে নি তাঁর। কারন শুভ্র জানে তাঁর বোকারানি বউ তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকেই ভালোবাসতে পারে না। আর কখনোও পারবে না।’

হাল্কা হাসলো শুভ্র। তবে পরমুহূর্তেই আবার নিরাশও হলো সে তাঁর বউয়ের অভিমান এখনো ভাঙাতে পারছে না। শুভ্র বুঝতে পারছে না কি করলে বর্ষা আর তাঁর সম্পর্ক বাকি সব বিবাহিত কাপলদের মতো স্বাভাবিক হবে। হঠাৎই শুভ্রের মনে পড়লো তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পরিচিত হওয়া শুভাকাঙ্ক্ষী ঔপন্যাসিকার কথা। তক্ষৎনাত পকেট থেকে ফোনটা বের করলো সে। তাঁরপর কল অপশনে ঢুকে ঔপন্যাসিকার নাম্বারে কল করলো মুহূর্তেই। পর পর দু’বার কল করার পরও ধরলো না ঔপন্যাসিকা তৃতীয় বারের মতো কল করতেই ধরে ফেললো সে। কল ধরতেই হতভম্ব গলায় বললো শুভ্র,

‘ হ্যালো?’

সাথে সাথে অপরপ্রান্তের মানুষটি বলে উঠল,

‘ হেই মিস্টার হিরো, কি খবর?’

ঔপন্যাসিকার কথা শুনে নিরাশ হয়ে বললো শুভ্র,

‘ আর খবর কিছুতেই কিছু হচ্ছে না যে।’

হাসলো ঔপন্যাসিকা তারপর বললো,

‘ অভিমান ভাঙাতে এখনও ব্যর্থ মিস্টার হিরো?’

‘ তাহলে বলছি কি প্লিজ একটু হেল্প করো না আমি বুঝতে পারছি না কি থেকে কি করবো কিভাবে বললে বুঝবে বর্ষা।’

শুঁকনো হাসলো ঔপন্যাসিকা তারপর নীরবে ভেজা কন্ঠে বললো,

‘ শান্ত গলায়, নিঝুম নিরালায়, জোৎসা ভরা আলোতে, আলোকিত আকাশের চাঁদ মামাকে পাশে নিয়ে বলুন দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।’

‘ তুমি যতটা ইজি ভাবে বলছো আমি তো ততটা ইজি ভাবে পারছি না। যতবারই বর্ষাকে কিছু বলতে যাই ততবারই কোনো না কোনো বাঁধা এসে দাঁড়ায়।’

‘ তাঁর জন্যই তো বললাম নিঝুম নিরালায় যান, মন খুলে বলুন সব।’

‘ বলছো,

‘ হুম বি কনফিডেন্স!’

ফোন কাটলো শুভ্র। ভাবলো অনেক কিছু।’

_____

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে অনেক আগেই। ঘড়ির কাঁটারাও ছুটে চলেছে আপন গতিতে। নিস্তব্ধ প্রায় সব, শুধু মাথার উপর থাকা সিলিং ফ্যানের শব্দ ব্যতীত তেমন কিছুই শোনা যাচ্ছে না। রুম জুড়ে থাকা মানুষগুলোও চুপচাপ আজ। কারো মুখেই কোনো কথা নেই। গোল হয়ে ড্রয়িং রুমের সোফাতে বসে আছে হিয়া, হিয়ার বাবা, মা, আর হিয়ার ছোট ভাই পিয়াস। আর তাদের মাঝ বরাবর সোফাতে বসে আছে নির্মল। সামনের টেবিল জুড়েই পড়ে আছে নির্মলের আনা ফলমূল মিষ্টিসহ আরো অনেক কিছু। কতক্ষন আগেই এসব নিয়ে এসেছে নির্মল। হিয়া জানতো না নির্মল আসবে। একবার নির্মল তো একবার বাবার মুখের দিকে তাকাচ্ছে হিয়া। কি হবে না হবে কিছুই যেন বুঝতে পারছে না সে। যদিও হিয়া জানে না নির্মল আসলে কি উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছে তবে হাল্কা সামান্য আন্দাজ করতে পারছে সে। হঠাৎই নিরবতার শিকল ছিঁড়ে মুখ খুললো নির্মল। বললো,

‘ আপনি হয়তো জানেন শশুর মশাই আমি এখানে কেন এসেছি?’ অবশ্য ভুলে গেলেও ক্ষতি নেই আমি আবার মনে করে দিচ্ছি আপনার মেয়েকে চাইতে। দেখুন চাইলে আমি আপনার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েই বিয়ে করতে পারতাম কিন্তু এতে আপনার অসম্মান হবে তাই করছি না। তবে আপনি বাধ্য করলে আমি সেটাই করবো। এর আগের বার বলেছিলাম আমি শুধু আপনার মেয়ের ‘ভালোবাসি’ শব্দটা শোনার জন্য অপেক্ষা করছি। এখন সেই সময়ের অবসান ঘটে গেছে। তাই আপনি চান বা না চান খুব শীঘ্রই আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করছি। আমার জীবন সম্পর্কে আর কি বলবো বলুন এতদিনে নিশ্চয়ই আমার খবরাখবর নিয়ে নিয়েছেন। শুনেছি আপনি নাকি আমার হসপিটালেও গিয়েছিলেন।’

থমকে গেল হিয়ার বাবা। আর অবাক হলো হিয়া। তাঁর বাবা নির্মলের হসপিটালে গিয়েছিল কিন্তু কেন?’ আপাতত প্রশ্নটাকে নিজের মাথায় জমিয়ে রেখেই মনযোগ দিলো নির্মলের বলা কথার দিকে। নির্মল বলছে,

‘ ছোট বেলা থেকেই একা থাকি। একাই বড় হয়ে ওঠা আমার। বাবা মায়ের মুখটা কখনো দেখা হয় নি আমার। তবে আশেপাশে মানুষের কাছ থেকে শুনেছি মা জন্মের সময়ই মারা যান। তারপর বাবা নাকি হসপিটালে রেখেই চলে যান আমায়। তখন থেকেই বাবা শব্দটাকে প্রচুর ঘৃণা করি আমি। প্রথমদিন আপনার সাথে হয়তো একটু বেশি বাজে ব্যবহার করেছিলাম আমি। তাঁর জন্য আমি দুঃখিত। আমার জীবনের প্রথম মেয়েই হলো আপনার মেয়ে যাকে আমি ভালোবেসেছি। আমি বিয়ে করতে চাই ওঁকে। জীবনে অনেক একা থেকেছি, অনেক রাত একা কাটিয়েছি। কিন্তু আপনার মেয়ে জীবনে আসার পর একা থাকাটা যেন বিষাক্তকর মনে হয়। যাইহোক বিয়ের ডেট জানিয়ে দিয়ে যাবো। মেয়েকে রেডি করে রাখবেন আমি কাজী নিয়ে এসে বিয়ে পড়িয়ে নিয়ে চলে যাবো। আপনি চাইলে বড়সড় ধুমধাম করেও বিয়েটা করতে পারি আর না চাইলে ছোট করে হবে। এটা আমি আপনার মতামত মেনেই করবো।’

এতটুকু বলে উঠে দাঁড়ালো নির্মল। ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে বললো,

‘ হসপিটালে যেতে হবে আমায়। আজ তবে আসি পরেরবার একদম বর বেশে এসে আপনার মেয়েকে নিয়ে যাবো। ভালো থাকবেন শশুর মশাই, শাশুড়ী আর প্রাণের শালা মশাই। যদিও তোমার সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হলো আজ। শুনেছি পড়াশোনার সুবাদে মাদরাসায় থাকছো। খুব ভালো মন দিয়ে পড়াশোনা করো।’

বলেই একপলক হিয়ার দিকে তাকিয়ে বেরিয়ে যায় নির্মল। আর হিয়া শুধু তাকিয়ে রয় চুপচাপ। বাবার চেহারার রিয়েকশন দেখে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। একদম চুপচাপ হয়ে গেছেন উনি। হিয়াকে ভাবাচ্ছে খুব, বার বার মাথায় একটা প্রশ্ন এসেই নাড়া দিচ্ছে,

‘ আজ বাবা কিছু বললো না কেন?’

_______

সারাদিনের হৈ-হুল্লোড় সাথে আত্মীয় স্বজনদের সেবাযত্ন, শুভ্রতার বার্থডে সেলিবেট করতে করতেই কেটে গেল পুরো সন্ধ্যাটা। ব্যস্ততায় কেটেছে সবার। বর্তমানে সবাই তাদের খাওয়াদাওয়ার পালা শেষ করে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছে। আশিকও চলে যাবে এখন। আশিকের বাবা মাও এসেছিল আজকে, খুব শীঘ্রই তাঁরা শুভ্রতাকে তাঁদের বাড়ির বউ বানিয়ে নিয়ে যাবে। এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। ওনারা আগেই গেছেন এখন আশিক যাবে।’

বাড়ির সামনের দিক দিয়ে হেঁটে গাড়ি পর্যন্ত যাচ্ছে আশিক আর তাঁর পাশেই হাঁটছে শুভ্রতা। নীরবতা চলছে দুজনের মাঝে হঠাৎই শুভ্রতা বলে উঠল,

‘ আবার আসবেন কিন্তু?’

হাসলো আশিক তারপর বললো,

‘ নিশ্চয়ই আসবো।’

‘ কালকের জন্য রাগ করেন নি তো?’

‘ না, ওহ তোমার গিফটটাই তো দেওয়া হয় নি আজ।’

‘ গিফট?’

‘ হুম।’

এই বলে হেঁটে গাড়ি পর্যন্ত গিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে গিফটের প্যাকেটটা বের করলো আশিক। এগিয়ে দিল শুভ্রতার দিকে তারপর বললো,

‘ এটা তোমার জন্য কোনো একসময় পড়ে বেরিয়েও।’

শুভ্রতা তাকালো আশিকের দিকে। তারপর গিফট না দেখেই বলবো,

‘ ঠিক আছে।’

খুশি হলো আশিক। অতঃপর শুভ্রতাকে বিদায় জানিয়ে গাড়ি করে চলে গেল সে। শুভ্রতা তাকিয়ে রইলো আশিকের যাওয়ার পানে। এমন সময় শুভ্রতার কান ধরে টান দিলো বর্ষা। আচমকা এমনটা হওয়াতে শুভ্রতা ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠে বললো,

‘ আরে ভাবি লাগছে তো?’

‘ লাগে লাগুক, স্পেশাল মানুষের সাথে দেখা করাবে বললে অথচ স্পেশাল মানুষটা যে তোমার হবু বর এটা বললে না কেন?’

‘ আসলে ভাবি সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কাল বয়ফ্রেন্ড রূপে মিট করাবো আর আজ হবু বর হিসেবে। কিন্তু ভাইয়ার জন্য কিছুই হয় নি।’

‘ ওহ তলে তলে এত কিছু ভাবা হচ্ছিল।’

বর্ষার কথা শুনে শুকনো হেঁসে বললো শুভ্রতা,

‘ ওই আর কি?’

‘ ওই আর কি, তোমার ওই আর কি বের করছি আমি।’

প্রতি উওরে বর্ষার হাত থেকে নিজের কানটা ছাড়িয়ে বলে উঠল শুভ্রতা,

‘ আরে ভাবি এত রাগ করো কেন, আমরা আমরাই তো।’

রাগে হন হন করতে করতে বাড়ির বাহিরে বের আসলো শুভ্র। রাগে গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে একদম। বর্ষাকে একবার কাছে পেলে কি যে করবে সে নিজেও জানে না। সেই সকাল থেকে তাঁকে ইগনোর করেই যাচ্ছে, করেই যাচ্ছে, করেই যাচ্ছে। ডাকলেও সামনে আসছে না, বড্ড সাহস হয়ে গেছে, এবার সত্যি সত্যি সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে শুভ্রের। রাগে মাথায় আগুন জ্বলছে তাঁর। শুভ্র রাগে হন হন করতে করতে এগিয়ে গেল বর্ষার সামনে তারপর কাট কাট গলায় বললো,

‘ বর্ষা?’

#চলবে….

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। আর গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে। ভেবেছিলাম আজকের পর্বে শুভ্র বর্ষার অভিমান ভাঙাবো কিন্তু হয়ে উঠলো না। তবে তোমরা টেনশন নিও না আগামী পর্বেই সব অভিমান ভেঙে নতুন কিছুর সূচনা দিবো। অপেক্ষায় থেকো সবাই]

#TanjiL_Mim♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here